somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাঙালি জীবন দর্শন

২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বব ডিলান সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন তা নিয়ে বিশ্বব্যাপী সমর্থন অসমর্থনের তর্ক বিতর্কের কোন শেষ নেই।
বাংলাদেশের শিক্ষিত শ্রেণী থেকে গণমাধ্যম এর পিছনে তো বেপরোয়া ভাবে ছুটে চলেছে।
বাংলাদেশে বব ডিলানের কৃতকর্ম নিয়ে আলোচনার মূল আরেকটা কারণ একাত্তর সালে বাংলাদেশি জনগণের দুঃখ ও দুর্দশা নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করার জন্য আয়োজন 'কনসার্ট ফর বাংলাদেশ ' বিষয়টি।
কিন্তু আফসোস একটা জায়গায় আমাদের দেশে কেন 'বব ডিলান' জন্ম নেয় না, যদি মেধাসম্পদ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বব্যাপী র‍্যাংকি করা।
আমরা কেন আমাদের নিজেদেরকে বিশ্বব্যাপী উপস্থাপন করতে পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ?
আমরা নিজেরা অলিম্পিক গেমস এ লাস্টতম হই আর বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রাশিয়ার মার্গারেটকে নিয়ে মিডিয়ার পাতায় ঝড় তুলি। আমাদের কেন একটা মার্গারেট জন্ম নিল না?
আমাদের দেশে 'বব ডিলান বা মার্গারেট' রা জন্ম নিবে কিভাবে?
আমাদের দেশে জন্ম নেওয়ার আগেই সন্তানের মগজের মধ্যে নির্দিষ্ট একটা টার্গেট ফিক্সড করে দেওয়া হয়।
পৃথিবীতে আসার সাথে সাথে তাকে জোর করে তার লক্ষ্যটাকে গুলিয়ে খাইয়ে দেওয়া হয়, আর প্রতিভার দাম শুধু বিদ্যালয়ে ফার্স্ট আর এ প্লাস তথা নাইনটি প্লাস নাম্বার পাওয়ার মাঝে মূল্যায়িত হয়।
একটু বড় হতেই চলে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে ছড়িয়ে থাকা অমানুষদের মগজ ধোলাইয়ের কুকীর্তি।
প্ররোচিত করার মাধ্যমে স্বার্থ আদায়ের চেতনায় প্রাণান্তর প্রচেষ্টা চালায় সামাজিকীকরণের তৃতীয় পর্যায়ের লোকরা।
বন্ধুমহল স্বপ্ন দেখায় রোমিও জুলিয়েট হবার, কিংবা স্মার্টনেসের আদলে মাদকবাজি হওয়ার,
স্থানীয় পাতি নেতারা প্রলুব্ধ করে দুটাকার বিনিময়ে তাদের রাজনৈতিক চ্যালা হওয়ার।
বয়সের বিবর্তনে পরিবর্তনের হাওয়া যখন লাগে তখন একেকটা পক্ষ এক একটা প্রোপোজাল দিয়ে সতেজ মগজে অপনীতির আঠা লাগিয়ে দেয়।
বর্তমানে একটা পক্ষ আছে সরলতার সুযোগ নিয়ে ব্রেনওয়াশ করার মাধ্যমে উগ্রপন্থা জড়িত করার প্ররোচনা।
আর রাষ্ট্র সাংসদের চওড়া লেকচার, আর গোল টেবিল আলোচনা, দু চারটে আইন আর সামঞ্জস্যহীন এক শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে নষ্ট হওয়ার বাকি কাজটুকু সম্পন্ন করে দেয়।
রাজনৈতিক বর্বরতা আর সামাজিক অপকর্মগুলো ধ্বংস করছে আমাদের আশার আলো ভবিষ্যত প্রজন্মকে ও তাদের প্রজন্মকে।
আর রাষ্ট্র যেখানে ছাত্র সমস্যার সমাধান করবে সেখানে হাজারো সমস্যার সৃষ্টি করছে।
যেখানে রাষ্ট্র আইন আর প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে নিরাপত্তা সংকট আর চাহিদার মূল্যায়ন করবে সেখানে বিভিন্ন পর্যায়ে রাজনৈতিক অস্থিরতার একচেটিয়া সমর্থন ও ন্যায্য দাবি রুখে দেওয়ার উপর আক্রমণ করে স্বাভাবিক পরিবেশটা দূষিত করছে।
অপরাধীদের রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়ে অপরাধপ্রবণতা উস্কে দিচ্ছে সাধারণ ছাত্র আর তরুণসমাজকে সমূলে বিনাশ করার জন্য, তার উপর আছে প্রশাসনিক বেপরোয়া আচরণ।
এইতো সেদিন আফসানার খুনিদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে সাধারণ ছাত্রীদের খুন করাতে প্ররোচনা জোগান দিচ্ছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের দাবির উপড় অপশাসনের খড়গ চালিয়ে এবং সর্বশেষ হবিগঞ্জে স্কুল ছাত্রদের উপর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর মত নির্বিচারে গুলি চালিয়ে আবারো ন্যায্য দাবির উপর আঘাত করে নিজেদের অপতৎপরতার প্রমাণ দিচ্ছে।
হল দখল আর গ্রুপিং রাজনীতির বলি সাধারন ছাত্ররা, মাদকবাজির হোল্ডারদের রাজনৈতিক ব্যানারে জায়গা দিয়ে বলি করা হচ্ছে সাধারন তরুণ সমাজকে।
অস্ত্রের মুখে রেখে রুদ্ধ করা হচ্ছে বাকশক্তি।
প্রগতিশীলতার প্রণোদনা কর্মকান্ডে চালানো হচ্ছে ছুরি।
বিনামূল্যে বই বিতরণ, শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ, সাধারণ বৃত্তি প্রদান, প্রযুক্তিগত শিক্ষার বিকাশ, উন্নত শিক্ষাঙ্গন আর হল নির্মানসহ শুভ উদ্যোগগুলোর পাশাপাশি এসব উদ্ভট সমস্যার সমাধান না হলে ধ্বংস হবে জাতিসত্তার মূলভিত্তি।
একটা গণতান্ত্রিক ও সুষ্ঠু পরিবেশসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা ও যুব উন্নয়ন ব্যবস্থা আমাদের দেশটাকে রক্ষা ও উন্নয়নে আজ অপরিহার্য।
আমরাও দু চার পিস বব ডিলান আর মার্গারেট চাই।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৬
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×