somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাগ কে না বলুন আত্মার শান্তি নিশ্চিত করুন আর পারিবারিক অশান্তি দুর করুন

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


এক মূহুর্তের রাগ, সারা জীবনের
কান্না। আল্লাহ্ ﷻ বলেছেন – “তোমরা
রাগকে গিলে ফেলো” (সূরা আলে
ইমরান:১৩৪)। রাগ যদি নিয়ন্ত্রনের
বাইরে চলে যায় তাহলে রাগের
মাথায় আমরা এমন কিছু করে বসতে
পারি, বা বলে বসতে পারি যার জন্য
আজীবন অনুশোচনা করতে হবে। রাগ-
নিয়ন্ত্রণ তাই অতীব গুরুত্বপূর্ন একটি
স্কিল।
এই লেখায় আমি রাগ-সংক্রান্ত ৪টি
হাদিস শেয়ার করব, এই চারটি হাদিস
থেকে দেখব কেউ যখন রাসূলুল্লাহ ﷺ এর
সাথে রাগিয়ে দেয়ার মতো আচরণ
করতেন, তখন তিনি ﷺ কিভাবে তা
হ্যান্ডল করতেন।
১) আনাস(রা) ছিলেন ৭-৮ বছরের ছোট্ট
একটা ছেলে। আনাস(রা) এর মা, আনাস
(রা)কে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাছে গিফট
করেছিলেন তাঁর সেবা করার জন্য।
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর বিভিন্ন ছোট-খাটো
কাজ করে দিতেন আনাস(রা); যতটা না
কাজ করতেন তারচেয়ে বেশী
দুষ্টামীই করতেন! একদিন রাসূলুল্লাহ ﷺ
আনাসকে (রা) একটা কাজে বাইরে
পাঠালেন। যাওয়ার পথে রাস্তার
মধ্যে আনাস(রা) কিছু ছেলেকে
দেখলেন তারা খেলা করছে।
তাদেরকে দেখে কাজের কথা ভুলে
ছোট্ট আনাসও (রা) খেলায় মজে
গেলেন। খেলার ঘোরে কতক্ষণ কেটে
গেছে আনাসেরও আর খেয়াল নাই,
এমনি এক সময় আনাস(রা) হঠাৎ ফিল
করলেন বিশাল সাইজের কোন এক
খেলোয়াড় তাকে পেছন থেকে ঘাড়
চেপে ধরেছে! আনাস(রা) মাথা
ঘুরিয়ে দেখেন – একি! এ যে স্বয়ং
রাসূলুল্লাহ ﷺ এক মুখ হাসি নিয়ে
উপস্থিত!
রাসূলুল্লাহ ﷺ আনাস(রা)কে জরুরী কোন
কাজেই কিন্তু পাঠিয়েছিলেন।
অনেক সময় পার হওয়ার পরেও আনাস(রা)
যখন ফিরলেন না, তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ এর
জন্য রেগে যাওয়াটাই স্বাভাবিক
ছিল। কিন্তু তিনি আনাস(রা) এর উপর
তো রাগলেনই না, বরং প্র্যাক্টিকাল
জোক করলেন!
আমাদের সাথে যখন রেগে যাওয়ার
মতো কিছু ঘটে, তখন লক্ষ্য করলে আমরা
দেখব ঘটনাটার একটা হিউমেরাস
দিকও আছে। আমাদের উচিত হবে
ঘটনার রাগের অংশটি উপেক্ষা করে
হিউমেরাস অংশটির দিকে মনযোগ
দেয়া।
টিপস#১: রাগকে হিউমার দিয়ে
পরিবর্তন করুন।
২) রাসূলুল্লাহ ﷺ এর স্ত্রীদের মধ্যে
আয়েশা(রা) খুব ভালো রান্না করতে
পারতেন না। রান্নার জন্য প্রসিদ্ধ
ছিলেন সাফিয়াহ(রা) ও উম্মে
সালামাহ(রা)। একবার রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন
অন্য সাহাবাদের নিয়ে আয়েশার(রা)
ঘরে বসে আলাপ করছিলেন, তখন উম্মে
সালামাহ(রা) তাঁর রান্না করা
খাবার নিয়ে ঘরে প্রবেশ করলেন।
এতে আয়েশা (রা) ভীষণ জেলাস ফিল
করলেন! ব্যাপারটা অনেকটা এরকম যে
– আমার রান্না কি এতই খারাপ যে
অন্য ঘর থেকে খাবার আনতে হবে?
আয়েশা(রা) রেগে গিয়ে এক
বাড়িতে খাবারের প্লেটটাই
ভেঙ্গে ফেললেন!
ভেবে দেখুন, অতিথির সামনে আপনার
স্ত্রী যদি এমন আচরণ করে বসে তো
আপনি কি করবেন? একটু হলেও হয়তো
“উফ” বলে উঠবেন। অন্তত এটুকু হয়তো বলে
উঠবেন – “একি! এটা কি করলে তুমি?”
রাসূলুল্লাহ ﷺ সেরকম কিছু বললেন না।
ভেঙে যাওয়া প্লেট এর টুকরোগুলো
কুড়াতে কুড়াতে বাকী
সাহাবাদেরকে বললেন – “তোমরা
তোমাদের খাবার খেয়ে নাও”।
তারপর তিনি ﷺ বাকী সাহাবাদের
সামনে আয়েশা(রা) কে প্রোটেক্ট
করার সুরে বললেন “তোমাদের মা
জেলাস ফিল করেছেন।” রাসূলুল্লাহ ﷺ
এমনভাবে কথাটা বললেন যে –
এটাতো কোন ব্যাপারই না, সব মানুষই
তো কম-বেশী জেলাস ফিল করে। শুধু
তাই না – তিনি সাহাবাদের মনে
করিয়ে দিতে চাইলেন আয়েশা(রা)
এর মর্যাদা, তাই তিনি আয়েশা(রা)
কে নাম ধরে না ডেকে “তোমাদের
মা” বলে সম্বোধন করেছেন ।
টিপস#২: কেউ রেগে গেলে তার
প্রতি পাল্টা রাগ না করে তাকে
প্রোটেক্ট করুন।
৩) একবার রাসূলুল্লাহ ﷺ দেখলেন এক
মহিলা কবরের সামনে বেজায়
কান্নাকাটি করছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ
তাকে বললেন – “আল্লাহকে ﷻ ভয় করো
এবং ধৈর্য্য ধরো।” মহিলা রাসূলুল্লাহ ﷺ
কে চিনতে না পেরে রেগে-মেগে
বলে উঠলো – “যান এখান থেকে!
আমার মত বিপদ তো আর আপনার হয়নি!”
জবাবে রাসূলুল্লাহ ﷺ রেগে গেলেন
না, তাকে আরেকবার বুঝানোর
চেষ্টাও করলেন না, বললেন না –
“আমি হলাম আল্লাহ্র ﷻ রাসূল, আর আমার
মুখে মুখে কথা!”, অথবা বললেন না-
“আমি বললাম ভালো কথা আর তুমি কি
না আমার সাথে এমন ব্যবহার করলে!”
না, তিনি এরকম কিছুই করলেন না।
তিনি চুপচাপ কিছু না বলে সেই স্থান
থেকে চলে গেলেন।
টিপস#৩: রেগে থাকা মানুষকে
বুঝাতে যাবেন না, সে বুঝবে না।
তাকে শান্ত হওয়ার জন্য সময় দিন।
৪) রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: “যে ব্যক্তি
তর্ক করা ছেড়ে দিবে, সে যদি ভুলের
পক্ষেও হয় তবুও সে জান্নাতের
প্রান্তে বাড়ী পাবে। আর যে ব্যক্তি
সঠিক হওয়ার পরেও তর্ক ছেড়ে দিবে,
সে জান্নাতের মাঝখানে বাড়ী
পাবে। আর যে ব্যক্তি নিজের
চরিত্রের উন্নয়ন করবে সে জান্নাতের
সর্বোচ্চ স্থানে বাড়ী পাবে।”
ভেবে দেখুন – কি লাভ আরেকজনের
সাথে তর্কাতর্কি করে, রাগারাগি
করে, নিজের মেজাজ খারাপ করে,
যুক্তির উপর যুক্তি তৈরী করে শুধুই এটা
প্রমাণ করা যে “আমি সঠিক, তুমি ভুল”?
এর মাধ্যমে না পাওয়ার যায় নিজের
মনে শান্তি, না করা যায় অন্যের মন
জয়। তারচেয়ে চুপ করে থেকে অন্যের
ভুল উপেক্ষা করে নিজের জন্য
জান্নাতে একটা বাড়ী নির্মান করা
কি বুদ্ধিমানের কাজ না?
টিপস#৪: রাগ করার মত কারণ থাকা
সত্ত্বেও তা ছেড়ে দিন, আর আল্লাহর ﷻ
কাছে প্রতিদানের আশা রাখুন।
পাদটীকা:
১) ইসলামে ব্যক্তিগত কারণে রাগ
করার অনুমতি নেই। তবে যেসব কারণে
আল্লাহ্ ﷻ ও তাঁর রাসূল ﷺ রাগ করেছেন
(যেমন – কাউকে শিরক করতে দেখলে)
সে সব কারণে রাগ করা বৈধ। তবে, এই
রাগের বহিঃপ্রকাশও নিয়ন্ত্রিত হতে
হবে।
২) লেখাটি পড়ে মনে করবেন না আমি
রাগ-নিয়ন্ত্রনে মাষ্টার, বরং
উল্টোটা সত্য। লেখাটি আমি
লিখেছি সবচেয়ে বেশী নিজেকে
মনে করিয়ে দেয়ার জন্য। এটা যদি অন্য
কারো উপকারে আসে তো
আলহামদুলিল্লাহ!
(রেফারেন্স: হাদিস১: মুসলিম ২৩১০ ,
হাদিস২: সুনান আন-নাসাঈ ৩৯৭৩,
হাদিস৩: বুখারী ১২২৩, হাদিস৪:
তিরমিযী)
Uncontrolled chronic anger damages your
relationships , destroys your health, jeopardizes
your career and robs your joy. The negative
consequences of anger are felt in every part of your
life. Anger problems are a symptom of fear and pain
― and lashing out at others in trying to heal your
own wounds never works.
Recognizing the Different Types and
Degrees of Anger
Anger falls into 4 main classifications
Forceful anger is more destructive and hostile with
the intent to harm or control people or situations.
Passive aggressive anger is indirect and more
insidious. The angry person does not directly
confront the target of their anger.
Rage is explosive anger, and at times can be
violent.
Healthy anger is what we strive for and can move
us forward in a positive way.
Anger can take on many forms ― some of them
disguised ― as well a wide spectrum and degrees.
Here are some fundamental criteria to help you
determine if your anger is excessive and
problematic in your life:
The intensity of your anger
How often you get angry
How long you remain angry
How quick you are to anger
How you express your anger
How comfortable you are with your anger
How to Control Anger
Stress is a huge spark for anger. The stressors of
life can be overwhelming for some and using anger
as a way of managing stress only increases the
stress in their life ― imprisoning them in a vicious
cycle of more stress and more anger.
When you learn how to control anger, you will start
to make better decisions in your life. You can face
every day without turning it into a battleground. And
you will simply feel better. Anger can be an
addiction , just like any other. Individual counseling
with a caring therapist supports people who don’t
know how to deal with anger ― by learning the skills
necessary to kick the habit for good.
Counseling helps you to be in control of anger so
that it doesn’t take you on a knee-jerk ride that you
later regret. Recognizing your anger triggers is an
important part of recovery. Learning the thoughts,
behaviors, people and situations that are the trip
wires that set off angry episodes are important in
getting control of your anger.
Even if you don’t a problem with anger, you may
know or live with someone who does. When anger
turns to violence in the form of spousal or child
abuse , it becomes a behavior that needs the
immediate help that a professional licensed
counselor can give to those in the abusive
situation. Montville Counseling Center has
counselors who are specially trained to handle
these terrifying behaviors.
Be sure to get the help you need to conquer anger
issues by learning life-changing anger management
techniques ― combined with appropriate anger
therapy from a skilled professional.
Montville Counseling Center is a court-approved
provider of domestic violence counseling for victims
and perpetrators of violence. If you or someone you
know has been instructed by the courts to have
qualifying domestic violence or anger management
counseling, please contact us to schedule an
appointment.
We also participate with Employee Assistance
Program (EAP) for counseling for anger
management. An EAP is a benefit offered by some
employers to their employees and their family
members to help resolve personal issues with
professional and confidential counseling services.
Check to see if you are covered by your employer
with this benefit.
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×