সম্পূর্ণ ব্যস্ততার মধ্য থেকেও লিখতে
ব্যাধ হলাম, নিজের মতামত লিখছি,
কারো বিপক্ষে যদি যাই তবে যাক।
ফেসবুক খুলেই দেখছি ফ্রেণ্ড লিস্টের(ইন্ডিয়ার)ও মুক্তচিন্তা
কিছু বন্ধুদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক,
পক্ষের আর বিপক্ষের সমর্থন নিয়ে,
সঙ্গে মিডিয়ার অপপ্রচারের
ছড়াছড়ি।বেশ কিছু পোস্ট পড়ে দেখছি
সানাউল্লাহ খান আর তারেক বিশ্বাস
নিয়ে। যায় হোক, এখানে কিছু পোস্টে
দেখলাম তারেক বিশ্বাসের পক্ষে
জোরালো সমর্থন উঠেছে একজন
ব্লগারের "বাক স্বাধীনতা" নিয়ে।
বাক স্বাধীনতা?
কি এই বাক স্বধীনতা? কেমন ই বা
হওয়া উচিত এই বাক স্বাধীনতা?
ফসেবুকে বাক স্বাধীনতা মানে আমি
যা দেখছি তা শুধু খিস্তি দিয়ে গুষ্টি
উদ্ধার করা হচ্ছে। মা বোন তুলে
অশ্লীল ভাষা দিয়ে উদ্ধার করে বাক
স্বাধীনতার আশ্রয় নিলাম, চলবে তো?
যে যায় বলুক এটা বাক স্বাধীনতা নয়,
এটা Freedom of speech নয়, এটা
পুরোপুরি hate speech । যেটা তারেক
অধর্মের পক্ষ থেকে ধর্মে আঘাত
হেনেছে। তারেক বিশ্বাস কে আমি
কোনো বুদ্ধিমান মনে করি না ওর
কোনো প্লাস পয়েন্ট বা লেখার
যোগ্যতা আছে বলে আমি মনে করি না,
ওকে আমি মহা মূর্খ মনে করি। আপনাকে
খিস্তি দিয়ে আমি কি বলতে পারি
এটা আমার বাক স্বাধীনতা? এভাবে
করলে কিন্তু আপনি নিজের বাক
স্বাধীনতার পতাকা ওড়াতে গিয়ে
অন্যের স্বাধীনতা হরণ করছেন। অতএব
এই ভাবে অধিকার আপনাকে কে
দিয়েছে? সব কিছুর ই একটি সিস্টেম
আছে,একটি সীমা আছে, একটা মাত্রা
আছে, সেগুলো অতিক্রম করা উচিত নয়
অপরাধ।
আমি মনেকরি বাক স্বাধীনতা একটা
সুন্দর পন্থা প্রতিবাদ করার জন্য,
অন্যায়কে রুকে দেওয়ার জন্য। কিন্তু
কিছু পেছন পাকা লোকে সেগুলি ভুল
ব্যবহার করছে, ভুল অর্থ করে উল্টো
জাগায় লাগিয়ে দিচ্ছে, এভাবে এর
মানেও বদলে দিচ্ছে সুযোগ
সন্ধানীরা। তবে এভাবে উল্টে-পাল্টে
দিতে চাইলেও সেটা সম্ভব নয় কোনো
ভাবেই, সবাই তো আর গো-সন্তান নয়
যে ঘাস খায়।
লেখক অনেক কিছুই লেখেন,__গল্প
লেখেন কবিতা-ছড়া-পদ্য-গদ্য-কিস্সা-
কাহিনী ইত্যাদি তবে লেখকের লেখার
ধরণেই তা মর্যাদা পাবে। যে যত
বোধশক্তি সম্পর্ণ তার কলমের জোর
তত। যেমন আপনি যদি একটি গল্প
লিখলেন তারও একটি মর্যাদা থাকবে
প্রসঙ্গের উপর নিভর করে, যদিও
সকলের জানা আছে গল্পের গরু গাছে
ওঠে।
আপনি প্রতিবাদ করুন, এটা আপনার
অধিকার। ভুল গুলি দেখিয়ে দেন সে
ধর্ম থেকে হোক বা গ্রন্থ থেকে হোক,
সমাজ থেকে হোক বা রাজনীতি থেকে
হোক, আগে হোক বা পরে হোক। কিন্তু
আপনি প্রতিবাদের নামে মিথ্যা
রোটালে, মানুষকে ভুল বোঝালে, এক
ঘটনাকে অন্য ভাবে রোটালে আপনি
কিন্তু অপরাধ করলেন, তাই আপনি
অপরাধী হবেন। আপনি যতক্ষণ
ভালোভাবে অনুসন্ধান না করলেন বা
যাচাই বাছাই না করবেন ততক্ষণ
প্রচারের অধিকার আপনার নেই, যদি
প্রচার করেন সেটা রটনা বলে ধরে
নেওয়াই স্বাভাবিক, আশাকরি
বুদ্ধিমান মানুষদের এগুলো আর খুলে
বোঝানোর প্রয়োজন নেই। যদি আপনি
এই রুলস ফল না করে লেখেন তবে
আপনার লেখাই ভুল পাওয়া যাবে
অবশ্যই। এই ভাবেই আপনি কিন্তু
নিজের সাথে অনেক অনেক মানুষকে
বিপথে ঘুরিয়ে দিয়েছেন ভুল ঠিকের
ধার না ধেরে শুধু মাত্র নিজের
অসম্পূর্ণ জ্ঞান আর মতামত দিয়ে।
এবার আপনি বলুন আপনি কি প্রতিবাদ
করলেন আর কার ই বা উপকার করলেন?
বরং উল্টে অনেক মানুষকে নিরুসাহিত
করে অন্ধ-কানা করার পথে ঠেলে
দিলেন। এখন আপনি বলুন, এগুলি আপনি
করলেন কেন? এর দ্বায় কে নেবে?
ধর্মের বিরুদ্ধে লিখলে সেটার জন্য
সত্যতা বা স্ট্রং যুক্তি থাকতে হবে,
অবশ্যই সবার বিরুদ্ধে বলা যাবে, ভুল
গুলি তুলে ধরা যাবে তবে তার সততা
প্রমান করতে হবে, না পারলে আপনি
অপরাধী। এবং অপরাধীকে বাধা
দেওয়া উচিত, থামানো উচিত, এটাও
এক অধিকার, এটা নিয়ে যে যার
ব্যক্তিগত ভাবে এবং স্বেচ্ছায় কর্তব্য
পালন করুক। অনেকেই অনেক কিছু বুঝতে
পারে না, অতএব বুঝতে না পারলে
প্রশ্ন করুন, উত্তর পেলে সন্তুষ্ট হন,
আর চলে যান, হিসাব এভাবেই মিলবে।
তবে আনাড়ি পোনা করে যে যার
নিজের উপর চাপ নিতে চাইলে তার
জন্য সে নিজেই দ্বায়ী...
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৫