সকালে ঘুম থেকে উঠেই বাসায় শুনি চেচামেচি, বাপ চিল্লায় লগে মা ও চিল্লায়। ব্যাপার খারাপ কিছু হইছে বুঝতে পাইরা খিচ মাইরা বিছানাতেই পইড়া থাকলাম। কিছু সময় ব্যাপার স্যাপার পর্যবেক্ষন করে বুঝতে পারলাম বাপ পচা মাছ লয়া আইছে । মা বরাবরের মতই তার কন্ঠ সর্বস্ব শক্তি দিয়া বাপেরে ঝারতে লাগল। ব্যাপক মজা তো !!!
মজা টের পাইলাম কতক্ষন পর বাপের আমার কথা ইয়াদ হইতেই। বুঝলাম এলা আমার উপর দিয়া সিডর যাইব। মনে মনে নিজের উপর ১০ নং বিপদ সংকেত ধার্য কইরা কোন মতে বিছানা ছাইড়া কাপড় চোপড় পইরা বাসা থাইকা ভাগলাম। গন্তব্য আমার বন্ধু পোটলা কাজলের বাসা। হালায় বাপের বাপের একমাত্র পোলা। বাসায় একাই থাকে, ভাবলাম হালার বাসায় গিয়া শান্তি মতন দুপুর পর্যন্ত ঘুমটা পুরা করুম।
যায়া দেখি, এলাহি কান্ড, ঘরে পুলাপানে ভর্তি, একটারেও আমি আগে কখন ও দেখি নাই। চেহারা দেইখাই বুইঝা লইলাম সব হের পোটলা খাওয়ার পার্টনার। আমি এক রুমে ঢুইকা লক কইরা দিলাম ঘুম । ঘন্টা ৩ পরে চিল্লাচিল্লির আওয়ায পাইলাম, ব্যাপারটারে মালুম দিলাম না ! সব মাল খোরের দল, চিল্লাচিল্লি করতেই পারে। আর ও কিছুক্ষন পরে কাজল আইসা দরজা ধাক্কান শুরু করল। আমি ঘুম চোখে দরজা খুলতেই আমারে কয় , একটা হেরোইন খায়া অসস্থ হয়া গেছে। আমি বাপু কিছুও বুজলাম না, হারা জীবন শুনলাম এরা নাকি মাল না পাইলে অসুস্থ হয় আজকা শুনি খায়া অসুস্থ ! অজ্ঞান হয়া গেছে !তাড়াতাড়ি লয়া গেলাম স্কয়ারে, ছেলেটার চেহারা দেইখা আমার খুব মায়া লাইগা গেছিল, এত সুন্দর নিস্পাপ একটা চেহারা ! কিছুক্ষনের মধ্যে ছেলের মা-বোন সবাই চলে আসল। তাদের কান্না-কাটি দেখে খুব খারাপ লাগল। বেকি গুলারে জিগায় কি হইছে , কেউ কিছু বলে না। আমারে জিগাইতেই গড়বড় কইরা সব কয়া দিলাম। আমার কথা শুনে মা-বোনের কান্না দেখে কে ! অনেকক্ষন বসে ছিলাম , শেষ বিকালের দিকে বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসে গোসল করে বের হওয়া মাত্র মোবাইলে ৪টা মিস কল, একটা ম্যাসাজ পেলাম। ছেলেটা মারা গেছে !
ধ্যাত !!! দিনটাই খারাপ গেল !!!
মনটা খারাপ রে ভাই খুবি খারাপ !!