somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্লগিংয়ে সাত বছর, অর্জন বিসর্জন এবং কিছু অনর্থক ব্লগরব্লগর- তৃতীয় এবং শেষ পর্ব

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব


মারিও পুজোর দ্যা গডফাদার উপন্যাসে লুকা ব্রাসি নামক একটি চরিত্র ছিলো। বিশালদেহী, ভয়ংকর এবং নিষ্ঠুর। প্রতিপক্ষ মাফিয়া পরিবারগুলো যমের মত ভয় পেতো তাকে। লুকা ব্রাসি কাউকে ভয় পেতো না। কাউকে তোয়াক্কা করতো না, একমাত্র গডফাদার ডন কর্লিয়নিকে ছাড়া। লুকা ব্রাসিকে নিয়ে নাকি মারাত্মক একটা গল্প ছিলো, যা নাকি একশ বছরের বুড়ো না হওয়া পর্যন্ত শোনা যাবে না। ডন কর্লিয়নির কনিষ্ঠ পুত্র মাইকেল কর্লিওনি যতবারই অগ্রজদের কাছে সেই গল্প জানতে চেয়েছে, সবাই তাকে ঐ একটি কথা বলে কৌতুহলটা আরো চাগিয়ে দিয়েছে। বর্ষপূর্তির পোস্ট লিখতে গিয়ে এ কথা কেন বলছি? হু, কোন একটা সামঞ্জস্য তো আছেই। এ ব্যাপারে পরে বলছি!

গত দুইটি পোস্টে সামুর ইতিহাসের অন্যতম স্মরণীয় এবং সেরা দুটি কমেন্ট উদ্ধৃত করেছিলাম। সেই ধারা অনুসারে এখানেই একটি সেরা কমেন্ট উল্লেখ করছি,

২৪ শে মে, ২০০৮ সকাল ৮:২১
comment by: রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: কীরে ভাই আমি এই পোস্ট এদ্দিনে দেখলাম?

যাহোক এইখানে প্রচ্চুর সুশীল-দালাল টাইপ লোক দেখতাছি, ভাষা লয়া এক্সপেরিমেন্ট করার লাইগা একপায়ে খাড়ায়া আছে; ভাইয়েরা বইনেরা ভাষা (বিশেষ কইরা বাংলা ভাষা)রে এতো খেলো মনে কইরেন না যে যার যেমনে ইচ্ছা ঐটার উপ্রে উপগত হইবেন, বুঝছেন? আইজকা এক ডিজুস আইসা পুরা বাংলা সংস্কৃতিরে বাঁশ দেওয়ার চেষ্টা করতেছে, আমি জিগাই বাংলা ভাষা লয়া পরীক্ষানিরীক্ষা করার হেরা কে? আপনেগো আশকারায় পোলাপাইনগুলারও এমন এক মানসিকতা তৈরি হইছে যে দুইটা বাংলা শব্দের লগে একটা ইংরেজি শব্দ না মিশাইলে মনে করে স্মার্টনেস আর নাই। রাস্তাঘাটে বাইর হইলেই দেখা যায় পোলাপান থেইকা শুরু কইরা বয়স্ক পর্যন্ত কানে ইয়ারফোন লাগায়া এফএম রেডিও শুনতাছে; অইগুলাতে কী ভাষায় কথাবার্তা চলে আপনে কি জানেন জিয়া ভাই? দেশে আসলে শুইনা দেইখেন। একটা উদাহরণ দিতাছি নিচে, এইটা গত রমজানের সময় শুনছিলাম-

"হাই ডিয়াড় লিসেনাড়স এখন আমড়া ফর আ হোয়াইল ব্রেকে চলে যাচ্ছি কাড়ণ মাগড়েবের আযানেড় টাইম হয়ে গেছে আর জানেনতো এই ড়মজানে মাগড়েব মিনস ইফটাড়ি আর ইফটাড়ি মানেই হলো ফ্যাসিনেটিং সব খাবাড়দাবাড়। সো এখন কোড়ান তেলাওয়াট হবে লেটস টেক আ ব্রেক ব্রেকের পড় ফিড়ে আসবো মজাড় মজাড় ড়কিং হট সব গান নিয়ে। আউযুবিল্লহিমিনাশশাতোয়ানিররাজীম (তেলাওয়াত শুরু হয়া গেছে)...

বুঝলেন কিছু? এক বিন্দু বাড়ায়া বা কমায়া লেখিনাই আমি, ইশ যদি উচ্চারণগুলা শোনাইতে পারতাম...


মিথিলা কাণ্ড- ব্লগে আলোড়ন সৃষ্টিকারী এক ঘটনা। এরকম আর কখনও ঘটে নি। ব্লগে যারা মোটামুটি সময় দেন তাদের প্রায় সবাই কোন না কোন ভাবে, কোনো লিংক, কমেন্ট বা পোস্ট ইত্যাদির মাধ্যমে মিথিলা নাটক সম্বন্ধে অবগত হয়েছেন। নতুন ব্লগারদের অনেকেই হয়তো এটা জানেন না। জানাটা আবশ্যক বলেই মনে করি।
"মিথিলা নাটকের রচয়িতা রুবেল নামক এক ব্লগার। যেহেতু মেয়েদের ব্লগে হিট বেশী হয় সেহেতু মিথিলা নামক ব্লগের জন্ম দেয় রুবেল। তার নিজের ব্লগতো আছেই।
শুরু হলো মিথিলার ব্লগানো। কী এক অসুখ হয়েছে তার, বেশি দিন হয়তো বাঁচবে না। নিউইয়র্কের হাসপাতালে বেডে শুয়ে বসে পোস্ট দেয়। তার খুব কষ্ট হচ্ছে কিংবা সে একটা কবিতা লিখেছে কিংবা বাইরে খুব বৃষ্টি হচ্ছে (যদিও সামারে সেই সময় বৃষ্টি হয় না)।
আর ব্লগে সবাই বেচারীকে সমবেদনা জানায়। বেঁচে থাকার উৎসাহ যোগায়। (আর আড়ালে রুবেল হাসে সবাইরে বোকা বানাচ্ছে ভেবে)। হিটের উপর সুপার হিট ব্লগ।
কিছুদিন এইরকম চলার পর রুবেল নিজেই পোস্ট দিতে থাকে মিথিলার জন্য দোয়া চেয়ে। কয়েকদিন পর তার অপারেশান হবে। সবাই দোয়া দিয়ে ব্লগ ভরিয়ে ফেলে।
এর কিছুদিন পর রূবেল মিথিলা মারা গেছে খবর জানিয়ে একটা পোস্ট দেয়। আর ব্লগের সবাই অবিশ্বাস্য এই খবর মেনে নিতে পারে না। বলাবাহুল্য ব্লগে এটাই প্রথম কোন ব্লগারের মৃত্যুর সংবাদ। রুবেলের কাছে বিস্তারিত জানতে চেয়ে অনেকেই পোস্ট দেয়। রুবেল শুধু জানায় সে এর বেশি কিছু সে জানে না।
এরপর ব্লগ ভরে কান্নার রোল। নতুন পুরাতন সবাই মিথিলাকে নিয়ে পোস্ট দিতে থাকে। এমন কি যারা তার ব্লগে কখনও ঢুকে নাই তারাও পোস্ট দিয়েছিলো। এই ভাসমানও বাদ যায়নি। সবার রিকোয়েস্টে তার ব্লগ স্টিকি করা হলো।
দুইদিন ধরে ব্লগের দশ পৃষ্টার মাঝে মিথিলা ব্যতীত অন্য কৈান পোস্ট ছিলো না।
হঠাৎ একদিন মডারেটর খুঁজে বের করলেন যে মিথিলার সব পোস্ট বাংলাদেশেরই কোন আইপি মারফৎ পোস্ট হয়েছে। সবাই বোকা বনে গেলো এই খবরে।
তারপর আর কী...
রুবেলই তার দোষ স্বীকার করে পোস্ট দিলো"
(সামুর পাগল এর পোস্ট থেকে)।
এই হচ্ছে ঘটনা! আফসোস জাগে কেন আরো আগে ব্লগে এলাম না! না হয় সবার সাথে আমিও বোকা হতাম, কিন্তু এমন একটা ঘটনার চাক্ষুষ প্রত্যক্ষদর্শী হবার অভিজ্ঞতা তো থাকতো! লাইভ দেখা আর রিপ্লে দেখা কি এক কথা! মিথিলা সম্পর্কে আরো জানতে এই পোস্টটি পড়ুন

ব্লগের প্রথম পোস্ট গত পোস্টে অপি আক্তারের কথা বলেছিলাম। তার সেই ঐতিহাসিক পোস্টে কমেন্ট করেন নি এমন ব্লগার খুঁজে পাওয়া ভার! ইতিহাসের অংশীদার হতে কে না চায়? ব্লগের প্রথম পোস্টে কমেন্ট করে ইতিহাসের অংশীদার হয়ে যান। প্রথম পোস্টটি লিখিছিলেন দেবরা। ১৫ই ডিসেম্বর ২০০৫ এ। ইমরান ব্লগ স্রষ্ট া


তিনটি মৃত্যু-

ইমন জুবায়ের ভাই- ইমন জুবায়ের ভাই ছিলেন সব্যসাচী ব্লগার। গান, গল্প, কবিতা, অনুবাদ, ইতিহাস, কী নিয়ে লেখেন নি তিনি! জ্ঞানচর্চায় নিমগ্ন একজন সন্ত। মাত্র চার বছরে তিনি ১৫০০ পোস্ট করেছেন। তাও আবার যে সে, ফাঁকিবাজী পোস্ট নয়, রীতিমত খাটাখাটনি করে লেখা সমৃদ্ধ সব পোস্ট উপহার দিয়েছেন তিনি। একজন মানুষ কীভাবে এত বেশি লিখতে পারে সেটা ছিলো এক বিস্ময়! বলা হতো, ইমন জুবায়ের ভাই একটো অফিসের নাম, যেখানে কমপক্ষে পনের জন মানুষ মিলে সারাদিন ব্লগ লেখেন।
নগরঋষি ইমন ভাই! ইমন ভাইয়ের সব পোস্ট পড়া হতো না, তবে ব্ল্যাকের গান নিয়ে পোস্টগুলো কখনও মিস যেতো না। সেখানে কথা হতো। ইমন ভাই আমাকে উৎসর্গ করে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। সেটা ছিলো অপলাপ , আমার অন্যতম প্রিয় একটি গান। এই গানটি নাকি তিনি লিখেছিলেন মেটাফিজিক্যাল এ্যাংজাইটি থেকে। উনি ছিলেন সন্ত টাইপ মানুষ, কিন্তু মনে-প্রাণে একজন আদর্শ রকস্টার।
সময়ের অভাবে উনার সব পোস্ট পড়া হতো না। আর পড়লেও মন্তব্য করতাম না অনেক সময়। কিন্তু উনার শেষ পোস্টে মন্তব্য করেছিলাম ১৫০০ তম পোস্ট দেয়ার জন্যে অভিনন্দন জানিয়ে। সেই মন্তব্যের আর কোন জবাব আসে নি,
তার মৃত্যুর একদিন আগেই আমার প্রথম সন্তান মিতিন পৃথিবীতে এলো। সুসংবাদটা তাকে দিলে আমি নিশ্চিত খুব ভালো একটা উপহার দিতেন...
সময় বয়ে যাবে, ইমন ভাই রয়ে যাবেন সমস্ত ব্লগারের হৃদয়ে। জীবনের সৌন্দর্যে বিমোহিত এই মহান মানুষটি আমাদের দিয়ে গেছেন অপূর্ব দুটি লাইন,
জীবন মানে শুধুই যদি প্রাণ রসায়ন
জোছনা রাতে মুগ্ধ কেন আমার নয়ন।


রাজামশাই- ব্লগে এসেই পেয়ে গেলাম এক অদ্ভুত চরিত্রকে। রাজামশাই! তিনি ছিলেন একজন ফুল প্রেমিক। অসংখ্য পোস্ট আছে ফুল নিয়ে।তার কমেন্টের স্টাইলটা ছিলো ইউনিক। সবাইকে তুই-তোকারি করতেন। পোস্ট পছন্দ হলে উপহার দিতেন স্বর্ণমুদ্রা! "এই নে তোর জন্যে উপহার!"। তার ভাণ্ডার ছিলো অফুরন্ত। খোলা হাতে দান করে যেতেন। যেন সত্যিকারের রাজা! অবশ্য তার তুই-তোকারিতে কেউ কেউ বিরক্ত হতেন, তবে ব্লগের বেশিরভাগ মানুষই এটাকে আন্তরিকতার প্রকাশ হিসেবেই গ্রহণ করতেন। মাত্র পাঁচদিনের জ্বরে ভুগে তিনি মারা যান গত বছরে। শান্তিতে থাকুক তার আত্মা।

নোবেলবিজয়ী_টিপু - খুব একটু পরিচিত ব্লগার ছিলেন না তিনি। তার সম্পর্কে কেউ তেমন কিছু জানতোও না। হঠাৎ একদিন কে যেন পোস্ট দিলো তার মৃত্যু সংবাদ জানিয়ে। যেকোন মৃত্যুই দুঃখজনক, কিন্তু দুঃখটা আরো বেড়ে গেলো যখন তার ব্লগে গেলাম। অল্পবয়সী প্রাণোচ্ছল একজন ব্লগার, অসম্ভব ভালো সেন্স অফ হিউমারে সমৃদ্ধ ছিলো তার পোস্টগুলো। তিনি ভুগছিলেন দুরারোগ্য ব্লাড ক্যান্সারে। এত বড় একটা রোগ পুষে রেখেছেন, তা কখনও জানতে দেন নি কাউকে। নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যেতে থাকা একজন মানুষ যে এভাবে জীবনের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে লিখে যেতে পারেন, তা না দেখলে বিশ্বাস করাটাই কঠিন। টিপু নোবেল জয় করেন নি, কিন্তু জয় করেছেন মৃত্যুকে। মৃত্যুর রক্তলাল চোখরাঙানিকে অবজ্ঞা করে বেঁচে থাকার প্রতিটি মুহূর্তকে যেভাবে যাপন করেছেন, তা এক বিস্ময়, এক অসীম অনুপ্রেরণার উৎস। তার ব্লাডক্যান্সার বিষয়ক কিছু কথন পোস্টের শেষের কথাগুলি নূন্যতম মানবিক বোধ থাকা প্রতিটি মানুষকেই স্পর্শ করবে, কাঁদাবে। তিনি লিখেছিলেন,
"এত বড় পোস্ট কেন করলাম? কেউত পরবে না? এই পোস্ট অন্য কারো জন্য নয়, নিজের জন্য। আমার খুব কাছের একজন এই মরণব্যাধিতে আক্রান্ত, আমি জানি খুব বেশি দিন নেই তার, তারপরেও তাকে এই মিথ্যাটুকুই সারাদিন বলি 'কিচ্ছু হবে না'
ভালো থাকুন টিপু...

দুষ্ট-মিষ্টি ইমোটিকনগুলো
সামুর ইমোটিকনগুলো আমার কাছে স্পেশাল লাগে। অধিকাংশ বাংলা ব্লগ বা ফোরামের ইমোটিকনগুলো খুব একঘেয়ে। ধার করা। কিন্তু সামুর ইমোগুলো তেমন না। প্রতিটা ইমো'ই আনকোরা এবং আকর্ষনীয়। প্রতিটাতেই রয়েছে অনুভূতির তীব্র প্রকাশ। কোন রুঢ় কমেন্টে একটি মাত্র হাসির ইমো দিলেই ম্যাজিকের মতো বদলে যায় রুক্ষতা, তেমনই আবার কোন শোক সংবাদে ইমোর ব্যবহারে তা হারায় গুরুত্ব।
আমার প্রিয় ইমোগুলো হলো,
:-/ (হা হয়ে গেলাম, এ কী দেখছি!)
=p~ (হাসতে হাসতে গড়াগড়ি)
B-)) (দেখো দেখো, আমি একজন গ্যাংস্টার!)
B-) (বেশ ফূর্তির মুডে আছি)
:-B (আমি কত গিয়ানী!)
আর সবচেয়ে বাজে লাগে,
:-& (উহু, কী বাজে গন্ধ!)
:-0 (ভরপেট খেয়ে বাজে ঢেকুঢ় তোলা)
আর এইটার মানে কি,
:> , চুম্মা? আস্তাগফিরুল্লাহ! এটা কাউকে তেমন ব্যবহার করতে দেখি না। সামুর খোলা ময়দানে এমন প্রকাশ্যে লুলামি করাটা মোটেও ব্লগ ক্যারিয়ারের জন্যে ভালো হবে না, হাহা!
ইমোগুলির সৃষ্টিকর্তা কে? তাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই।

আপনাদের প্রিয় এবং অপ্রিয় ইমোগুলি কী কী?

অনুবাদ উৎসব মাঝখানে কী যে হয়েছিলো, কিছু ইংরেজি পদ্য লিখে ফেলেছিলাম। একদিন তার একটি ব্লগে দিলাম, তবে "য়াংরেজি পুস্টে মাইনাচ" এর কবল থেকে বাঁচার জন্যে তার অনুবাদও করে ফেললাম! আমার দেখাদেখি একজন দুইজন করে অনুবাদ করতে শুরু করলো। ব্লগারদের এই উদার অবদানে পোস্টটি জমজমাট হয়ে উঠলো। মূল লিরিকটি ছিলো গ্যাংস্টাদের নিয়ে। তাই অনুবাদে অংশ নেয়া সমস্ত ব্লগার হয়ে গেলো সামু গ্যাংস্টা টিম এর সদস্য!
পড়ুন, চাইলে অনুবাদ করুন
গ্যাংস্টা টিম@সামু (১৮+)
কিছুদিন পর আবারও! কোরবানির ঈদের ছুটিতে ব্ল্যাক হর্স নামক একটা এনার্জি ড্রিংক খেয়ে টানা তিনদিন জেগে ছিলাম! সেই অবস্থায় লিখে ফেললাম আরেকটি 'কালজয়ী' ইংলিশ লিরিক। নাম দিলাম Minus. ইংরেজি পোস্টে মাইনাস দেয়াটাই তখনকার চল ছিলো। কিন্তু সেরকম কিছু মোটেও ঘটলো না। আবারও হলো অনুবাদ উৎসব। জমে উঠলো পোস্ট। ব্লগ জীবনের সেরা আনন্দময় মুহূর্তগুলির একটি ছিলো সেই পোস্টের তত্বাবধান করা!
Minus
দান দান তিন দান! অনুবাদ উৎসবের ট্রিলজি পূর্ণ হলো লিটল হামা নিক থেকে দেয়া সাইকো লিরিক There will be blood পোস্টে। ইনসমনিয়াক ক্লাবের গোড়াপত্তন হিসেবে এই পোস্টটি বিবেচিত হতে পারে নিঃসন্দেহে! তবে দুঃখের কথা, পোস্ট এতই ভারি হয়ে গিয়েছিলো, যে মূল পোস্টে সবার লিরিক দেয়া সম্ভব হয় নি। বাধ্য হয়ে প্রথম কমেন্টে তিনটি অনুবাদ দেয়া হয়। আহা! সে বড় সুসময়!

বোনাস ট্র্যাক- সেই ২০০৭ সালে ঠুকেমারি শাকিরার হিপজ ডোন্ট লাই এর অনুবাদ করেছিলেন। অবশ্যপাঠ্য।
শাকিরার গান ... গোয়া আমার সত্যবাদী

আবারও পরিবেশ বন্ধু প্রসঙ্গ- পরিবেশ বন্ধু এমন একজন ব্লগার, যার কোনো তুলনা হয় না। গত পোস্টে তার ল্যাবের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের লেলিয়ে দিয়ে সামু ব্লগ, এমন কী বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়ার হুমকি সম্বলিত পোস্টের কথা বলেছিলাম। এই পোস্টে বলবো তার রোমান্টিক হৃদয়ের কথা। ব্লগার এক্সট্রাটেরিস্ট্রিয়াল স্বর্ণাকে নিয়ে তিনি অতি উচ্চমার্গের দুটো কাব্য রচনা করেছিলেন। সেই দুটো পোস্টের কনটেন্ট এবং কমেন্ট নিঃসন্দেহে ব্যাপক গবেষণা এবং বিশ্লেষণের দাবী রাখে। সেখানে তিনি এক অমর মন্তব্য করেন,
"ইট স জুক্স এন্ড হ্যাব্বি লজিক সারপ্রাইজ
থাঙ্কস"
আজ সারাদিন এটার মর্মার্থ উদ্ধার করতে ভেবেছি, এবং স্বাভাবিকভাবেই ব্যর্থ হয়েছি। তার সে দুটি পোস্ট,
জনমত জরিফ স্বর্ণার পক্ষে হাত উঠান / মেম থেকে মিসে
আজি তার লাগি করি দোয়া / যে ছিল মোর হৃদয়ের ছায়া

অদ্ভুত একটি বাগ- সামুতে বাঘ-ভাল্লুকের কোন অভাব নেই। কমেন্ট করতে গিয়ে অদৃশ্য হয়ে যাওয়া, কমেন্ট মডারেশনে রাখলে কোনো কমেন্টই করতে না পারা, পোস্টে ছবি এ্যাড না হওয়া, বিভিন্ন সময় বিভিন্নরকম বাগ ব্লগারদের ভোগান্তির কারণ হয়েছে। তবে এ যাবৎ পর্যন্ত দেখা বাগগুলোর মধ্যে সবচেয়ে অদ্ভুতটির আবির্ভাব হয়েছিলো ২০১০ এর জুলাইতে। সবার হিট কমে যাচ্ছিলো। যার টোটাল হিট এক লক্ষ তার পয়ত্রিহ হাজার, যার নয় হাজার তার তিন হাজার। ব্লগারদের মধ্যে শোকের মাতম! হিট না থাকলে লাভ কী ব্লগিং করে! হাহা! উদ্ভট এই পরিস্থিতি নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম।
সামুর টাইম মেশিন অথবা কুলিং সিস্টেম!
হিটের প্রসঙ্গ যখন এলোই, তখন চলুন জেনে নেই ব্লগের সবচেয়ে হিট ব্লগার কে। ছয় থেকে নয় লাখ হিট বেশ কজনের আছে। আপনার কী মনে হয়? কে সবচেয়ে হিট ব্লগার? নাফিস ইফতেখার? ইমন জুবায়ের ভাই? রাজামশাই? কৌশিক? রাগ ইমন? ত্রিভুজ? বিডি আইডল? ফিউশন ফাইভ? অমি রহমান পিয়াল? সবাই হেভিওয়েট ব্লগার। কিন্তু তাদের কেউই সর্বোচ্চ হিটপ্রাপ্ত নন। ছয়-নয় লাখ হিট কোনো হিট হৈলো নাকি! আসল হিটম্যানের ধারে কাছেও তারা কেউ নেই। আসুন তার নাম জেনে নেই। তিনি হলেন, মো. লুৎফর রহমান। কী! নাম শুনে মাথা চুলকোচ্ছেন? ভাবছেন, এ আবার কোন ব্লগার, তাই না? তার হিট কত হতে পারে বলুন তো? বারো লাখ? পনেরো লাখ? বিশ লাখ? জ্বী, না। এর চেয়েও অনেক বেশি। তার ব্লগ পরিসংখ্যান দিচ্ছি। তার আগে চেয়ারে ঠিকমত গেঁড়ে বসুন। পরিসংখ্যানটি দেখার পরে চেয়ার থেকে পড়ে যাওয়ার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে!

* পোস্ট করেছেন: ২৯২টি

* মন্তব্য করেছেন: ১৭১৭টি

* মন্তব্য পেয়েছেন: ২৩৫১টি

* ব্লগ লিখেছেন: ৩ বছর ৪ মাস

* ব্লগটি মোট ৩৭৩২০২৯ বার দেখা হয়েছে!

ভিড়মি খেলেন, তাই না? সাইত্রিশ লক্ষ হিট? এ তো অসম্ভব! নিশ্চয়ই লিংক চাচ্ছেন চক্ষু কর্ণের বিবাদ ভঞ্জনের জন্যে?
এই তার ব্লগ
বিষয়টি নিঃসন্দেহে একটি বিভ্রাট। কীভাবে এটা হলো তার ব্যাখ্যা খুঁজে পাই নি এখনও। কিন্তু এটা অস্বীকারেরও কোন উপায় নেই যে তিনিই সামুর সবচেয়ে বেশি হিটপ্রাপ্ত ব্লগার!

সবচেয়ে বেশি হিট প্রাপ্ত পোস্ট- কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-৬। ১১৮৫৩০ বার পঠিত! এই পোস্টের সাথে এক অদ্ভুত ট্রাজেডি জড়িত আছে। পোস্টদাতার স্ত্রী ছিলেন অসুস্থ। মৃত্যুর প্রহর গুনছিলেন দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে। এই সময়ে কষ্ট থেকে কিছুটা রিলিফ পেতে ব্লগার প্লাবন২০০৩ ব্লগ লেখা শুরু করেন। এ কথা শুনে তার স্ত্রী বলেছিলেন, যেদিন তুমি পোস্ট লিখে লক্ষাধিক হিট পাবে সেদিন না হয় বুঝবো যে তুমি একজন ব্লগার! এক লাখ হিট! সে তো অসম্ভব! এক লাখের ধারে কাছেও কোন পোস্ট যায় নি এর আগে। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার, প্লাবন২০০৩ এর এই পোস্টটি এক লাখ ছাড়িয়ে গেলো! সত্যিই জীবন বড় অদ্ভুত। মাঝে মাঝে তা সিনেমাকেও হার মানায়। প্লাবনের স্ত্রী মারা গেছেন কিছুদিন আগে। ঈশ্বর তাকে শোক সামলানোর শক্তি দিক।
সবচেয়ে বড় নিক- সামহোয়্যারইন ব্লগের অনেক নাম সুনেছি।বন্ধুরা বলে এটা নাকি খুব চমৎকার একটা ওয়েবসাইট। তাই আমি এখানে রেজিস্ট্রি করতে চাই। আচ্ছা,এখাে নাকি প্রথম পাতায় াসতে ানেক সময় লাগে? এটা কি সত্যই? আমার কিন্তু আের তর সইছেনা। আপনারা সবাই ভালো থাকুন। দয়া করে আমার প্ড়টঃম এই ল
কী ভাবছেন? অপটু কোন ব্লগারের কোন পোস্ট বা কমেন্টের কিয়দাংশ? না। এটা একটি নিক। মডুরা অবশ্য পরে নামটি কেটে ছোট করে দেয়, এবং বেরসিকের মত তাকে ব্যানও করে বসে। তার আলোড়ন সৃষ্টিকারী প্রথম এবং একমাত্র পোস্টে ব্লগারদের হতবিহবল বিস্ময় নিঃসন্দেহে আনন্দ যোগাবে আপনাদের। হায় হায়! এ কি করলাম!
এরকম আরো একজন ছিলেন, শামসুদ্দিন ওরফে শামসু ওরফে... কী যেন, বিশাল লম্বা নাম। তার লিংকটা খুঁজে পাচ্ছি না। সেও ব্যান। মডুরা চ্রম বেরসিক!

কিছু বিখ্যাত রিভার্স/বিনোদনমূলক নিক-


সরপ- সে তার নিক খুলতে চেয়েছিলো 'সরব' নামে। অসাবধানতাবশত সেটি হয়ে যায় সরপ। ক্ষণস্থায়ী ব্লগ জীবনে সর্প উপহার দিয়েছে অনেক বিনোদনমূলক পোস্ট। তার সাথে যুক্তি তর্ক করতে গিয়ে ব্লগাররা হাল ছেড়ে দিয়েছেন। তুমুলভাবে তুলোধুনো হবার পরেও তার স্ট্যান্ড বদলায় নি, বুক চিতিয়ে, ফণা উঁচিয়ে লড়াই করে গেছে "বাকশালী গালিবাজ" এবং "ইসলামবিরোধী নাস্তিক"দের সাথে। সেদিন সারাদিন লাগিয়ে তার সবগুলো পোস্ট (তার ভাষায় পস্ট, তিনি ওকার ব্যবহার করতেন না!) এবং কমেন্ট পড়ে প্রচুর হাসলাম!
নাজিল আযামী- ধারণা করা হত এটি এ-টিমের কারো রিভার্স নিক। সে অবশ্য সরপ'র মতো অতটা বিনোদনময় ব্লগার ছিলো না। আর তার রিভার্স প্লেয়িং অতটা স্থুল ছিলো না। তবে সে যখন তার 'প্রিয়' লেখাগুলো নিয়ে একটি ই-বুক বের করার ঘোষণা দিলো, তখন সবাই মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গেলো যে জামাতী ব্লগারদের চিহ্নিত করতেই এই চতুর চালটি দেয়া হয়েছে। পোস্টটি অবশ্যপাঠ্য। সেই আমলের ছাগু ব্লগারদের কর্মকাণ্ডের এক ঐতিহাসিক দলিল!
আমার প্রিয় লেখাগুলি নিয়ে ই-বুক

শীখা- শীখা রিভার্স/ছাইয়া নিক কী না তা অবশ্য নিশ্চিত নয়। ভারত থেকে ফ্যাশান ডিজাইনিংয়ে ডিগ্রি নেয়া এই ব্লগারের সাথে ছাগুগোষ্ঠীর বেশ ভালোই দহরম-মহরম ছিলো। ছাগুফাইটাররা ছিলো তার চোখের বিষ! আমি প্রায়ই নিধিরাম সর্দার নামক অসভ্য ব্লগারের কাহিনী নামক সেইরকম মজার পোস্টটি পড়ে বহুৎ মজা হাসিল করি!

অশ্রূ- এ টিমের কারো ফেইক পুরুষ নিক। নুরানী দাঁড়িঅলা বেশ সুদর্শন একজন 'জামাতী' ব্লগার। যার মূল লক্ষ্য ছিলো ছাগুচিফ ত্রিভুজকে টিজ করা। ত্রিভুজের gay প্রেমিক :#) ত্রিভুজকে নিয়ে সে অনেকগুলি কবিতা লিখেছিলো। আফসোস! বেরসিক মডুরা তাকে সুলেমানি বান মেরে সব লেখা মুছে দিয়েছে। তাই লিংক প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। কী সব কবিতা! একটা লাইন এখনও স্মৃতিতে জ্বলজ্বল করে, "শার্টের আঁচল দিয়ে তোমার ঘাম মুছে দেবো!"। হাহাহা!
জাফরিন সুপ্তি মাইরালা মার্কা হাসির প্রোফাইল পিকের এক জামাতপ্রেমী ছাইয়া। অনেকেই সে সময় তার সাথে টাংকি মারতে গিয়ে ধরা খেয়েছে। ইনিও সুলেমানি বান প্রাপ্ত।
মডুদের কাছে অনুরোধ, ব্যান বহাল রেখে এসব বিনোদনময় ব্লগারের পোস্টগুলি ফিরিয়ে আনা হোক!

কবি শফিকুল এবং তার সুলতা ফেটিশ- বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নামে কবি শফিকুল ওরফে এসএফকে০০৭ তার কবিতার পোস্ট দিয়ে যেতেন মোটামুটি সব ব্লগেই। তার কবিতা এবং বই নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা তুলে দিতেন সেইসব পোস্টে। কারো মন্তব্যের জবাব দিতেন না, কাউকে মন্তব্য করতেন না। তার সৃষ্ট চরিত্র ছিলো সুলতা। এই 'মহান' কবি মনে করতেন জীবনানন্দের বনলতার চেয়েও সুলতা বাংলা সাহিত্যে বেশি প্রভাব সৃষ্টিকারী চরিত্র। সবাই তাকে পচিয়ে কমেন্ট করতো, এবং সে তার বেশিরভাগই মুছে দিতো। তার মতে বনলতা সেন একটি সমকামী চরিত্র! কী পরিমাণ ফাজিল! জীবনানন্দ দাশের ‘বনলতা সেন’একটি শ্রেষ্ঠ সমকামী কবিতা !!!

ব্লগারদের তৈরি কিছু অসাধারণ ছবি-


বড় করে দেখতে
ছবিটি বানিয়েছেন ব্লগার সোজা কথা।


এটি কে বানিয়েছেন জানি না।


নেট ছাড়া যদি ব্লগিং করতে হতো, এভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে পোস্ট দিয়ে। ছবিটি বানিয়েছেন ফিউশন ফাইভ।


বাংলা ব্লগ ট্রাফিক। এটাও ফিফার বানানো।


এটাও ফিফার।


এটা বানিয়েছেন নাফিস ইফতেখার।


সবাকের বানানো।
আরো কিছু দারুন ছবি ছিলো। সেগুলো খুঁজে পাচ্ছি না। পেলে এ্যাড করে দিবো।

একটি অদ্ভুত স্টিকি পোস্ট! স্টিকি পোস্টগুলো হয় সুলিখিত, গুরুত্বপূর্ণ, এবং অবশ্যই বিশেষ কিছু। কিন্তু সাময়িক পোস্ট কি কখনও স্টিকি হতে পারে? হ্যাঁ, এই আজব ব্লগে সেটাও হয়েছিলো।
ATTN. কমপিউটার জগৎ ব্লগ কর্তৃপক্ষ ( সাময়িক পোস্ট )
জেনারেলের টুপি- সামুতে সেফ থেকে জেনারেল হতে কেউ পছন্দ করেন না। এতে ব্লগিং সুবিধা লাঘব হয়। অপরদিকে 'জেনারেল' একটি সম্মানজনক সামরিক পদবীও বটে। তাই ব্লগাররা সেফ থেকে জেনারেল হয়ে গেলে প্রোপিক পাল্টিয়ে জেনারেলদের টুপি পরিধান করতেন। এতে যেমন একটা প্রতিবাদের আঁচ থাকতো, তেমন অন্য ব্লগারদের কাছে সমীহও আদায় করা যেতো! এর ফাঁকে ব্লগার এরশাদ বাদশা টুপির দোকান দিয়ে বসলেন। ভালোই বিকিকিনি হয়েছিলো! এখন দেখছি সেখানে মাত্র একটা টুপি অবশিষ্ট আছে। কারো লাগবে নাকি?
অন্যান্য ব্লগে আমার অভিজ্ঞতা-
আমার ব্লগ- সামুতে আসার কিছুদিন পর বাবুয়া ক্যাচালে অনেক ব্লগার ব্যান হলেন। অনেকেই প্রতিবাদে পোস্ট বিরতি শুরু করলেন। সেই নিষ্প্রাণ অচলাবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে বেশ কয়েকজন "আমার ব্লগ"এ একাউন্ট খুললেন। যারাই এসেছিলো তাদেরকে অত্যন্ত উষ্ণ আন্তরিকতার সাথে বরণ করে নেয়া হয়েছিলো। তবে ওখানে নানাবিধ কারণে বেশিরভাগই স্থায়ী হন নি।
আমরা বন্ধু- এটি সামুর প্রাচীন ব্লগারদের তৈরি একটি বিদ্রোহী ব্লগ। সেখানেও একাউন্ট খুলেছিলাম। প্রথমদিকে খুবই জমজমাট ছিলো। আর এখন! দিনের পর দিন যায় নতুন পোস্ট আসে না সেখানে। এই ব্লগটির পোস্টরুল পছন্দ হয় নি আমার। শর্ত ছিলো পুরোনো,পূর্বে অন্য কোন ব্লগে প্রকাশিত কোনো লেখা দেয়া যাবে না, আর সেখানে প্রকাশিত লেখা অন্য কোন ব্লগে আটচল্লিশ ঘন্টার মধ্যে প্রকাশ করা যাবে না।
সোনাব্লগ- এই কুখ্যাত ছাগু ব্লগে আমার নাম ও প্রোফাইল পিকচার নকল করে একাউন্ট খোলা হয়েছিলো। ছাগুদের কাম কারবার আর কী! এখানে বেনামে একাউন্ট খুলেছিলাম ছাগুদের সাইজ করতে। তা যথারীতি ব্যান খায়।ব্লগার রাজীব হায়দার ওরফে থাবা বাবা'র হত্যার ইন্ধন যোগানোর অভিযোগে এটি গত তিনবছর ধরে বন্ধ।
ইস্টিশন ব্লগ- এখানে স্বনামে একাউন্ট খুলেছিলাম। একটি পোস্ট দেয়ার পর আর যাওয়া হয় নি।
চতুর্মাত্রিক ব্লগ- আমার ব্লগজীবনের দ্বিতীয় বাড়ি। এই ব্লগে চমৎকার কিছু সময় কাটিয়েছি। এখানে এখনও ব্লগিং অব্যাহত রেখেছি। নতুন কোন লেখা লিখলে সামু এবং চতুর দুই জায়গাতেই দেয়া হয়। এটিও একটি বিদ্রোহী ব্লগ। ২০০৯ এর ভেবু-লুল্পুরুষ কাণ্ডের পর কিছু ব্যান খাওয়া এবং কিছু বীতশ্রদ্ধ হওয়া ব্লগার মিলে গড়ে তোলে চমৎকার এই ব্লগটি। বিশেষ করে আমি যখন সামুতে সাড়ে ছয়মাস কমেন্ট ব্যান ছিলাম, সেই সময়ে ধুমিয়ে ব্লগিং করেছি এখানে। এই ব্লগে আমার অস্কার পুরষ্কার নিয়ে একটি লেখা স্টিকিও হয়েছিলো। সবেধন নীলমনি এই সাত বছরেরও দীর্ঘ সময়ে ব্লগিং করা আমার! চতুরে অনেক গুণী ব্লগারের সাথে পরিচয় হয়েছে। মূলত সাহিত্যনির্ভর ব্লগ হলেও সেখানে ক্যাচাল কম হয় নি। সেখানকার ক্যাচাল আবার অন্যরকম। সামুর মতো গালাগালি, মাল্টিনিক এসব কিছু ছিলো না। বুদ্ধিদীপ্ত এবং শৈল্পিক মন্তব্যে একদম তুলোধুনো করে ফেলা হতো দুষ্ট ব্লগারদের। আর কোন ছাগু ভুল করে ঢুকে পড়লে তো ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা হতো! এমন কিছু ক্যাচালময় এবং মজার পোস্টের লিংক দিচ্ছি, পড়ে আনন্দ পাবেন নিশ্চিত!
একজন তরুণ ' কবি' দাবীদারের ভুলে ভরা কিছু লাইনের নমুনা
বিদায় ব্লগীং : বিদায় চতুর্মাত্রিক: আমার শেষ ব্লগ:
আকাশের জন্য পাহাড়
চতুর্মাত্রিক কী তবে মাস্তানদের আবাসস্থল ?
পারলে বলেনতো ! ! !
গল্প : রুটিন

পোস্ট প্রায় শেষ পর্যায়ে। কিন্তু এখনও সামুর একটিও ক্যাচাল পোস্ট দেয়া হলো না। তাই ব্লগজাতিকে হতাশা থেকে রক্ষা করার জন্যে একটি ক্যাচাল পোস্ট সংযুক্ত করা হলো।
WANNA LEARN FASHION DESIGNING ?
এই পোস্টে কমেন্ট করে বেশ কয়েকজন ব্লগার জেনারেল হয়েছিলো। তাই ধারণা জন্মেছিলো যে এই নিকটি মডুদের পেয়ারের কোন ব্লগারের। অবশ্য পরে পোস্টদাতা আর আসেন নি সামুতে। তাই রহস্যটা অজানাই থেকে গেলো!

কালাজাদু- এবার একটা জাদু দেখাবো। একটি লিংক দিচ্ছি। খুব সাবধান ক্লিক করার ব্যাপারে। ক্লিক পরবর্তী কোন সমস্যার জন্যে আমি দায়ী নই। হাহাহা!
ছু মন্তর ছু!
কি, ডরাইলেন? B-)

সবশেষে, ফিরে যাই পোস্টের শুরুতে উল্লেখিত ব্যাপারটা সম্পর্কে। জানতে চান সেই সিক্রেট? খুব ভালো। আপনার বয়স কি একশ হয়েছে? আগেই বলেছি, একশ বছরের বুড়ো ব্যতীত কারো এই ঘটনা জানার উপায় নেই। এই সিক্রেট প্রকাশ করলে সৃষ্টি হবে অবিশ্বাস্য এক ক্যাচালের, যা কেউ ভাবে নি কখনও! শয়ে শয়ে মাল্টিনিক গজাবে, শয়ে শয়ে নিক শহীদ হবে অবিশ্বাস্য এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। জানতে ইচ্ছে করছে খুব? কিন্তু আমি যে সিসিলিয়ানদের মতো 'ওমের্তা' পালন করতে শিখে গেছি। প্রায়োরি অফ সাইওনের সদস্যদের মত গোপন রেখে দিয়েছি। তাই দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া কোন উপায় নেই।
চাঁদ কেন ওঠে? সূর্য কেন ডোবে? বসন্তকালে কেন শরীল চাবায়? কিছু কথা থাক না গুপন! B-))

শুভ ব্লগিং!

সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৪
৯৪টি মন্তব্য ৯৬টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ মিসড কল

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×