সালামাত (১৯৫৪)
৫২’র ভাষা আন্দোলনের পর থেকেই তৎকালীন পূর্বপাকিস্থানে (বর্তমান বাংলাদেশ) বাঙ্গালির নিজস্ব সংস্কৃতির চর্চা বাড়তে থাকে। চর্চার বিষয়বস্তু হিসেবে অগ্রযাত্রায় শামিল হয় চলচ্চিত্র। প্রায় বছর দুই পেরুতেই শহীদুল আলম, আবদুল জব্বার খান, কাজী নুরুজ্জামান খান এবং আর কয়েকজন মিলিত হয়ে গড়ে তোলেন ‘ইকবাল ফিল্মস’। প্রায় একই সময়ে ডঃ আবদুস সালেক, দলিল আহমেদ, আজিজুল হক, দুদু মিয়া, কবি জসীম উদদীন, কাজী খালেক, সারওয়ার হোসেন এবং আর কয়েকজন মিলে প্রতিষ্ঠা করেন ‘কো-অপারেটিভ ফিল্ম মেকারস লিমিটেড’। পাশাপাশি ১৯৫৪ সালেই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থান সরকারের জনসংযোগ বিভাগের অধীনে নাজির আহমেদের তত্ত্বাবধায়নে একটি চলচ্চিত্র ইউনিট গড়ে তোলা হয়। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ছিল ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় একটি স্টুডিও এবং একটি গবেষণাগার তৈরি করা। এই ফিল্ম ইউনিটের অধীনেই নাজির আহমেদের পরিচালনায় নির্মিত হয় ‘সালামাত’ প্রামাণ্যচিত্রটি (ডকুমেন্টারি)। এই প্রামাণ্যচিত্রটির গল্পটি ছিল একজন নির্মান শ্রমিককে নিয়ে, যিনি নতুন রূপে বদলে যাওয়া রাজধানী ঢাকাকে প্রত্যক্ষ করেছেন। 'সালামত' প্রামাণ্যচিত্রটির কাহিনী ভাবনা ছিল নাজির আহমেদ এর, তবে কাহিনীকার ছিলেন সৈয়দ নুরুদ্দিন। তিনি এর দৃশ্য পরিকল্পকও ছিলেন। আর নাজির আহমেদ ছিলেন এর চিত্রনাট্যকার, সংলাপকার, পরিচালক ও সম্পাদক। চিত্রগ্রাহক ছিলেন লাহোরের ইকবাল মির্জা। তার সহকারী ছিলেন হাবিব বারকী।
‘সালামাত’র সংগীতায়োজন করেছেন আবদুল আহাদ। প্রামাণ্যচিত্রটির দু'টি গান - "দে কানাইয়া লাল বসন আমার হাতে দে", "ঢাকা থেকে আইন্যা দিও আবের চিরুণী" এ সুর সংযোগ করেন আবদুল আহাদ।
এক নজরে সালামাতঃ
পরিচালকঃ নাজির আহমেদ।
কাহিনীকারঃ সৈয়দ নুরুদ্দিন।
চিত্রগ্রাহকঃ ইকবাল মির্জা।
প্রযোজকঃ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থান সরকারের জনসংযোগ বিভাগ।
নির্মানসালঃ ১৯৫৪
সংগীতায়োজনঃ আবদুল আহাদ।
---অনিক কান্তি সরকার
বিশেষ কৃতজ্ঞতাঃ দেওয়ান মাহবুবুল আলম।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:১১