“মানুষ হয়ে বেচে থাকতে হলে, হতে হবে কুখ্যাত নয় তো বিখ্যাত”। কারণ বিখ্যাত আর কুখ্যাত মানুষগুলোই আজীবন ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে থাকে। যেমন- বিখ্যাত আইনস্টোন, মাদার তেরেসা ইত্যাদি ইত্যাদি। আর কুখ্যাত হিটলার, মিরজাফর ইত্যাদি ইত্যাদি। আমাদের মতো সাধারণ, ব্যাবাচেকা মানুষগুলো কখনোই কোন কাজে আসে না। সমাজ-সংসার, রাষ্ট্র আমাদেরকে শুধু ব্যবহারি করে যায়। কিন্তু আমরা কিছুই পাই না অবশেষে। এই সমাজ-সংসার আর রাষ্ট্রের জন্য সাধারণ মানুষেরা জীবন-মরণ দিয়ে কাজ করে যায়। মরে গেলে তারপর আর কোন চিহৃই থাকেনা তাদের। হারিয়ে যায় পৃথীবি থেকে। বিচূর্ণ হয়ে যায় একজন সাধারণ মানুষের অস্থিত।
সাধারণ মানুষের দুটো উদাহরণ দেওয়া যাক- ধরুন আপনি সারাক্ষণ অফিসে গাধার মতো খাটছেন, নাম হলো কার আপনার বড় বসের। কিছু ভুল হলে বকা শুনলো কে, আপনি, কাজ করে দিলো কে, আপনি। সারাক্ষণ খাটেন, সারাক্ষণ খাটেন, কাজ করতে করতে আপনার মাথা ব্যথা হয়ে যায়। তারপরও আপনি কাজ করছে না হাহাহাহা শেষ মুহুর্তে এসে এই ডয়লগটি শুনতে হবে। “কি কাজ করেছেন সারাদিনে”? তখন মাথায় হাত দিয়ে ভাবেন ছাত্র/ছাত্রী জীবনটাই ছিলো ভালো।
ঘরে আসলেন মেয়েদের বেলায় স্বামী সন্তান শশুড়-শাশুড়ি, বাবা, মা, ভাইবোন আরো কত কে। ছেলেদের বেলাও একই। ঘরে এসে কত রকম তাদের চাহিদা, কত রকম তাদের বায়না, পুরণ না করতে পারলে বলবে কি টাকা পয়সা কামাই করে যে কিছু করতে পারে না। ধৎ শালার এই জীবন দিয়ে কি হবে। কত অনুশুচনা মনে জমা বাধে তখন। আরে এসব করে কি আপনি পৃথিবীতে বেচে থাকতে পারবেন, এভাবে কি বেচে থাকা যায়।
এরপর যাবেন মরে ক’দিন কাদবে আপজনেরা, তারপর আর না। এক মাস দু’মাস এক বছর দু’বছর আর কত মনে রাখবে আপনাকে। শেষ পৃথিবী থেকেই আপনি বিচূর্ণ হয়ে যাবেন।
কোথায় আপনার অফিসের বস, কোথায় আপনার বৌ কিংবা স্বামী।
তাই বলছি “পৃথিবীতে বেচে থাকতে হলে হতে হবে বিখ্যাত, না হলে হতে হবে কুখ্যাত”।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২৩