মরার আগে একটা মাত্র ইচ্ছে পূরণ করতে পারবে। কি খেতে চাও?
সে খুব চিন্তায় পড়ে গেল। কি খাওয়া যায়?
স্টারের লেগরোস্ট? নাকি নান্নার কাচ্চি?
ভাবতেই জিবে জল চলে এলো। কতদিন লেগরোস্ট খাওয়া হয় না!কাচ্চি আর লেগরোস্টের কম্বোটা জোস হয়।খাওয়ার পরে একবাটি ফালুদা। অনেকখানি বরফ দিয়ে।এতোটা ঠান্ডা হবে যাতে দাঁত কনকন করে। ফালুদার কথা ভাবতেই মনে পড়ে বিউটি লাচ্চির স্পেশাল ফালুদার কথা। ফালুদা যদি খেতে চায় তবে বিউটির স্পেশালটাই খাওয়া উচিত।তার আগে বিসমিল্লা কাবাব থেকে বেশ করে এক পেট বটি কাবাব আর পরোটা খেয়ে নিতে হবে।আর সব শেষে ফিনিশিং দিতে হবে একটা শাহী পান দিয়ে। পানের খিলিটা মুখে নিয়ে আস্তে আস্তে চিবুতে হবে। তখনো মুখে ফালুদার স্বাদ লেগে আছে। এমন সময় আস্তে আস্তে পানের রস বেরুবে মুখে। দুটোর মিশ্রণে এক অদ্ভুত স্বাদ তৈরি হবে। যে স্বাদের উৎস যেনো এই পৃথিবীতে না।
আচ্ছা মরার পর কি এসব স্বাদ নেয়ার কোন সুযোগ থাকবে? তার আত্মাটা কোথায় থাকবে?ইল্লিনে না সিজ্জিনে? বেহেশতে গেলে নিশ্চই এসব ট্রাই করার সুযোগ থাকবে।
স্রষ্টা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে সেখানে ইচ্ছেপূরনের সুযোগ থাকবে।
আচ্ছা থাক ,আপাতত এখনকার হিসাব করা যাক। আম্মুর হাতে বানানো খিচুড়ি খেতে চাইবে। সংগে জলপাইয়ের আচার। গরম গরম খিচুরির সাথে জলপাইয়ের আচার ভালই লাগে।আমের আচার হলেও চলবে।নাহ! আম্মু এখন অনেক দূরে। এতদূর থেকে আসতে আসতে হয়ত আমার মরার সময় হয়ে যাবে। আর তখন হয়ত আম্মু আর কখনো খিচুরিই খাবে না। শহিদ আজাদের মায়ের মত। সন্তান ভাত খেতে চেয়েছিল ।কিন্তু পারে নি বলে মা বাকি টা জীবন ভাত না খেয়েই কাটিয়েছে।সবার মা তো এমনিই। পৃথিবীতে এই একটা জিনিসই হয়ত ইউনিভারসল।
থাক্, এত খেয়েদেয়েই বা লাভ কি। মরেই তো যাব।
তারচেয়ে বরং একগ্লাস পানি খাই............
শারাবান তহুরা নিয়েই হয়ত কেউ অপেক্ষাই করছে
রিস্কটা নিতে দোষ কি!!!
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১