somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তারার আলোয় একজন হিমু

৩০ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তারার আলোয় একজন হিমু

লেখকঃ জন রাসেল

লেখকের কথাঃ

হ্যালো আমি জন রাসেল। লেখালেখি আমার প্রিয় হবির অন্যতম। লেখালেখির জগতে আমার সবচেয়ে ভালো লাগে হূমায়ুন আহমেদ। কারণ আমার কাছে তাকেই একমাত্র লেখক মনে হয়েছে যিনি সহজের মধ্যে কঠিনকে তুলে ধরতে পারেন নিজের মত করে। দার্শনিকতাকে ফুটিয়ে তুলতে পারেন স্বাভাবিকতার মাঝে। আমি জানি আপনারা অনেকেই আমার সাথে একমত হবেন না। যাই হোক, ব্যক্তিগত জীবনে তার হিমু চরিত্রটি দ্বারা আমি বিশেষভাবে আকর্ষিত। আমার এই লেখাটিও মূলত সেই হিমুকে নিয়েই। এই হিমু ঠিক হূমায়ুন আহমেদের হিমু নয়, এটা আমার হিমু যে হিমু কিনা হূমায়ুন আহমেদের হিমু থেকেই বের হয়ে এসেছে। পাঠকদের কাছে আমার অনুরোধ এই লেখাটিকে কেউ হূমায়ুন আহমেদের লেখার সাথে তুলনা করবেন না। এখানে অনেকগুলো বিষয় অযৌক্তিক মনে হতে পারে কিংবা মনে হতে পারে গোজামিল দেয়া। এসব এখানে থাকবেই কারণ এটা কোন বিখ্যাত লেখকের লেখা নয় আর এই লেখার কোন উদ্দেশ্যও নেই । শুধু ইচ্ছে করল বলেই লিখলাম। এখানে হিমুর অন্তরালে নিজের কিছু অনুভূতিকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

যদি আপনাদের ভালো লেগেই যায় তবে সেটা হবে আমার সৌভাগ্য। ধন্যবাদ।



জানি হেরে যাবো জীবনের কাছে তবুও নতুন দিনের নতুন সম্ভাবনায় নতুন করে স্ব্প্ন দেখি । বেচে থাকার অসীম ইচ্ছাই হয়তো এ স্বপ্নের উৎস । কিন্তু,এক সময় সত্যি সত্যিই হেরে যাই । সার হয় আমার ছুটে চলা । চোখ দিয়ে গড়িয়ে নামে দুফোটা অশ্রুবিন্দু । সেই জলে সিক্ত হয় আমার পরাজয় । জীবন খাতায় লেখা হয় আরো দুটি লাইন । আরও কিছু লেখার ইচ্ছে হয় কিন্তু জীবন খাতায় লেখার আর কোনো জায়গা থাকে না । তখন আমাকে নিঃশব্দে নিয়ে যাওয়া হয় এই জগত থেকে অন্য কোনো জগতে । সে জগতে আমার জন্য কি অপেক্ষা করছে তা আমি জানি না । হয়তো কিছুই না কিংবা অনেক কিছু ।

খুব বড় হতে চেয়েছিলাম বলেই
আজ আমি খুব ছোট
বেশী ভালোভাবে বাচতে চেয়েছিলাম বলেই
আজ আমি মৃত ।

কবি হতে চেয়েছিলাম বলেই
আজ আমার নেই কোনো ছন্দ
সৃষ্টিকে বুঝতে গিয়েছিলাম বলেই
আজ আমি অন্ধ ।

স্বপ্ন দেখতে গিয়েছিলাম বলেই
আজ আমি হতাশ
আশা নিয়ে বেচে ছিলাম বলেই
আজ আমি নিরাশ ।


জন রাসেল






এক

শুভ্র এর সাথে আমার পরিচয়ের ব্যাপারটা অনেকটা অপ্রত্যাশিতই ছিল বলা যায়। আমি নাজিরা বাজার এলাকা দিয়ে অকারণেই ঘুরঘুর করছিলাম । দেখি খুব সুন্দর একটা ছেলে রাস্তার মাঝে অসহায় ভঙ্গিতে দাড়িয়ে আছে । আমি কাছে গিয়ে বললাম,কি খবর ?

ও অবাক হয়ে আমার দিকে তাকালো । আমি বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলাম । এতো সুন্দর মানুষ হয় ! হতেও পারে,অসম্ভব নয় । কারণ,এ জগতের সব কিছুই সুন্দর,তবে সে সুন্দরকে বোঝার জন্য সুন্দর একটা চোখ থাকতে হয় । আর আমার ধারনা সেই চোখ আমার আংশিক আছে ।

ও বলল,ভাই আমি আমার চশমাটা হারিয়ে ফেলেছি,এখন বাসায় ফিরতে পারছি না । আমি একজন সেমি অন্ধ মানুষ,তবে চশমা ছাড়া ফুল অন্ধ । আপনি কি আমাকে একটু বাসায় দিয়ে আসবেন ?

ছেলেটার কথায় আমি আরও অবাক হলাম । অন্যকেউ হলে নিশ্চয় আগে আমার পরিচয় জানতে চাইত কারণ,এই দেশে যারা গায়ে পড়ে সাহায্য করতে আসে তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছিনতাইকারী কিংবা কিডন্যাপার হয় । অথচ এই ছেলেটি সেটা করলো না ।
আমি বললাম,তোমার বাসা কোথায় ?
ও বাসার ঠিকানা বলল । আমি একটা রিকশা ঠিক করে সেটাতে ওকে নিয়ে উঠে পড়লাম।

আচ্ছা,চশমা ছাড়া কি তুমি চোখে কিছুই দেখ না ?
না ।
তাহলে তুমি আমার উপর ভরসা করছ কিভাবে ? আমি তো তোমাকে বাসায় না নিয়ে অন্য কোথাও নিয়ে যেতে পারি ।
আমার সে রকম মনে হচ্ছে না ।
কেন মনে হচ্ছে না ?
আপনার সে রকম উদ্দেশ্য থাকলে আপনি সেটা নিশ্চয় আমাকে বলতেন না ।
হুমম,তোমার যুক্তি ঠিক আছে ।
আচ্ছা তোমার নাম কি ?
শুভ্র । আপনার নাম ?
আমার নাম হচ্ছে হিমালয়,সংক্ষেপে হিমু ,আঞ্চলিক ভাষায় হিমলু । তবে ইদানিং কেউ নাম জিজ্ঞেস করলে চুপ করে থাকছি ।
কেন,চুপ করে থাকছেন কেন ?
কারণ,নাম বলতে গেলে প্রচুর সময় নস্ট হয় ।
তার মানে আপনি বলতে চাচ্ছেন,নিজের নাম বলাটাও সময়ের অপচয় ?
অবশ্যই । শুধু যে সময়ের অপচয় হয় তা নয়,এটা বিভ্রান্তিকরও বটে ।
সেটা কেমন ?
যেমন,একবার চাকরির ইন্টারভিউতে এক মেয়েকে নাম জিজ্ঞেস করা হল । সে বলল , বেগম সুলতানা ফেরদৌসি খাতুন জাহানারা খানম । নাম শুনে তাকে বলা হল,দেখুন আমাদের এখানে একটা সিটই খালি আছে,এতজনকে চাকরি দেয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয় । তাই আপনি এবার আসতে পারেন ।

শুভ্র হাসল । সাথে সাথে যেন সমগ্র জগৎ হেসে উঠল । আমি আবারও মোহিত হলাম । আমি দেখেছি যে,সুন্দর মানুষের সবকিছুই সুন্দর । তার হাসি সুন্দর, তার কান্না সুন্দর, তার কষ্ট সুন্দর আবার তার আনন্দও সুন্দর । তবে,প্রকৃতি একজন মানুষকে সব কিছু একসাথে দেয় না যেমন,শুভ্রকে সুন্দর একটা চেহারা দেয়া হয়েছে,বিনিময়ে তার চোখের দৃষ্টি আংশিক কেড়ে নেয়া হয়েছে ।

শুভ্র বলল,আর একটা জোকস বলুন না ।
আমি শুরু করলাম ।

তিনজন ব্যক্তি মৃত্যুর পর বেহেশতে যাবার অনুমতি পেল । এরা হল ডাক্তার,উকিল এবং চোর ।
বেহেশতের দারোয়ান তাদেরকে বলল,দেখুন এখানে জায়গা বেশী খালি নেই । আপনাদের প্রশ্ন করা হবে যদি সঠিক উত্তর দিতে পারেন তবেই ভেতরে যেতে দেয়া হবে ।
তারা বলল,ঠিক আছে ।
দারোয়ান প্রথমে ডাক্তারকে বলল,এমন একটা জাহাজের নাম বলুন যেটা বরফ খন্ডের সাথে বাড়ি খেয়ে ভেঙ্গে যায় ।
ডাক্তার বলল,টাইটানিক ।
তাকে ভেতরে যেতে দেয়া হল ।
এবার দারোয়ান উকিলকে বলল,টাইটানিক জাহাজের কতজন মানুষ মারা গিয়েছিল ?
উকিল বলল,প্রায় ১৫০০ জন ।
তাকেও ভেতরে যেতে দেয়া হল ।
সবশেষে দারোয়ান চোরকে বলল,যারা মারা গিয়েছিল তাদের নামগুলো বলুন ।
চোর বলল,দুই জনের নাম বলতে পারব ।
দারোয়ান বল,সেটাই বলুন ।
চোর বলল,টাইটানিক ছবির নায়ক এবং জাহাজের চালক । এটা বলে সে নিজে নিজেই ভেতরে চলে গেল ।

আমাকে অবাক করে দিয়ে শুভ্র এবার হাসল না ।

রিকশা সবে ঢাকা মেডিকেল ক্রস করেছে,এমন সময় শুভ্র বলল,বাসায় যেতে ইচ্ছে করছে না । আসুন রাস্তায় কোথাও বসে বসে চটপটি খাই ।

আমরা রিকশা থেকে নেমে পরলাম । শুভ্র হাতের ঘড়িটা খুলে রিকশাওয়ালাকে দিয়ে বলল,টাকা নেই,তাই এটাই নিয়ে যান । রিকশাওয়ালা ত্রিশ টাকার বদলে হাজার টাকা দামের ঘড়ি পেয়েও মুগ্ধ হল বলে মনে হল না ।

চটপটির দোকানে গিয়ে দেখি দারুন ভিড় । আমি সবাইকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলতে লাগলাম,মানুষ কি সব ছাইপাস খায়,কয়েকদিন দিন আগে চটপটির ভেতর থেকে কি পাওয়া গেল সেটা মনে হয় এরা শোনে নি । শুনলে এর ধারে কাছেও আসত না ।
শুভ্র বলল,এসব কি বলছেন ?
আমি কানে কানে বললাম , দোকানে খুব ভিড় তো তাই দোকান খালি করার ব্যবস্থা করছি ।

দোকান পুরোপুরি খালি হতে ১৫ মিনিট সময় লাগলো । আমি দুই প্লেট চটপটি দিতে বলে আরাম করে বসে পরলাম,পা তুলে দিলাম পাশের ভদ্রলোকের কোলের উপর । কিন্তু,ভদ্রলোক কিছু টের পেলেন বলে মনে হল না । শুভ্রও বসল তবে,সে আমার মত আরাম করে বসতে পারলো না,জড়োসড়ো হয়ে রইল ।

আচ্ছা,হিমু সাহেব মেয়ে বিষয়ে আপনার ধারনা কি ?
আমি বললাম, মেয়ে বিষয়ে আমার ধারনা উচু মানের ।
কেমন উচু মানের ?
আমি বললাম,খুবই উচু মানের,প্রায় মাউন্ট এভারেস্টের কাছাকাছি ।
আচ্ছা,ধরুন রাস্তায় একটা মেয়েকে কয়েকজন ছিনতাইকারী ছুরি মারছে আর আপনি সেখান দিয়ে যাচ্ছেন,তখন আপনি কি করবেন ?
আমি বললাম,আমিও হাত লাগাব ।
তার মানে ?
তার মানে হল গিয়ে আমিও পকেট থেকে একটা ছুরি বের করব এবং ছিনতাইকারী ভাইদের সাহায্য করব ।

কেন,কেন ?

কারণ ছিনতাইকারীরা হল দেশের সম্পদ । আর এই মূল্যবান সম্পদ হেলায় নষ্ট করা যায় না । মানুষের ধারণা এরা শুধু টাকা বিদেশে পাচার করছে কিন্তু কেউ কি ঘুনাক্ষরেও টের পাচ্ছে যে এরা কি পরিমাণ টাকা বিদেশ থেকে দেশে আনছে ? আসলে দেশকে এরা এক নতুন সম্ভাবনার দিকে নিয়ে যাচ্ছে । কিন্তু তুমি এসব জানতে চাচ্ছ কেন,তোমার কি মেয়ে বিষয়ক কোনো সমস্যা হয়েছে নাকি ?

না ঠিক তা না,আসলে সমস্যাটা স্বপ্ন বিষয়ক । স্বপ্নে এক অচেনা মেয়ে আমাকে ডাকছে ।

আমি বললাম, ডাকলে চলে যাও । নাকি একা যেতে ভয় পাচ্ছ ? ভয় কি,চাইলে আমিও যাবো তোমার সাথে । আমাকে ঠিকানা বল ।

ঠিকানা তো আমি জানি না,মেয়েটা আমাকে বলে নি কখনো ।

আমি বললাম,সেকি কথা ! প্রতিদিন সে তোমার স্বপ্নে আসছে অথচ,তুমি জান না যে সে কোথায় থাকে ?

প্রতিদিন সে স্বপ্নে আসছে সেটা আপনি কি করে বুঝলেন ?
সে যদি প্রতিদিন না আসত তাহলে তো তার কথা তোমার মনে থাকার কথা না,তাই না ? কারণ প্রতিদিনই তো স্বপ্নে কত নতুন মেয়েরা আসছে যাচ্ছে,তাদের কথা কি তোমার মনে আছে ?

শুভ্র মনে হয় এ ধরনের যুক্তি আমার মত মানুষের কাছ থেকে আশা করে নি । সে খুব অবাক হল । হলুদ পাঞ্জাবী পরা কেউও যে যুক্তি দেখাতে পারে তা সম্ভবত ওর ধারনার বাইরে ছিল ।

শুভ্র আমার দিকে তাকিয়ে আছে । আমি বললাম, কি দেখছ ?
ও বলল,হিমু সাহেব আপনাকে আমার পছন্দ হয়েছে । আমার স্ব্প্ন সমস্যা সমাধানের জন্য মনে মনে আমি আপনার মত কাউকেই খুজছিলাম ।

আমি বললাম,চটপটি খেয়ে নাও,ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে ।

চটপটি খেয়েও একই সমস্যায় পড়তে হল । দুজনের কারো কাছেই টাকা নেই । আমি আমার পকেট থেকে রুপার দেয়া ঘড়িটা বের করলাম এবং ক্যাশিয়ারকে দিয়ে দিলাম ।

এখন রাস্তায় দুজন নিঃশব্দে হাটছি । শুভ্র কিছুক্ষন পর পর তাকিয়ে আমাকে দেখছে, ভাবখানা এমন যে চোখে চোখে না রাখলে হঠাৎ করেই উধাও হয়ে যাব ।

আচ্ছা,হিমু সাহেব আপনার কাছে ঘড়ি থাকার পরও সেটা আপনি হাতে না পড়ে পকেটে রেখে দিয়েছিলেন কেন ?
আমি বললাম,হিমুরা সময়ে বিশ্বাস করে না ।

জীব জগতে প্রতিটি জীব সময়কে মেনে চলে,আর অবশ্যই আপনিও তাদের একজন ।
আমার ধারনা আপনি আমাকে বিভ্রান্ত করার জন্য এই কথাটা বললেন ।

আমি বললাম,তোমার ধারনা ঠিক ।

আমি পকেট থেকে ১০০ টাকার নোট বের করে শুভ্রকে দিয়ে বললাম,তুমি রিকশা দিয়ে বাসায় চলে যাও,আমার কিছু কাজ আছে ।

শুভ্র টাকা হাতে বিস্ময় নিয়ে দাড়িয়ে রইল । আমি ওকে রেখেই হাটা দিলাম ।


দুই


আজ আমি আবার এসেছি সেই চটপটির দোকানে। তবে,আজ আমি একা,শুভ্র আসে নি ।
আমি ক্যাশিয়ার সাহেবকে বললাম , ভাই আমাকে চিনতে পেরেছেন ?
ক্যাশিয়ার সাহেব অবাক হয়ে বললেন,কে আপনি ?
আমি বললাম,গতকালকে আমি আমার এক বন্ধুকে নিয়ে আপনার দোকানে চটপটি খেয়েছিলাম । টাকা না থাকার কারণে বিল হিসেবে একটা ঘড়ি দিয়ে গিয়েছিলাম । আজ সেটা নিতে এসেছি ।
ক্যাশিয়ার সাহেব বললেন,স্যরি আমি কোনো ঘড়ি টড়ি পাই নি ।
আমি বললাম,ঠিক আছে আমি ঘড়ির আসল মালিক জগলু ভাইকে পাঠিয়ে দিচ্ছি । তিনি এলে আশা করছি আপনি ঘড়িটা খুজে পাবেন ।
ক্যাশিয়ার সাহেব হঠাৎ করেই গলার স্বর চেঞ্জ করে ফেললেন । ও আপনি জগলু ভাইয়ের লোক,তা আগে বলবেন তো । হ্যা,হ্যা ঘড়ি না কি যেন বলছিলেন ? মনে পরেছে । তিনি ঘড়িটা বের করে দিলেন ।
আমি বললাম,ধন্যবাদ । এই নিন আপনার ৮০ টাকা ।
ক্যাশিয়ার সাহেব বললেন,ছি,ছি ভাই লজ্জা দেবেন না । সামান্য কটা টা.........
কথা শেষ করার আগেই আমি এমন এক চাহনি দিলাম যে ক্যাশিয়ার সাহেব ঘাবড়ে গিয়ে তাড়াতাড়ি টাকাটা নিয়ে নিলেন । আমি দোকান থেকে বের হয়ে এলাম ।

এবার সেই রিকশাওয়ালাকে খুজতে হবে যাকে শুভ্র তার ঘড়িটা দিয়েছিল । তবে এটা বের করা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য ব্যাপার । ঢাকা নামক এই ব্যস্ত নগরীতে রিকশাওয়ালারাই হচ্ছে সবচেয়ে ব্যস্ত মানুষ । বাড়ির ঠিকানা জানা থাকলেও এদের খুজে বের করা কষ্টকর কারণ এরা যাযাবর । আর নামহীন ঠিকানাহীন একজন রিকশাওয়ালা নিশ্চয় নিজে এসে আমার হাতে ধরা দেবে না,তাও আবার হাজার টাকা দামের ঘড়ি বদলে ৩০ টাকা পাবার জন্য । তবে প্রকৃতি যদি চায় তাহলে ব্যাপারটা সম্ভব হতে পারে । আমি রিকশাওয়ালাকে খোজার চিন্তা আপাতত বাদ দিলাম

তারার আলোয় একজন হিমু (বাকি অংশ)
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৩১
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২



১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজনীতির পন্ডিত, ব্লগার তানভীর জুমারের পোষ্টটি পড়েন, জল্লাদ আসিফ মাহমুদ কি কি জানে!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৯



সামুর রাজনীতির ডোডো পন্ডিত, ব্লগার তানভীর ১ খানা পোষ্ট প্রসব করেছেন; পোষ্টে বলছেন, ইউনুস ও পাকিসতানীদের জল্লাদ আসিফ মাহমুদ ধরণা করছে, "সেনাবাহিনী ও ব্যুরোক্রেটরা বিএনপি'কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নীল নকশার অন্ধকার রাত

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:১৬


কায়রোর রাস্তায় তখন শীতের হিম হাওয়া বইছিল। রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা। দুইটা বড় সংবাদপত্র অফিস: আল-আহরাম এবং আল-মাসরি আল-ইয়াউম—হঠাৎ করেই আগুনে জ্বলে উঠলো। কিন্তু এই আগুন কোনো সাধারণ দুর্ঘটনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদি ভাই, ইনসাফ এবং একটা অসমাপ্ত বিপ্লবের গল্প

লিখেছেন গ্রু, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৮



ইদানিং একটা কথা খুব মনে পড়ে। হাদি ভাই।

মানুষটা নেই, কিন্তু তার কথাগুলো? ওগুলো যেন আগের চেয়েও বেশি করে কানে বাজে। মাঝেমধ্যে ভাবি, আমরা আসলে কীসের পেছনে ছুটছি? ক্ষমতা? গদি? নাকি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[

স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×