বান্তে সেরি --- এংকর শিল্পালংকারের মুকুটে এক উজ্জ্বল রত্ন
বছর দুয়েক আগে ক্যাম্বোডিয়া ঘুরে এসে সেখানকার অনেক স্থাপনার কথাই সিরিজ আকারে ব্লগের পাতায় তুলে ধরেছি। তবে তারই মাঝে আপনাদের কাছে বলার বাকি রয়ে গিয়েছিল এক ক্ষুদে ইতিহাস। প্রথমেই বলে নিচ্ছি আজ থেকে অনেক বছর আগে সেই অষ্টাদশ শতকে দক্ষিন পুর্ব এশিয়ার মেকং উপত্যকা জুড়ে গড়ে ওঠা বিশাল খেমার সাম্রাজ্যটি শাসিত হতো বর্তমান ক্যাম্বোডিয়া নামের দেশটি থেকে । যে দেশের মাটি বুকের গভীরে ধারন করে রেখেছে নীলা, চুনী, পান্নার মত চোখ ঝলসানো সব দামী রত্ন-রাজি আর মাটির উপরে ছড়িয়ে রেখেছে বিশ্ব ঐতিহ্যের তকমা লাগানো এংকর নামে এক আস্ত নগরী, যা্র রাজধানীর নাম ছিল যশোধরাপুরা।
তাদের মাঝে শত বছর ধরে অরন্যে হারিয়ে যাওয়া বিশ্বের এক বিস্ময় সেই এংকরভাট আমার চোখে।, বিশ্বের রহস্যাবৃত টেম্পলের অন্যতম এক উদাহরন ক্যম্বোডিয়ার "বেয়ন -- প্রাসাৎ বেয়ন" আর তা প্রহমের অরন্য আর পাথর যেন শত বছরের দৃঢ় আলিঙ্গনে, বিখ্যাত টুম্ব রেইডার ম্যুভির "তা -প্রহম" আমার চোখে বিস্ময় জাগানিয়া স্থাপত্য ও শিল্পের সব অমুল্য অলংকার । বিখ্যাত সব শিল্প রসিকদের মতে সেইসব অলংকার দিয়ে তৈরী মুকুটের সবচেয়ে দামী রত্নটিই হলো বান্তে সেরি বা বান্তে স্রেই মন্দির। আজ সেই বান্তে সেরির কথাই বলবো আপনাদের সাথে।
শিল্প রসিকদের ধারনা এত সুক্ষ নকশা কোন পুরুষ শিল্পীর হাত থেকে রচিত হতে পারে না
ক্যাম্বোডিয়ার সিয়ামরেপে অবস্থিত খেমারের প্রাচীন রাজধানী এংকর থেকে ২২ কিঃ মিঃ দক্ষিন পুর্ব দিকে চির হরিৎ পাহাড় নম দেইর ঢালে রহস্যঘেরা সবুজ বনের মাঝে লুকিয়ে আছে অপরূপা মন্দির বান্তে সেরি। হিন্দু দেবতা শিবের উদ্দেশ্যে নির্মিত গাঢ় গোলাপী রঙের বেলে পাথরে তৈরী ক্ষুদ্র এই স্থাপত্যটির ব্যাতিক্রমী সৌন্দর্য্য দেখে মুগ্ধ হয়নি এমন দর্শক বিরল। স্থানীয় ভাষায় বান্তে সেরির অর্থ নারীদের দুর্গ বা সৌন্দর্য্যের দুর্গ। এমন বৈচিত্রময় নামকরনের কারন হিসেবে বলা হয়ে থাকে ভাস্কর্য্যের মাঝে নারীর সংখ্যা বেশি ছাড়াও এর দেয়ালের গায়ের সুক্ষ কারুকাজ। যা দেখে অনেকে সন্দেহ করেন এসব কোন শক্ত হাতের পুরুষ শিল্পী তৈরী করে নি, এর পেছনে
রয়েছে রমনীদের নরম হাতে চালানো ছেনী আর হাতুড়ি।
বান্তে সেরির প্রাঙ্গনে
এংকর নগরীর দৈত্যাকৃতির স্থাপত্যগুলোর কাছে গাঢ় গোলাপী আভাযুক্ত বেলে পাথরের উপর কাঠের কারুকাজের মতই সুক্ষ ও দ্রুপদী নকশাঁয় খোদাই করা বান্তে সেরি সত্যি নয়ন যেন জুড়ানো এক রূপসী রমনী । প্রাচীন এই বান্তে সেরি মন্দিরের নামটি অনেকের মত আমাদের কাছেও অজানা ছিল এবং থাকতোও যদি না হোটেলের তরুন ম্যানেজার সেখানে যাবার জন্য আমাদের অনুরোধ না করতেন।পর্যটনের মূল কেন্দ্র থেকে বেশ অনেকটা দূরে হওয়ায় আমরা তা দেখার জন্য আগ্রহী ছিলাম না। কিন্ত হোটেল ম্যানেজার বিশেষ করে আমাকে সেখানে যাবার জন্য নাছোড়বান্দার একাধিক বার বলায় জানতে চাইলাম তার কারন। তিনি মুচকি হেসে জানালেন “ শোনো বান্তে সেরি নামের অর্থই হচ্ছে নারীদের দুর্গ,এই মন্দিরে একসময় রমনীরা শিবের মত স্বামী পাওয়ার আশায় পুজো দিতে যেতেন, সুতরাং একজন নারী হিসেবে সে মন্দিরটি তোমার দেখা উচিৎ”। পাশে দন্ডায়মান স্বামীকে দেখিয়ে বললাম ‘আমার কি এখনো যাবার দরকার আছে’! ম্যানেজার হেসে ফেলে বললেন “অবশ্যই , ঘুরে এসো, নাহলে পরে আফসোস করবে”।
বান্তে সেরির পথে
অতএব তিন দিনের জন্য ভাড়া নেয়া টুকটুকের চালক মিষ্টার টোমকে বললাম ‘চলো আজ দুপুরের পর দেখে আসি বান্তে সেরিকে।
গ্রামের ভেতর দিয়ে পীচ ঢালা নিরিবিলি রাস্তার দুপাশে আমার পরিচিত বুনো গাছপালার ঝোপঝাড়, কোথাও নারকেল বিথী, কখনো ধানের ক্ষেত আমাদের দেশকেই মনে করিয়ে দিচ্ছিল ক্ষনে ক্ষনে। মাঝে মাঝে কিছু ছোটখাটো লোকালয় যেখানে রয়েছে লম্বা খুটির উপর তৈরী কাঠের ঘরবাড়ি। বন্ধু নাবি কানের কাছ থেকে জেনেছিলাম বুনো জানোয়ার আর বন্যার পানির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এমন উচু করে তৈরী তাদের বসত বাড়ী। কিছু বাড়ির আঙ্গিনায় পরিবারের সবার অংশ গ্রহনে চলছে ছোটখাটো দোকান যাতে ডাব, চিপস বিস্কিট এসব বিক্রী করছে, কেউ বা তালের রস জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরী করে বিক্রী করছে পথ চলতি মানুষের কাছে।
স্থানীয় মেয়েরা রাস্তার পাশে বিক্রীর জন্য তালের গুড় তৈরী করছে
পরিবার চালিত দোকানের একপাশে বাড়ীর সবচেয়ে ক্ষুদে অথবা সবচেয়ে বয়োবৃদ্ধ সদস্যটি ঝোলানো হ্যামকের মাঝে গভীর ঘুমে মগ্ন। এখানে একটা কথা বলে নেই তা হলো ক্যাম্বোডিয়া জুড়ে হ্যামকের যা জনপ্রিয়তা দেখেছি তা আর অন্য কোন দেশে আমি দেখিনি।আমাদের ড্রাইভার টোমকেও একদিন দেখেছিলাম টুকটুকের ভেতরেই হ্যামক ঝুলিয়ে নাক ডাকছে। আমাদের টুকটুক চলেছে বেশ জোরালো গতিতেই, প্রায় এক ঘন্টার কাছাকাছি সময়ের মাঝে পৌছে গেলাম বান্তে সেরির মুল প্রবেশ পথে। টোম আমাদের নামিয়ে দিয়ে চলে গেল পার্কিং এ। সোজা এগুলেই টিকিট ঘর আর তার পাশেই ধাতব নির্মিত পাতে সচিত্র তালিকা তাতে লেখা আছে খেমার সম্রাটদের রাজত্বকালের সময়সুচী, মন্দিরটির নির্মান কাল ও নির্মান পদ্ধতি। এছাড়াও পর্যটকদের সুবিধার জন্য এর উপর রয়েছে চিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা।
তামার পাতের উপর লেখা বিভিন্ন তথ্যাবলী
আসার আগে স্বভাবসুলভ ভাবেই বান্তে সেরি নিয়ে কিছু বই পত্র পড়েছিলাম। ঐতিহাসিকদের প্রাথমিক ধারনা ছিল এই মন্দিরটি নির্মানকাল ১৩ বা ১৪ শতাব্দীতে। কিন্ত পরবর্তীতে সেখানে পাওয়া একটি শিলালিপির তথ্যানুযায়ী এর নির্মানকাল খৃষ্টপুর্ব ৯৬৭ অব্দ। সে সময় খেমার রাজারা হিন্দু ধর্মের অনুসারী ছিলেন আর মন্দিরটিও দেবতা শিবের উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়েছিল। তখন অবশ্য এর নাম ছিল ত্রিভুবনেশ্বরা, অর্থাৎ স্বর্গ,মর্ত ও পাতাল এই তিনভুবনের ঈশ্বর। এংকরের অন্যান্য স্থাপনার তুলনায় সুন্দর ভাবে সংরক্ষিত এই মন্দিরটি কোন রাজন্যবর্গের দ্বারা নির্মিত নয়। এর নির্মাতা ছিলেন খেমার রাজা দ্বিতীয় রাজেন্দ্রবর্মনের এক ব্রাম্মন পারিষদ সদস্য নাম অজানাবরাহ (yajnavaraha) । ধারনা করা হয়ে থাকে জাতিতে হিন্দু ব্রাম্মন এই পন্ডিত ব্যাক্তি খেমারের বিখ্যাত রাজা পঞ্চম জয়বর্মনের শিক্ষক ছিলেন।
প্রথম প্রবেশ তোরন
টিকিট কাটতে গিয়ে শুনলাম এংকর নগরী দেখার জন্য তিনদিনের টিকিট কাটা থাকায় আমাদের আর টিকিটের প্রয়োজন নেই । নাহলে মাথাপিছু ৩৬ ডলারের টিকিট কাটতে হতো । পথ নির্দেশ ধরে এগিয়ে যেতে যেতে এসে উপস্থিত হোলাম লাল মাটির খোলা প্রাঙ্গনে। এখানেই রয়েছে মুল মন্দিরে যাবার জন্য লাল বেলে পাথরে তৈরী সুদৃশ্য প্রথম তোরনটি যার সীমানা প্রাচীরের অস্তিত্ব নেই। তোরনটি পার হতেই পাথরে বাধানো একটি পথ যার দুদিকে অগভীর জলাশয়। সে যুগে নিরাপত্তার ভাবনা থেকেই সৃষ্ট অগভীর জলাশয়টি আয়তাকার মন্দিরটিকে চারিদিক থেকে ঘিরে রেখেছে।
পাথর বাধানো পথে দ্বিতীয় তোরনের দিকে এগিয়ে চলা
যদিও পথটি থেকে জায়গায় জায়গায় পাথর উঠে মাটি বেরিয়ে পরেছে তারপরও অন্যান্য স্থাপনার মতই সেটা যত্নে রাখার আপ্রান চেষ্টা করছে। মন্দিরটির পুর্ব এবং পশ্চিমে মোট দুটি প্রবেশ দ্বার রয়েছে। অন্যান্য খেমার মন্দিরের অনুকরনে এর প্রধান প্রবেশ পথটিও পুর্বমুখী। লম্বা দড়ি দিয়ে কর্তৃপক্ষ এমনভাবে পথ বেধে দিয়েছে যে আপনাকে দেখতে হলে শুধু এগিয়েই যেতেই হবে অর্থাৎ ইচ্ছে থাকলেও আপনি পশ্চিম পথে মন্দির প্রাঙ্গনে আসতে পারবেন না।
কপাটবিহীন শেষ তোরনে অনুপম নকশাঁর কারুকাজ
প্রচুর শ্বেতাংগ পর্যটক আমাদের সাথী, তবে সবাই চুপচাপ, এর মাঝে কেউ কেউ নিঃশব্দে ছবি তুলছে। সেই পথ পেরিয়ে কিছুটা এগুতেই উপরে খিলান আকৃতির অপরূপ কারুকাজ করা দ্বিতীয় তোরন যার উচ্চতা মাত্র ১.০৮ মিটার। সেই কপাটবিহীন খোলা তোরন পেরিয়েই চলে আসলাম স্থাপনাটির প্রবেশ গৃহে যাকে বলে মন্ডপ ঘর।
মন্ডপ ঘরে পুজোর নিমিত্তে তৈরী
ভেঙ্গে পড়া দুটি দেয়ালের পরে টিকে থাকা শেষ দেয়ালটি ঘিরে আছে ক্ষুদ্র মন্দিরটিকে যার একদিকে রয়েছে ছোট একটি লাইব্রেরী আর তিনটি অনুচ্চ মিনার। মন্ডপ ঘর থেকেই ছোট গলিপথ দিয়ে মিনারে আসা যায়। এই মিনারগুলোর মাঝেরটার উচ্চতা ৯.৮ মিটার।
এখানে প্রতিটি স্থাপনার গা জুড়ে রয়েছে অপরূপ দ্রুপদী নকশাঁর সারি। রয়েছে ঐতিহ্যবাহী খেমার ঘাগড়া পড়া পদ্মফুল হাতে নৃত্যরতা স্বর্গের নর্তকী উর্বশীর সাথে দেবতাদের বিভিন্ন বিভঙ্গে খোদাই করা মুর্তি।
যুথবদ্ধ তিন মিনার যার ভিতে খোদাই করা আছে রামায়নের কাহিনী
তিনটি মিনারেই রয়েছে সুদৃশ্য ঝালরের কারুকাজ। তোরনগুলোর খিলানের অপুর্ব সুন্দর কারুকাজ এক ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে বান্তে সেরিকে। দেয়ালের গায়ে দ্রুপদী নকশাঁয় খোদাইকৃত মুক্তোর মত ছোট্ট পাঠাগারটির ভিত জুড়ে খোদাই করা আছে হিন্দু পৌরানিক গ্রন্থ রামায়নে বর্নিত সীতা অপহরনের চমকপ্রদ বর্ননা। এছাড়াও লিনটেলগুলোতে রয়েছে সুক্ষ ইনলের কাঁরুকাজ যা আপনাকে অবশ্যই বিস্মিত করবে।
পড়ে থাকা পাথরের টুকরো দিয়েই মন্দিরটির বিভিন্ন অংশের পুনর্নিমার্ন চলছে
১৯৩০ খৃষ্টাব্দে বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে ভেংগে চুড়ে যাওয়া মন্দিরটি পুনর্গঠন করে উন্মুক্ত করা হয়েছে পর্যটনের জন্য। এই পদ্ধতিতে নতুন কিছুর বদলে ভেঙ্গে পরা পাথরগুলোকেই যথাযথ স্থানে ব্যাবহারের মাধ্যমে পুননির্মান করা। এই মন্দিরে এখন আর কোন পুজারী ধুতি পড়ে, টিকি নেড়ে শিবের উদ্দেশ্যে স্ত্রোত্র পাঠ করে না ,দেয়না অঞ্জলী সকাল বিকেল। অবিবাহিতা কিশোরীরাও আসেনা শিবের মত স্বামী পাবার মনোস্কামনা নিয়ে। ১৪ শতাব্দীর পর থেকে মন্দিরের দরজা বন্ধ চিরতরে বন্ধ হয়ে গেছে।
আজ বন্ধ রয়েছে দ্বার
পরবর্তীতে রাজধর্ম ও রাস্ট্রীয় ধর্ম বৌদ্ধ হওয়ায় বেশিরভাগ দেশবাসীও বুদ্ধের অনুসারী। তাই সেই বন্ধ দরজার বাইরে বিকেলের স্নিগ্ধ মায়াময় আলোয় আমাদের মত অন্যান্য পর্যটকরা বিস্মিত ও মুগ্ধ নয়নে দেখে চলেছে বহু যুগ আগের খোদাই শিল্পীদের নিপুন হাতের কাজ। পশ্চিম দুয়ার দিয়ে যখন মন্দির প্রাঙ্গন থেকে বাইরে বেরিয়ে আসলাম তখন দেখি কি ভাবে যেন আধাঘন্টা পেরিয়ে গেছে বলতেই পারবো না।
পশ্চিমের পথ দিয়ে বেরিয়ে এসে ঘুরে তাকাতেই পুরো মন্দিরটির অবয়ব ফুটে উঠলো আমাদের চোখে
ডানদিকে বিশাল চত্বর জুড়ে পার্কিং ছাড়াও আছে রেস্তোরা ও বিভিন্ন স্যুভেনীরের দোকান। তাতে স্থানীয় কাঠ, কাপড়, ধাতু, অল্প দামী রত্নে তৈরী বিভিন্ন শিল্পের সমাহার। স্যুভেনীরের দোকানে যথারীতি ঢু মেরে রেস্তোরায় গিয়ে বসলাম।
বান্তে সেরির স্যুভেনীর শপ
তাতে রয়েছে কাঠের তৈরী বিভিন্ন জিনিস যার মাঝে মাছ উল্লেখ করার মত
ডাবের পানি খেতে খেতে ব্রশিওরে চোখ বুলাতেই দেখি এই প্রাঙ্গনের পেছনে রয়েছে এক জলাশয় যেখানে আপনি নৌকা ভাড়া করে ঘন্টা হিসেবে ঘুরতে পারবেন। সময় স্বল্পতার কারনে আমরা চড়িনি কারন আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে হৃদয়ের গভীরে গেথে যাওয়া আতংক ছিল এর কারন, “আলো থাকতে থাকতে নিরিবিলি এলাকা থেকে ফিরে যেতে হবে লোকালয়ে”। পরে দেখি আমাদের সেই ভয় ছিল নিতান্তই অমুলক। সেদেশের লোকজন গরীব হতে পারে তবে তারা এখনো অনেক নিরীহ,ভদ্র,বিশেষ করে পর্যটক বান্ধব যা আমাদের দেশে অনুপস্থিত।
যার প্রমান ফিরে আসার সময় সেই গোধুলী বেলায় কিছু হাস্যমুখী বিদেশী নারী পর্যটককে দেখলাম টুকটুক নিয়ে ছুটে চলেছে বান্তে সেরির পথে । এলাকাটিতে আরো দু একটি উল্লেখযোগ্য স্থাপনা রয়েছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে।তবে কোন হোটেল না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িতে দু একদিনের জন্য রুম ভাড়া নিয়ে দেখতে পারেন এর সৌন্দর্য্যকে।
এই যাত্রার জন্য তেলের দাম ও পরিশ্রম বাবদ মিঃ টোমকে বাড়তি সাত ডলার দিতে হলো। কিন্ত বান্তে সেরির সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ আমাদের কাছে সাত ডলার তেমন বড় হয়ে ওঠেনি । এছাড়াও ম্যানেজারকে ফিরে গিয়ে একটি ধন্যবাদ জানাতেই হলো ।
ছবি আমাদের ক্যামেরায় ।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:৫৮