১। একটা সময় ছিল যখন কেউ কাউকে প্রেম নিবেদনের কোন ব্যবস্থা ছিল না। এমনকি সমাজের বা লোক চক্ষুর ভয়ে একটা যুবতি ছেলে একটা মেয়ের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে প্রেম নিবেদন করতে ভয় পেত। তখন মানুষ ইশারায়/ইঙ্গিতে প্রেম নিবেদন করত। আর সেই যুগের প্রেমগুলোই ছিল খাঁটি।
.
২। প্রাচীন যুগের কিছু পরেই আসে চিঠিপত্রের মাধ্যমে প্রেমের আদান/প্রদানের সময়। যদিও তখন শিক্ষিতের হার নগণ্য ছিল যার ফলে কোন এলাকায় কেউ চিঠি লিখতে পারলে তার পিছনে লাইন দিয়ে চিঠি লিখানোর হিড়িক পড়ে যেত। সেই সময়টাতে মানুষ মনের ভাব আদান/প্রদান করত চিঠি দিয়ে। সেই যুগটাতেও প্রেম পবিত্র ছিল।
.
৩। তারপর আসল মোবাইলের যুগ। মোবাইল এসে আগের দুইটি ধারাকে অচল করে দেওয়া হয় যার দরুন প্রেম ভালোবাসার ভেতর ভেজাল আসতে শুরু করে। আগে যারা লোকচক্ষুর ভয়ে মনের মানুষকে প্রেম নিবেদন করতে ভয় পেত এখন তাকে নির্ধাদায় ফোনের মাধ্যমে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে দিচ্ছে। যার ফলে ভালোবাসার মানুষকে সঠিকভাবে মুল্যায়ন করাটা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
.
৪। অতঃপর চলে আসল অত্যাধুনিক যুগ তথা ইন্টারনেটের যুগ। এই যুগে প্রেম হচ্ছে বাজারের একটা পণ্য। যে যাকে মন চাই কোন যাচাই না করেই যখন খুশি তখনই প্রপোজ করে দিচ্ছে। আর ফেসবুক আসার কল্যাণে যে ছেলে/মেয়েটা কথা বলতেই ভয় পেত একটা ছেলে/মেয়ের সামনে দাঁড়িয়ে সেও এখন বিনা বাঁধায় সেই ছেলে/মেয়ের ইনবক্সে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে দিচ্ছে। এই যুগে সবচাইতে জামেলা হচ্ছে কোনটা প্রেম আর কোনটা ছলনা সেইটা দড়াই বড় মুশকিল।
.
৫। এরপর কি যুগ আসে সেইটা আমার ধারণার বাইরে
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬