somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হজের দিন/তারিখ নিয়ে তেলেসমাতি-

১৪ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


মি.মজ বাসার বলেছেন-
হজ্জের তারিখ কবে?
কোরান ঘোষিত হজ্জের তারিখ জিল হজ্জ মাসের ১ থেকে ৩ তারিখের মধ্যে নির্ধারিত। কিন্তু শরিয়ত ইহা প্রত্যাখ্যান করত: আপন খেয়াল-খুশী মত ৯ থেকে ১২ তারিখ হজ্জের দিনক্ষণ পরিবর্তন করে:

[২: ১৮৯] লোকে তোমাকে নুতন চাঁদ সম্বন্ধে প্রশ্ন করে; বল! উহা মানুষের হজ্জ ও তার সময়ক্ষণ নির্ধারক-।
উল্লিখিত আয়াতে বর্ণিত ‘লোকে তোমাকে নুতন চাঁদ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করে! আয়াতে ব্যবহৃত ‘আহেল্লাত’ শব্দটি ‘আল-হেলাল’ এর বহুবচন; মাসের ১লা থেকে ৩ তারিখ পর্যন্ত ‘আহেল্লাত’ বলা হয় এবং ঐ সম্বন্ধেই প্রশ্ন করা হয়েছে; কামার বা চাঁদ সম্বন্ধে প্রশ্ন করেনি। উত্তরে বলা হয়েছে যে ‘আহেল্লাত’ এ মানুষের হজ্জের দিন-ক্ষণ ধার্য করা হয়েছে।

হেলাল ক্রিসেন্ট অর্থ চাঁদ নয় বরং নুতন চাঁদ; প্রতিপদ বা প্রথমা থেকে দ্বিতীয়া, তৃতীয়া পর্যন্ত ধরা হয়। আরবে আজও মাসের ১লা থেকে ৩ তারিখ পর্যন্তকে ‘আহেল্লাত’ বলে। অতএব হজ্জের নির্দিষ্ট দিন-তারিখ নি:সন্দেহে মাসটির প্রথম ৩ দিন; আল্লাহর এই নির্ধারিত তারিখ খন্ডন করার শক্তি-যুক্তি বিশ্বের কারো নেই! অথচ কোরানের প্রতি বৃদ্ধাংগুলি প্রদর্শন করত শরিয়ত নিজস্ব মতে ৯ - ১২ তারিখে প্রতিষ্ঠা করে। আর বিশ্বের দেড় বিলিয়ণ মুসলমানগণ তা বিনা বাক্যে অনুসরণ করছে!
………………………………………………………………


আমার জবাব-
মজবাসার সাহেব হজের তারিখ নিয়ে যে বক্তব্য রেখেছেন তা মোটেই সঠিক নয়। না বুঝেই হোক বা অজ্ঞানতার কারনেই হোক, তিনি ভুলে ভরা আবেগপ্রসূত যেসব যুক্তি দিয়েছেন তা তুলে ধরে সত্যকে প্রকাশ করার জন্য আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। স্পষ্ট ভাষায় বলছি, ১ থেকে ৩ নয়, রাসূল (সাঃ) ৯ থেকে ১২ জিলহজ্জ হজ করেছেন। এখন বাকিটা তার মর্জি ও মহান আল্লাহতায়ালার ইচ্ছার উপরেই ন্যস্ত করতে চাই।

আল-কোরআন- সূরা আল বাক্বারাহ ( মদীনায় অবতীর্ণ )
(০২:১৮৯) অর্থ- তোমার কাছে তারা 'আল-আহিল্লাতি' (the new moons) (চাঁদের 'বর্ধিঞ্চু দশাগুলো'/'ওয়াক্সিং ক্রিসেন্টগুলো') সম্পর্কে জানতে চায়; বল, এগুলো ('মাওয়াকিতুন' অর্থ 'সময়- বহু'/ একবচনে 'মিকমাতু') কালসমূহ/নির্দিষ্ট সময়ের (বহু) নির্দেশক (indicators of periods) মানুষের জন্য এবং হজেরও (সময় নির্দেশক)। আর এটা ধার্মিকতা নয় যে, পেছনের দিক দিয়ে ঘরে প্রবেশ করবে। ধর্মিষ্ঠ হল সে, যে আল্লাহকে ভয় করে এবং ঘরে প্রবেশ করে সদর দরজা দিয়ে। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।

'হিলা-লুন' অর্থ 'নুতুন চাঁদ'- 'আল-কাওসার'- 'আধুনিক আরবী- বাংলা অভিধান'- মদীনা পাবলিকেশান্স।

Noun
( الْأَهِلَّةِ) (l-ahilati) - the new moons

'মাওয়াকিতুন' অর্থ 'সময়- বহু'/ একবচনে 'মিকমাতু'- 'কোরআনের অভিধান'- ৩৪০ পৃষ্ঠা- মুনির উদ্দীন আহমদ।

Noun
( مَوَاقِيتُ)-( mawāqītu) - (are) indicators of periods

পৃথিবীর উপগ্রহ অর্থাৎ চাঁদ একটাই। আবার পৃথিবীটা সমতল নয়, বরং গ্লোব আকৃতির হওয়ায় একই চাঁদকে বিভিন্ন সময়ে একেক স্থান থেকে 'বর্ধিঞ্চু দশা'/'ওয়াক্সিং ক্রিসেন্ট'' রূপে বহু বার উঠতে দেখা যায়। আর এগুলোকে দেখেই মানুষ, বিশেষ করে মুসলিমরা সময়ের হিসেব করে এবং বিভিন্ন নির্দিষ্ট কাল/সময় (বহু)অর্থাৎ (চন্দ্র-পঞ্জিকা অনুসারে) আরবী দিন, ১২ মাস ও বছরের পর বছর গননা করে আসছে। এভাবে মানুষ ব্যক্তিগত পর্যায়ে দিন, মাস, বছর গননা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয়, আন্তর্জাতিক এমনকি এক একটি মানব জাতিসত্তার নির্দিষ্ট মেয়াদ/কালসমূহ নির্ধারণ করে থাকে। জিলহজ্জ মাসও নুতুন চাঁদের 'বর্ধিঞ্চু দশা'/'ওয়াক্সিং ক্রিসেন্ট'' দেখেই নির্ধারন করা হয়। সুতরাং হজের (৯, ১০, ১১, ১২) দিনগুলোর হিসাবও জিলহজ্জ মাসের 'বর্ধিঞ্চু দশা'/'ওয়াক্সিং ক্রিসেন্ট'' দেখেই এবং সেই সন্ধা থেকে ১লা জিলহজ্জ ধরেই গননা করে নির্ধারন করা হয়ে থাকে।

চন্দ্র-মাসের শুরুতে চাঁদ 'নুতন-রূপে' জন্ম নেয়। জন্মের সময় চাঁদ ও সূর্য পরস্পর খুবই কাছাকাছি থাকে এবং একই সময়ে (horizon) দিগন্তরেখা/চক্রবালের উপরে অবস্থান করে। ফলে সে সময় চাঁদের যে দিকটি পৃথিবীর দিকে মুখ করে থাকে তা ছায়ায় ঢাকা পড়ায় অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে এবং পৃথিবী থেকে দৃষ্টিগোচর হয়না।

New Moon
At new moon, the Sun and the Moon are quite close to each other in the sky. (In fact, the Moon in its new phase will sometimes block all or part of out view of the Sun. This event is called a solar eclipse. The side toward us is in shadow and is dark. Moreover, since the Moon and Sun are so near each other on the sky, they are above the horizon at the same time. Thus the Moon is only in the sky during the day, when the sky is bright--which means a new moon cannot be seen from Earth!

গবেষণায় দেখা গেছে টেলিস্কোপ, বাইনোকুলার ইত্যাদি দূরদর্শন যন্ত্রের সাহায্য নিয়েও নুতন চাঁদ ("new moon") দেখা সম্ভব না। মূলত নুতন চাঁদ জন্মের ১ থেকে ৩ দিনের মধ্যেই পৃথিবীর এক এক স্থানে একই চাঁদের উজ্জল 'বর্ধিঞ্চু দশাগুলো'/'ওয়াক্সিং ক্রিসেন্টগুলো' দৃষ্টিগোচর হতে থাকে। যেমন মক্কায় যদি সূর্যাস্তের ১৫ ঘন্টা পূর্বে নুতন চাঁদের জন্ম হয়, তাহলে তা সেদিন আর দৃষ্টিগোচর হবে না। তবে সেই নুতন চাঁদের 'বর্ধিঞ্চু দশা'/'ওয়াক্সিং ক্রিসেন্ট' পরদিন সূর্যাস্তের পর অর্থাৎ ১৫ + ২৪ = ৩৯ ঘন্টা পরে বা তারও পরে দৃষ্টিগোচর হতে পারে। সুতরাং এ থেকে বোঝা যায় যে, সাধারনত নুতন চাঁদ জন্মের ১ থেকে ৩ দিনের মধ্যে তা দৃষ্টিগোচর হয়ে থাকে। জন্মের নির্দিষ্ট ক্ষণের আগ-পিছ ছাড়াও নুতন চাঁদ দৃষ্টিগোচর হওয়া বা না হওয়ার ঘটনাটি আরও অনেক বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত।

Waxing Crescent Waxing Crescent
As time passes after new moon, the Moon--orbiting counterclockwise around the Earth--moves away from the Sun toward the east from our vantage point, traveling about 12 degrees per day toward the left, as seen from Earth's northern hemisphere. (To help you get a feel for measuring sizes on the sky using degrees, note that the full moon is about half a degree wide. So 12 degrees is about 24 times the Moon's width on the sky.) Two or three days after new moon, a waxing crescent can be seen just to the east (left) of the Sun. It is most easily seen just after sunset, following the Sun closely down toward the western horizon. Notice that the "horns" of a crescent moon always point away from the Sun (alternatively, you can think of a crescent moon as a bow about to shoot an arrow toward the Sun). Also, since the Moon in a crescent phase--either waxing or waning--is close to the Sun on the sky, it can't be above the horizon at night unless it's shortly after sunset or before sunrise. (An exception to this is if you are near the Earth's North or South poles. At those places, near the time of the "midnight sun," it is possible to see the crescent moon above the horizon near midnight.)

নুতন চাঁদ দেখা সম্ভব নয়। আবার প্রতিদিন নুতন চাঁদের একই 'বর্ধিঞ্চু দশা'/'ওয়াক্সিং ক্রিসেন্ট' নয়, বরং ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত অবস্থায় অর্থাৎ প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন মাত্রায় দশাগুলো/ক্রিসেন্টগুলো দৃষ্টিগোচর হতে থাকে। নুতন চাঁদ যেহেতু দেখা সম্ভব নয়, তাই মানুষের জন্য নির্দিষ্ট সময়/কাল গননা ও হজ্জের সময় নির্ধারনের জন্য (০২:১৮৯) নং আয়াতে সরাসরি 'নুতন চাঁদ' অর্থাৎ 'হিলা-লুন' কে নির্দেশ করা হয় নাই। বরং সর্বজ্ঞ মহান স্রষ্টা 'আল-আহিল্লাতি' (the new moons) হিসেবে উল্লেখ করে মূলত নুতন চাঁদের 'বর্ধিঞ্চু দশাগুলো'/'ওয়াক্সিং ক্রিসেন্টগুলোর' প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছেন এবং যা অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত হয়েছে। তাই নুতন চাঁদ জন্মের এই ১ থেকে ৩ দিনের মধ্যে নুতন চাঁদের 'আল-আহিল্লাত'/'বর্ধিঞ্চু দশাগুলোর'/'ওয়াক্সিং ক্রিসেন্টগুলোর' মধ্যে যে 'দশা/ক্রিসেন্টটি' যেদিন দৃষ্টিগোচর হবে, সেইদিন থেকেই চন্দ্রমাস শুরুর নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং বিভিন্ন হাদিছ থেকেও আমরা সেই নির্দেশনা পাই।

স্বাভাবিক অবস্থায় কোনরূপ ব্যতিক্রম না ঘটিয়ে আল-কোরআনে প্রদত্ত ও রাসূল (সাঃ) প্রদর্শিত নিয়ম ও সময় অনুসারেই হজ সম্পন্ন করা চাই। আল-কোরআনে জিলহজ্জ মাসে হজ সম্পন্ন করার নির্দেশ আছে এবং রাসূল (সাঃ) এই মাসের (৯ থেকে ১২) তারিখে হজ করার পদ্ধতি দেখিয়ে দিয়েছেন। রাসূল (সাঃ) বিদায় হজ্জের পূর্বে জিলক্কদ মাসেই তিনবার ওমরা করেছিলেন। তাছাড়া আল-কোরআনে হজের জন্য নির্ধারিত মাসসমূহে হজ করার এবং অন্য সময় ওমরা করারও বিধান রয়েছে। সুতরাং রাসূলের (সাঃ) শেখান পদ্ধতিতে তা অনুসরন করাই তো বিশ্বাসীদের জন্য অবশ্য কর্তব্য।

'The Book of Pilgrimage (Kitab Al-Hajj)' of Sahih Muslim.
2769: 'A'isha (Allah be pleased with her) said: We set out with the Messenger of Allah (may peace be upon him) just at the appearance of the new moon of Dhu'l- Hijja. We had no other intention but that of performing the Hajj, whereupon the Messenger of Allah (may peace be upon him) said: He who among you intends to put on Ihram for 'Umra should do so for 'Umra. The rest of the badith is the same.

2879: Qatida said that Anas (Allah be pleased with him) had informed him that Allah's Messenger (may peace be upon him) performed four 'Umras, all during the month of Dhu'l-Qa'da except the one he performed along with Hajj (and these are) the Umra that he performed from al-Hudaibiya or during the time of (the truce of) Hudaibiya in the month of Dhu'l-Qa'da then the Umra of the next year in the month of Dhu'l-Qa'da, then the Umra for which b'e had started from ji'rana, the place where he distributed the spoils of (the battle of) Hunain in the month of Dhu'l-Qa'da, and then the 'Umra that he performed along with his Hajj (on the occasion of the Farewell Pilgrimage).

3024: Jabir b. 'Abdullah (Allah be pleased with him) reported: In the year of Hudaibiya (6 H ), we, along with Allah's Messenger (way peace be upon him), sacrificed a camel for seven persons and a cow for seven persons.

'Pilgrimmage (Hajj)' of Sahih Bukhari.
617: Narrated 'Abdullah bin Abbas: The Prophet with his companions started from Medina after combing and oiling his hair and putting on two sheets of lhram (upper body cover and waist cover). He did not forbid anyone to wear any kind of sheets except the ones colored with saffron because they may leave the scent on the skin. And so in the early morning, the Prophet mounted his Mount while in Dhul-Hulaifa and set out till they reached Baida', where he and his companions recited Talbiya, and then they did the ceremony of Taqlid (which means to put the colored garlands around the necks of the Budn (camels for sacrifice). And all that happened on the 25th of Dhul-Qa'da. And when he reached Mecca on the 4th of Dhul-Hijja he performed the Tawaf round the Ka'ba and performed the Tawaf between Safa and Marwa. And as he had a Badana and had garlanded it, he did not finish his Ihram. He proceeded towards the highest places of Mecca near Al-Hujun and he was assuming the Ihram for Hajj and did not go near the Ka'ba after he performed Tawaf (round it) till he returned from 'Arafat. Then he ordered his companions to perform the Tawaf round the Ka'ba and then the Tawaf of Safa and Marwa, and to cut short the hair of their heads and to finish their Ihram. And that was only for those people who had not garlanded Budn. Those who had their wives with them were permitted to contact them (have sexual intercourse), and similarly perfume and (ordinary) clothes were permissible for them.

623: Narrated Anas bin Malik: Allah's Apostle offered four Rakat of Zuhr prayer at Medina and we were in his company, and two Rakat of the Asr prayer at Dhul-Hulaifa and then passed the night there till it was dawn; then he rode, and when he reached Al-Baida', he praised and glorified Allah and said Takbir (i.e. Alhamdu-lillah and Subhanallah(1) and Allahu-Akbar). Then he and the people along with him recited Talbiya with the intention of performing Hajj and Umra. When we reached (Mecca) he ordered us to finish the lhram (after performing the Umra) (only those who had no Hadi (animal for sacrifice) with them were asked to do so) till the day of Tarwiya that is 8th Dhul-Hijja when they assumed Ihram for Hajj. The Prophet sacrificed many camels (slaughtering them) with his own hands while standing. While Allah's Apostle was in Medina he sacrificed two horned rams black and white in color in the Name of Allah."

লোকেরা যে যাই বলুক বা ভাবুক না কেন, এক্ষেত্রে হজের জন্য শুধুমাত্র জিলহজ্জ মাসের ১ থেকে ৩ তারিখের সময় বেধে দেবার কোন সুযোগ নেই। রাসূল (সাঃ) কত তারিখে বিদায় হজ সম্পন্ন করেছিলেন (৯, ১০, ১১, ১২ জিলহজ্জ) তা খুবই স্পষ্ট। প্রথম ক্রিসেন্ট দেখার সাথে সাথে সেদিন থেকেই যদি হজ শুরুর বিধান থাকত তাহলে রাসূল (সাঃ) অবশ্যই তাই পালন করতেন। কিন্তু তিনি বা তাঁর পরবর্তীতে কোন খলিফার আমলেও এমন নজির নেই। যারা কোন হাদিছকেই মানতে চায়না তাদের মনেই জিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখার সাথে সাথেই শুধুমাত্র ১ থেকে ৩ তারিখের মধ্যেই হজ শুরু ও সমাধা করার সময় বেধে দেয়ার মত এরূপ অবান্তর চিন্তা-ভাবনা আসতে পারে।

তবে আল- কোরআনে হজের জন্য যেহেতু নির্দিষ্ট করে কোন দিন/তারিখ উল্লেখ করা নেই, তাই কোন অনভিপ্রেত ঘটনা বা দুর্ঘটনা কিংবা সার্বজনীন কারণে বর্তমানে ও ভবিষ্যতে হজের সময়কে শুধু ৯ থেকে ১২ জিলহজ্জ তারিখের মাঝে সীমাবদ্ধ না রেখে হজের জন্য নির্ধারিত মাস সমূহের মধ্যে তা হেরফের ও সম্প্রসারিত করার সুযোগ রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে রসূলের (সাঃ) শেখান নিয়ম অবশ্যই মানতে হবে। পার্থিব কোন স্বার্থ বা ফায়দা হাসিলের জন্য নয়, বরং বিশেষ পরিস্থিতির কারনে সুষ্ঠভাবে হজ সমাধা করার নেক উদ্দেশ্যে হজের সাথে সংশ্রিষ্ট ও উপযুক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত মহল বিষয়টি সম্পর্কে চিন্তাভাবনা ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন।

সুতরাং সাবধান! হজ সম্পর্কে অযথা এ ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা না করাই ভাল। না বোঝার কারনে এরূপ মতবাদ প্রচার করে থাকলে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সত্যকে অকপটে মেনে নেয়া ও তওবা করে এ ধরনের বিভ্রান্তি থেকে ফিরে আসাই উত্তম।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৩০
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×