প্রথম অংশ দেখতে এখানে ঝাপিয়ে পড়ুন

কালকের পর থেকে .....

( ক্লাস এইট এ নতুন স্কুলে - যখন গেলাম ... আমি সত্যিই বিস্মিত হলাম । এইখানে আমার এত পপুলারিটি কেমনে হইলো...?? এর আগে তো আমি এই স্কুলে পড়ি নাই !! আসলে আমার এক কাজিন আকলিমা একই ক্লাসে ঐ স্কুলে আগে থেকেই পড়ার কারনে সবার কাছে আমার কিছু স্পেশাল মেয়েলী বৈশিষ্ট্যের কথা বলে দিয়েছে ।
আর এই জন্যই প্রথম দিনেই আমি হয়ে গেলাম লজ্জা রাঙা আস্ত এক বাদর :#> :#> । আর এই অতি লজ্জার কারণে ওরাও আমাকে সুমন থেকে সুমনা বলে ডাকা শুরু করলো...। ওখানে লাকি , রিনি , ইতি , আরও কয়েকটি মেয়ে আমাকে খুব ভাল পেত ... :!> :!> ।
অবশ্য আমার এই অতি লজ্জার কারনে কাউকেই কিছু বলিতে পারিনি । এদের মাঝে লাকি বাদে সবার বিয়ে হয়ে গেছে ।)

( ক্লাস নাইনে ভর্তি হলাম শহরে বড় নাম করা একটি স্কুল & কলেজ এ ..। প্রথম প্রথম শহরের এক্সট্রা অ্যাডভান্স মেয়েদের কার্যক্রম দেখে খুব ইয়ে হতো .. মানে একটা কিছু এবার করতেই হবে এমন কিছু ।
কিন্তু ঐ যে লজ্জা তো মোর পিছু ছাড়ে না । লজ্জা টা আসলে অন্য রকম ,, যদি মেয়েরা অপমান করে !! । কিন্তু বর্তমান সময়ের গ্রামীন ফোনের " বন্ধু কই রইলারে " খ্যাত মডেল বিথী রানী সরকারের সাথে এক ব্যাচ এ প্রাইভেট পড়ার কারণে বন্ধুত্ব হয়ে গেল ।আর ওর মর্ডান পোশাক আর স্টাইলিশ হাটাচলা এবং ওর বয় ফ্রেন্ড এর সাথে লুলায়ীত আচরনের গল্প শুনে শুনে নিজেও অতি দ্রুত প্রেমের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে লাগলাম ।
সায়েন্স ডিপার্টমেন্ট এ পড়ার কারনে সুমাইয়া, সোনিয়া এবং আর্টস এর ইভা,প্রভা ও কমার্সের মুক্তার সাথে অল্প অল্প কথা হতে শুরু হলো.. কিন্তু নিজে যেচে কথা বলতে গেলে কেমন যেন ছোট মনে হতো । তাই ওরা কথা বলতে আসলে বলতাম না বললে না ।
একদিন বুধ বারে হঠাৎ সোনিয়া এসে আমাকে টিফিনের পরে বললো সুমন তোমাকে চারটা মেয়ে খুব পছন্দ করে । আমি বললাম " তুমি যদি সেই চারের ভেতর একজন হও তবে ভেবে দেখবো " এটিই ছিলো আমার সেই জীবনের প্রথম সাহসী কথা ।
তারপর ও বললো কাল স্কুলে এসে তোমাকে ওরা সব বলবে । কিন্তু বৃহস্পতিবার আমি গ্রামের বাড়িতে যাওয়ায় আর স্কুলে গেলাম না ।
পরদিন শনিবার স্কুলে গিয়ে তো পড়লাম মহা বিপদে .. ক্লাসের ফাকে সোনিয়া বললো "সুমন তুমি এত ভিতু তা তো জানতাম না" । এ কথা শুনে আমি ওকে বললাম " সোনিয়া আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৪ জনের সাথেই প্রেম করবো , তবে তার ভেতরে একজন কে স্পেশাল ভাবে , আর সেই জন্য আজ টিফিনের সময় আমি ওদের পরীক্ষা নিতে চায় ।"
অবশেষে পরীক্ষা নেবার সময় শুরু হলো... আমাদের ক্যাম্পাসের হলরুমে আমি ও সোনিয়া সহ আরও চারটি মেয়ে , ইভা প্রভা সুমাইয়া মুক্তা আমি কয়েকটি জেনারেল কোশ্চেন করে হঠাৎ বললাম " জাতীয় সংগীতের ২য় লাইন বলো ,,?? । মুক্তা এদের মধ্যে একটু সরল মনের হওয়াই উত্তরটা দিতে গেলে সোনিয়া ওর মুখ চেপে ধরে থামিয়ে দেয় ।

এই কারণে আমি ওদের পরীক্ষা বয়কট করি .... আহ্ !! কত আশা ছিলো জীবনে প্রথম এক সাথে ৪টা মেয়ে আমাকে বলতে গেলো " আমি তোমায় ভালবাসি "
কিন্তু সোনিয়া কিচ্ছু হতে দিলো না ।
এমনিতেই ঐ মেয়ে গুলোর বয়ফ্রেন্ড ছিলো শুধু সোনিয়া বাদে। আসলে সোনিয়াও মনে মনে আমারে ভাল পাইতো এই জন্য এমন করেছিলো। ওদের ভেতর সোনিয়ার ঠোঁট ছিলো সব থেকে সুন্দর আর চেহারা ছিলো অনেক টা ভারতের বিবাহ ছবিতে সাহেদ কাপুরের বিপরীতে অভিনয় করা অম্রীতা রাও এর মত , অমন ছোটখাটো ফর্সা এবং নাদুসনুদুস সুন্দরী ।

আমি ভেবেছিলাম ক্লাস টেনে উঠে ওকে বলবো ...আমার না বলা কথা গুলো ... । কিন্তু এই ঘটনার কয়েক মাস পরেই শুনলাম আমার আর এক ফ্রেন্ড আরাফাত ওর জন্য হাসপাতালে । তাই ঝাতির বৃহত্তর স্বার্থে আমি ওকে আর কিছু বলিনি এবং ওর কাছ থেকে একটু দুরে দুরে থাকতে শুরু করি ।
অবশ্য সোনিয়া আরাফাতের সাথেও রিলেশন করেনি । ও মাদারীপুরের মেয়ে । আমাদের জেলায় খালার বাসায় থেকে পড়তো । কিন্তু এস.এস.সি পাশ করার পরই ও সেখানে ফিরে যায় , শুনেছি আমার ওপর রাগ করেই নাকি এমন সিদ্ধান্ত নেয় ও :( , ।
তারপর অনেক চেষ্টা করেও ওর সাথে কোন যোগাযোগ স্থাপন করতে পারিনি ..। আর তখন মোবাইল ও অতটা পপুলার ছিলো না )


{ চলবে ,,,,,,,,} প্রথম চুমু খাওয়ার গল্প কাল রাতে ,,,,,,,,,