অত টাই রক্তিম টুপ করে ডুবে যাওয়া সূর্যকে
আমি ডাকি “অরুণাভ “
বছরের সুদীর্ঘ তম হিমায়িত রাত্রি'তে শিহরণ ;
আনন্দের ফল্গুধারা আর থাকে লজ্জার লালিমা হয়ে ।
টুপটাপ নিমগ্নতায় যখন লেবুপাতা আর চাঁপা'তে সখ্যতা হয়
সেও ঠিক নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাস ডোবায় ,হয় অনুরণন।
শোন আমি তাকে ডাকি “অরুণাভ”।
অঁজলিতে কন্ঠের শব্দ শিশিরে চাতক জল তৃষ্ণা মেটায়
আঙুলের ভাঁজ পউসি ফুল সম বিহবল করে ;
সেই সে প্রথমের মত করেই অগোছালো দ্রুততায়।
আমি ভাসি আমি ডুবি অবগাহনে;
আশ্চর্য ঊর্মি ‘র সেই অরুণাভ তে।
অথৈ অচলে নরম হয়ে আসে আলো
নত হয় আকাশ সাথে আসে নিসচুপে কিছু গাঢ় অন্ধকার;
কতদিন ভেবে থাকা নোনতা বুকের গন্ধ লাগে নাকে
আজন্ম বিবাগী হয়ে ছুঁয়ে দেই কামনার মহুয়া।
ঘুঘু বুকে থাকে শুধু একটাই স্বর
উর্বশী রাতের মায়ায় ।
অই মুঠো ভরা নীল চুড়ি প্রেম বেঁধে রাখে তার নীল কেয়ূরে
কিছু শব্দ জলতরঙ্গ টুং টাং আবেশিত উইন্ডচাইম সুর ;
শুক্তি 'তে লুকানো খোয়াবের আঁচল মেলে ডেকে চলে সমুদ্র শয্যা
সহস্র কালের জমা কথকতার হিমবাহ নামে ঢালে বেয়ে;
আর ! ভৈরব পার হয়ে আশা-টোড়ি বাঁধে তার চুপিচুপি ঊষা।
সহ ব্লগার সবার জন্য নতুন বছরের শুভেচ্ছা !
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৬