somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছোট এক শিশু নাম তার জীবন!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

[img|http://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/Gazi_Elias/09-2014/Gazi_Elias_12992616745405be8d03f138.96712469_tiny.jpg

আমার অভ্যাস হল এদের কে জানা এদের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। মতিঝিল উত্তরা অফিস যাতায়ত ট্রেনে করি বলে এ রকম শিশুর অভাব হয় না। প্রতিদিন কারো না কারো সাথে মিশি ছবি তুলি। আজ এ শিশুটির কাহিনী আমাকে খুব কাদিঁয়েছে মাগরিবের নামাজ পড়ার সময় শুধু চোখের পানিই আসছিল। তার মা নেই step Mother আর তার বাবা তার আপন দু ভাইকে পিটিয়ে ঘর ছাড়া করেছে। সে ট্রেনে উঠে ঢাকায় চলে এসেছে ২মাস হয়। জীবন হল তার নাম। রেল ষ্টেশন এখন তার ঠিকানা। প্রথমে যেভাবে পেয়েছি তার ছবি পরবত্তীতে চুল কেটে গোসল করিয়ে আমার ছোট ছেলের পুরান কাপড় পরিয়ে ভাত খাওয়ালাম। সে এখন খুব খুশী আমার পাশে বসে আছে। তার একটি কথা আমার কান্না এনেছে তা হল রিক্সা করে যখন ষ্টেশন থেকে বাসায় আনছিলাম তখন সে আমাকে বলল মামা আমাকে একটি কাথা দিবেন। আমি বললাম কেন? সে বলল রাত্রে ঘুমানোর সময় ঠান্ড়া লাগে এবং মশায় কামড়ায়। আমি বললাম তুমি এটা কোথায় রাখবে? বলল আমার সাথে সাথে। আমি বললাম এটা নিয়ে তুমি চলবে কিভাবে? তখন সে চুপ হয়ে যায়।চিন্তা করেন কি করুন অবস্তা! আমার গভীর দুঃখ হল তাকে এখন আমার বিদায় দিতে হবে। আমি এখনো তাদের জন্য permanent কিছু করতে পারি নাই।জানিনা কবে করতে পারি? এ রকম অনেককে মনের বিরুদ্তধে বিদায় দিয়েছি। তখন নীজেকে মনে হয় বড় আসামী! মনের খুব ইচছা এদের জন্য কিছু একটা করার। দোয়া করবেন এদের জন্য কিছু করে যেন আল্লাহ এ পৃথিবী হতে আমাকে বিদায় করে।

অবুঝ শিশু জীবন কে অন্ধকার রাতে বিদায় দিলাম;-

আমি এক হিংস্র এ রকম এক অবুঝ শিশুকে অন্ধকার রাত ১০ টার সময় বিদায় দিলাম। আমি অক্ষম এক মানব যে পারেনি এ শিশুকে মায়ার জালে বেধে রাখতে। আমরা সে রকম ভদ্রলোক ২০টাকার বিনিময়ে ৩০ কেজি ওজনের ব্যাগ এ সকল শিশুর মাথায় উঠিয়ে দিয়ে পকেটে হাত ঢ়ুকিয়ে লাট সাহেবের মত হাটি। আবার child labour এর কথাও বলি। আমিও সেই গোত্ররের তাই বিদায়ই দিলাম। কিন্তু বারবার বিবেকের কাছে ধরাশয়ী হই। এই হল আমার গভীর এক যন্ত্রনা।আমার ঔরষের তার মত ছেলে আমার পাশের AC রুমে পাতলা কাথা গায়ে দিয়ে ঘুমাচেছ।বাসা থেকে বিদায়ের জন্য যখন বের হচিছলাম সেই বলল মামা কাথা দিবেন না? পরে বুদ্ধি করে আমার পুরানো একটি লুঙ্গি দিলাম। লিফট্র ভিতর ছবিটি দেখেই বুঝবেন।সাইকেলের পিছনে বসিয়ে ৪ নং সেক্টরের মাঠে নিয়ে গেলাম সেও আমার সাথে ২/১ রাউন্ড় হাটল তারপর তাকে বললাম দোলনায় দুলতে সে খুশীমনে খেলল। দুই এক বন্ধু জিজ্ঞাস করল সে কে আমি বললাম আমার ছেলে বললাম এরকম আমার হাজার হাজার ছেলে আছে। তারা হাসল। এ মাঠে রাত্রে তথাকথিত সাহেবরা তাদের ছেলেমেয়েরা ঢুকতে পারে। এ ধরনের শিশু দেখলে দারোয়ান লাঠি উচু করে ধমক দেয় ঢুকার কোন সুযোগ নেই। কারন দেখলেই বৈষম্য সুস্পষ্ট। আমার সাথে অবুঝ শিশুর মত হাটার ধরন আর তার খুশীমনের আচরণ নিরবেই কাঁদিয়েছে। কারন আমার শিশুর আচরন আর এ শিশুর আচরণে আমি কোন পৃথক মনোভাব পাইনি।অতঃপর ব্যায়াম শেষে সাইকেলে করে নিয়ে গিয়ে রেল শ্টেষন স্ম্মুখে রাত্রে বিদায় দিতে হল। এ হলাম ভদ্রনামধারী সরকারী অফিসার। নীজেকে এ মূহূরতে ঘৃনিত মনে হচেছ। প্রশ্ন হল মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গন সমাজের অনেক বিষয় নিয়ে সরকারকে রুল জারি করেন কিন্তু এ ধরনের অবুঝ শিশুদের রক্ষার জন্য কেন রুল হয় না? কেন আপনাদের চোখে এ করুন বিষয় ধরা পড়ে না? অনুরোধ করব, এ ধরনের শিশুদের সুরক্ষার জন্য রুল ইস্যু করুন।
দয়াপূরবক।

গাজী ইলিয়াছ।


সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৬
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×