somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাদা হাতীর দেশে -৮

২১ শে মে, ২০১২ দুপুর ২:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগের পর্ব-
Click This Link

সিভিল সার্ভিস কমিশন

আমাদেরকে নিয়ে যাওয়া হলো অফিস অব দি সিভিল সার্ভিস কমিশনে। সেখানে আমাদেরকে স্বাগত: জানিয়ে বক্তব্য রাখলেন কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান।

ডেপুটি চেয়ারম্যান

এরপর সিভিল সার্ভিস কমিশনের গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলী বর্ণনা করলেন। আমাদের এখানে যেমন নিয়োগ পদোন্নতিতে মূল ভূমিকা নেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় (সাবেক সংস্থাপন মন্ত্রণালয়) ওখানে সেই ভূমিকা পালন করে মিনিস্ট্রি অব ইনটেরিঅর।

এদের সিভিল সার্ভিসে প্রাথমিক স্তরে নেয়া হয় দুই ধরনের কর্মকর্তা। এক দল সাধারণ ক্যাডারের অন্য দল প্রফেশনাল ক্যাডারের। সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছেন সিনিয়র পুল। সেখানে দুই/তিন ধাপ আছে। সাধারণ ক্যাডারই মূলত: সিনিয়র পুলে যান। পেশাদাররাও যেতে পারেন। তবে কদাচিৎ।

ড. মাকা নামের এক ভদ্রলোক পাওয়ার পয়েন্টে পুরো বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন। তবে তাঁর ইংরেজী বক্তব্য আমাদের কাছে থাই ভাষার মতোই দুর্বোধ্য লেগেছে। লেখা পড়ে যা বুঝেছি। থাই সিভিল সার্ভিসে সংস্কারের সাথে বেতনের পরিমানও বেশ বাড়ানো হয়েছে। একেবারে জুনিয়র পর্যায়ে মূল বেতন ১১ হাজার বাথ (প্রায় ৩৩ হাজার টাকা)। এরপরের ধাপে ১৫/১৬/১৮ হাজার বাথ। ডিপার্টপেন্টের প্রধানরা মূল বেতন পান ৬০ বা ৭০ হাজার বাথ ( ১ লাখ ৮০ হাজার বা ২ লাখ ১০ হাজার টাকা)। মন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ তিন ধাপের বেতন হলো ৬০ হাজার ৭০ হাজার ও ৮০ হাজার বাথ। তার মানে সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মূল বেতন ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার সমপরিমান। (বাংলাদেশে সেটা ৪০ হাজার টাকা।) অন্যান্য সুযোগ সুবিধা তো আছেই। তারপরও নাকি সরকারী চাকুরীতে লোকজন থাকছে না। বেসরকারী খাতে চাকুরী নিয়ে চলে যাচ্ছে। থাইল্যাণ্ডে এখন পর্যন্ত যে বাজার দর দেখেছি তাতে সরকারী কর্মকর্তারা বেশ স্বচ্ছল জীবন যাপন করতে পারছেন।

পেশাজীবীদের আলাদা মূল্যায়ণ করা হয় চাকুরীতে প্রবেশের সময়। পেশাভিত্তিক স্নাতক ডিগ্রী ধারীরা ১১ হাজার বাথ পান। স্নাতকোত্তর ডিগ্রী থাকলে সরাসরি একধাপ ওপরে নিয়োগ পান। পিএইচডি ডিগ্রী থাকলে আরো একধাপ ওপরে সরাসরি নিয়োগ পান।

বুদ্ধমূর্তি আর রাজার প্রতিকৃতি

থাইল্যাণ্ডের সব অফিসে বিশেষ করে সভাকক্ষের এক কোনায় বুদ্ধমূর্তি আর রাজার ছবি, কোথাও কোথাও রানীর ছবিও রয়েছে।

রাস্তার মোড়ে মোড়ে, সব সরকারী বেসরকারী অফিসের সামনে, সকল ভবনের সামনে ব্রক্ষ্মা আর বুদ্ধ মূর্তি থাকবেই। (এর আগের পর্বে মন্তব্যের সাথে জুন আপু বন্যার চিহ্ণসহ এআইটির যে ছবি দিয়েছেন তার প্রথমটিতে ব্রক্ষ্মা আর বুদ্ধমূর্তি আছে) একটু পরপর রাস্তায় রাজার ছবি চোখে পড়বে। এক প্রবাসী বাংলাদেশী (২১ বছর ধরে আছেন) বললেন, এখন নাকি সেটা কমেছে। আগে ছবি আরো বেশী ছিলো।

মাইকেল একদিন জানালেন, এক ইউরোপীয় নাকি রাজার ছবিতে গোঁফ একে দিয়েছিলেন। সেজন্য তার দশ বছরের জেল হয়েছিলো। যদিও ৩ বছর জেল খাটার পর রাজা তাকে মাফ করে দিলে তিনি মুক্তি পেয়েছিলেন।

সিভিল সার্ভিস কমিশনের সামনে এর প্রতিষ্ঠাতা কিং রামা ৫ এর মূর্তি

মন্ত্রণালয় ভবনে বর্তমান রাজা (কিং রামা ৯) ভূমিবলের ছবি

(চলবে)



সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০১২ সকাল ৯:১০
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×