somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিষিদ্ধ যতো বই .......

২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


নিষিদ্ধ যতো বই .......
[ পঞ্চম পর্ব ]

দ্য এ্যারাবিয়ান নাইটস
The Arabian Nights


আরব্য রজনীর গল্প বা আরব্য রজনীর ১০০১ রাত এর কাহিনী পড়েন নি বা তার নামটি জানেন না এমোন কেউ কি আছেন ? । না থাকার ই কথা । থাকার সম্ভাবনাও নেই । কারন , “আলাউদ্দিনের যাদুই চেরাগ” বা “আলিবাবা ও চল্লিশ চোর” কিম্বা “সিন্দবাদ” এর যে কোনও একটি কাহিনীও নিজে নিজে পড়েন নি কিম্বা দাদী-নানীদের মুখে বা ছোটদের ক্লাসে টিচারের কাছে গল্প শোনেন নি এমোন কেউ নেই । যদি থাকেন, তবে হাত তুলতে পারেন । হাত তোলাদের জন্যে বলি - যিনি পড়েন নি বা এমোন নাম জীবনেও শোনেন নি তাকে মনে হয় করুনা করতেই হয় ।
আরব্য রজনীর নাম যদি না ও শুনে থাকেন তবে “ আলিফ লায়লা”র নামটি সবার ই মুখস্ত থাকার কথা । মূল শব্দটি আরবীতে – “আলফ লেইল” । “আলফ ” মানে সহস্র আর লেইল” মানে রাত । সহস্র রাতের গল্প । বইটি না পড়ুন কিন্তু টিভির সিরিয়ালটি দেখেন নি এমোন কেউ নেই ।

ছোট্টবেলা এসব গল্প শুনে বা পড়ে কার না ইচ্ছে করছিলো যে, আহা... এমোন একটা যাদুর চেরাগ যদি থাকতো আমার ? “সিসেম ফাঁক” বা “সিসেম বন্ধ” বলে কতো লুকোচুরি খেলাই না খেলার বয়সে খেলেছেন আপনি ! আর এই পরিনত বয়সে অনেকেই তো মনে মনে ভাবেন, সিন্দবাদের দৈত্যের মতো সব দায়িত্বের বোঝা যে ঘাড়ে চেপেই আছে ! এড়াবেন কি করে ?

তো এই সব জনপ্রিয় আর খুব ভালোলাগার কাহিনীগুলো নিয়েই গড়ে উঠেছে আরব্য রজনীর ১০০১ দিনের চোখের ঘুম কেড়ে নেয়া পাঁচালী । আরব্য রজনীর এই কাহিনী কারো একক লেখা নয় । শত শত বছর ধরে এটি বিভিন্ন লেখকের লেখা নিয়ে সংকলিত হয়েছে । পরিবর্তিত আর পরিবর্ধিত হয়েছে প্রজন্মের পর প্রজন্মের মুখে মুখে ছড়িয়ে গিয়ে । নবম শতক থেকে একাদশ শতক ব্যাপী সময় ধরে এর গাঁথুনী থেকে ছাদ পর্য্যন্ত কাঠামো ঢালাই হয়ে গেছে । বাকী সময়ের পথ ধরে এর অঙ্গসজ্জা হয়েছে । অঙ্গসজ্জা চলছে আজ ও ।
তাই আরব্য রজনীর এই কাহিনীতে বহু সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটেছে , ঘটেছে বহু দেশের সাহিত্যের সংমিশ্রন ।
মধ্যযুগীয় মিশরীয় ইতিহাস , ইরাক-পারস্যের লোকগাঁথা থেকে শুরু করে ভারতীয় সংস্কৃতির জাতক এর গল্পের ঘ্রান পর্য্যন্ত পাওয়া যাবে এখানে । তার সাথে মিশেছে য়্যুরোপীয় অনুবাদকদের উচ্ছাস । দেখেশুনে আপনার মনে হবে , এই বইটির যেন কোনও বৈধ মা-বাপ নেই । বইখানা যেন এতিম ।


ছবি – যে যেমন করে পেরেছেন সাজিয়েছেন বইটির প্রচ্ছদ ।

কাহিনীগুলোও তেমনি এতিমের মতো কুড়িয়ে পাওয়া গেছে মধ্যযুগীয় বাগদাদ, কায়রো, তার্কি, য়্যুরোপ ইত্যাদি সভ্যতার পথেপথে । তীর্থযাত্রী আর ক্রুসেডার , ব্যবসায়ী আর দস্যুদের ঘাড়ে চেপে, মুখে মুখে এগুলো জল-স্থল আর সময়কে অতিক্রম করে গেছে । গবেষকরা কাহিনীগুলোর সুনির্দিষ্ট উৎস না পেয়ে “অরফান টেলস” বা “এতিম গল্প” ছাপ মেরে দিয়েছেন এর গায়ে । আদিত্য ভেল নামের ভারতীয় এক গবেষক তো গল্পের সিন্দবাদ কে খুঁজে পেয়েছেন সংস্কৃত গল্প “ শানুদাস দ্য মার্চেন্ট” এর মধ্যে । একই ভাবে আরব্য রজনীর কাহিনীতে থাকা পশুপাখির গল্প আর যাদুর আয়নার কথাও নাকি নাবিক, ব্যবসায়ীদের মুখে মুখে ভারতের মাটি থেকে য়্যুরোপ আর আরবদেশে পাড়ি দিয়েছে । আর তা মিশে গেছে ইসলাম ও ইসলাম পূর্ব জগতে । তেরশো শতকের একখানা হিব্রু গল্পেও সিন্দবাদের দেখা মিলেছে । কাহিনীগুলোর একক কোনও মা-বাপ না থাকুক সিন্দবাদ , আলীবাবাকে আরব্য রজনী থেকে বাদ দিলে তা আপনার কাছে মনে হবে রোমিও কে বাদ দিয়ে রোমিও-জুলিয়েট কাহিনীর মতো ।


ছবি - Arabic manuscript of The Thousand and One Nights dating back to the 1300s.

এক হাযার এক রাত ধরে উজির কন্যা শেহেরজাদ এর মুখে এইসব গল্প আপনি শুনেছেন । মুগ্ধ হয়েছেন, শুনতে শুনতে ঘুমের কথাও হয়তো ভুলে গেছেন আপনি । কিন্তু আপনার মনে আছে কি , প্রানের দায়ে বেচারী শেহেরজাদকে এই মুগ্ধকারক কাহিনী বলে যেতে হয়েছে দিনের পর দিন ? গল্প পছন্দ না হলেই যে ঘাড় থেকে গর্দান আলাদা হয়ে যাবে তার রাজকীয় ইচ্ছেয় ? শেহেরজাদ যে নির্মম আর নিষ্ঠুর একটি শর্তে বন্দিনী ?
কাহিনীর রূপচ্ছটায় আপনার মনেই হয়নি যে, পুরো কাহিনীটি একটি অনবদ্য ছাঁচে গড়ে তোলা হয়েছে । আপনার এ ও মনে হয়নি যে, রাজা শাহরিয়ার প্রকারন্তরেই এক “সিরিয়াল ধর্ষক” ।
চমকে উঠবেন না ।


ছবি – শেহেরজাদের গল্প বলা ....

আপনার কি মনে আছে, রাজার প্রথমা স্ত্রীকে রাজা হত্যার আদেশ দিয়েছেন অবিশ্বস্ততার কারনে ? তারপর থেকেই রাজা শাহরিয়ার এর অদ্ভুত এক খেয়াল হলো , প্রতিসন্ধ্যায় এক কুমারীকে বিয়ে করবেন তিনি আর রাত পোহালেই তার গর্দান নেবেন যাতে নবপরিনীতা তার সাথে অবিশ্বস্ততার কোনও সুযোগ আর না পায় । বেঁচে যাবার একটিই শর্ত , নবপরিনীতাকে গল্প শোনাতে হবে রাজাকে । গল্প রাজার পছন্দ হলেই তবে রক্ষে । গর্দান বাঁচবে ।
আপনি দেখেছেন , কোনও কুমারীকন্যার গল্পই রাজার পছন্দ হয়নি । তাই পরের দিন সেইসব হতভাগী কন্যাকে তরবারীর নীচে গলা পেতে দিতে হয়েছে । আপনার কি মনে হয়নি, প্রতিরাতে নতুন নতুন কুমারী সঙ্গলাভের এ এক চাতুর্য্যময় পন্থা ? প্রতিদিন এমনি করে এই কুমারী সরবরাহের দায়িত্বে ছিলেন যিনি, তিনি স্বয়ং উজিরেআলা । বইয়ের কোথাও এটা উল্লেখ নেই যে , এভাবে কতো কুমারীর কুমারীত্বের সর্বনাশ করেছেন রাজা শাহরিয়ার । আমরা ধরে নিতে পারি , শাহরিয়ারের রাজ্যে আর কোনও কুমারীই অবশিষ্ট ছিলোনা কেবল উজিরকন্যা শেহেরজাদ বাদে । নইলে গর্দান যাবে জেনেও শেহেরজাদ কি করে রাজার অন্দরমহলে বিয়ের পিঁড়িতে গিয়ে বসলো দেশে আরো কুমারী থাকতে ? উজিরেআলা কেনই বা নিজ কন্যাকে ঠেলে দিলেন নিশ্চিত বিপদের মুখে ? ধরে নিতে পারি, উজিরেআলার আর কোনও উপায় ছিলোনা ।
আবার এও হতে পারে – প্রতিরাতে কুমারী মেয়েদের রাজকীয় ধর্ষনের হাত থেকে বাঁচাতে উজিরকন্যা শেহেরজাদ এই পথটিই বেছে নিয়েছিলেন । কারন আমরা দেখি, শেহেরজাদ দিনের পর দিন গল্প বলে যাচ্ছেন । কোনও কোনও প্রকাশনায় এরকমটা দেখা যায় যে , রাজার অনুমতি নিয়ে শেহেরজাদ তার ছোট বোনটিকে সন্ধ্যের গল্প বলার সময় কাছে রাখতেন । গল্পটি যেন ছোট বোনটিকেই শোনানো হচ্ছে এরকম একটা ভাব সেখানে । আবার অনেক প্রকাশনায় বোনটির উল্লেখ নেই কোথাও । গল্পের শুরুটা যাদের উপস্থিতিতেই হোক , প্রচন্ড বুদ্ধিমতী বলেই শেহেরজাদ রাতের শেষে কাহিনীটিকে এমোন এক জায়গায় অসমাপ্ত রেখেছেন যে রাজা শাহরিয়ারেরও উপায় ছিলোনা শেষতক কি ঘটে তার জন্যে অপেক্ষা করা ছাড়া ।
এরকম “ কি হবে... কি হবে “ মনের অবস্থা আপনারও হয়েছিলো, তাইনা ? অনেকটা যেন এমোন , অনেক গল্প বলা হয়েছে এবার ঘুমাও বাবু, কালকে শুনবে আবার । এভাবেই কাহিনী গড়িয়েছে হাযার এক রাত ।
আর এখানেই আরব্য রজনীর অনবদ্য ছাঁচটি লুকিয়ে আছে ।

আমি, আপনি যা ই মনে করিনে কেন ; দোষ ধরার লোকের অভাব নেই এই সংসারে । তাই নৈতিকতার প্রশ্ন উঠেছে আরব্য রজনীকে ঘিরে ৩০০ বছর আগে থেকেই ।

আরব্য রজনীতে সেন্সরশীপের ব্যাপারটি শুরু হয় ১৭০৪ – ১৭১৫ সালে গ্যালান্ডস এর ফরাসী অনুবাদ থেকে
। পাঠকের রুচির সাথে সংঘাত বেধে যেতে পারে বলে গ্যালান্ডস কাহিনীর কিছু কিছু বাদ দিয়েছেন বা সংক্ষিপ্ত করেছেন । কাহিনীর মূল ফ্রেমে ব্যভিচারী কিছু বিষয় এবং “পোর্টার এ্যান্ড থ্রি লেডীজ অব বাগদাদ” আখ্যানের কিছু অশ্লীল , কূটনামিযুক্ত ডায়ালগ বাদ পড়ে গেছে ফরাসী অনুবাদ থেকে ।
ব্যোঁদলেয়ারের এক ভাবশিষ্য হয়েও এডোয়ার্ড লেন ১৮৩৮ সালে তার কৃত অনুবাদ থেকে বাদ দিয়েছেন কিছু কবিতা , গল্পের অংশ বিশেষ আর কিছু গল্পের পুরোটাই । তার সময়কার ভিক্টোরিয়ান সংবেদনশীলতার দিকে খেয়াল রেখে লেনের বক্তব্য – যা বাদ দিতে হয়েছে তা অশোভন আর অবজেকশানেবল । ভিক্টোরিয়ান মোর্যারলিটির সাথে যা সাংঘর্সিক ।
গ্যালান্ডস, এডোয়ার্ড লেন আর পেইন ( তৃতীয় এক অনুবাদকারী) এর এই পরিশুদ্ধ অনুবাদই সম্ভবত রিচার্ড বার্টনকে ( সিনেমার নায়ক বার্টন নন ) ১৮৮৫ তে ভিন্নভাবে উত্তেজিত করে থাকবে । শ্লীল এইসব অনুবাদকদের যেন একহাত নিতে চেয়েছেন বার্টন । তাই বার্টন এর অনুবাদে আমরা দেখবো কাহিনীগুলোর যৌনতাপূর্ণ অংশ বেশ রগরগে করে বর্ণনা করা হয়েছে । বার্টন মনে হয় যৌনতাকে পছন্দ করতেন বলেই তার অনুবাদে উত্তেজনাকর বর্ণনাগুলো আরো বিশদ করা হয়েছে এমোনকি বাইরে থেকে উত্তেজনাকর নতুন নতুন বর্ণনাও যোগ করা হয়েছে অনুবাদের পাদটীকায় (ফুটনোট) । সেন্সরের কোপানল থেকে বাঁচতে তার অনুবাদিত আরব্য রজনীখানা ভারতের বেনারস শহরের “ কামসূত্র সমিতি”র জন্যেই শুধু প্রকাশিত হয় প্রথমে। ১৯৩১ সালের আগ পর্য্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রেও বইটি ঢোকা নিষিদ্ধ ছিলো । মজার ব্যাপার হলো , বার্টনের জীবদ্দশাতেই কিন্তু তার স্ত্রী ঈসাবেল বইটি থেকে ২৫০ পাতা বাদ দিয়ে “হাউজহোল্ড এডিশন” ছাপ মেরে ১৮৮৭ সালে পরিশুদ্ধ একটি সংস্করন প্রকাশ করেন ।
বার্টন এর ১৬ খন্ডের এই অনুবাদটি হবহু ছাপিয়েছে বৈরুত এর বই প্রকাশনী “ খ্যায়াৎ ” বেশ ঢং করে । ১৯৬৬ সালে ছাপা এই অনুবাদটিতে যে সব জায়গাতে “অবজেকশানেবল” কথাগুলো আছে তাকে ঘিরে দেয়া হয়েছে কারুকাজ খচিত রেখা দিয়ে ।
১৮৯৪ সালে “নিউইয়র্ক সোসাইটি ফর সাপ্রেশান অব ভাইস” অশালীনতার দায়ে পেইন এর অনুদিত আরব্য রজনীর এক প্রস্থ আমদানীকৃত বই ধংশ করে দেন । ১৯২৯ সালে এই সোসাইটি-ই আবার মাড্রুস কর্তৃক ইংরেজীতে অনুদিত ৫০০টি বইয়ের একটি চালান নিষিদ্ধ করেন । যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি য়্যুরোপেও বিংশ শতাব্দীর প্রথমাংশে বইটি নিষিদ্ধ করে রাখা হয় ।
অথচ মূল আরবীতে লেখা আরব্য রজনীতে পরিষ্কার করে কোনও আপত্তিকর বিষয়ের দেখা মেলেনি । এটা সত্ত্বেও কোনও কোনও প্রকাশক বইয়ের বিক্রি বাড়াতে স্থানে স্থানে আপত্তিকর বিষয় ঢুকিয়ে দিয়েছেন । বইখানা এতিম বলেই হয়তো । তাই বিভিন্ন অনুবাদে আপনারা বিভিন্নতা খুঁজে পাবেন । সবচেয়ে নোংরামীতে ভরা অনুবাদটি আপনি পাবেন বৈরুত এর জেস্যুইট প্রকাশনীর ১৮৮৮- ১৮৯০ সালের বইটিতে ।

সম্প্রতি ২০১০ সালে মিশরের জি.ও.সি.পি সুপ্রিম পাবলিকেশান সোসাইটি বইটি আবার নতুন আঙিকে প্রকাশ করলে শোরগোল পরে যায় ইসলামপন্থিদের মাঝে । ইসলামিক আইনজীবিদের একটি দল যারা নিজেদের কে “Lawyers Without Restrictions” নামে ডাকতে ভালোবাসেন তারা সবে প্রবর্তিত “হেজবা” আইনের দোহাই দিয়ে বইটিকে নিষিদ্ধ করার আবেদন করেন আদালতে ।
আল আরাবিয়া টিভির বরাত দিয়ে বলা হয়, দলটির এক সদস্য আইমান আবদেল হাকিম বলেছেন - “ আমি দারুন মর্মাহত হয়েছি এটা দেখে যে কোথাও কোথাও কী জঘন্য বইটির ভাষা ...... যৌনতার সুড়সুড়ি দিয়ে পাপকে ডেকে আনার জন্যে বইটিতে অনেক কিছুই আছে .... এটা জনগণের পয়সার শ্রাদ্ধ করা মাত্র।”
জবাবে প্রতিবাদকারী মিশরীয় লেখক সঙ্ঘের মুখপাত্র মোহাম্মদ সালমাউই বলেছেন, এই আইজীবিরা তো দেখছি একদম তালেবান স্বভাবের !
জি.ও.সি.পি’ র সভাপতি আহমেদ মেগাহেদ এই নিষিদ্ধকরনের আবেদনকে মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর আঘাত হিসেবে চিহ্নিত করে বলেছেন, “ বইটি প্রকাশের সাথে সাথে সব কপি বিক্রি হয়ে যাওয়া এটাই প্রমান করে যে, মিশরীয়রা সিরিয়াস পাঠক । আর তারা কিছুতেই ইসলামের নাম ভাঙিয়ে কিছু লোককে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বন্ধ করে ফায়দা লুটতে দেবেন না ।”

একটি এতিম বইয়ের ভাগ্যে এরকম হেনস্থা ছাড়া আর কি জোটার আছে ?????? .......


গালিভার’স ট্রাভেলস
Gulliver’s Travels



সেই যে লিলিপুট ! মনে আছে ?
আজকাল হয়তো আমরা ছোট্ট, ক্ষুদ্র কিছুকে পিচ্চি বলে ডাকি । একসময় এই পিচ্চিদেরই বলা হতো “লিলিপুট” । ভুলে যাবার কথা নয় । আজও হয়তো কেউ কেউ ডাকেন । অনেকেই ছেলেবেলায়, মেয়েবেলায় স্কুলে পড়া গালিভার’স ট্রাভেলস নামের এই বইটিতেই প্রথম এই “লিলিপুট” শব্দটি পেয়েছেন । শব্দটির জন্ম এখান থেকেই ।
তো গালিভার ভ্রমনে বেড়িয়েছেন জাহাজ এন্টিলোপ’য়ে চড়ে । জাহাজের শল্যবিদ চিকিৎসক হিসেবে । জাহাজ ডুবিতে পড়লেন গিয়ে সৃষ্টিছাড়া এক দেশে । যে দেশের মানুষ আপনার কড়ে আঙ্গুলের সমান । লিলিপুটিয়ানদের দেশ । গালিভারকে তারা স্বাগত জানালো “ হেকিনাহ দেগাল ... হেকিনাহ দেগাল “ চীৎকারে । এই হেকিনাহ দেগাল শব্দের অর্থ আপনার জানা নেই । যে দেশের মানুষ আঙ্গুলের সমান সে দেশের সবটাই তেমন মাপের, তেমন আজব তো হবেই । মেঘের দল এতোটাই কাছে যে গালিভার ফুঁ দিয়েই তা সরিয়ে দিতে পারতেন । সে দেশের সমুদ্র গালিভারের জন্যে হাটুজল । এই লিলিপুটদের কাছেই গালিভার বন্ধু হয়ে উঠলেন । গালিভার এও দেখলেন এ দেশের জনগণও দুটো রাজনৈতিক শিবিরেও বিভক্ত আবার । একদল হাই হিল পড়া , আরেক দল নীচু হিল পড়া । লিলিপুটের দেশের কাহিনীর শেষে গালিভারকে এক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে হয়, লিলিপুটিয়ানদের চিরশত্রু বেলফুস্কো দেশটির সাথে । শত্রুতা কেন ? ব্যাপার তেমন আহামরি কিছু নয় , ডিম ভাঙা নিয়ে । ডিমটির কোন জায়গায় আঘাত করে তা ভাঙবেন আপনি ? ডিমটির সরু অগ্রভাগে না কি পেছনের মোটা দিকটাতে আঘাত করবেন ? এই নিয়ে দু’দেশের ঝগড়া । তারপর শত্রুতা । তারপরে বংশ পরম্পরায় একে অন্যের জাতশত্রু ।
কাহিনীর এ অংশটুকু মনে আছে তো আপনার ? না হলে মনে রাখুন ।

দ্বিতীয় ভ্রমন ‘এ্যাডভেঞ্চার” জাহাজে চড়ে । একই ভাবে ঝড়ের মুখে জাহাজডুবি । গিয়ে উঠলেন
“ ব্রবডিংনাগ”দের দেশে । এখানে আবার দৃশ্যপট উল্টো । সবকিছুই বিশাল বিশাল । ৪০ ফুট লম্বা গমের গাছ । ঝোপঝাড় ১২০ ফুটের চেয়ে উঁচু । আকাশ ছোঁয়া গাছপালা । এক খামারী তাকে দেখতে পেয়ে ঘরে নিয়ে এলেন । খেলনা হিসেবে আজব এই পুতুল মানুষটিকে দিয়ে দিলেন তার ছোট কন্যাকে । যাকে আবার গালিভার ডাকতেন গ্লুমদালক্লিচ নামে । ব্রবডিংনাগদের ইদুঁর গালিভারকে খেয়ে ফেলতে পারে এই ভয়ে তার জন্যে বানানো হলো খেলনা ঘর । পুতুলের বাক্স । লোকজনদের কাছে এবারে গালিভার নিজেই যেন লিলিপুট হয়ে গেলেন ।


ছবি - ব্রবডিংনাগদের দেশে ।

তো গালিভার খায়-দায় , ঘোরে-ফেরে তার গ্লুমদালক্লিচের সাথে । এভাবে রাজার নজরে পড়ে গেলেন গালিভার । কড়ে আঙ্গুলের সমান মানুষটিকে দেখে রাজার জানতে ইচ্ছে হলো, কোন সে দেশ যেখান থেকে গালিভার এসেছেন । সেই দেশের আচার আচরন ব্রবডিংনাগদের মতো কিনা । রাজার অনুরোধে গালিভারকে বলতে হয় তার দেশ ইংল্যান্ডের কথা । যেখানে ভন্ডামী , খুনোখুনি, লোভ, রাজনৈতিক চক্রান্ত নিত্যদিনের কাহিনী । শান্তির দেশ ব্রবডিংনাগ এর রাজা এসব শুনে আশ্চর্য্য হলেন খুব । আরও আশ্চর্য্য হলেন এটা শুনে যে, ইংল্যান্ডবাসীরা গানপাউডার নামে শক্তিশালি একটা অস্ত্র বানিয়েছে যা দিয়ে শত্রুকে নিমিষেই মেরে ফেলা যায় । গালিভার এই গানপাউডারের গুনগানও করছিলেন ।
যাই হোক, এরপরে গল্প গড়িয়েছে গতানুগতিক পথে । রাজকীয় অতিথি হিসেবে গ্লুমদালক্লিচের সাথে গালিভার কাটিয়েছেন আরও দু’টো বছর ব্রবডিংনাগদের দেশে । তারপরে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে নির্মল বায়ু সেবনের জন্যে তাকে সাগরপারে নেয়া হলে একজনের সহায়তায় পালিয়ে ফিরে আসেন নিজ দেশ ইংল্যান্ডে ।

গালিভারের এই আজব কাহিনী আপনাকে এক কল্পরাজ্যে নিয়ে গেছে হয়তো স্কুলবেলায় । বইটির আর লেখকের নাম আপনার মুখস্ত ছিলো এককালে । থাকার কথাই । বইটির ঘটনা আজব কিসিমের বলেই হয়তো আর শিশুতোষ তো বটেই !

আপনি জানেন যে, বইটি লিখেছেন জোনাথন স্যুইফট । আপনার এ জানাটি একটু ঘোরপ্যাঁচের মধ্যে পড়ে যাবে যখোন আপনি ১৭২৬ সালে বইটির প্রথম প্রকাশ কালে যার নামটি ছিলো “ ট্রাভেলস ইনটু রিমোট নেশনস অব দ্য ওয়র্ল্ড” সে বইটি পড়বেন । জোনাথন স্যুইফট নন বইটির লেখক হিসেবে দাবী করা হয় “লেম্যুয়েল গালিভার” এর নাম । বইটির প্রথম পাতায় প্রকাশক রিচার্ড সিম্পসনের একটি বার্তা রয়েছে যেখানে বলা হয়েছে যে, লেম্যুয়েল গালিভার প্রকাশকের পরিচিত সত্যিকারেরই একজন লোক, অন্তরঙ্গ বন্ধুও । তিনি আবার নাকি প্রকাশকের মায়ের দিকের আত্মীয় । লেম্যুয়েল গালিভার এর জন্ম ইংল্যান্ডের নটিংহ্যামশায়ারে হলেও আসলে তার পরিবার এসেছেন আক্সফোর্ডশায়ার থেকে । একথা গালিভার নিজে তাকে বলেছেন । রেডরিফ এ বাড়ী করার পরে সেখান থেকে চলে যাবার আগে তিনি প্রকাশককে একগাদা ম্যানুসস্ক্রীপ্ট পাঠান তার ভ্রমনের কাহিনীর উপরে । সেখানে প্রকাশককে অনুরোধ করা হয় এই বলে যে, তিনি যেন এই কাঁচা লেখাকে তার নিজের মতো করে প্রকাশ করেন । প্রয়োজনে বিদ্বান ব্যক্তিদের সাহায্য নিয়ে হলেও কাজটি যেন করেন । প্রকাশক নাকি রেডরিফে গিয়ে ঘটনার সত্যাসত্য নির্ণয় করে দেখেছেন যে, গালিভারের ম্যানুসস্ক্রীপ্ট’য়ে লেখা কাহিনী আসলেই সত্য । এই বক্তব্যের পরে প্রকাশক রিচার্ড সিম্পসন গালিভারের লেখা একটি চিঠি সংযুক্ত করেন বইয়ের মুখবন্ধে এইভাবে -
A LETTER FROM CAPTAIN GULLIVER TO HIS COUSIN SYMPSON.
I hope you will be ready to own publicly, whenever you shall be called to it, that by your great and frequent urgency you prevailed on me to publish a very loose and uncorrect account of my travels, with directions to hire some young gentleman of either university to put them in order, and correct the style.................... ( আংশিক )

ঘোরপ্যাঁচ লাগার মতো ব্যাপারই বটে । স্বয়ং জোনাথন স্যুইফটও এ ব্যাপারে মুখ খোলেন নি । হতে পারে এই উদ্ভট কাহিনীকে সত্যিকারের কাহিনী বানাতে তিনি চুপ থেকেছেন । রহস্য রেখে দিয়েছেন, যাতে পাঠককুল ভাবেন , কাহিনীটি আসলেই সত্যি । তার বানোয়াট চরিত্রগুলোকে , কাহিনীকে সত্যের মতো দেখাতে এই রহস্যটুকু হয়তো তার নিজেরই সৃষ্টি । বা এও হতে পারে, ইংল্যান্ডের রাজনীতিকে যে ব্যঙ্গ তিনি করেছেন, তার কোপানল থেকে নিজেকে বাঁচাতে বইটির লেখক নিয়ে কোনও বিতর্কে যেতে চাননি । প্রথম পাতার এই রহস্য হয়তো এ কারনেই করা ।

আসলেই তো বইটি প্রচন্ড ব্যঙ্গাত্মক । যে কারনেই বইটিকে নিষিদ্ধের তালিকায় ঢোকানো হয়েছে । বইটিতে চারটি অধ্যায় থাকলেও আপনি সম্ভবত প্রথম দুটো অধ্যায় লিলিপুট আর ব্রবডিংনাগদের দেশে গালিভারের ভ্রমনের অংশটুকুই পড়েছেন । তাই প্রথম অধ্যায় থেকেই উদাহরন দেই - ভালো করে খেয়াল করলে আপনি দেখবেন, ডিমের কোনদিক থেকে ডিমটি ভাঙতে হবে এই তুচ্ছাতিতুচ্ছ ঘটনা নিয়ে লিলিপুট আর বেলফুস্কো দেশটির মাঝে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের যে ইঙ্গিত তাতে ইংল্যান্ডের তখনকার দুটো রাজনৈতিক দল, “টোরী” আর “হুইগজ” এর মতপার্থ্যকের সমালোচনাই করা হয়েছে । শুধু সাংবিধানিক রাজতন্ত্র থাকবে কি থাকবেনা, এই তুচ্ছ ব্যাপারের পক্ষ বিপক্ষ নিয়েই এদের ঝগড়ার শুরু । ১৭১৫ সালে সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের পক্ষের হুইগজ পার্টি ক্ষমতার তুঙ্গে ওঠে । সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সব টোরীদের হটিয়ে দেয়া হয় । হটিয়ে দেয়া হয় সেনাবাহিনী, চার্চ অব ইংল্যান্ড থেকেও । এমোন কি সব লিগ্যাল প্রফেশান আর লোকাল অফিস থেকেও । দুটো দলের এই ঝগড়া তুচ্ছ তুচ্ছ বিষয় নিয়েই বছরের পর বছর ধরে চলছিলো ।
বইটির অন্তর্নিহিত দর্শনে আপনি দেখবেন, লিলিপুটদের দেশে যেখানে গালিভার ছিলেন বিশালকায় হিসেবে একজন দর্শক; সেখানে ব্রবডিংনাগদের দেশে গালিভার নিজেই ছিলেন ক্ষুদ্রতম হিসেবে দর্শনীয় । তার মানে এই যে , তিনি একাধারে তার দেশ ইংল্যান্ডকে বিশাল চোখে দেখছেন মূর্খতার আবাসভূমি, পাপের আখড়া হিসেবে । আবার নিজেকে দর্শন করিয়েছেন স্বয়ং ইংল্যান্ড দেশটি হিসেবে । দেশের রাজনীতি , সমাজনীতি আর সংস্কৃতির সব প্রশ্নবোধক প্রাকটিসগুলো নিয়ে যে ইংল্যান্ড, তাকে তুলে ধরেছেন (ব্রবডিংনাগদের রাজার কাছে নিজ দেশ ইংল্যান্ডের বর্ণনা ) রূপকের ভেতর দিয়ে । এবং এসব শত্রুকে সহজেই যে গানপাউডার দিয়ে মেরে ফেলা যায় তার ইঙ্গিতও দিয়েছেন ।

তাই বইটিকে “ব্যানড” ছাপটি গায়ে মাখতে হয়েছে । ইংল্যান্ডে বইটি নিষিদ্ধ হয়েছে , ইংল্যান্ডের চলতি সামাজিক , ধর্মীয় আর রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে একহাত নেয়ার জন্যে । আয়ারল্যান্ডে বইটি নিষিদ্ধ ব্লাসফেমাস বক্তব্যের দোষে । সবমিলিয়ে বইটিতে আজগুবি মানুষজন, ঘোড়ার কথা বলা, আকাশে ভাসমান রাজ্য ইত্যাদি ইত্যাদির মধ্যে যতোই শিশুদের জন্যে আনন্দের খোরাক থাকুক, যতোই কল্পরাজ্যের কথা থাকুক তখনকার ইংল্যান্ডবাসীদের কাছে তা-ই প্রচন্ড ব্যঙ্গ আর বিদ্রুপের সমান মনে হয়েছে । রাজনৈতিক ভাবে সংবেদনশীল বিষয়গুলোকে তীব্র নিন্দার সাথে রূপকের আড়ালে তুলে ধরায় নাখোশও হয়েছেন তারা ।


তাই এই সিরিজটির শুরুতেই বলেছিলাম - কি দোষ একটি বই এর ?
দোষ অনেক । সব বই ই যে সবার কাছে সমাদৃত হবে এমোনটা কিন্তু নয় । রাষ্ট্রীয় নেতারা এখানে রাষ্ট্র কিম্বা তাদের বিরুদ্ধে কিছু খুঁজে পেতে পারেন । ধর্মীয় পুরুত ঠাকুরেরা ধর্মের প্রতি অবজ্ঞা বা অশালীনতার দাগ দেখতে পেতে পারেন । সুশীল সমাজ বিধায়করা সমাজ উচ্ছন্নে যাবে এমোন কিছুর আঁশটে গন্ধ পেতে পারেন । আবার রাজনীতিবিদরা তাদের মৌরসীপাট্টার প্রতি হুমকি দেখতে পারেন । ইত্যাকার... ইত্যাকার কারনে বইটি “ব্যানড” ছাপটি গায়ে মাখতে পারে । যদিও এই ছাপের গন্ধ তার গায়ে বেশীদিন থাকেনা । আবার এসে হাজির হয় আপনার সামনে ।
ইতিহাসের অনেকটা কাল জুড়েই এই সেন্সরশীপের ব্যাপারটি ছিলো , আছে এখোনও । যদিও এখোন ফ্রিডম অব স্পীচ এর যুগ তবুও এখোনও রাজনীতি, ধর্ম কিম্বা যৌনতা নিয়ে বাড়াবাড়ি কিছু দেখলেই বা মতের অমিল হলেই কিছু মানূষ মুঠি পাঁকিয়ে তেড়ে আসেন বই লেখকের দিকে । মাঝেমাঝে লেখকের মুন্ডটিও চাই তাদের । বইটি চলে যায় লোকচক্ষুর আড়ালে ।


[ পাদটীকা : বর্তমান পোষ্টটি “পঞ্চম পর্ব” বলে উল্লিখিত হলেও এটাই শেষ পর্ব হলেও হতে পারে । সবটা নির্ভর করছে সময় এবং সুযোগের উপর । তাই সুবিবেচক পাঠকদের প্রতি আস্থা রেখে এই পাদটীকার জন্ম । ]
প্রথম পর্ব এখানে Click This Link

দ্বিতীয় পর্ব এখানে ....... Click This Link

তৃতীয় পর্ব এখানে ......http://www.somewhereinblog.net/blog/GSA1953happy/29961681

চতুর্থ পর্ব এখানে.... Click This Link


ছবি ও সূত্র : Banned Books: / List of books banned by governments / CBC News Arts & Entertainment / http://news.bbc.co.uk / http://www.telegraph.co.uk / http://www.the-tls.co.uk / http://www.wired.com / http://thebookwars.wordpress.com / blogspot.com / http://www.wattpad.com / Wikipedia, the free encyclopedia / http://www.gradesaver.com / en.wikipedia.org /

সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৭:০২
৪৯টি মন্তব্য ৪৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×