বঙ্গোপসাগর লক্ষ লক্ষ ইলিশ মাছ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছে। এবার পদ্মার জেলেরা নাকি ত্রিশ লক্ষ ইলিশ মাছ মেরেছে। জড়ো হওয়া ইলিশদের এক দাবি - এত ইলিশের মৃত্যূর জন্য জেলেদের শাস্তি পেতে হবে, ক্ষতিপুরণ দিতে হবে।
বঙ্গোপসাগরের ইলিশদের এই প্রতিবাদে একাত্মতা জানাতে বিশ্বের সব সাগর, মহাসাগর থেকে নানা প্রজাতির মাছ এসে বঙ্গোপসাগরে জড়ো হয়। মাছে মাছে বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে ওঠে।
কিন্তু পদ্মা পাড়ের জেলেরা এসবে সামান্যই ভ্রূক্ষেপ করে। তারা তাদের ধরা মাছ চড়া দামে বিক্রি করে, ক্রেতারা বেশি দামের অভিযোগ করলে তারা বলে,‘এবার মাছ মারা পড়ছে কম।’
জেলেদের এই মিথ্যাচারে ইলিশরা আরও ক্ষেপে ওঠে। শ্লোগানে শ্লোগানে বঙ্গোপসাগর মুখরিত হয়ে ওঠে -‘সহীদ ইলিসের রক্ত বৃথা যেত দিব না।ত্রিশ লক্ষ জীবন বৃথা যেত দেব না।’
ঠিক তখন এক ইলিশ-মাতা বলে ওঠেন,‘ত্রিশ লক্ষ ইলিস সহীদ হয়েছে - এটা বিতর্কিত সংখ্যা। সহীদের সংখ্যা আরও কম।’
‘ঐ দেখ, ঐ দেখ ইলিশরাই বলছে এবার মাছ মারা পড়ছে কম,‘বলে চতুর জেলেরা ইলিসের দাম দুইগুণ তিনগুণ বাড়িয়ে অধিক মুনাফা করে নেয়।
এসব দেখে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আগত নানান প্রজাতির মাছরা,‘আরে আমরা কাদের পক্ষে কথা বলতে এসেছি, এদের নিজেদেরইতো কথা ঠিক নেই,’ বলে সবাইে একে একে চলে যায়।
বঙ্গোপসাগরে রয়ে যায় শুধু হতাশাগ্রস্থ ইলিশ। এদের মাঝ থেকেই এক দল ইলিশ হঠাৎ শ্লোগান দিয়ে ওঠে,‘ইলিশ-মাতার জয় হোক, সত্যের জয় হোক।’
সাথে সাথে আরেক দল বলে ওঠে,‘ইলিশ-মাতাকে পদ্মায় পাঠিয়ে দেয়া হোক, জেলেরা তাকে কেটেকুটে খাক।’
আর আমার মত সাধারণ ইলিশরা অবাক হয়ে ভাবে - ইলিশ-মাতা কেন সহীদ ইলিশের সংখ্যাটাকে বিতর্কিত করলেন ? এতে ইলিশ সমাজের কী লাভ হলো ? লাভ যা হবার তাতো জেলেদের হয়েছে ।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৯