এখনো আমাদের সমাজে এমন অনেক 'মানবতাবাদী' আছেন ধর্ষকদের দুঃখে যাদের বুক কেঁদে ওঠে।
তারা নানারকম যুক্তি হাজির করেন।
"একজন মানুষকে মেরে ফেলার অধিকার কারো নেই।"
"মৃত্যুদন্ড দিলেই কী ধর্ষণ বন্ধ হয়ে যাবে?"
"পৃথিবীর বহু দেশে মৃত্যুদন্ড উঠে গেছে।"
এরকম কত কী।
ধনঞ্জয়ের সময়েও এরা একই রকম কাঁদুনি গেয়ে তাকে প্রায় শহীদ বানিয়ে তুলেছিল।
আসলে প্রশাসন তত্পর ও বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা বন্ধ হলেই ধর্ষণ কমে যাবে, এমনকি শূণ্যের ঘরে নামিয়ে আনাও বাস্তবেই সম্ভব।
একটা ঘটনা মনে পড়ছে।
কিছু বছর আগেও বিহার, ঝাড়খন্ডের রেলে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা ছিল দৈনন্দিন ঘটনা।
রেল পুলিশও ছিল নির্বিকার। কারণ, লুঠের মাল থেকে নারী 'ভোগ' সকল কিছুরই ভাগ পাওয়া যেত।
একদিন রবিবার সকালে বাজারে এরকম কিছু বীরপুঙ্গবরা গতরাতের ঘটনা গর্বের সাথে সাথীদের জানাচ্ছিল।
পুলিশরাও বুক ঠুকে জানাচ্ছিল, ইতনা লেড়কিয়োঁ কা নাশ কিয়া।
এমতাবস্থায়, কিছু লোক বাজারে ঢুকে প্রকাশ্য দিবালোকে তাদের গুলি করে মারে এবং কিছু পোস্টার ছড়িয়ে দিয়ে বলে এরপর থেকে প্রতিটা ঘটনায় এই ব্যবস্থাই নেওয়া হবে।
সকলেই বুঝেছিল এগুলি ফাঁকা আওয়াজ নয়।
তাই রাতারাতি সবাই সাধুপুরুষ বনে গেল।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৭