somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাইন্স ফকিশন, এডভঞ্চোর, লাভ স্টোররি সমন্বয়ে উপন্যাসরে শুরুটা কি এভাবে করা যায়?

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কেবলাকান্ত মেয়েদের সংজ্ঞায়িত করে আবেগ আর ছেলেদের বিবেক নামে। এবার এক্সপ্রিমেন্ট করার পালা সর্বশেষ ফলাফল উপস্থাপন, ফলাফল! আবেগ যখন বিবেকের সংস্পর্শে আসে এক নিমিষে আবেগ বিবেককে হরন করে পথভ্রষ্ট করে। মানে খুব সোজা আবেগ গন্ডিতে কিছুতেই পা দেয়া যাবেনা কিছুতেই প্রেম-টেম করা চলবেনা। তাহলে লাইফ এক নিমিষে পুরাই বরবাদ । প্রতিদিন একবার করে এক্সপ্রিমেন্ট করেও ফলাফল পজেটিভ আসেনা সবসময় নেগেটিভ। হ্যঙ্গলা পাতলা শরীর আবার চোখে বড় একটা চশমা মাথায় উশকো খুশকো চুলদেখে নির্গাত যে কারো মুখ ফসকে বোকা নয়ত গবেট বা পাগল শব্দটি বেরুবে। পুরো পাগল না বললেও যে আধাপাগল তা বলাতে কোনই সন্দেহ নেই। ক্লাসে একটি সিট উইল করে কিনে নিয়েছে স্যার যেখানে বসে লেকচার দেয় তার উল্টো দিকের প্রথম সিটটা। কেউ চেপে ধরেও কোনদিন স্যারের সামনের বেঞ্চে বসাতে পারেনি। মাঝে মাঝে ক্লাসে সটান করে দাড়িয়ে এক আজব প্রশ্ন করে বসে এরে.. এবার বুঝি স্যারের মুখে লাগাম লেগে গেল। স্যার তো এক প্রশ্ন শুনে উপকাত এদিক ওদিক তাকিয়ে না শোনার ভান করে বলে বসে তোমরা তাড়াতড়ি বইয়ের দিকে মনোযোগ দাও কলাস টাইম প্রায় শেষ হয়ে গেল। যাওয়ার আগে স্যার ওকে ডেকে বলে তুমি ক্লাসের মাঝে কি যেন বলতে চেয়েছিলে টিচারস রুমে এসো খুব ভালভাবে বুঝিয়ে উত্তর দিয়ে দিব। এই প্রশ্নের উত্তর আর কোনদিন বের হয়নি স্যারের ঘটে থেকে। এ রকম ছেলে পিছনের বেঞ্চে থাকাই এমন স্যারের জন্য উত্তম না হয় কখন জানি কি মুসিবতে ফেলে দেয়। এজন্য স্যার কখনও ওকে সামনের বেঞ্চে বসার জন্য জোর করেনা। স্যার তো ক্লাস টাইমে পিছনের বেঞ্চে ভুলেও তাকায়না আবার কোন মুসিবতে পড়ে যায়। লেখাপড়ায় গবেট বললেই চলে কিন্তু ক্লাসে কোনদিন ১০০ এর মধ্যে ৯০ এর কমে পায়নি। এই ক্যবলা চন্দ্রের রেজাল্ট দেখে সবাই হতভম্ব হয়ে যায় পরীক্ষার হলে স্যারের চোখ ক্যাবলার দিক থেকে এক সেকেন্ডের জন্য অন্য দিকে যায়না। কখন কেবলার নকল ধরবে পুরো সময়টা খাতার দিকে তাকিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে তবে কি খাতা বাড়ি থেকে লিখে নিয়ে এসেছে খাতা চেক করেও কিছুই পাওয়া যায়না। স্যারের মুখ যেন মলিন হয়ে যায়। ওর আবার নিজস্ব একটা জগৎও আছে এ জগৎ সবার থেকে ভিন্ন নীরব জগৎ, ভুতুরে জগৎ, কাল্পনিক জগৎ এ জগতের সবার কথা বুঝতে পারে ক্যবলা চন্দ্র। তার জগৎটি যেন সম্পূর্ন আলাদা কারো সাথে মিল নেই। কারো সাথে তেমন কোন কথাও বলেনা দুটি একটি কথা ছাড়া মুখ থেকে কেউ বুলেট মেরেও কথার বের করতে পারবেন। ওর আছে শত রকমের নামের বাহারী উপাধি যেখানেই যায় একটা করে নামের উপাধি নিয়ে আসে কেউ আইনেষ্টাইন, কেউ নিউটন, গনেশ, ভোলা, বোবা, বোকেশ, ভ্যবলা, ক্যবলাকান্ত, বিদ্যাসাগর নামে কত নাম যে উপাধি পেয়েছে তার কোন ঠিক নেই। তবে মা বাবা ছোটবেলা থেকে রহিত নামে ডাকে যে, যে নামেই ডাকুকনা কেন রহিত কোনদিন কাউকে কোন প্রতিউত্তর করেনি। রহিতের মাঝে সবসময় কি যেন একটা একাকিত্ব কাজ করে। কোন কিছুতেই যেন কেউ ওর একাকিত্ব ঘুচাতে পারছেনা রহিতের মা বাবা। ওর মা বা কেউ কোনদিন ওকে জোর করে বিনোদনেও নিয়ে যেতে পারেনি। রহিতের বন্ধু,বিনোদন,আনন্দ,হাসি,কান্না, সবকিছুই অন্ধকার কূপের মত ছোট একটি রুমের মধ্যে আর ওর নীরব গহীন অন্ধকার জগতের মধ্যে। সারা রুমে কি সব যন্ত্রপাতি, বই, ছড়ানো ছিটানো, কাউকে ওর রুমের মধ্যে ডুকতে দেয়না। রহিতের জীবনটাকে বলতে গেলে একরকম মরা জীবন বলা চলে। সবার কাছে মরা জীবন হোক আর পেড়া জীবই হোক ওর কাছে এই জীবনটা কিন্তু বেশ লাগে রহিত বাস্তবেও এমন একটা জগৎ খুজে। রহিত যখন রাস্তার পাশ দিয়ে হেটে শুনতে পায় পাখি কিচিমিচির ডেকে মনের কথা বলছে, গাছ নীরবে দাড়িয়ে বোবা কান্না কাদছে, আবার সমুদ্র বিশাল গর্জনে তাহার মনের কষ্ট দুর করছে। আজ রহিতের এস.এস.সি পরীক্ষা শেষ হয়েছে মুখে একটা অন্যরকম হাসিমাখা মুখ নিয়ে রহিত বাড়িতে প্রবেশ করল। রহিতের মা বাবা তার হাসিমাখা চেহারাখানা দেখতে খুশিতে আত্মহারা। রহিতের মা-বাবা ভাবল ছেলে মনে হয় কারো প্রেমে টেমে পড়েছে বা কাউকে মনে ধরেছে যার জন্য আজ ওর মধ্যে পরিবর্তনের ছোয়া। খুশিতে আত্মহার হওয়ার তো কথায় ছেলের হাসিমাখা মুখখানা কবে যে দেখেছে তা বোধায় ওর মা বাবার স্মরন নাই। ..................................


কারো কোন পরামর্শ থাকলে অবশ্যই নিচের কমেন্সে এ লিখবেন...।


২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×