প্রতিটা দিনই যেন আজকাল দুইয়ের নামতার মত হয়ে গেছে। সহজ, স্বাভাবিক, আর একদম ছকে বাঁধা।
ঘুম ভেঙে ওঠা এলোমেলো চুলের সকাল!
চশমা ছাড়া চোখে কিছু ভুলের সকাল!
সেই সকালের এককাপ ফালতু চা, আর মাথায় ঘুরতে থাকা রাজ্যের জঞ্জাল মিলে খিচুরি পাকায়। সেই খিচুরি খেয়েই মাথার সারাটাদিন চলে।
সাথে সকালের সেই চায়ের সাইড ইফেক্ট তো থাকেই। যেই সময়টা খেয়েদেয়ে একটা ঘুম দেবার কথা, সঙ সেজে টং হয়ে বসেছিলাম সোজা। গান শুনেছি ফুল ভলিউমে, কান ব্যাথা হয়ে যাবার আগে পর্যন্ত শুনেছি।
এখন এসে তন্দ্রা নামে!
দুপুরের চোখ পোড়ানো রোদ,
রাতের ঘুম পাড়ানি কালো,
মাঝের সময়টা সন্ধ্যা রাঙায়, ময়ূরকণ্ঠী নীলে! সেই নীলে তন্দ্রা যেন নতুন কোনো নেশায় রূপ পায়!
আমার মনে পড়ে সেই মধুমাখা কন্ঠের গান। "সা রে গা মা"-র পাঠ পেরিয়ে যার হারমোনিয়ামে নতুন রবীন্দ্রসঙ্গীত বেজেছিল।
ফেলে এসেছি তারে!
আজ আমার জানালা দিয়ে তার গান তো ভেসে আসে না! জানালায় চোখ নিলে দূরের রাস্তা চোখে পড়ে। আমি সেইদিকেই চেয়ে থাকি।
একদিন হয়ত সেও আসবে, হেঁটে যাব ঐ রাস্তা ধরে। আমি দেখে মুগ্ধ হব! সেই আশায় বসে থাকা!
"আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ.........."