somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নৈশ শিকারী
জীবন সংগ্রামে হেরে যাওয়ার মাঝে কোনো বীরত্ব থাকেনা; তাই জীবনের এই যুদ্ধ ক্ষেত্রে সাহসীকতার সাথে লড়াই করার মাঝেই জীবনের প্রকৃত বীরত্ব লুকিয়ে থাকে, আর ভাগ্য সবসময় সাহসীদের পক্ষেই কাজ করে।

ইসলাম কি বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক? আসুন এ ব্যাপারে কিছু যৌক্তিক আলোচনা, ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করি!

২৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বিজ্ঞানের উত্থানকে সাধারণভাবে কয়েক শতকের একটি বিস্ময়কর ঘটনা হিসেবে দেখা হয়। ধরে নেয়া হয়, মানব সভ্যতার ইতিহাসে ধর্মীয় আধিপত্যবাদের যুগ অবসানের পরই বিজ্ঞানের অগ্রগতির সূচনা। বিজ্ঞান, পার্থিব উন্নতি ও ধর্মকে পৃথক করে দেখার এ মানসিকতার উদ্ভব হয়েছে আজকের পশ্চিমা সভ্যতা সম্পর্কে আমাদের অগভীর ধারণা থেকে। কারণ এ সভ্যতা গড়ে উঠেছে ধর্মীয় কাঠামো ও প্রভাবের সম্পুর্ণ বাইরে। তাই পশ্চিমা প্রচারণার ডামাডোলে বিজ্ঞান ও ইসলামের সম্পর্ক বিষয়ক অসংখ্য প্রশ্নের সমাধান আমাদের মনে অজানা রয়ে গেছে। যেমনঃ

১। ইসলাম আধ্যাত্মিক জগত নিয়ে কাজ করে যেখানে বিজ্ঞান কাজ করে বস্তুজগৎ নিয়ে। এই দুইয়ের মধ্যে সমন্বয়সাধন কিভাবে সম্ভব?

২। কিছু বৈজ্ঞানিক মতবাদ রয়েছে যা ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ।কিভাবে এই দুইয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য হবে?

৩। ইসলাম মূলত পরকালীন জীবনকে প্রাধান্য দেয়, সেখানে কিভাবে বিজ্ঞানের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রেরণা পাওয়া সম্ভব?

৪। বর্তমান মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোতে এমন কোন উদাহরণ নেই যারা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানে অগ্রগণ্য। এটা কি সম্ভব যে শুধুমাত্র ইসলামের ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত কোন দেশ শিল্প ও বিজ্ঞানে উন্নতি করতে পারে?

ইউরোপের পুরো ইতিহাস জুড়ে দেখা যায় সাধারণ মানুষ এবং বিশেষ করে বিজ্ঞানী ও চার্চের মতবাদের বিরোধী চিন্তাশীল ব্যাক্তি ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের নির্মম অত্যাচারের শিকার হয়েছে।স্বাভাবিকভাবেই বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনা স্থবির হয়ে গিয়েছিল এবং ফলাফলস্বরূপ ধর্ম মানব সভ্যতার উন্নতির পথে অনুপযুক্ত বলে গণ্য হল। ধর্মকে দেখা হল অবাস্তব, অনমনীয় ও স্ববিরোধী এক প্রতিপক্ষ হিসেবে। কিন্তু শুধু ইউরোপীয় খ্রিস্টানদের এ অভিজ্ঞতার মাধ্যমেই কি এ সরলীকৃত সিদ্বান্তে আসা যায় যে উন্নতির একমাত্র সোপান হচ্ছে মানুষের নিজেদের তৈরী করা শাসন ব্যবস্থা এবং সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত জীবনব্যবস্থা অপর্যাপ্ত এবং ত্রুটিপূর্ণ? অথচ ইসলামের সাথে খৃষ্টবাদ ও ইহুদীবাদের চরম বৈপরীত্য হচ্ছে যে, ইসলাম শুধুমাত্র একটি ধর্ম বা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের সমষ্টি নয় বরং ইসলাম সেই মহান বাণী যা একক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার পক্ষ থেকে রাসুল (সা) এর প্রতি প্রেরিত হয়েছে।ইসলাম হচ্ছে এক পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা যা মানুষেরজীবনের সমস্ত বিষয় তথা জাগতিক, বুদ্ধিভিত্তিক ও আধ্যাত্মিক বিষয়ের প্রতি দিক নির্দেশনা দেয়। ইসলামের শক্তিশালী বুদ্ধিভিত্তিক চিন্তাভাবনা মুসলিমদের জীবনকে দারুণভাবে গতিশীল করে তোলে। ইসলাম কোন সনাতন অন্ধবিশ্বাস নয় কিংবা অনুকরণের উপর গড়ে উঠেনি বরং তা মানবজাতিকে তার নিজের অস্তিত্ব ও তার চারপাশের পরিবেশ সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তাভাবনার দিকে আহবান করে।

“নিঃসন্দেহে আসমান জমীনের সৃষ্টির মাঝে, রাত দিনের এই আবর্তনের মাঝে, মহাসাগরে ভাসমান জাহাজসমূহে যা মানুষের জন্য কল্যাণকর দ্রব্যসামগ্রী নিয়ে ঘুরে বেড়ায়, ( এসবকটিতে) আল্লাহ তায়ালার নিদর্শন মজুদ রয়েছে, (আরও রয়েছে) আল্লাহ তায়ালা আকাশ থেকে (বৃষ্টি আকারে) যা কিছু নাজিল করেন সেই বৃষ্টির পানির মাঝে, ভূমির নির্জীব হওয়ার পর তিনি এ পানি দ্বারা তাতে নতুন জীবন দান করেন, অতঃপর তিনি এ ভূখণ্ডে সব ধরণের প্রাণীর আবির্ভাব ঘটান, অবশ্যই বাতাসের প্রবাহ সৃষ্টি করার মাঝে এবং সে মেঘমালা যা আসমান জমীনের মাঝে বশীভূত করে রাখা হয়েছে, তার মাঝে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শন রয়েছে”।
[সুরা বাকারাহ, ২:১৬৪]

আর এ সবই আমাদেরকে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের ব্যাপারে সুনিশ্চিত প্রমাণ দেয়। ইসলাম মানুষকে এসব বিষয় নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা ভাবনার দিকে উদাত্ত আহবান জানায় এবং একক সৃষ্টিকর্তার সত্যতার ব্যাপারে স্বাক্ষ্য প্রদান করে। ইসলাম অতীত ও বর্তমানের অন্যান্য ধর্মযাজকদের মত মানুষকে শুধুমাত্র ধর্মীয় বিষয় নিয়ে চিন্তা করার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে না বরং চিন্তা করাকে তার জীবনের অন্যতম প্রয়োজনীয় বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসলাম মানুষের কোন প্রবৃত্তিকে, চাহিদা ও আকাংখাকে অস্বীকার করে না বরং তা সুশৃঙ্খল করে যা মানুষকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বৈষয়িক উন্নতির দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। প্রকৃতপক্ষে বিজ্ঞান হচ্ছে বাস্তব বিষয়ের পর্যবেক্ষণ। বিজ্ঞান আমাদের অক্সিজেনের গঠন পদ্ধতি বলে দেয় কিন্তু এটা বলে না যে, অক্সিজেন কে তৈরী করেছে।

তাই বিজ্ঞান ও ইসলাম নিয়ে সংঘাতের কোন সুযোগ নেই। নিরেট বিজ্ঞান মানুষের জীবন দর্শন নিয়ে মাথা ঘামায় না, হোক তা পুঁজিবাদ, সমাজতন্ত্র বা ইসলামী জীবনাদর্শ। নিরেট বিজ্ঞান সকল মানুষের কাছে একইভাবে গ্রহণযোগ্য হয়। আর এইদৃষ্টিভঙ্গির কারণেই প্রথম যুগের মুসলিম বিজ্ঞানীরা বিজ্ঞানের সকল শাখায় প্রভূত উন্নতি লাভ করেছিল এবং নতুন নতুন শাখায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল। মুসলিমরা ইসলামের প্রথম যুগথেকেই ইসলাম সম্প্রচার, দুনিয়াব্যাপী ব্যাপকভাবেপরিভ্রমণ করেছে। তারা যেখানে গিয়েছে ও অধিবাসীহয়েছে সেখানকার সামাজিক, রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক,ভৌগলিক, অর্থনৈতিক ও কৃষিজাত সহ অন্যান্য সকল বিষয়ের তথ্য সংগ্রহ করেছে।

বিদেশী ভাষায় বৈজ্ঞানিক কাজগুলো সহজে বোঝার জন্য মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে অনুবাদের জন্য অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল। আব্বাসিয় খিলাফতের সময় বিশেষ করে খলীফা আল মানসুর ও খলীফা আল মামুনের সময় বৈজ্ঞানিক কাজের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনুবাদ ও প্রস্তুতির কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা যায়। দশম শতাব্দীর শেষাংশে এসব বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন হয়েছিল। অনুবাদকরা ছিলেন বিভিন্ন ধর্ম ও গোত্রের। উদাহরণস্বরূপ নওবখত ছিলেন পারস্যের অধিবাসী, মোহাম্মদ ইবনে ইব্রাহিম আল ফাজারী ছিলেন একজন আরব এবং হুমায়ুন ইবনে ইসহাক ছিলেন হিরার একজন নেষ্টোরিয়ান খ্রিষ্টান।

মুসলিম বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে অন্যদের বৈজ্ঞানিক সমাধানগুলো গ্রহণ করেন এবং নতুনভাবে পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে নতুন বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব আবিষ্কার করেন। মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যেমনঃ দামাস্কাস, বাগদাদ ও নিশাপুরে জ্যোতির্বিজ্ঞানের জন্য পর্যবেক্ষন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। অঙ্গ ব্যবচ্ছেদ বিদ্যার বাস্তব জ্ঞানের জন্য মৃতদেহের সরবরাহের ব্যবস্থা রাখা হতো।খলীফা মুহতাসিম এ কারণে চিকিৎসকদের বানর সরবরাহ করতেন। হাসপাতালগুলোতে ছাত্রদের বাস্তব শিক্ষার জন্য শল্যচিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হতো। একাদশ ও দ্বাদশ শতকের মধ্যে মুসলিমদের মধ্যে শিক্ষার এক উঁচুমান স্থাপিত হয়েছিল। সে যুগের বৈজ্ঞানিক চেতনা শিহাব আল দীন আল কিরাফীর দৃষ্টি সংক্রান্ত কাজের মাধ্যমে প্রকাশিত হয় যিনি একাধারে ছিলেন কায়রোর একজন ইসলামী আইন ও বিচার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এবং তিনি দৃষ্টি সংক্রান্ত পঞ্চাশটির মত সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন। ইবনে খুরদাদবে মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের অক্ষাংশ্ ও দ্রাগিমাংশ নির্ণয় করেন। আল বিরুনী বিভিন্ন বস্তুর সুনির্দিষ্ট ভর নিরূপণ করেন।

ইসলামী শাসন ব্যবস্থার অধীনে থাকার সময় বিজ্ঞানীরা শুধুমাত্র বৈজ্ঞানিক তত্ত্বেরইআবিষ্কার করেনি বরং বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারগুলোকে প্রযুক্তিতে রূপান্তর করেছেন। তারা গ্রহ নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং নৌ চলাচলের জন্য তারকা মানচিত্র তৈরী করেছেন। ইবনে ইউনুস সময় পরিমাপের জন্য পেন্ডুলাম তৈরী করেন, ইবনে সিনা বাতাসের তাপমাত্রা মাপার জন্য বায়ুমাপক যন্ত্র আবিষ্কার করেন। কাগজ, কম্পাস, বন্দুক,গান পাউডার, অজৈব অম্ল ও ক্ষারীয় পদার্থের আবিষ্কার হচ্ছে মুসলিম বিজ্ঞানীদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত আবিষ্কার যেগুলোমানব সভ্যতায় অসামান্য অবদান রেখেছিল। মুসলিম বিজ্ঞানীরা এলজেবরা আবিষ্কার করেন যেটা গণিতের একটি স্থায়ী শাখায় পরিণত হয়। এলজেবরা শব্দটি উৎসারিত হয়েছে আরবী শব্দ জাবর থেকে। মুসলিম বিজ্ঞানীরা সমতল এবং গোলাকর ভূমির জন্য ত্রিকোণমিতি আবিষ্কার করেন এবং তা জ্যোতির্বিজ্ঞানে প্রয়োগ করা হয়। তারা জ্যোতিষশাস্ত্র থেকে জ্যোতির্বিজ্ঞানকে আলাদা করেন কারণ ইসলামে মানুষের ভাগ্যের উপর তারকাদের প্রভাব জাতীয় বিশ্বাসকে নিষিদ্ধ বলে গণ্য করা হয়। ফলে জ্যোতিষশাস্ত্রের অন্ধ-বিশ্বাস থেকে জ্যোতির্বিজ্ঞানকে নিরেট বৈজ্ঞানিক গবেষণার বিষয়ে পরিণত করা হয়।

সহস্র বছরের এই গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের পরেও মুসলিম বিশ্ব আজ চিহ্নিত হয়েছে ব্যর্থতা ও অনৈক্যের প্রতীক হিসেবে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে নেমে এসেছে স্থবিরতা। মুসলিমদেরপ্রচুর ধন সম্পদ থাকার পরও তারা বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা তদোপরি শিল্পায়নে পিছিয়ে আছে। এ দুঃখজনক পরিণতির কারণ ইসলামের অনুসরণ না করার প্রত্যক্ষ্য ফলাফল, ইসলাম বোঝার ও প্রয়োগের ক্ষেত্রে আমাদের শৈথিল্য। কোন জাতির বৈজ্ঞানিক বা অন্য কোন ক্ষেত্রে উন্নতি করতে পারেনা যতক্ষণ না সে কোন মতাদর্শকে আঁকড়ে ধরে, মুসলিমরাও এই নিয়মের বাইরে নয়। পশ্চিমা বিশ্ব পুঁজিবাদকে তাদের আদর্শকে ধারণ করেছে এবং তার ফলে জীবনের নানা ক্ষেত্রে তারা উন্নতি লাভ করেছে। প্রাচ্যে সমাজতন্ত্র জোর করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং তারাও বৈষয়িক কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে স্বল্পসময়ে উন্নতি লাভ করেছিল।

মুসলিমরাও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আবারো চালকের আসনে ফিরে আসতে পারে যদি তারা ইসলামকে জীবনাদর্শ তথা জীবনের সকল ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রকৃতপক্ষে ইসলামের সুমহান বাণীকে সারা দুনিয়াতে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মুসলিমদের নেতৃত্বঅবশ্যই প্রয়োজনীয়। ইসলাম দ্বারা পরিচালিত একটি রাষ্ট্রে বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও উন্নয়ন সহায়ক পরিবেশ তৈরী হবে। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত উপকরণ সরবরাহ করা হবে। সে রাষ্ট্রের মূলনীতি ও উদ্দেশ্য হবে যান্ত্রিক বিষয়ের সমাধান, শিল্প পদ্ধতি উন্নয়ন সাধন, রোগ প্রতিরোধের উপায় এবং যতদূর সম্ভব জীবনকে সমৃদ্ধ করার পদ্ধতি ও উপায়-উপকরণ অনুসন্ধান করা।

জীবনব্যবস্থার মানোন্নয়নের জন্য বিভিন্ন চিন্তা ভাবনাকে বাস্তবে রূপদান করার জন্য উৎসাহিত করা হবে। প্রকৃতপক্ষে শিল্পায়ন হবে ইসলামী রাষ্ট্রের অন্যতম উদ্দেশ্য এবং এ বিষয়ে সন্দেহের বিন্দুমাত্র অবকাশ নেই যে ইসলামী রাষ্ট্র অতিদ্রুত সময়ে শিল্প ও বিজ্ঞানে বিশ্বে আবারো নেতৃস্থানীয় অবস্থান তৈরী করে নেবে এবং সে রাষ্ট্র পরিণত হবে তথ্য প্রযুক্তি গবেষণা, চিকিৎসা, প্রাকৃতিক পর্যবেক্ষণ, মহাশূন্য ও জিন গবেষণাসহ মানুষের জীবনের সকল প্রয়োজনীয় সমস্যার সমাধানের এক আকর্ষণীয় কেন্দ্রবিন্দু। তাই এ ধারণা ঠিক নয় যে ইসলাম বৈজ্ঞানিক উন্নতির সাথে অসামঞ্জস্যশীল। ইসলামের প্রথম যুগে বিজ্ঞান উন্নতি লাভ করেছিল এবং একটি সত্যিকার ইসলামী রাষ্ট্রে বিজ্ঞান আবারো উন্নতি লাভ করবে। ইউরোপের খ্রিষ্টবাদ ও বিজ্ঞানের মধ্যকার তিক্ত অভিজ্ঞতা মুসলিমদের জন্য প্রযোজ্য করে তোলার প্রয়াস সুস্থ স্বাভাবিক মস্তিষ্কের নয়।তাই ইসলামকে সঠিকভাবে বোঝার জন্য এবং সামগ্রিকভাবে আমাদের সমাজে প্রতিষ্ঠা তথা খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার করার জন্য এখনই উপযুক্ত সময়। তাহলে আমরাও প্রথম যুগের মুসলিমদের মত সত্যিকার ইসলামের অনুসারী হতে পারবো যারা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি লাভ করেছিল।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১২
১৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×