"রোযা শুরু হওয়ার কয়েকদিন আগের লেখা"
একদিন স্টুডেন্টকে হঠাৎ করে সলাতের গুরুত্ব সম্পর্কে বলছিলাম। আমার এই অতি ক্ষুদ্র জ্ঞান দিয়ে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করছিলাম নিয়মিত সলাত আদায় করলে পরকালের পাশাপাশি এই ইহকালেও কতটা প্রশান্তি পাওয়া যায়। বেশ কয়েকটা উদাহরনের মাধ্যমে বুঝিয়ে ছিলাম সলাত কিভাবে আমাকে অন্য ধর্ম থেকে আলাদা এবং অসাধারন করে তোলে। হঠাৎ কেন যেন, সেই উদাহরনটা মনে পড়ল।
.
যেভাবে স্টুডেন্টকে বলেছিলাম সেভাবেই বলি....
"মনে কর তুমি আর তোমার বন্ধু সঞ্জয় একসাথে স্কুল মাঠে বসে আছো। এখন তোমার টিফিন চলছে। আর ১০-১৫ মিনিট পর আযান দিবে। ঠিক সেই মুহূর্তে তোমাদের স্কুলে নতুন একজন ধর্মের শিক্ষক আসলেন। যিনি তোমাদের দুইজনের কাউকে চিনেন না। মসজিদে মুয়াজ্জিন অনুপস্থিত থাকায় তার একটা মুসলিম ছেলে দরকার মসজিদে আযান দেওয়ার জন্য। তাই সে তোমাদের দিকে এগিয়ে আসল। আর ঠিক তখনই অন্যান্য মসজিদে আযান দেওয়া শুরু হল। তখন সেই নতুন শিক্ষক কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে তোমদের দুইজনকে লক্ষ্য করলেন। দেখলেন তোমরা আগের মতই আড্ডায় মসগুল আছো। তখন সে ধরেই নিবে তোমরা দুইজনের কেউই মুসলমান নও। কারন মুসলমান মাত্রই সে সলাত আদায় করবে, এটা আবশ্যিক। "
.
"তাহলে জিনিসটা একটু চিন্তা করে দেখ। সুস্থ্য, স্বাভাবিক অবস্থায় তুমি সলাত আদায় করছো না। তার মানে তুমি কোন মুখে নিজের ধর্মের জায়গায় ইসলাম লিখবে? সঞ্জয় আর তোমার মধ্যে আর কি কোন পার্থক্য থাকল? তুমিও স্কুল ড্রেস পড়ে আছো, সেও স্কুল ড্রেস পড়ে আছে। তুমিও জুতা পড়েছো সেও জুতা পড়েছে। তোমার আর তার মধ্যে শুধুমাত্র পার্থক্য ছিল সলাত। সেটাও তুমি আলাদা করলে না। "
.
এখন রমাদান আসছে,মসজিদে মসজিদে সলাত আদায়ের হিরিক পড়ে যাবে। কিন্তু আপনাদের কি মনে হয় সলাত শুধুমাত্র রমাদান মাসের জন্য? মুসলিম শরীফের একটি হাদিস উল্লেখ করতে চাই,
"মুমিন ও কাফির-মুশরিকের মধ্যে পার্থক্য হল সলাত” মুসলিম ৮২
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:২০