“আমি কিন্তু হজ আর তাবলিগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীরও বিরোধী। তবে তার চেয়েও হজ ও তাবলিগ জামাতের বেশি বিরোধী।”
“এ হজে যে কত ম্যানপাওয়ার নষ্ট হয়। হজের জন্য ২০ লাখ লোক আজ সৌদি আরবে গিয়েছে। এদের কোনো কাম নাই। এদের কোনো প্রডাকশন নাই। শুধু রিডাকশন দিচ্ছে। শুধু খাচ্ছে আর দেশের টাকা দিয়ে আসছে।”
“আব্দুল্লাহর পুত্র মোহাম্মদ চিন্তা করল এ জাজিরাতুল আরবের লোকেরা কিভাবে চলবে। তারাতো ছিল ডাকাত। তখন একটা ব্যবস্থা করলো যে আমার অনুসারীরা প্রতিবছর একবার একসাথে মিলিত হবে। এরমধ্য দিয়ে একটা আয়-ইনকামের ব্যবস্থা হবে।”
গত রোববার বিকেলে নিউ ইয়র্কে জ্যাকসন হাইটসের একটি হোটেলে স্থানীয় টাঙ্গাইল জেলা সমিতির দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী তার বক্তব্যে উপরোক্ত মন্তব্য করেন। এছাড়াও উক্ত সভায় এই কুলাঙ্গার প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, স্থানীয় সাংবাদিক ও তাবলীগ জামায়াত সম্পর্কেও আপত্তিকর মন্তব্য করেন। সজীব ওয়াজেদ জয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা। এটাও তিনি জানেন না?
বোঝাই যাচ্ছে যে, এই কুলাঙ্গারটি নাস্তিক্যবাদে বিশ্বাসী। এটা নিয়ে আমার আপত্তি নেই। এটা তার বিশ্বাসের ব্যাপার। কিন্তু এই পাপাত্বার কাছে আমার কয়েকটি প্রশ্নঃ
১. প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়ে সরকারী খরচে বিদেশে গিয়ে আপনি দেশের জন্য কি প্রডাকশন দিচ্ছেন? এই সফরে আপনি দেশের জন্য কি ভাল কাজ করে এসেছেন জনগণের কাছে তার হিসাব আপনাকে অবশ্যই দিতে হবে।
২. আপনি নাস্তিক হোন আর যাই হোন এতে কিছু এসে যায় না। কিন্তু সরকারের একজন বেতনভোগী কর্মচারী, জনগণের নগণ্য সেবাদাস ও একজন দায়িত্বশীল পদে থেকে দেশের সিংহভাগ মানুষের ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত করার অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে?
২. খবরে প্রকাশ, মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হজ পালনের উদ্দেশ্যে আজ মঙ্গলবার রাতে সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা হয়ে যাবেন। আমার প্রশ্ন, মহামান্য রাষ্ট্রপতির কি কোন কাজ নেই?
৩. ইতিমধ্যে সরকারের দুই মন্ত্রী ইনু ও মেনন সাহেব হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। উনাদেরও কি কোন কাজ নেই?
৪. আপনার কথামত জানা যাচ্ছে যে, মহানবী (সাঃ) এর আমলেই হজ্জ্ব পালন করার নিয়ম চালু হয়েছে। আপনার জ্ঞান কোন স্তরে আছে তা আপনি নিজেও জানেন না।
আমরা জানি উপরের একটা প্রশ্নের উত্তরও এই জ্ঞানপাপীর কাছে নেই। এসব মানুষের কাজ গন্ধ ছড়ানো। এই গন্ধে ইসলাম ধর্ম, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ), বা ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ হজ্বের কিছুই হবে না। এতে তিনি নিজেই ডুবে যাবেন। মাঝখান থেকে সরকার হবে বিব্রত। এই কুলাঙ্গারের বিরুদ্ধে যদি কোন ব্যবস্থা নেয়া না হয় তবে জনগণ ভাববে সরকারের এতে মদদ আছে। আমরা বিশ্বাস করি, সরকারের এতে কোন দায়বদ্ধতা নেই। তাই যদি হয়, তাহলে একে রাখার দরকার কি?
পত্রিকা মারফত জানতে পারলাম যে, মন্ত্রী পরিষদে রদবদল আসন্ন। যারা বাদ পরতে পারেন তাদের সংক্ষিপ্ত তালিকাতে এই নাদান মন্ত্রীও আছেন। আমার ধারণা এটা তিনি টের পেয়ে ‘সেফ এক্সিট’ খুজে ফিরছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অবিলম্বে এই কুলাঙ্গারকে তার অপকর্মের বিচার করুন। আর পরকালের বিচার উনি যথাসময়ে পাবেন।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৪