অনেকেই মনে করেন প্রবাসীরা রাজার হালে আছে। কিন্তু না, কেমন আছেন প্রবাসীরা তা সত্যিকার অর্থে প্রবাসী বিনা অনেকেই জানেনা। প্রবাসীরা যে কত কষ্টে আছে আর কিভাবে টাকা যোগার করে পরিবারদের পালছে তা যদি স্বচক্ষে প্রবাসীদের পরিবার দেখতো তবে সবাই প্রবাসীদের ভালবাসতো। কিছু প্রবাসীদের দেখলাম মক্কায় ক্লিনারের কাজ করছেন মাত্র ৩ থেকে ৪০০শত রিয়াল বেতনে আর ভিনদেশীরা যা দিচ্ছেন তাই হাত পেতে নিচ্ছেন। প্রশ্ন করেছিলাম এক ভাইকে কেমন আছেন, একটা নিশ্বাস ফেলে উত্তর ভাই হিসাব মিলেনা। শুধু বৈদেশ আসিয়াছি সংসারের মায়ায় আর যাই করে পরিবারের খরচ পাঠাচ্ছি তাতে দূঃখ নেই শুধু চাই পরিবারের শান্তি আর ওদের কাছ থেক সন্মান ও ভালবাসা, কিন্তু টাকা না পাঠাতে পারলে পরিবারের অনেকেই ঠিক মত কথাও বলেনা, মাঝে মাঝে ঠুকরে কাদিঁ নিজের চোখের পানি মূছি, বোবা কান্না থামানো অনেক কস্টের ভাই, আসিয়াছিলাম এক বড় সপ্ন নিয়ে, হবে বাড়ি গাড়ি আর প্রচুর ইজ্জত যদি কামাতে পারি কিন্তু অনেকের সপ্ন বাস্তবের সাথে মিলে না, চুরি করেও এখন আর এই প্রবাস দিয়ে সপ্ন
পূরুন করা যাবেনা। যে টাকা দালাদের দিয়ে আসিয়াছি সেটা উঠাতেই কেটে গেছে ৪ বছর। অন্যের দেয়া দানেই এখন আমরা প্রবাসীরা বেশীর ভাগ বেচেঁ আছি, আগের সৌদি আর এখনকার সৌদি এক নয়, সৌদির মানুষ আগের মত আর অন্য জাতিকে সন্মান দেয় না, ওরা বলে আমরা মিসকিন আর আচরন করে খোদার মত। তবে সৌদি বুড়ো মানুষ ও মহিলা গুলো এখনো কিছুটা সন্মান করে আর ডেকে হাতে ধরিয়ে দেয় কিছু অর্থ। আরেক প্রবাসী ভাইকে প্রশ্ন করেছিলাম কেমন আছেন? চাপাঁবাজিতে উস্তাদ মনে হল, পা নেড়ে নিজেকে জাহির করলেন অনেক কামাচ্ছেন আর অনেক কিছু কিন্তু উনার হাতে ঝাড়ু আর সামনেই দেখলাম একজন বুড়ো মানুষ দশ রিয়াল দিলেন, সাথে সাথেই পকেটে খুজে নিলেন।
প্রবাসে অনেক পরিশ্রম আর থাকা খাওয়ার কষ্ট হলেও পরিবারের স্বচ্ছলতা আনার জন্য মুখ বুঁজে সব কিছু সহ্য করেন অনেকে। জীবিকার প্রয়োজনে এক টুকরো সোনালী স্বপ্নের প্রত্যাশায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা মাতৃভূমি সোনার বাংলা ছেড়ে প্রবাসে পাড়ি জমাতে হয় স্বপ্নের ঘোড়ায় সোয়ার হয়ে মা-বাবা, ভাই-বোন, স্ত্রী, সন্তান, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সবাইকে ছেড়ে।
দীর্ঘ প্রবাস জীবনে অনেক প্রবাসীর উত্থান-পতন, সাফল্য-ব্যর্থতা হয়েছে। অল্প সময়ের ব্যবধানে কঠোর পরিশ্রম করে কোটিপতি হন এমন প্রবাসী যেমন আছে, তেমনি আছেন মদ-জুয়া-নারী ও লটারি খেলে ১৫/২০ বছর বিদেশ থেকেও মাস শেষে ভাত খাওয়ার টাকাটা ধার করে চলে, প্রবাসীদের সুখ-দুঃখ, চাওয়া পাওয়া হিসেব করা কঠিন।
চরম অনিশ্চয়তায় কাটে অনেক প্রবাসীর দিন। বুকের ভেতর জমে থাকা কষ্টগুলো বুকের ভেতরেই থেকে যায়। সারাদিন কাজ শেষে বাসায় ফিরে যখন শূন্য চার দেয়ালের মধ্যে রাত পোহাতে হয় তখন শুরু হয় কাঙ্খিত জীবনের চুলচেরা হিসেব-নিকেশ। যোগ বিয়োগের হিসেব আর মিলে না। বড় ধরনের গড়মিল দেখা দেয়। মন হু হু করে কেঁদে ওঠে। দু’চোখ বেয়ে যন্ত্রণার জল গড়াতে থাকে। অনেকেই ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে এসে নিজেই পতিত হন ভাগ্য বিড়ম্বনায়। অনেকে পরিবার রেখে পাড়ি জমান প্রবাসে। শুরুতে কোম্পানিতে কাজ নিয়ে এলেও নানা কারণে হয়ে যান অবৈধ। সবাই যে খারাপ অবস্থায় আছেন তা কিন্তু নয়। অনেক বাংলাদেশি আছেন তারা ভাল পদে চাকরি করে বেশি বেতন পাচ্ছেন। তাদের পরিবার পরিজনেরা সুন্দরভাবে দিনাতিপাত করছেন। প্রবাসীরা যখন দেশে পরিবারের মানুষদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন, তখন কেমন আছিস, কোনো চিন্তা করিস না, আমরা ভালো আছি, বাড়ির সবাই ভালো আছে, কোনো সমস্যা অথবা সমস্যার সমাধান, খাওয়া-দাওয়া ঠিকমতো হচ্ছে কিনা এই বিষয়গুলোই বলেন। কেউ কেউ অনেক সময় ঝগড়া করে, তর্ক করে, নালিশ করে। দেশ থেকে যারা ফোন করেন বিশেষত যাদের প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা নেই, তারা একজন প্রবাসীর মনের অবস্থা, তার একাকিত্ব, তার আবেগ, তার কষ্ট, তার উদাসীনতা, তার নীরব কান্না এগুলো বুঝতে পারেন না। এই অনুভূতিগুলো অনুভব করাও তাদের পক্ষে সম্ভব না। প্রবাস জীবনে প্রবাসীরাই এইগুলো বেশি অনুভব করেন।
প্রিয়জনের মৃত্যু সংবাদ শুনেও কিছু করার থাকে না প্রবাসীদের। প্রবাসীরা যখন কেউ অসুস্থ হয় তখন পাশে কেউ থাকে না সেবা করার। অসুস্থকে রেখে সবাই চলে যায় সবার কাজে। কারও একটু সময় নাই তার পাশে থাকার। প্রবাসে কতো আপন মানুষ হয়ে যায় পর। রাত যায়, দিন যায়, রোজা যায়, ঈদ যায়, দেশের মানুষ কতো আনন্দ করে, অনেক প্রবাসীরা তা করতে পারেনা নানা কারনে, একদিন বসে থাকলেই লোকসান আর নিজেকে বুঝ মানায় ছুটিতে গেলে আনন্দ করা যাবে এখন কাজ করে কামাই করে নেই, এত কিছুর পরেও প্রাবাসীদের মূল চাওয়া পরিবারের সুখ আর ভালবাসা।
কাজের সন্ধানে অনেক শিক্ষিত-অশিক্ষিত যুবক মধ্যেপ্রাচ্য, ইউরোপ ও আমেরিকায় পাড়ি জমায়, জীবনের গুরত্বপূর্ন সময়টি প্রবাসে ব্যয় করেন। সোনার হরিণের পেছনে ছুটতে ছূটতে অনেক প্রবাসী যুবকের বিয়ের বয়স পার হয়ে যায়। পরিবারের সদস্যদের আহবানে কোন এক সময় বিয়ে করতে দেশে ছুটে যান। দুই মাস অথবা তিন মাসের ছুটি নিয়ে দেশে গিয়ে পাত্রী দেখতে দেখতেই ছুটির দিনগুলি শেষ প্রান্তে এসে যায়। তাই তাড়াহুড়ো করেই বিয়ের কাজটি সম্পূর্ন করতে হয়। এক সময় প্রবাসী পাত্রের অনেক কদর ছিল। বর্তমানে সেই চিত্র পাল্টেছে। বর্তমানে প্রবাসী পাত্রের চাহিদা খুব একটা নাই বললেই চলে। সবাই দেশীয় পাত্রের হাতে কন্যা তুলে দিতে পছন্দ করেন। তাই বলে প্রবাসীরা অবিবাহিত থাকেন না। আল্লাহ তায়ালা যাকে জীবন-সঙ্গী হিসেবে ঠিক করে রেখেছেন তার সাথেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের অল্প কিছু দিন পরে নতুন বউয়ের হাতের মেহেদীর রং মুছতে না মুছতে প্রবাসী স্বামীকে আবারও কর্মস্থলে চলে যেতে হয়। আর চলে যাওয়ার মুহুত্বটি খুবই বেদনাদায়ক। নববধু কান্নায় বুক ভাসাতে থাকে। একসময় নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ে। সংসারে স্বামীর অনপুস্থিতিকে মেনে নেয়, স্বামী দুরে থাকার কষ্টটাকে ভুলতে থাকে সোনালি ভবিষ্যের আশায়। কোন কোন পরিবারে শশুর-শাশুড়ী, দেবর-ননদের নির্যাতন সহ্য করতে হয় নব বধূর কারন কোন কোন প্রবাসীরা বিয়ের আগে অনেক কামাতে পারে কিন্তু বিয়ের পরে হয়তো কোম্পানির অসুবিধা, বদলি, ওভারটাইম না পাওয়া অথবা বাহিরে কাজ করতে না পারার কারনে আগের মত কামাতে পারেনা আর পরিবারদের আগের মত অর্থ পাঠাতে পারেনা, এতেও দোষ এসে পড়ে নব বধূর উপর প্রবাসীরা গলা ফাটিয়ে বললেও পরিবারের অভিযোগ বিয়ে করেছে তাই এখন আগের মত টাকা দিবেনা। কয়েক মাস পরেই নিজের মধ্য আরেক জনের অস্তিত্ব খুজে পায় নব বধূ। এই কঠিন সময়ে স্বামী পাশে নেই বলে সারাক্ষণ মন খারাপ করে থাকতে হয় কিন্তু নিজের মাঝে আরেকটা ওস্থিত্ব আছে আর সেই অস্থিত্বকে দুনিয়ার আলো দেখাতে হবে বলে সব সহ্য করে নববধূ। তারপর কোন একদিন একটি ফুটফুটে সন্তানের মা হয়। সন্তানের প্রবাসী বাবাটি কলিজার টুকরার একটি ছবি পাবার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। সন্তানকে আদর করতে না পারার জন্য কাঁদতে থাকে। এই কান্না দেশের কেউ শুনতে পায় না। সন্তান মায়ের আদরে বড় হতে থাকে। বাবার অনাদরে বেড়ে উঠা সন্তান বাবাকে পাবার জন্য ব্যাকুল হতে থাকে। বাবাটি আসছি আসছি বলেই দুই তিন চার বছর পার করে দেয়। কয়েক মাসের ছুটিতে দেশে গিয়ে ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে আবারও কর্মস্থলে ফিরে আসতে হয়। এই ভাবেই প্রবাসীদের সংসার জীবন চলছে। প্রবাসীদের সুখ বলতে প্রতি বছর একমাস অথবা দুইমাসের ছুটিতে দেশে গিয়ে পরিবারকে সময় দিতে পারা।
প্রবাসীদের পাঠানো কষ্টের টাকা দিয়ে পরিবার চলে। ছেলে মেয়ে বা ভাই বোনদের উচ্চ শিক্ষিত হিসেবে গড়ে তোলার প্রাণপণ লড়াই। যুবতি বোনদের ভাল পাত্রে বিয়ে দেওয়ার লড়াই, যেভাবেই হোক এ লড়াইয়ে জয়ী হয়েছেন কোন কোন প্রবাসী । কিন্তু সেই লড়াইয়ের সামান্য মর্যাদা পায়না অনেকে, পরিবার চালাতে, সন্তানদের বা ভাই বোনদের প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে অনেকে বহু বছর ভুলে থেকেছেন প্রিয়তমা স্ত্রী বা নিজের যৌবনকে।
অনেক প্রবাসীরা বিয়ের পর বাপ মা ভাই বোনকে ভুলে স্ত্রীর বন্দনা করতে গিয়ে শুশুর বাড়ির ঘানি টানতে হয়, নিজের মা বাবা ভাই বোনের চেয়ে আপন হয়ে যায় শালী, শালা, সমুন্ধী, শুশুড় শাশুড়ী ও শুশুর বাড়ির লোকজন. এদের জন্য শুরু করেন আরেকটি সংগ্রাম অনেকে শুশুর বাড়ীকে নিজের বাড়ি মনে করতে থাকেন, টাকা দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেন অনেককে। জায়গা জমি কেনা আর বাড়ি ঘর করা, শালা শালীকে পড়ালিখা কড়ানো, বিয়ে দেওয়া, শুশুরের সংসার পালা হতে নিজের বাড়ির বাজারটা পর্যন্ত শুশুর বাড়ীর লোক ছাড়া চলে না.
প্রবসীরা থাকেন দূর্বল কারন তাদের প্রবাস জীবনে দেশের একজনকেও বিশ্বাস করতে হয় আর যাকেই বিশ্বাস করেন সেই আঘাত করেন অনেক সময়ে। কাউকে হতে হয় সহায় সম্মলহীন কোন এক প্রতারনার কারনে আর স্ত্রী যদি পরে যায় সেই রকম তাহলে কাম সারা.
ভাগ্যের নির্মম পরিহাস হয় অনেক প্রবাসীর! নিজের জীবনের মূল্যবান বহু বছর যাদের জন্য কুরবানি করেছেন, যাদের সুখের কথা চিন্তা করে জেল-জরিমানার ভয় মাথায় নিয়েই ৫০-৫২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনের মতো কঠোর পরিশ্রম করেছেন। টাকা আয়ের চিন্তায় নিজের শরীর-স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়ার সময় পাননি। আর এতেই অনেকের দেহের বিভিন্ন অঙ্গ আস্তে আস্তে অকেজো হয়ে যায়। এরপরও পরিবার- সন্তান, বাপ, মা, ভাই বোনদের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে একে বাড়েই দেশে ফিরে যাওয়ার কথা চিন্তা করেন না অনেকেই ।প্রবাসীরা যে পরিবারের জন্য জীবনের অনেক কিছু ত্যাগ করেন, যাদের আপন ভেবে একই রুমে থেকে এক হাড়ির খাবার খান মাঝে মাঝে কোন প্রবাসীর মৃত্যুর পর সেই পরিবার বা প্রবাসী বন্ধুদের আচরন যে কারো হৃদয়কে নাড়া দিবে, মৃত্যুর পর লাশ কোথায় দাফন হবে জানাতে পরিবারদের ফোন করা হলে অনেকেই জানান প্রবাসে দাফন করতে। অথচ আমাদের দেশের সরকার বর্তমানে দেশে লাশ গেলে বিমান বন্দর থেকে ৩৫ হাজার টাকা দেন লাশ দাফনের জন্য আবার পরে দেন দুই লাখ টাকা পরিবারকে, এছাড়া অনেক অবৈধ প্রবাসীর লাশ সরকার দেশে ফিরিয়ে নিয়াছেন এমন নজির আছে অনেক।
তারপরও প্রবাসীরা ভাল আছেন অনেকের মতে কেননা নিজেদেরকে মুক্ত রাখতে পারছেন অনৈতিক কর্ম থেকে ইসলামের পথে থেকে। আরব দেশ গুলোকে প্রবাসীরা মনে করেন ইসলামের পতাকা আর নিজেদের নিরাপদ মনে করেন, কারন বিচার ব্যবস্থা কঠোর, যত প্রবাসী আরবে আছে তাদের তেমন চাদাঁ দিতে হয় না আরবের কোন সন্ত্রাসীদের। অনেক প্রবাসীর সপ্ন যদি আমাদের দেশে বিনা ঘুষে কর্ম মিলতো আর পেমেন্টের নিশ্চয়তা থাকতো, আলতু ফালতু মিছিল মিটিং, ট্রেড ইউনিয়ন না থাকতো তবে আমরা কি এই প্রবাসে পড়ে থাকতাম, আমরা যত কস্ট করছি এই প্রবাসে তার সিকি যদি করি দেশের কোন চাকুরী খেত্রে তাহলে দেশ আরও উন্নত হত।প্রবাস থেকেও যেতে ভয় লাগে দেশে গিয়ে কিছু করে খাব কারন আমাদের কাছে কি আছে শুধু মাত্র আমরাই জানি কিন্তু নানা জন মনে করেন, এত বছর প্রবাসে থাকি, মাল ছাড়া কি দেশে ফিরে এসেছি। দেশে আরেক সমস্যা হল চাদাঁবাজি যেটার জন্য ভয় দেশে কিছু করার, চাদাঁ চাইবে না দিলে জীবন হয়ে যাবে দূর্বিসহ। শুনতেছি দেশ এগিয়ে যাচ্ছে কই লুটতরাজ, খুন খারাবী, জালাও পুড়াওতো বন্ধ হচ্ছে না এখনো, সাধারন মানুষ জীবনের নিরাপত্তাওতো পাচ্ছে না দেশে। পত্রিকা খুললেই হত্যার খবর পড়তে হয়, মায়া লেগে যায় নিজের জীবনের উপর, মনকে বুঝায় থাক পরে থাকি এই প্রবাসে। আবার অনেক প্রবাসী বলেন তাদের সপ্ন কবে আমাদের দেশ হবে হংকং এর মত? যেদিন আমাদের আর অন্যের দেশে গোলামী করে যেতে হবে না? আমাদের সপ্ন কি সপ্নই থেকে যাবে?
সরকার, পাঠক পাঠিকা এবং প্রবাসীদের পরিবার ও আত্নীয় স্বজনদের বিনীত অনুরোধ প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিটেন্স যেমনি দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করছে তেমনি পরিবারদেরও স্বচ্ছল করছে, তাই প্রবাসীদের অবহেলা নয় শ্রদ্ধা করুন, ভালবাসুন। মায়া মমতা নিয়ে দূঃসময়ে সাহার্যের হাত বাড়িয়ে দিন।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:২৩