ঢাল তলোয়ার নেই তবু
নিধিরাম সরদার!
মুখেই কামান দাগান,
''বেটা হে, খবরদার!''
কারো সাথে কোনোকালে,
শক্তিতে পারেন না।
তবু তার ভাব, তিনি
সত্যিতে হারেন না।
অযথা এর ওর সাথে
লড়তে চান কুস্তি।
চেনা লোক কিবা পর
পেতে নেন দোস্তি।
ওপাড়ার আবুলের
চায়ের দোকানে তার।
দিন রাত আডডায়
কেটে যায় মজাদার।
কেউ এলে বলে, ''কিরে
সরদার চা খাবি?''
নিধিরাম মুখে হাসি-
''খাওয়ালে নাই দাবি।''
চায়ের পেয়ালা হাতে
সরদার উসখুস।
ভাব দেখে বোঝা যায়
সাথে চান টোস্ট-টুস!
টোস্টের বোয়ামখানা
দ্যান তুলে হাতে তার।
চায়ে ভেজা টোস্ট খেয়ে
সে কি খুশি! বলা ভার।
এভাবেই পরপর
যারা চা খেতে আসে।
সরদার বেঞ্চিতে,
খুক খুক খুক কাঁশে।
চা- তাকে খেতেই হয়,
দৈনিক বিশেক কাপ।
দোকানির বেঞ্চিটা
তার কাছে চায় মাফ।
সেই যে সকাল বেলা,
বসে এসে ঠায় ঠায়।
কার এমন সাধ্যি যে,
বৈঠকে বিঘ্ন ঘটায়!
মাঝে মাঝে বিনোদন,
জুড়ে দেন গল্প।
কী যে বলিরে আবুল,
মনে আছে অল্প!
সেকালে জোয়াল দিয়ে
বোয়াল ধরে নিতাম!
মানুষতো দূরের কথা
ভূতেও পাত্তা দিতাম!
ভূত প্রেতের আডডা ছিল
ঐযে পোড়ো বাড়ি!
আমার ভয়ে ভূত পালাতো
নদেয় দিত পাড়ি!
সেই সে দিনের গল্প কি আর
বলবো তোকে বল্!
বুকে সাহস বেজায় ছিল
মন ভরপুর বল।
খাঁটি জিনিষ খেতাম পেতে
মানুষও ছিল খাঁটি।
ভ্যাজাল খেয়ে নকল মানুষ
আজ রোগে পরিপাটি!
আজ আর সেসব লাভ কি বলে,
সোনালি সেই দিন!
বুকটা কাঁপে, কেমিকেলের যুগে,
চায়েও ফরমালিন!
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:১১