আমরা বাঙালি পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশী একটা জাতি তা পৃথিবীর বুকে পরিচিতি হয়েছে বাংলাদেশের জন্মের মধ্য দিয়ে। আমরা বাঙালি জাতি হিসাবে গর্বিত । আবশ্যয় বাঙালি জাতির মধ্যে সিংহ পুরুষ রেয়েছে বলে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশী । কলকাতা , পশ্চিমবঙ্গ ,আসাম এরাও কিন্তু বাঙালি কিন্তু তাদের পৃথিবীর বুকে বাঙালি হিসেবে নয় বরং ভারতি হিসাবে পরিচিত ।
আজ প্রস্ন উঠেছে আপনি কি বাংলাদেশী ???? ১৯৭১ এর পুর্বে যারা জন্মেছেন তারা তো পাকিস্তানি । কিন্তু যারা ১৯৭১ এর পর জন্মেছেন তারা কি বাংলাদেশী ?? দুষ্ট সরকার বা রাজনীতিবিদরা সবসময় আমজনতার মাথার উপর কাঠাল ভেঙ্গে খায় । একথা সত্যি যে ভারত সহযোগিতা না করলে বাংলাদেশ স্বাধীন হত কিনা সন্দেহ ?? কিন্তু এটাও সত্যি যে একটা স্বাধীন ও সনির্ভর বাংলাদেশ হোক এই জন্য তারা বাংলাদেশ কে সহযোগিতা করে নাই । বরং বাংলাদেশ ও পুর্ব পাকিস্থান দুটিই ভারতের জন্য চুলকানির কারন ছিল । পুর্ব পাকিস্তানের চেয়ে বরং গরীব, নিরীহ তথাকিথত স্বাধীন বিপর্যস্ত বাংলাদেশ ভারতের জন্য নিরাপদ , যারা ভারতের এক ধমকে কেদে দিবে আরেক ধমকে ছেরে দে মা কেদে বাঁচি এই অবস্থা হবে । বর্তমানে তাই হচ্ছে ।
আজ প্রস্ন উঠেছে আপনি কি বাংলাদেশী না ভারতি হিসাবে নিজেকে দেখতে চান ????
একটি স্বাধীন ও সনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে হলে আবশ্যি ভারত বিরুধী হতে হবে । এখানে ভারতের বিরুধিতা মানে হিন্দু ভিরুধিতা নয় , আমি বুঝাতে চাছি বাংলাদেশ কে একটি স্বনির্ভর অর্থনীতির উপর দাড়াতে হবে যে প্রতিবেশি দেশ ভারত কখনো চাইবে না । ভারত এতো বড় একটি দেশ যে কিনা নিজই খাইতে পায় না ,তাকে নিচে রেখে বাংলাদেশের অর্থনিতি উপরে উঠে যাবে এটা তারা হতে দেবে না । বাংলাদেশের অর্থনীতি যে সেক্টর উপর দারিয়ে আছে তা হল গার্মেন্টস , চামরা , জনশক্তি রপ্তানি ,ইত্যাদি । বহিঃশত্রুর ষড়যন্ত্র থেকে দেশের অর্থনিতি কে বাচাতে হলে দেশীর সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা বাহিনিকে আর শক্তিশালী ও আধুনিকায়ন করতে হবে ।
যতদিন না পর্যন্ত দেশের জনগণ শিক্ষিত না হবে এবং নিজেদের অধিকার আধায়ে সচেতন না হবে ততদিন পর্যন্ত রাজনীতিবিদরা জনগনের ভিতর বিভাজন সৃষ্টি করে ক্ষমতা দখল করে লুটপাট চালিয়ে যাবে । কেউ ভারতের দালাল কেউ রাজাকার কেউ নাস্তিক,কেউ জঙ্গি ইত্যাদি ইত্যাদি ??? তাহলে বাংলাদেশী কারা ভাই ????? কেউ বলবে মুসলিম হলে সৌদি আরব চলে জান,হিন্দু হলে ভারত চলে যান , জামাত করলে পাকিস্তান চলে যান , আওয়ামীলীগ মানুষ না ইত্যাদি ইত্যাদি ।
আমি আপনাদের বলছি যারা নিজেদের বাংলাদেশী ভাবেন তাদের বলছি –যদি নিজেকে বাংলাদেশী বলতে চান , একটি স্বাধীন ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে চান তাহলে বিভাজন নয় ধর্ম-বর্ণ-গোত্র-গরিব-ধনি সবাই কে মিলেমিশে একসাথে থাকতে হবে , সবাই কে একটি প্লাটফরমে দড়াতে হবে , ইউনিটি ইজ পাওয়ার । একটি শক্তিশালী অর্থনীতির উপর বাংলাদেশ কে দাড়াতে হবে , আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে ও বিচার বিভাগ স্বাধিন করতে হবে এবং অবশ্যই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে ও ভারতের বিরুধিতা করতে হবে ।
আমরা তরুন প্রজন্মের বাংলাদেশী হিসাবে একটি আধুনিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি । ইতিহাস স্বাক্ষি দেয় যে প্রত্তেকটি জাতির আত্মপ্রকাশে একটি বিপ্লব রয়েছে ।তবে কোন বিপ্লব রাতারাতি যেমন গড়ে উঠে নি তেমনি রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, আত্তত্যাগ , জ্বলেপুড়ে কয়লা হয়ে তারপর একটি গর্বিত জাতির উথান হয়েছে । সুতরাং আমাদের প্রত্যেকটি নাগরিককে জাগতে হবে । আমরা বিশ্বের অর্থনৈতিক পরাশক্তি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে চাই । আমরা গর্ব করে যেন বলে পারি –আমরা ক্ষুধা-দারদ্র-বন্যা কবলিত দুর্নিতি গ্রস্থ মিসকিন জাতি নয় । আমরা বাঙালি বীরের জাতি ।
রোমান সাম্রাজ্য , গ্রিক সভ্যতা ,ব্রিটিশদের উপনিবেসিক শাষন ও জাতি হিসাবে জাপানিজ , জার্মানি , চিনা , ফরাসি এদের সাথে আমরা আধুনিক তরুন প্রজন্ম বাঙালি জাতির নামটাও দেখতে চাই । ১৯৫২ এর ভাষা আন্দলোন,১৯৬৯ গণঅভ্যুথান ,১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ , দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা , বিশ্ব অর্থনিতিতে গার্মেন্টস শিল্প , ক্রিকেট এ সফলতা , ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের নোবেল প্রাপ্তি এগুলি আমাদের জাতি হিসাবে আত্মপ্রকাশের ধারা ।
বাংলাদেশকে সাম্নের দিকে এগিয়ে নিতে চাইলে বাংলাদেশের একটি শিক্ষা বিপ্লব দরকার । ব্রিটিশ রা যে কেরানী শিক্ষা ব্যাবস্থা রেখে গেছে তা পরিবর্তন ও সংশোধন করতে হবে , তানা হলে বাঙালি জাতি কোনোদিন গর্বিত জাতি হিসাবে গরে উঠতে পারবে না । এ প্রসঙ্গে বলতে পারি চিনাদের শিক্ষা বিপ্লব শুরু হয়েছে ১৯৫০ এর পর থেকে ।চিনাদের বিশ্ব অর্থনিতিতে পরাশক্তি হিসাবে আত্তপ্রকাসের মুলে রয়েছে তাদের শিক্ষা বিপ্লব , তাদের কর্মুমুখি শিক্ষা বিপ্লবের ফলে তাদের ঘরে ঘরে ক্ষুদ্র কুটির শিল্প গড়ে উথেছে।
বাংলাদেশের জাতিয় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিতে হবে এবং জাতিয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিনে জত প্রতিষ্ঠান আছে সবগুলুকে পলিট্যাকনিক অর্থাৎ কর্মমুখি প্রতিষ্ঠানে রুপান্তরিত করতে হবে । এ বিষয়ে আমি বিস্তারিত পরে আলোচনা করব ।
শুধু এতটুকু বলতে চাই দেশেকে ভালবাসলে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে চাইলে সবাই কে একসাথে বিপ্লব ঘটাতে হবে , প্রথমেই শিক্ষা বিপ্লব চাই । সব শ্রেনির মানুষ যেমন পরিচালক,লেখক,সাংবাদিক, ছেলিব্রেটি , রাজনিতিবিদ , শিক্ষক , আইন জিবি , ছাত্র সকিলকে একসাথে কাজ করতে হবে । আমি সবাই কে অনুরুধ করছি চলুন আমরা বিভাজন ভুলে গিয়ে সবাই হাতে হাত মিলিয়ে একসাথে দেশে স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার কাজে লেগে পরি।
মোঃ নুর এ আলাম জান্নাত
একজন দেশপ্রেমিক লেখক ও গবেষক