রাজার ছেলে ও রাখালের গল্প পর্ব ( ১)
নদীর ঘাট থেকে কাকণমালা ও কানঞ্চণমালা রআজমহলে ফিরলেন। রাজমহলে যেয়ে কাকণমালা পুরো রাজমহল মাথায় তুলে নিলেন ।
মন্ত্রীকে ডেকে কাকণমালা জিজ্ঞাসা করিলেন আপনেরাত জানেন আমি নদীতে যাবো তাহোলে ঘোড়ার গাড়ি সাজিয়ে কেন পাঠাইলে না । যা হোক আমি নদীথেকে আসবো তখনো পাঠাইটে পারতেন তাওতো পাঠান নাই। ।
মন্ত্রী বলিলেন আমি সংবাদ পাই নাই রানি সাহেবা ।কাকণমালা বললেন কেন আমিতো সিপাহীকে দিয়ে সংবাদ দিয়েছিলাম । পরে সকলে চিন্তায় পড়েগেলেন এ আবার কে ভয় পেয়ে কেও কিছু বলার সাহস করলেন না ।
কাকণমালা রানি হইয়া রাজ সিংহাসনে বসলেন আর কাঞ্চন মালা চাকরানি হয়ে গেলেন । কাকণমালার দিন বেশ ভালোই কেটে যাচ্ছে খুব আরাম আয়েসে দিন কাটিয়ে দিচ্ছেন ।
কাঞ্চনমালা রান্না ঘরে বসে মাছ কাটেন আর কাঁদেন । তার ভাবনা হোলো হাতের চুড়ি দিয়ে কিনলাম চাকরানি সে কিনা এখন রানি আর আমি রানি হয়ে চাকরানি হয়ে গেলাম।
রানি কেঁদে কেঁদে বুক চোখের জ্বলে ভাসিয়ে দিলেন। এদিকে রাজার আর কষ্ট বেরে গেলো না পায় রানির সেবা না পায় ঔষুধ পানি ।কেও রাজার কোন খোজ খবর রাখেন না ।
একদিন কাঞ্চনমালা কাপড় ধুয়ার জন্য নদীর ঘাটে গেলেন সে দেখলেন সেখানে একটি লোক অনেকগুলো সূতা নিয়ে নদীর ধারে একটি গাছের নিচে বসে আছে । বসে লোকটি লোকজনকে বলে কারো কোনো কঠিন রোগ হোলে সে সুস্থ করে দিবে ।
তার কাছে অনেক সূতা ছিলো । রানি মানে কাঞ্চনমালা লোকটির কাছে গিয়ে রাজার শরীর অসুস্থতার কথা সব খুলে বললেন । লোকটি কাঞ্চনমালাকে বললেন সব ঠিক হয়ে যাবে ।
চলবে..........................