somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আবার কি স্লোগান দিতে হবে?রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই।।

২২ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


১৯৪৭ সালে ভারত উপমহাদেশ ভাগ হয়ে ভারত ও পাকিস্তান সৃষ্টির মূল কারণ ছিল।ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান এবংধর্মের ভিত্তিতে দুটি আলাদা রাষ্ট্রের প্রয়োজনে।পাকিস্তান সৃষ্টির পর পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকদের অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ যতগুলো আন্দোলন করেছে।তার কোনটা কি ধর্মের ভিত্তিতে হয়েছে?অবশ্যই নয়।৫২র ভাষা আন্দোলনে রফিক,শফিক,জব্বার রক্ত দিয়েছে।বাংলা ভাষার জন্য নাকি আরবী,উর্দূর জন্য।৩০লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা আমরা অর্জন করেছে।সেটা কিসের জন্য,কিসের ভিত্তিতে?পাকিস্তান থেকে আমরা আলাদা হয়েছি কেন?কারণ,আমরা আমাদের ন্যায্য পাওনার প্রয়োজনে,আমাদের মুক্তির প্রয়োজনে।৭১এ দেশের হিন্দু,মুসলিম,বৌদ্ধ,খ্রিষ্টান,ছাত্র,শিক্ষক,শ্রমিক,নাবিক আপামর জনতা যুদ্ধ করেছে নিজেদের অধিকার আদায়ে।সেখানে ধর্ম কোন ভিত্তি ছিল না,ছিল নিজেদের মুক্তির প্রয়োজনে স্বাধীন রাষ্ট্র।
অসাম্প্রদায়িক চেতনায়,গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার স্বপ্ন নিয়ে যে রাষ্ট্র গড়ে উঠেছে।সেখানে স্বাধীনতার ৪৪বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও সাম্প্রদায়িকতার চর্চা হয় বেশ ভাল ভাবেই।
আমাদের স্বপ্নের এই সোনার বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক চেতনা প্রবল ভাবে দেখা দিয়েছে।আমরা যদি ২০১৩-১৫ সাল পর্যন্ত পর্যালোচনা করি।তাহলে দেখতে পাই পাহাড়ে অধিবাসীদের ঘরবাড়ি পোড়ানো,বেশ কয়েকবার দেশের বিভিন্ন জেলায় হিন্দুদে ঘরবাড়ি ও উপাসনালয়ে হামলা,রামুর বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা।
শুধুমাত্র ধর্মে নামে,রাজনীতির স্বার্থোদ্ধারে প্রায় সবকটি হামলা হয়েছে।দেশের এক শ্রেণীর মানুষ আছে।যারা মনে করে,এদেশে শুধু মাত্র মুসলিমরা বসবাস কররতে পারবে।অন্য কোন ধর্ম বা মতের কোন স্থান এই বঙ্গদেশে নেই।
অন্যদিকে,ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষ ধর্মভীরু।যার কারণে এখানে বেশ সাচ্ছন্দে ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করা যায়।যার বাজারর দর বেশ চড়া এবং প্রচুর গ্রাহক।আপনার চোখের সামনে বেশ ভালভাবেই এখানে ধর্মকে ব্যবহার করে।নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে নেয়।আর,আমাদের অর্ধ শিক্ষিত ধর্মভীরু মানুষেরা তাদের বেশ আহ্লাদে সাপোর্ট দিয়ে যায়।
কিন্তু,যখনই কোন ব্যক্তি তাদের এই ধর্ম ব্যবসাকে জনসাধারণের সামনে তুলে ধরতে চায়।তখন তারা তাকে নাস্তিক আখ্যা দেয়।তার উপর চাপাতি চালানোর হুলিয়া জারি করে।
এসব হুলিয়ার কারণে এবং ভিন্নমতের কারণে গত কিছুদিনে বেশ কজন ব্লগার খুন হয়।অথচ,রাষ্ট্রের সিংহাসনে বসে শাসক দল বলছে,তারা নাস্তিক উপাধি পেতে চায় না।তোমাদের কেউ নাস্তিক উপাধি পেতে কেউতো বলেনি।তোমারা রাষ্ট্রের সিংহাসনে বসেছ।জনগণের সর্বোপরি নিরাপত্তা দিতে,তাদের মৌলিক অধিকার রক্ষায়।অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখাও আমাদের তোমরা।অথচ,এতজন ব্লগার খুন হয়ে গেল?আর তোমরা কিছুই করলে না।এদেশে শিক্ষিত সমাজ কখনই এটা আশা করেনি।
গণমাধ্যমের মারফত জানতে পারলাম।আল কায়েদা দেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবি দশজনকে হত্যার হুমকি দিয়েছে।এটা মনে রাখা ভাল।আল কায়েদা দেশে প্রবেশ করার অর্থ হচ্ছে দেশ ধ্বংসের ধারপ্রান্তে চলে যাওয়া।

এবার আসি অন্য কথায়,আমরা ৫২ সালে বাংলা ভাষার জন্য লড়াই করেছে।আমাদের রাষ্ট্রভাষা বাংলা।অথচ,আশ্চার্যের বিষয় হচ্ছে,কিছুদিন আগে ধর্ম মন্ত্রনালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে।পথে-ঘাটে,যত্র-তত্র মূত্র ত্যাগ ঠেকাতে দেয়ালে দেয়ালে আরবী লেখার।আমার প্রশ্ন হচ্ছে,এসব আরবী লেখা কতটা কাজে দিবে?আপনি হয়তো বলবেন,ধর্মীয় কারণে হয়তে আরবী লেখার উপর কিংবা নিচে কেউ প্রস্রাব করবে না।তারমানে কি যত্র-তত্র প্রস্রাব শুধু মুসলমানরা করে?এছাড়া,কোন একজন ভিন্ন মতের মানুষ যদি এ আরবী লেখার উপপর প্রস্রাব করে।তাহলে আপনার ধর্মানুভূতি জেগে উঠবে।আর আপনি চাপাতি নিয়ে তাকে তেড়ে আসবেন।যার কারণে হয়তো আরও সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
আমার মূল প্রশ্নটা হচ্ছে,ধর্ম মন্ত্রনালয় কি আরবী লেখার মাধ্যমে ধর্মকে ট্রাম কার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে চাচ্ছে?
আসলে এসব আরবী লেখায় কাজ হবে না।প্রয়োজন আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করা।নয়তো,এক সময় দেখা যাবে।কোন সমস্যার সৃষ্টি হলে বলা হবে,সেখানে আরবী লিখে দাও।আর সর্বত্র আরবীর ছড়াছড়ি হবে।হয়তো দেখা যাবে।আমাদের আবার স্লোগান দিতে হবে-রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই।।
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×