somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মিথ্যে অপবাদের দায়মুক্তি!

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



কৃত্তিকা ত্রিপুরা ওরফে পুণাতি ত্রিপুরার বয়স মাত্র ৯ বছর ছিল। এইটুকু বয়সেই, তাকে যে বীভৎস এবং ভয়াবহ নৃশংসতার শিকার হতে হয়েছে, তার নজির জানা নেই – বাংলাদেশে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়ার দুরাশা করছি না, বিশেষত পার্বত্য চট্টগ্রামেতো নয়ই।

পাহাড়ের গণ্ডি পেরিয়ে এই নৃশংসতা আর প্রতিবাদের আওয়াজ সমতলের মানুষের কাছেও পৌঁছে যায়। স্বাভাবিকভাবেই, সকল সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এই অবর্ণনীয় নৃশংসতার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে এসেছিল। আর, আমাদের দেশের মানুষের ঐতিহ্য এবং চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সবাই এই ঘটনার নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছিল। সেই প্রতিবাদের লক্ষ্য কোন দল বা গোত্র ছিল না। বরং অন্যায়ের আর নৃশংসতার প্রতিবাদ করে, অপরাধীর শাস্তি দাবী করা হয়েছিল।



গত ২৮ জুলাই যে নৃশংসতার সাথে কৃত্তিকা ত্রিপুরাকে হত্যা করা হয়েছিল, তা ভুলে যাওয়ার আগেই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ রবেন্দ্র ত্রিপুরা ওরফে শান্ত নামের একজনকে গত ১ সেপ্টেম্বর তারিখে গ্রেফতার করেছে। বাংলাদেশ পুলিশকে অসংখ্য ধন্যবাদ – এমন দক্ষতার পরিচয় দেয়ার জন্যে। আমরা গর্বিত এমন পুলিশ বাহিনীর কর্মদক্ষতায়।

পুলিশের পক্ষে এ কাজটি সহজ ছিলো না। কারণ, এই ঘটনার পর স্থানীয়ভাবে পাহাড়ীরা বাঙালিদের নাম উল্লেখ করে বিচার দাবী জানিয়েছিল। সেই দাবী অনুসারে পুলিশ চার বাঙালি সদস্যকে গ্রেফতারও করেছিল। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোনো তথ্য পায়নি এই হত্যাকান্ডের ব্যাপারে। এরপর পুলিশ অধিকতর তদন্তে নামে এবং কিছু সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে রবেন্দ্র ত্রিপুরাকে আটক করলে আসল সত্য বেরিয়ে আসে।

পার্বত্যনিউজের সংবাদে ( ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮) জানতে পারলাম যে, “কৃত্তিকা ত্রিপুরা হত্যার আগে নয়মাইল এলাকার মৃত নরোত্তম ত্রিপুরার ঘরে বসেই চাঁদা উত্তোলন করতো শান্ত। কৃত্তিকা ত্রিপুরার মা অনুমতি ত্রিপুরা তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার কারনেই ক্ষুব্ধ হয়ে কৃত্তিকা ত্রিপুরাকে হত্যা করে এবং ঘটনা ঘটানোর পর কাউকে না জানানোর জন্যে হুমকি প্রদান করা হয়।“

সংবাদে পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে আরো জানানো হয়েছে যে, “ঘটনার দিন দুপুর ২:৩০ মিনিটে টিপিন পিরিয়ডে বাড়ি যাওয়ার পর ৩:০০টার দিকে হত্যার স্বীকার হয় কৃত্তিকা ত্রিপুরা। কিন্তু খাগড়ছড়িতে একটি সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখা যায় ওইদিন দুপুর ২:৩৮ মিনিটে আটক তিন বাঙ্গালী যুবক জেলা সদর থেকে মোটরবাইক যোগে দীঘিনালার উদ্দেশ্য রওয়ানা দিয়েছেন। এত অল্প সময়ের মধ্যে ধর্ষণ এবং হত্যা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। ….গত ২০ আগস্ট পাওয়া ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণের কোন প্রকার আলামত পাওয়া যায়নি। জিজ্ঞাসাদে শান্ত আরো জানায়, এ হত্যাকাণ্ডে তিনজন সহযোগী ছিলো, তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।“

মুদ্রার অপর দিকের মত, এই ঘটনারও আরেকটি দিক রয়েছে। যা হয়ত, আমাদের অনেকই অবগত নন। যে দিকটি যতটা না দোষের তার চেয়ে অনেক বেশী লজ্জার।



নিতান্তই মর্মান্তিক হলেও সত্যি যে, এই ঘটনার পরপরই পার্বত্য অঞ্চল ছাড়াও দেশের অন্যান্য জায়গা থেকেও বাঙালীদের দায়ী করে বিভিন্ন ধরণের অপপ্রচার চালানো হয়। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনজন বাঙ্গালীর নাম-পরিচয় প্রকাশ করে তাদেরকে এই ঘটনায় জড়িত দাবী করে কিছু পোস্ট দেয়া হয়।
চিরাচরিত চর্চা অনুযায়ী এই পোস্টে বিভিন্ন ধরণের কমেন্ট/রিএকশন চলতে থাকে। অবশ্য পুলিশ ঐ তিনজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে জেলে পুরতে দেরী করেনি।



আজ, এতদিন তাদের জেল খাটার পরে, আমরা জানতে পারলাম যে, তারা এই ঘটনায় জড়িতই ছিল না। তাহলে, ঘটনার অব্যবহিত পরেই যারা উচ্চকণ্ঠে দোষী বাঙালীদের ফাঁসি দাবী করেছিলেন, তারা এখন কি করবেন? যারা নিরীহ এক মহেন্দ্র চালককে এমন এক জঘন্য ঘটনার জন্য দোষী দাবী করে তার ছবিসহ নাম-পরিচয় ফেসবুকে দিয়ে দিলেন, তাদেরকে আমরা কি বলতে পারি?

যে সব সুশীল এবং বাঙালি তাদের বন্ধুদের কথায় ফেসবুকে পাহাড়ের বাঙালিদের খেদাতে চেয়েছিলেন, তারা কি পাহাড়ের উপজাতিদের বিরুদ্ধে টু শব্দ করার মত নৈতিকতা (দেখানোর জন্যে হলেও) দেখাবেন? যাদের কাছ থেকে তথ্য পেয়েছিলেন, সেই সব বিশ্বাসী বন্ধুদের জিজ্ঞেস করতে পারবেন, কেন মিথ্যে তথ্য দেয়া হয়েছিল?

অথবা পার্বত্য চট্রগ্রামে ধর্ষণ বন্ধ করতে যারা পাহাড়ের বাঙালীদের — কেটে ফেলার দাবী জানিয়েছিলেন, তারা কি এখন পাহড়ের অ-বাঙ্গালিদেরটা কেটে ফেলার দাবী জানাবেন?
আর, যে সব সংবাদপত্রে লেখা হয়েছিল যে, তাকে ধর্ষণের পরে হত্যা করা হয়েছিল। তারা কি কখনো জানাবেন যে, তারা ভুল করেছিলেন ? তারা কি সঠিক তথ্য প্রকাশ করে নিউজ করবেন?



যারা পার্বত্য চট্টগ্রামের ঘটনাবলির উপর নজর রাখেন, তারা সকলেই ইতি চাকমার হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি নিশ্চয় ভুলে যাননি। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখ রাতে খাগড়াছড়ি শহরের আরামবাগ এলাকার বাসায় সরকারি কলেজের ছাত্রি ইতি চাকমার গলা কাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় দুলাভাই অটল চাকমা। হত্যাকাণ্ডের অব্যবহিত পরেই শুরু হয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস বর্জন, কালো ব্যাজ ধারণ, মানববন্ধন, আলোচনা সভা, প্রতিবাদ মিছিল ইত্যাদি যা শুধু খাগড়াছড়িতে সীমাবদ্ধ থাকেনি। বরং ছড়িয়ে পরেছিলো ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানেও।

বিশেষ করে, সোশ্যাল মিডিয়াতে বাঙ্গালিদের দায়ী করে প্রচুর পোস্ট ছড়িয়ে পরে। একদম শুরু থেকেই কোন রকমের বাছ বিছার না করেই, এ হত্যাকাণ্ডের জন্যে বাঙালীদের দায়ী করে ফেসবুকে উস্কানিমূলক পোস্ট দেয়া শুরু হয়। হাস্যকর হলেও সত্যি যে, এক বাঙালির সাথে ইতি চাকমার কিছু ছবি ফেসবুকে দিয়েও এ ঘটনার সাথে বাঙ্গালিদের দায়ী করা হয়।

এখানেই শেষ নয়, অনলাইনে এমন দাবিও করা হয় যে, ইতি চাকমাকে গণ ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে এবং এই হত্যাকাণ্ডের জন্যে ‘বাঙালী মুসলিম স্যাটেলার’রা দায়ী। আরো দাবি করা হয় যে, “বাংলাদেশ ধর্ষণ ও জবাইকারীদের দেশ। এর আগেও অনেক আদিবাসী নারীকে বাঙালী মুসলিম স্যাটেলাররা গণধর্ষণ ও জবাই করে হত্যা করলেও তার কোনো বিচার হয়নি।” বাঙ্গালিদের কপাল ভালো যে, পুলিশ ইতি চাকমার খুনি তুষার চাকমাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে এবং সে স্বীকার ও করেছে যে, কোন বাংগালী নয় বরং ৫ জন চাকমা যুবক এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

ঠিক একই রকম আরো অনেক ঘটনা আছে। ইতি চাকমার ঘটনার মত লম্বা বর্ণনাতে না গিয়ে বরং সংক্ষিপ্ত ভাবেই সামনে নিয়ে আসি। এখানে বালাতি ত্রিপুরার কথা উল্লেখ করা যায়। খাগড়াছড়ির পানছড়ির বালাতি ত্রিপুরাকে খুনের দায়ে তিন বাঙ্গালিকে দোষারোপ করে শুরু হয় বাঙালি বিদ্বেষী প্রচারণা। পরে জানা যায়, কোন বাংগালি এই খুনের সাথে জড়িত নয় বরং এই খুনের মূল নায়ক কার্বারী সাধন ত্রিপুরা নামের এক পাহাড়ি।

বিশাখা চাকমার নাম হয়ত অনেকে ভুলে গিয়ে থাকতে পারেন। রাঙ্গামাটির এক শো রুমের বিক্রয়কর্মী, কাজ শেষে বাসায় যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয় এবং পরবর্তীতে কাপ্তাই হ্রদে তার বস্তাবন্দি লাশ পাওয়া যায়। যথারীতি শুরু হয় বাঙ্গালিদের দায়ি করে প্রচারণা-সমাবেশ-মানববন্ধন। যার সমাপ্তি ঘটে তখনি, যখন প্রমাণিত হয় যে, তার স্বামীর উপস্থিতিতে অন্য পাহাড়ি দুষ্কৃতিকারীরাই তাকে ধর্ষণ ও হত্যা করেছে।

বান্দরবানের রোয়াংছড়ির বাঙালি কাঠুরিয়া মুসলিম উদ্দিনকে পাহাড়িরা পিটিয়ে মেরেই ফেলে। কারন, মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত তাকে দিয়ে প্রমাণ করাতে পারেনি যে, ব্র্যাক এনজিওর আনন্দ স্কুলের শিক্ষিকা উ প্রু মারমাকে সে ধর্ষণ করেনি, হত্যা করাতো দুরের কথা। অথচ, পরবর্তীতে বিজয় তঞ্চঙ্গ্যা নামের একজনের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়।

সবিতা চাকমার কথা অনেকের মনে আছে। খাগড়াছড়ির কমলছড়িতে নিজ বাড়ির পাশের ক্ষেতে তার লাশ পাওয়া গিয়েছিল। এরপর যথারীতি শুরু হয় বাঙ্গালী বিদ্বেষী প্রচারণা। বাঙালি ট্রাক ড্রাইভার আর হেলপার কর্তৃক গণধর্ষিত হয়ে সে মারা গেছে – এমন দাবি তুলে পাহাড়িরা ব্যাপক প্রচারণা, প্রতিবাদ, মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে। অথচ, ময়নাতদন্ত ও সুরতহাল রিপোর্টে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।

প্রশ্ন উঠতে পারে, পুলিশ যদি ইতি চাকমার আসল খুনিকে ধরতে না পারতো, তাহলে আজীবন পাহাড়ের বাঙ্গালীদের এই হত্যার দায় বয়ে বেড়াতে হতো কিনা? যেমনটি হচ্ছে, কল্পনা চাকমার নিখোঁজ হওয়া নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে। ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় এটা পরিষ্কার অনুমেয় যে, তৎকালীন ভোটের রাজনীতি আর চির প্রচলিত পাহাড়িদের অন্তর্দ্বন্দ্বের বলি কল্পনা চাকমা।

একইভাবে বিলাইছড়িতে জেএসএস সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত সেনাবাহিনীর কম্বিং অপারেশন থামিয়ে দিতে দুই মারমা কিশোরী বোনকে নোংরা রাজনীতির যুপকাষ্ঠে তোলা হয় এবং সম্প্রতি লামায় বিজিবি ক্যাম্প সরিয়ে দিতে একইভাবে দুই মারমা বোনকে দিয়ে ধর্ষণের নাটক সাজানো হয়। দুই ক্ষেত্রেই তদন্তে ও ডাক্তারী পরীক্ষায় ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। পাহাড়ী মেয়েদের নিয়ে উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের জটিল রাজনীতির নোংরা হাতিয়ার বানানোর এ দৃষ্টান্ত অনেক দীর্ঘ।

বিস্ময়কর ব্যাপার হলো- উপরের ঘ্টনাসমূহের তদন্তে যখন স্বজাতির সদস্যদের নাম তদন্তে প্রমাণিত হয় তখন কিছু এই সব সোচ্চার উপজাতীয় সংগঠনগুলো খামোশ মেরে দেখেও না দেখার ভান করে চুপটি মেরে থাকে। এখানে উল্লেখ্য যে, এ সকল সাম্প্রদায়িক ও সেনা বিদ্বেষী প্রচারণার সাথে সাধারণ পাহাড়ী জনগণের কোনো সম্পর্ক ও সম্পৃক্ততা কোনো কালেই ছিল না। এ সব বিষয় নিয়ে সব সময় মাঠ গরম করে থাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী পাহাড়ী সংগঠনগুলো ও তাদের সমর্থকেরা।

পার্বত্য চট্টগ্রামে আসল ঘটনা আড়াল করে, সম্পূর্ণ ভিন্ন কিছু উপস্থাপন করা নতুন কিছু নয়। কিছু পাহাড়ি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী অনেকদিন ধরেই এমনটি করে আসছে। এমনকি লংগদুর ঘটনাতেও বরিশালের ও টঙ্গীর অগ্নিকাণ্ডের ছবি এবং গাইবান্ধার সাঁওতাল পল্লীর ছবি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যবহার করা হয়েছে– দেশে এমনকি বিদেশে পর্যন্ত। এই ধরনের ভিন্ন উপস্থাপনায় অনেকেই বিভ্রান্ত হয়েছেন, এখনো হচ্ছেন।

নির্মম সত্য হল, প্রকৃত সত্য বের করে দেশবাসী বা বিশ্ববাসীকে তা জানানোর আগেই পাহাড়িরা উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদকে ভাইরাল করে ফেলে ওয়েব সাইটের কল্যাণে। প্রতিবাদে কৃত্তিকা ত্রিপুরা, ইতি চাকমা, বালাতি ত্রিপুরা, বিশাখা চাকমা, উ প্রু মারমা বা সবিতা চাকমার ঘটনার মতো করেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস বর্জন, কালো ব্যাজ ধারণ, মানববন্ধন, আলোচনা সভা, প্রতিবাদ মিছিল, স্মারকলিপি প্রদান, মোমবাতি প্রজ্জলন ইত্যাদি চলতে থাকে; যা ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানেও ছড়িয়ে পড়ে – এমনকি দেশের বাইরেও। এর সাথে আমাদের সমাজের অনেক সম্মানীয় ব্যক্তিও দুই-চারটা বক্তৃতা বিবৃতি দিয়ে দেন অবলীলায় - উনাদের সহমর্মিতা প্রকাশ করা বা অন্য কোন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য।

সময়ের পরিক্রমায় যখন প্রকৃত সত্য উন্মোচিত হয়, ততদিনে রটনা যা রটার তা রটে গেছে, দুর্নাম যা হওয়ার হয়ে গেছে। যে উৎসাহ আর প্রাচুর্যের সাথে মিথ্যে অপবাদ প্রচারের সুনামি বইয়ে দেয়া হয়, পরবর্তীতে দীর্ঘ তদন্তে উন্মোচিত প্রকৃত সত্য প্রচারে ঠিক ততটাই অনীহা চোখে পড়ে । তাই মিথ্যে অপবাদে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তির দায়মুক্তির সুযোগ নিতান্তই কম থাকে। চূড়ান্তভাবে ঐ নির্দোষ ব্যক্তিকে অহেতুক অনেকের চোখেই দোষী হিসেবে বিবেচিত হতে হয়, আজীবন।

পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাস মোকাবেলায় এ এক নতুন ডাইমেনশন দেশবাসী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সামনে উপস্থিত হয়েছে- যা মোকাবেলার উপায় ও পন্থা সম্পর্কে গভীরভাবে ভাবনার অবকাশ রয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০৫
৭টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×