আজ বৃষ্টি সবার দৃষ্টি কেড়েছে।বৃষ্টি নিয়ে হাজারো স্টাটাস আপডেট হয়েছে। প্রেমের গল্প,কবিতা লেখা হয়েছে। কিন্তু কিছু বালকের আজ দিন কেটেছে আধভাঙ্গা গ্যালারিতে বসে ছাতামাথায়। এরা সবাই তরুন ক্রিকেটার।পুরো জেলায় অনুশীলনের জন্য মাত্র একটি মাঠ আছে। আর মাঠের সুযোগ সুবিধা বলতে আছে শুধু ছেড়া পিচ কাভার।
ভিজে যাচ্ছে মাঠ। তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার নেই।নিশ্চিন্তে বলাযাচ্ছে আগামি দুচারদিন প্রাকটিস বন্ধ। বিকেএসপি ও বিভিন্ন একাডেমী তরুনদের ইনডোর সুবিধা দিচ্ছে কিন্তু এদের কাছে এটা স্বপ্নের মত।
অনেকেই বলে থাকে ভারত অনেক বড় দেশ তাই তাদের ক্রিকেটারের সংখ্যা বেশি। আমাদের দেশ তো ছোট কিন্তু এই ছোট দেশকে কি আমরা পুরো ব্যাবহার করতে পারছি?
আমাদের ক্রিকেট আটকে আছে বিকেএসপি তে। অধিকাংশ ক্রিকেটারই বিকেএসপি থেকে আসা। কিন্তু এ খবর কি কেউ রাখে না যে বিকেএসপি প্রযন্ত পৌছানোর আগেই ঝরে যাচ্ছে অনেক ক্রিকেটার।
অনুশীলনের মাঠ নেই, জিম নেই, পিচ নেই, ভাল কোচ নেই। তারপরও ক্রিকেট খেলেযায় কিছু স্বপ্নবাজ। জেলা লিগে ভাল করে ডিভিশনে জায়গা পায়। ঢাকায় ফাস্টডিভিশন খেলে কিন্তু শেষ প্রযন্ত আর টিকতে পারেনা। বিকেএসপির সুযোগ সুবিধা পাওয়া ছেলেদের কাছে টেকনিক, ফিটনেস ও পারফরমেন্স নিয়ে টিকতে পারে না।অথচ এরা সবাই প্রতিভাবান। কারো প্রতিভা ধারালো অস্ত্রের মত হচ্ছে আবার কারো প্রতিভা নষ্ট হয়েযাচ্ছে সুযোগ সুবিধার অভাবে।
সারাবাংলাদেশে এখনো অনেক মাঠ আছে যে মাঠে ক্রিকেট, ফুটবল, হকি একই সাথে চলে। আবার কিছু জেলা আছে যেখানে মাঠই নেই।
একটা প্রশ্ন মাঝে মাঝেই শোনাযায়। বাংলাদেশ কবে বিশ্বকাপ জিতবে? আমার মনেহয় বিসিবি ৬৪ জেলা ব্যাবহার করে ক্রিকেটার বের করার আগ প্রযন্ত এদেশের বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনা নেই। দেশের ভেতরে প্রতিভা লুকিয়ে রেখে বিশ্বকাপ জয় সম্ভব নয়।
#ভয়েস