শেষ পর্যন্ত বিএনপি আজ সংসদে স্বীকার করলোঃ একটা ১৫ আগষ্ট করেছি আর একটা ১৫ আগষ্ট করবো। গতকালের সংসদ অধিবেশনের ভয়েস/ভিডিও রেকর্ড দেখে বের করা হউক কে কে এ কথাগুলো বলেছে। এদের ফুল স্টোরী জাতিকে শোনানোর ব্যাবস্হা করা হউক।
এই ফাকে চলুন এন্থনীর নেয়া কর্নেল রশিদ ও কর্নেল ফারুকের সাক্ষাৎকারটি আর একবার খেয়াল করি। "লেটেন্ট ওয়ার্ডস অব মুজিব কিলিং।"
কর্নেল ফারুক এবং কর্নেল রসিদ বলছে কেন তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ছিল।
এন্থনিঃ তোমরা কি তোমাদের মতাদর্শে প্রত্যাবর্তনের কথা মুজিবকে বোঝানোর চেষ্টা করে ছিলে ?
রশিদঃ না ! আমাদের লেভেলের জুনিয়ার অফিসারদের সেই সুযোগ ছিল না।
এন্থনীঃ মুজিবকে হত্যা না করে তোমাদের লক্ষ্য অর্জন কি সম্ভব ছিল না ?
রশিদঃ না, তাঁর ভেতর সাধারন গনমানুষকে আন্দোলিত করার আশ্চর্য এক ক্ষমতা ছিল। তাকে জীবিত রেখে কোন অভ্যুথান বা ক্যু ঘটাতে গেলে অনেক সমস্যা মোকাবেলা করতে হতো। অধিকন্তু তিনি ছিলেন খুবই অভিজ্ঞ একজন রাজনীতিবিদ তাই তার যে কোন তৎপরতায় আমরা পরাজিত হতাম এবং দেশটাই হারাতাম ।
এন্থনীঃ তো তোমরা বলছ মুজিব বেঁচে থাকলে সাধারন গনমানুষকে নিয়ে তোমাদের এই ক্যু ব্যর্থ করে দিত ?
রশিদঃ হ্যাঁ তাই হতো। তাই তাকে হত্যাই ছিল আমাদের মতাদর্শ পুনপ্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ।
এসাইনম্যান্ট চুড়ান্ত করে হত্যাকারী জুনিয়র কর্নেলের এ দলটির তাদের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য একই মতাদর্শের সবচেয়ে যোগ্য একমাত্র ব্যক্তি হিসাবে যাকে বিবেচনা করলো তিনি ছিলেন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান।
ফারুকঃ আমাদের লীড করার জন্য জেনারেল জিয়াই ছিল মতাদর্শগত ভাবে যোগ্যতম ও বিশ্বস্ত ব্যাক্তি। তার সাথে দেখা করলাম ২০ শে মার্চ ১৯৭৫, জনারেল জিয়া বললেন একজন সিনিয়র অফিসার হিসাবে আমি তোমাদের এই টিমে সক্রীয় হতে পারি না, তোমরা জুনিয়র অফিসাররা এই অংশটা চালিয়ে যাও।
ফারুকঃ এর পর লনে হাটতে হাটতে বললাম, স্যার ! আমরা প্রফেশনাল সোলজার। আমরা প্রফেশনাল কীলারের মত কোন একক ব্যক্তিকে সার্ভ করবো না। আমরা আপনার এবং আমাদের মতাদর্শের বিজয় দেখতে চাই। এ মিশনে আপনার সমর্থন ও নেতৃত্ব অনিবার্য।
এন্থনীঃ রশিদ ! মুজিবকে হত্যার পর তুমি আর ফারুক মুশতাকের সাথে দেখা কর। তোমরা কি আগে তার সাথে প্ল্যান করেছিলে ?
রশিদঃ হ্যাঁ! আগষ্টের প্রথম সপ্তাহে মুশতাকের সাথে আমাদের সংযোগ ঘটানো হয়। পরে প্রস্তুতি শেষে ১৪ আগষ্ঠ ১৯৭৫ দেখা করি ।
এন্থনীঃ মুজিবকে হত্যার পরিকল্পনা তার সাথে আলোচনা করেছিলে ?
রশিদঃ না ! এভাবে সরাসরি বলিনি তবে ইসারায় বুঝিয়েছি আপনি এবং আমরাদের মতাদর্শ পুনপ্রতিষ্ঠার জন্য মুজিবকে হত্যার সব প্রস্তুতি সম্পূর্ন হয়েছে এবং আমাদের গোষ্ঠির সকলে প্রস্তুত আছে।
জিয়া রশিদ ফারুক এরা কি প্রফেশনাল সন্ত্রাসী ছিল ?
না কি, এরা ছিল কোন মতাদর্শ রক্ষার হাতিয়ার ?
কি ছিল এই মতাদর্শ ? কারা ছিল এই মতাদর্শের ধারক ?
হ্যাঁ, এরা ছিল দ্বি-জাতি তত্ত্ব, পাকিস্তান, আইএসআই, জামাতে ইসলামী, মুসলিমলীগ, রাজাকারের থার্ড লাইন রিমেডি। এরাই আজ প্রতিষ্ঠিত। বাংলা আজও পরাজিত। ইহাই সত্য।
এতদিন পর বিএনপি সংসদে চিৎকার করে স্বীকার করছেঃ "একটা ১৫ই আগষ্ট করেছি এবার আর একটা ১৫ই আঘষ্ট করবো।"
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:০৯