somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জাসুসগিরিঃ

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



২য় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হবার পরপর সারা দুনিয়ায় শুরু হয় আরেকটি যুদ্ধ। যেটা তৎকালিক দুই পরাশক্তির মধ্যে। কেউ কারোর বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করে নাই কিন্তু যুদ্ধ চলেছে সমানে সমানে। ইতিহাসের পাতায় এ যুদ্ধ শীতল যুদ্ধ কিংবা স্নায়ুযুদ্ধ নামে পরিচিত।
স্নায়ুযুদ্ধ শব্দটি ১৯৪৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত আমেরিকা এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে কুটনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক বর্ণনা করতে ব্যবহার করা হতো।
এই দীর্ঘ সময় তারা নিজ নিজ রাষ্ট্রের আদর্শ স্থাপনের জন্য পরোক্ষভাবে লড়াই করে গেছেন নানা রকম হুমকি, সামরিক শক্তি বৃদ্ধি, গোয়েন্দা তৎপরতা, মহাকাশ গবেষণা, আর বিভিন্নদেশে নিজ নিজ আদর্শ স্থাপনার নামে কুটনৈতিক ও সামরিক হস্তক্ষেপ প্রভাবিত করে। স্নায়ু যুদ্ধ রক্তক্ষয়ী নয়, এই যুদ্ধে কখনো শান্তি সম্ভাবনা ভেস্তে যায় না, আর দুটি দেশের সৈন্যবাহিনী প্রকৃত যুদ্ধে জড়িয়ে না পরে সবসময় একটা স্নায়ু চাপের মাঝে থেকে একে অপরকে পাহারা দেয় আর সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে থাকে। মার্কিন সোভিয়েত স্নায়ু যুদ্ধের সময় বিশ্ব স্পষ্টত বিরোধিতা পূর্ণ দুটি ব্লক এ বিভক্ত ছিল এবং দুটো ব্লকের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক একটি জটিল প্যাটার্ন সামঞ্জস্য লড়াই আর অবিশ্বাস নিয়ে থাকত সবসময়।
স্নায়ুযুদ্ধের সময় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ & সোভিয়েত গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির বিশ্বব্যাপী তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। তবে সিআইএর দাদাগিরি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। এক লেখক চমৎকার বর্ণনা দিয়ে বলেছেন, ‘আপনি জানবেন না অথবা বুঝবেন না, আপনি যাকে সবচেয়ে আপন এবং বিশ্বস্ত মনে করেন, তিনি একজন সিআইএ’র হয়ে কাজ করছেন। আর এমনও হতে পারে, সেই ব্যক্তিটি আন্তরিকভাবেই জানে সে সিআইএ’র লোক নয়।
সিআইএ সেসময়ে এমন এমন গোয়েন্দা তৈরি করেছিল যারা কট্টর কমিউনিস্ট সেজে ঢুকে পড়েছিল সোভিয়েত রাজনীতিতে। তৃণমূল থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে তাদের ছিল অবাধ বিচরণ। কেউ বুঝতে পারেনি এরা সিআইএ। সুই হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বের হওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের এবং শেষে সফলতা পেয়েছিল। এমন কমিউনিস্ট সেজেছিল যে, কিসের লেনিন, কিসের স্ট্যালিন, কিসের সেই ক্রুশ্চেভ, তাদের থেকেও বড় কমিউনিস্ট!!
ইরানি বিপ্লবের নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে পত্র দিয়ে বলেছিলেন, কমিউনিজম বা সমাজতন্ত্রকে জাদুঘরে পাওয়া যাবে। বাস্তবে নয়। তার অল্প কিছু দিনের মধ্যেই ইয়েলৎসিনের উত্থান হয় এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মানচিত্র মুছে যায়।
তাহলে বরিস ইয়েলৎসিন কি সিআইএ'র এজেন্ট ছিল??
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৬
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×