কি আর বলিব দুঃখের কথা। গতকল্য ডাক্তারের নিকট গিয়াছিলাম। জোহরের আযান শুনিয়া ভাবিয়াছি নামাজ আদায় করিয়া ঔষধ কিনিব।
নামাজ পড়িয়া পাদুকার বাক্সে চাহিয়া চমকাইয়া উঠিলাম। হায় হায় মোর পাদুকা কোথায় ? বাক্স যে পুরাটাই খালি। এ বাক্স ও বাক্স খুঁজিয়া নিরাশ হইয়া বিরস বদনে বাহিরে আসিয়া দাড়াইলাম।
আরেক ব্যক্তি মোর এহেন হাবভাব দেখিয়া কহিল-পাদুকা চুরি হইয়াছে ?
হ্যা ভ্রাতা। ভাবিতেছি এ কেমন চোর ? পুরাতন পাদুকাও চুরি করিয়াছে।
ইহারা নতুন পুরাতন সবই চুরি করিয়া থাকে। আমার নতুন পাদুকা জোড়াও যে বেমালুম গায়েব।
সমব্যথী পাইয়া আরও দু’চার কথা কইয়া ঔষধ কিনিয়া রাজ পথে নাঙ্গা চরণে হাটিয়া পাদুকার দোকান খোঁজ করিতেছি।
ভাবিয়া শংকিত হইয়াছি পথচারীগণ হয়তো মোর নাঙ্গা চরণ দেখিয়া ভ্রকুটি করিবে। শহরের মানুষজণ বড়ই ব্যস্ত কেহ আমার চরণে নজর দিলনা।
এক নয়া অভিজ্ঞতা লইয়া রাজ পথের ধুলা-মাটি মাড়াইয়া নিজ নিবাসে ফিরিয়াছি।
পরিবারের লোকজন শুনিয়া হাসিয়া কুটি কুটি হইয়াছে।
আরকটা ঘটনা মনে পড়িয়া গেল-
ইন্টারে অধ্যয়নকালে এক রুমমেট-কে অনেক বুঝাইয়া নামাজে গিয়াছি। পরে দেখিলাম তাহার পাদুকার চিহ্নমাত্রও কোথাও নাই। সে আমার দিকে চাহিয়া মৃদু হাসিয়া কহিল-
মুসল্লিরা কহে সুবহানা রব্বিল আলা
চোর কহে কোন জোতাটি ভালা।
তার এহেন কাব্য শুনিয়া মনে হইয়াছে মোর পাদুকা যদি চুরি হইত তবে এত লজ্জা পাইতে হইত না।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫০