somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রেম নিবেদনের ক্রমধারা

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১। একটা সময় ছিল যখন কেউ কাউকে প্রেম নিবেদনের কোন ব্যবস্থা ছিল না। এমনকি সমাজের বা লোক চক্ষুর ভয়ে একটা যুবতি ছেলে একটা মেয়ের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে প্রেম নিবেদন করতে ভয় পেত। তখন মানুষ ইশারায়/ইঙ্গিতে প্রেম নিবেদন করত। আর সেই যুগের প্রেমগুলোই ছিল খাঁটি।
.
২। প্রাচীন যুগের কিছু পরেই আসে চিঠিপত্রের মাধ্যমে প্রেমের আদান/প্রদানের সময়। যদিও তখন শিক্ষিতের হার নগণ্য ছিল যার ফলে কোন এলাকায় কেউ চিঠি লিখতে পারলে তার পিছনে লাইন দিয়ে চিঠি লিখানোর হিড়িক পড়ে যেত। সেই সময়টাতে মানুষ মনের ভাব আদান/প্রদান করত চিঠি দিয়ে। সেই যুগটাতেও প্রেম পবিত্র ছিল।
.
৩। তারপর আসল মোবাইলের যুগ। মোবাইল এসে আগের দুইটি ধারাকে অচল করে দেওয়া হয় যার দরুন প্রেম ভালোবাসার ভেতর ভেজাল আসতে শুরু করে। আগে যারা লোকচক্ষুর ভয়ে মনের মানুষকে প্রেম নিবেদন করতে ভয় পেত এখন তাকে নির্ধাদায় ফোনের মাধ্যমে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে দিচ্ছে। যার ফলে ভালোবাসার মানুষকে সঠিকভাবে মুল্যায়ন করাটা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
.
৪। অতঃপর চলে আসল অত্যাধুনিক যুগ তথা ইন্টারনেটের যুগ। এই যুগে প্রেম হচ্ছে বাজারের একটা পণ্য। যে যাকে মন চাই কোন যাচাই না করেই যখন খুশি তখনই প্রপোজ করে দিচ্ছে। আর ফেসবুক আসার কল্যাণে যে ছেলে/মেয়েটা কথা বলতেই ভয় পেত একটা ছেলে/মেয়ের সামনে দাঁড়িয়ে সেও এখন বিনা বাঁধায় সেই ছেলে/মেয়ের ইনবক্সে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে দিচ্ছে। এই যুগে সবচাইতে জামেলা হচ্ছে কোনটা প্রেম আর কোনটা ছলনা সেইটা দড়াই বড় মুশকিল।
.
৫। এরপর কি যুগ আসে সেইটা আমার ধারণার বাইরে
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪১

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
১. এফডিসিতে মারামারি
২. ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক

১. বাংলা সিনেমাকে আমরা সাধারণ দর্শকরা এখন কার্টুনের মতন ট্রিট করি। মাহিয়া মাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×