somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

থাইল্যান্ডের সাফারী ওয়ার্ল্ডে একদিন

০৩ রা জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


অত্যন্ত মনমুগ্ধকর ডলফিন শো সাফারীর অন্যতম আকর্ষন

পর্যটক আর ব্যবসায়ীদের পদভারে সর্বদা মুখরিত থাইল্যন্ড এর রাজধানী ব্যংকককে সামরিক শাসনের ঘেরাটোপে থাকার কারনে চিনে নিতে এবার আমার কষ্টই হলো। এগারো দিন কি করে কাটাবো ভাবতে ভাবতে আর আশে পাশে টুকটাক শপিং করে সময় যেন আর কাটছিলোনা।


এমন প্লেটে নিজের ছবি ছাপিয়ে নিতে পারেন ২৮০ বাথের বিনিময়ে

সিদ্ধান্ত নিলাম ছেলে নিয়ে আমার অনেক আগেই দেখা, কর্তার না দেখা নিরাপদ দুরত্বের সাফারী ওয়ার্ল্ডটাই আবার ঘুরে দেখা যাক। পরিচিত ট্যুর অপারেটরের মাধ্যমে টিকেট বুকিং দেয়া হলো। মাথাপিছু ৭০০ বাথ করে দুজনার ১৪০০ বাথ। সকাল নটায় ট্যুর অপারেটরের পাঠানো ট্যাক্সি করে হাজির হোলাম সাফারী ওয়ার্ল্ডের টিকেট কাউন্টারে।


রঙ বেরং এর ম্যাকাও পাখির মেলা, মেরিন পার্ক বিভাগে
দু ভাগে ভাগ করা সাফারী ওয়ার্ল্ড এর একটি হলো সাফারী পার্ক, আরেকটি মেরিন পার্ক। ৪৮০ একর জায়গা জুড়ে সাফারী পার্ক যেখানে খোলা আকাশের নীচে প্রানীকুল নির্ভয়ে বিচরণ করছে। আর হাজার রকম পাখীদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ১৮০ একর জায়গা। মেরিন পার্ক এ রয়েছে পশু পাখীদের বিভিন্ন কসরত দেখানোর শো , কাল্পনিক আমাজনের জঙ্গলে নৌ ভ্রমন আর খাচায় থাকা পশু পাখীর দল।


টিকেট কাউন্টার
স্লিপ দেখাতেই জানালো আমাদের নামে বুকিং দেয়া আছে,। এখন আমরা আলাদা ৩০ বাথ ভাড়া দিয়ে কোচে করে সাফারী পার্কে খোলা আকাশের নীচে ঘুড়ে বেড়ানো পশু পাখীদের দেখে আসতে পারি।


এখান থেকে শাটল কোচ চালু হয় ৪৫ মিনিটের জন্য

প্রথমেই বাসে করে ৪৫ মিনিট সময় লাগে আট মাইল দীর্ঘ, সাফারী ওয়ার্ল্ডের খোলা চিড়িয়াখানায় ঘুরে বেড়াতে। যাত্রা হলো শুরু। এবার আসুন দেখে নেয়া যাক আমাদের অপটু হাতে তোলা থাইল্যান্ডের বিখ্যাত সাফারী ওয়ার্ল্ড।
সাফারী পার্ক সফর এর পর রয়েছে মেরিন পার্ক এ বিভিন্ন শো , এর সময়সুচী দেয়া আছে লিফলেটে। টিকিটে খাবার ইনক্লুড। আর যে সব শোগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল তাহলো সি লায়ন শো, ওরাং ওটাং শো, এলিফ্যান্ট শো, ডলফিন শো, ওয়াইল্ড ওয়েস্ট শো, স্টান্ট শো, স্পাই শো, বার্ড শো, ভয়ংকর লায়ন ফিডিং শো, জেব্রা ফিডিং, ইত্যাদি অনেক কিছু। কিভাবে সারাদিন কেটে যায় টের পাওয়াই যায় না ।


যাত্রা হলো শুরু
আঁকাবাকা রাস্তা দিয়ে নিঃশ্বব্দে আর খুব ধীর গতিতে বাস চলেছে। দুপাশে রয়েছে নির্দেশিকা কি কি প্রানী রয়েছে সামনে তার খতিয়ান। এছাড়াও পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা পুনঃ পুনঃ উল্লেখ করা আছে, রয়েছে শক্ত করে বন্ধ দরজা জানালা বন্ধ করার নির্দেশ।
বাইরে তাকিয়ে আছি বাস ভর্তি আমরা বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা যার বেশিরভাগই ছিল ভারতীয়। কাচের জানালা চোখ মেলতেই প্রথমেই নজর কাড়লো নজর কাড়া সৌন্দর্যের অধিকারী প্রানী জেব্রার দল,


সবুজ ঘাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে সদলবলে জেব্রা


তারপর আসলো মরুভুমির জাহাজ উট


বিশাল জিরাফের দল গরমের হাত থেকে বাচার জন্য খাওয়া দাওয়া ছেড়ে ছায়ায়


বিলের মাঝে পাখীর মেলা


গন্ডার বাহিনী


হরিনের পাল ঘুরে বেরাচ্ছে নির্বিঘ্নে


খোলা আকাশের নীচে পশুরাজ সিংহ তিনজন শলা পরামর্শে ব্যাস্ত


সাইনবোর্ডে নাম দেখেই গর্বিত বোধ করলাম। আমাদের রয়েল বেঙ্গল টাইগার


প্রচন্ডে গরমে কাহিল আমাদের টাইগার মামা পানিতে নেমে ঘুরছে


ভালুকরাও খুজে বেড়াচ্ছে ছায়া। তাই তারা তাদের আস্তানায়
শেষ হলো খোলা চিড়িয়াখানা ভ্রমন, এবার আসলাম বিভিন্ন শো আর খাচায় বন্দী প্রানীদের কাছে।


ওয়ালরাস


পাখির রুপমুগ্ধ আমি নামটি জেনে নিতেই ভুলে গিয়েছিলাম । ব্লগার কুনো জানালো পাখীর নাম স্কারলেট আইবিস। তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ


ব্লগার কুনোর জন্য এই ফ্লেমিংগোর ছবি


সি লায়ন শো এ সি লায়ন এর নানান কেরামতি


এলিফ্যান্ট শো এ ছিল হাতীর চমকপ্রদ ছবি আঁকা যা দর্শকদের মাঝে বিক্রিও হয়ে গেল মুহুর্তের মাঝে


গাছ পালার আবহে তৈরী অবর্ননীয় সৌন্দর্য্যময় রেস্টুরেন্ট


মেরিন পার্কে ঢোকার আগে ছোট ছোট টুকরো কাঠ জুড়ে তৈরী হাতী
আরো অনেক ছবি ছিল । পেইজ আপলোড না হবার ভয়ে বাদ থেকে গেল।

সমস্ত ছবি আনাড়ী ক্যামেরাম্যান আমার তোলা
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৬
৫৪টি মন্তব্য ৫৪টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×