somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হুরে হুরে সাগর-রুনিকে ভাড়াটে খুনিরা খুন করেছে:লাক ভেলকি লাগ চোখে মুখে লাগ

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


লাগ ভেলকি লাগ চোথে মুখে লাগ। ছোট কালে যখন হাট বাজারে যেতাম তখন এই ধরনের বুলি শোনতাম হাটে বিক্রয়কারি হকারদের কাছে যারা ছোট ছোট ম্যাজিক দেখাতো আর এই বুলিটা বলতো। আজ সেই কথা মনে করে হাসেতে ইচ্চে করছে। চাঞ্চল্যকর সাগর-রুনি হত্যাকান্ডকে এখন তদন্তকারি কর্মকর্তারা যাদুর মোহ তৈরি করার বৃথা চেষ্টা করছে। সারাদেশে যখন সাংবাদিকরা বুক ফেটে আতনাদ শুরু করেছে ঠিক সেই মুহুত্যু ভাড়াটে কিলার তত্ত্ব সত্যি বিষ্মকর......।হাসতে না জানলেও অনেক এ হাসবে। এই পুলিশরা বলেছিল এটি অপেশাদার খুনিদের দ্বারা হয়েছে আর আজ িএই বানী.....।সত্যিই যা দেখাচ্ছে প্রশাসন.।সাবাস সাবাস মামা এগিয়ে যাও্র আরো নতুন নতুন তত্ত্ব আবিষ্কারে.....েআপনাদের জানার সুবিধার্থে লেখাটি....
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনিকে ভাড়াটে কিলার দিয়ে খুন করানো হয়েছে বলে অনেকটা নিশ্চিত হয়েছেন গোয়েন্দারা। তবে কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে নৃশংস এ ঘটনা ঘটিয়েছে সে রহস্য এখনো উদ্ঘাটিত হয়নি। তদন্তের বিভিন্ন পর্যায়ে নৃশংস এ ব্যাপারে ছোটখাটো 'ক্লু' পাওয়া গেলেও তা নিয়ে বেশি দূর এগোতে পারছেন না তদন্তকারী কর্মকর্তারা। নানা ধরনের অসঙ্গতিতে তদন্ত বারবার খেই হারিয়ে ফেলছেন। তদন্তে সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ভাষ্য, তদন্তের শুরুতে এ খুনের রহস্য যতটা কঠিন ভাবা হয়েছিল, তদন্তে কিছু দূর এগোনোর পর তা কয়েকশ' গুণ বেশি জটিল মনে হচ্ছে। সন্দেহভাজন খুনি হিসেবে কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হলেও সব ধরনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেখা গেছে- তাদের কেউই ঘটনার রাতে রাজাবাজারের সাগর-রুনির ফ্ল্যাটের আশপাশেও ছিলেন না। তদন্তে সংশ্লিষ্ট একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, রুনির মোবাইল ফোনের কললিস্ট, ক্ষুদে বার্তা (এসএমএস), শিশু মেঘ ও রুনির মা-ভাইয়ের দেয়া তথ্য এবং খুনের কৌশল, আলামত ও ঘটনাস্থলের পারিপাশ্বর্িকতা কোনো-ভাবেই এক সূতোয় গাঁথা যাচ্ছে না। সার্বিক বিষয় পর্যালোচনায় তারা অনেকটা নিশ্চিত হয়েছেন- ভাড়াটে কিলারদের দিয়ে সাগর-রুনিকে খুন করানো হয়েছে। এ ব্যাপারে বেশকিছু তথ্য-প্রমাণ ও আলামত পাওয়া গেছে। তদন্তকারী কর্তৃপক্ষের ধারণা, খুনের পরিকল্পনাকারীরা পরিচিতজনদের কাউকে দলে ভিড়িয়েছিলেন। এ কারণে খুনিদের পক্ষে সাগর-রুনির অবস্থান জেনে সময়মতো ফ্ল্যাটে ঢুকে খুন শেষে বেরিয়ে যাওয়া সহজ হয়েছে। গোয়েন্দাদের দাবি- সাগর-রুনির পরিচিতজন যার মাধ্যমে ভাড়াটে খুনিরা তথ্য সংগ্রহসহ নানাভাবে সহায়তা নিয়েছিল তাকে ইতিমধ্যেই গোয়েন্দা জালে আটক করা হয়েছে। এ সূত্র ধরেই খুনের পরিকল্পনাকারীদের ধরতে এখন মাঠে নেমেছে গোয়েন্দারা। তদন্তে সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সূত্রগুলো জানায়, খুনিরা প্রোফেশনাল কিলার না হলেও অত্যন্ত নিখুঁত হাতে খুন শেষে আলামত নষ্ট করে পালিয়ে গেছে। পারিপাশ্বর্িক এসব অবস্থা দেখে মনে হয়েছে- কিলিং মিশন পরিচালনায় দক্ষ কেউ গোটা ঘটনা পরিচালনা করেছে। খুনিরা নেশাগ্রস্তও হতে পারে বলে গোয়েন্দারা অনুমান করছেন। ব্যক্তিগত শত্রুতা বা পেশাগত বিষয় নিয়ে কোনো ব্যক্তি বা বিশেষ মহলের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হয়েছেন। এ দুটো বিষয়ের উপরই এখন তদন্তে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, তাদের তদন্ত অনেক দূর এগিয়েছে। হত্যাকা-ের পর একাধিক ইস্যু নিয়ে তদন্ত শুরু হলেও এখন তারা 'শর্টলিস্ট' নিয়ে এগুচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, রুনির মোবাইল ফোনের কললিস্ট ও এসএমএস লিস্টের যোগসূত্র ধরেই খুনের পরিকল্পনাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। সন্দেহের তালিকায় রুনির ক্লাসমেট ধনাঢ্য বন্ধু তানভিরসহ চারজন রয়েছেন। এই তানভিরই সাগর-রুনির মৃত্যু সংবাদটি প্রথম দেন রুনির মা নুরুন নাহার মির্জাকে। সাগর-রুনির একমাত্র শিশুপুত্র মেঘ তার নানিকে মৃত্যু সংবাদটি দেয়নি। তদন্তকারীরা কললিস্ট ও এসএমএস লিস্ট পরীক্ষা করে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন। সন্দেহভাজন ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সম্পূর্ণ তথ্য হাতে পাওয়ার পর তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খুলবে বলে জানা গেছে। তদন্ত সূত্র জানায়, মোবাইল ফোনের কললিস্ট ও এসএমএস লিস্টের সূত্র ধরে সাগর-রুনির খুন হওয়ার আগে তাদের অবস্থান নির্ণয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। নিহত হওয়ার আগে তারা কখন কার সঙ্গে কী কথা বলেছেন, কার কাছে কী মেসেজ পাঠিয়েছেন তার তথ্য নেয়া হচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আপাতত এই খুনের পরিকল্পনাকারী হিসেবে ওই চারজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন গোয়েন্দাদের হাতের নাগালেই আছে। অপর একজন গোয়েন্দাদের নাগালের বাইরে বের হয়ে গেছে। এদিকে রুনির মা গোয়েন্দাদের কাছে স্বীকার করেছেন, ১১ ফেব্রুয়ারি সকালে মেঘের কাছ থেকে তিনি মৃত্যুর খবরটি পাননি। মৃত্যুর খবরটি প্রথম পেয়েছেন তানভিরের কাছ থেকেই। প্রথম দিকে মেঘের কাছ থেকে মৃত্যুর সংবাদটি পেয়েছিলেন বলে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছিলেন কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে রুনির মা কী বলেছেন, তা জানা যায়নি। গোয়েন্দারা ইতোমধ্যে উদ্ধার করা বেশকিছু ফাইল ও ছবি যাচাই বাছাইয়ের কাজ শেষ করেছেন। তাতে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে যা তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করা হয়নি। তবে ভিন্ন সূত্রের মতে, ওই সব কাগজপত্রে কিছু পুরনো স্মৃতির ইঙ্গিত রয়েছে। আছে কিছু গোপনীয় তথ্যও। এদিকে সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির ঘনিষ্ঠ যে ব্যক্তি ভাড়াটে কিলারদের সহায়তা করেছেন তার ব্যাপারে যথেষ্ট তথ্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এই তথ্য যথাযথভাবে যাচাইয়ের জন্য তদন্তকারীদের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে বলে জানা গেছে। কিসের মোহে ওই ব্যক্তি এ হত্যাকা-ে জড়িত হলো তা তদন্ত সংশ্লিষ্টদের কাছে এখনো বোধগম্য নয়। শুধু আর্থিক সুবিধার জন্য একজন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি এই হত্যাকা-ে জড়িত হওয়ার কথা নয় বলে অভিমত তদন্ত সংশ্লিষ্টদের। এ কারণেই তদন্তে দীর্ঘসূত্রতা দেখা দেয়ার পাশাপাশি প্রাথমিক তদন্তে অনেকগুলো প্রক্রিয়ায় ভুলও ছিল। কিন্তু এখন তারা এসব কাটিয়ে উঠেছে বলে দাবি করেছে তদন্ত কর্তৃপক্ষ। এদিকে হত্যাকা-ের ১২ দিন পার হলেও খুনিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় রুনির মা নুরুন্নাহার মির্জা ও সাগরের মা সালেহা বেগমসহ তাদের স্বজনরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একটি প্রভাবশালী মহল মামলাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা ওই প্রভাবশালী মহলের প্রতি ইঙ্গিত করে পুলিশ ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে দ্রুত ঘাতকদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। কোনো শ্রেণী-পেশা নয়, খুনিদের খুনি হিসেবে চিহ্নিত করার আহ্বান জানান তারা।
১০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪


শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×