আরবি-ভাষীদের উচ্চারণে- আল্ হাম্দু লিল্লাহ্
------------------------------------------------------------------------
অন্যদের দোষগুলো খুঁজে খুঁজে ধ’রে ধ’রে বেড়ানোর মতো বিশাল শয়তানি দায়িত্ব আমার ওপরে চাপানো হয়নি, আমাকে যে দায়ভারে অন্যদের ভারবাহী কোনো গাধার মতো ভারাক্রান্ত করা হয়নি, তাতেই আল্ হাম্দু লিল্লাহ্।
এছাড়া অন্য কোনো বস্তু বা বিষয়, আমার বোধনের প্রাপ্তির বা অপ্রাপ্তির তালিকায় আজও ঢোকেনি, যেগুলোকে অর্জনের মধ্যে পাওয়াতে বা না-পাওয়াতে, আমি স্বেচ্ছায় মানবিক মুক্তমনে বিধাতার প্রশংসা গাইতে পারি।
বরং, নিজের দোষগুলোকে শোধরানোর চেষ্টায় ব্যস্ত থাকাতে, নিজের এবং পরিবেশের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনকালে, যেই বিশাল আনন্দঘন অভিজ্ঞতায় আমি আজকের মতো সমৃদ্ধ তা’ প্রকাশ-অসম্ভব, অবর্ণনীয়। সকল প্রশংসার গতিমুখটি সর্বময় গৌরবান্বিতের দিকে।
বিধাতাকে, তথা- সত্য, সুন্দর, মহান কিছুকে, পায়ের নিচে ফেলে পিষে ধ্বংস ক’রে ফেলেছে,- এমনও কোনো দাবি নিয়ে কোনো ব্যক্তি যদি মহানন্দে দাপিয়ে বেড়াতে বেড়াতে,- এমনকী, কখনো আমার ওপরে হুমড়ি খেয়ে পড়ে, তখন তাকে আমি ক্ষমাও করতে পারি। আর তাকে যদি আমি দেখি উল্লাসে ক্লান্ত, আমার আত্মসংশোধনী অস্ত্রগুলো তার ওপর প্রয়োগ না-ক’রে, এবং, তখনো আমি তার কোনো দোষ না-ঘেঁটেই, তাকে ছেড়ে দিতে পারি। তাকে সসম্মানে বিদায় করার অধিকারটুকু ধর্মের বিধাতা আমার কাছ থেকে আজও কেড়ে নেয়নি। উল্লাসের ক্লান্তিতে সে যদি ক্ষুধায়-পিপাসায় কাতরায়, আমার কাছে করুণা ভিক্ষা না-করলেও, তার বরাদ্দ হিসেবেই আমার কাছ থেকে সে খাদ্য-পানীয় পাবে, এবং ঐ নিস্তেজ ব্যক্তি তা’ পাবে তার পদপিষ্ট অপদস্থ বিধাতার নির্দেশের অনুমোদনের মাহাত্ম্যের সমর্থনেই। এজন্যেও প্রশংসিত বিধাতার কীর্তন প্রকাশনায়, বাংলায় বিধাতার গুণ-গৌরব গাওয়ার মতোই, আরব্য ভাষাতে আরবীয়দেরও উচ্চারণ- আল্ হাম্দু লিল্লাহ্।
নিজের দোষ ঘেঁটে দেখার সাথে সাথে অন্যদেরও,- সংখ্যায় খুব বেশি নয়, বরাদ্দে স্বর্গীয় শান্তিকে অর্জন করতে চাইলে, প্রতিদিন কমপক্ষে তিন জনের দোষ খুঁজে বের করতেই হবে,-এমন ঝুঁকিপূর্ণ জঘন্য বিধান, বিধাতার সত্যজ্ঞানে কোনো ধর্মে রাখলে সেই ধর্ম শয়তানিগুণে ঘৃণ্য হিসেবেই বিবেচিত হবে জন্যে, তা’ রাখা হয়নি। সেজন্যেও ধর্মের মহিমার গুণ-কীর্তন, সেজন্যেও মাখরাজি উচ্চারণে- আল্ হাম্দু লিল্লাহ্।
একজনেরটা খুঁজতেই যেমন মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হয়, সেখানে নিজের ছাড়া অন্য কারো দোষ আবিষ্কার করাটাকে কেউ যদি ধার্মিকের কাজ হিসেবে চালানোর শয়তানি বুদ্ধি যোগায়, তার আচরণের প্রতি লক্ষ্য রেখে, তাকে এড়িয়ে চলাটাও, প্রত্যেক অঞ্চলের ধর্মের বিধানে ধার্মিকের কর্তব্য হিসেবেই রাখা আছে। এজন্যেও মানবিক আন্তরিকতায়, সকল গুণধারীর গুণকীর্তন।
*****
অন্যদের দোষগুলো ঘেঁটে ঘেঁটে ধ’রে ধ’রে বেড়ানোর মতো বিশাল দায়িত্ব আমার ওপরে চাপানো হয়নি, আমাকে যে শয়তানি দায়ভারে অন্যদের ভারবাহী কোনো গাধার মতো ভারাক্রান্ত করা হয়নি, তাতেই আল্ হাম্দু লিল্লাহ্।
দর্শক : আখতার২৩৯
Audio Link - Aal HaamDuLillah // আরবি-ভাষীদের উচ্চারণে
অন্যায় বলতে আমি যতদূর বুঝি.. ..
আরবি-ভাষীদের উচ্চারণে- আল্ হাম্দু লিল্লাহ্
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৪:১৫