somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলা ও বাঙালির বিবর্তনের পথ পরিক্রমা ( ইতি পর্ব )

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

“বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর”, “তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা”, “জেগেছে জেগেছে, বাঙালি জেগেছে”, “জয় বাংলা” প্রভৃতি স্লোগানের মধ্য দিয়ে শুধু বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনাই নয়, বাঙালি সংস্কৃতির একটা সংগ্রামী চরিত্রও তার “কালেকটিভ আনকনশাস” তথা যৌথ অবচেতন দানা বাঁধল। বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার বিরুদ্ধ পক্ষ সাময়িকভাবে পরাভূত হলেও তারা চূড়ান্ত পরাজয় মেনে নিতে পারে নি। তাদের অনেকেরই কাঁধ থেকে তখনও পাকিস্তানি ভূত নেমে যায় নি। ১৯৭৫ এর পট পরিবর্তনের পর পরই প্রতিক্রিয়াশীল সেই সব শক্তি নিজেদের নতুন করে সংহত করে সাম্রাজ্যবাদী মহলের যোগসাজসে বাঙালি সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এ কথা সর্বজনস্বীকৃত যে, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এবং সেই সূত্রে বাঙালির সঠিক সংস্কৃতির প্রতি গভীর অনুরাগ থেকেই আমাদের সুস্থ জাতীয়তাবাদী চেতনার বিকাশ ঘটে। পরে এরই পর্যায়ক্রমিক বিকাশ আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের ভিত্তি প্রস্তুত করে এবং অনিবার্য করে তোলে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ। কিন্তু জাতির চরম দুর্ভাগ্য যেসব শক্তি বাঙালি জাতীয়তাবাদের অন্যতম ভিত্তি বাঙালি সংস্কৃতিকে কখনও অন্তর থেকে স্বীকার করে নেয়নি, সর্বদা যারা তাকে একটি বিজাতীয় হিন্দু সংস্কৃতি রূপেই দেখেছে, সেই প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিসমূহ কতকগুলো চূড়ান্তভাবে স্থিরীকৃত বিষয়কে নতুন বিতর্কের বস্তু করে নিজেদের হীন স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে জাতীয় জীবনে সর্বধ্বংসী বিরোধের বীজ বপন করে চলে। এরা আমাদের জাতীয় সঙ্গীতের যুক্তিযুক্ততা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, নজরুলকে উপস্থিত করার চেষ্টা করে খন্ডিত সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে, ধর্মনিরপেক্ষতার চেতনার বিরুদ্ধে উসকে দেয় মৌলবাদী ধর্মান্ধতা। এদেরই উদ্যোগে আমরা জড়বুদ্ধি, অসুস্থ, প্রতিবাদে অক্ষম, এককালের মহাবিদ্রোহী নজরুলকে তাঁর মৃত্যুর অল্পকাল আগে দেখলাম কিস্তি টুপি মাথায় বঙ্গভবনে সরকারিভাবে সংবর্ধিত হতে। নজরুল ইসলাম মাঝে মাঝে টুপি পরতেন বৈকি, বিশেষ করে সভাসমিতিতে, কিন্তু সে টুপি ছিল ভারতীয় কংগ্রেসের সংগ্রামী ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত নেতাজী সুভাষ বসুর টুপির মত, কদাপি আমাদের ধর্মীয় অনুষঙ্গ-মাখা কিস্তি টুপি নয়। এসব আলাদাভাবে দেখলে তুচ্ছ বিষয়। কিন্তু প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িক শক্তিসমূহ যখন পরিকল্পিতভাবে এ জাতীয় কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনাকে ধ্বংস করে বাঙালির আত্মপরিচয়ের ক্ষেত্রে একটা কৃত্রিম সমস্যা সৃষ্টির অপপ্রয়াসের লিপ্ত হয়, তখন আর তাকে তুচ্ছ করা যায় না। প্রতিক্রিয়াশীল চক্র জানে যে বাঙালি সংস্কৃতি ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রশ্নে সাধারণ সরল দেশবাসীর মনে নানা কূট চালের মাধ্যমে দ্বিধা ও সন্দেহ সৃষ্টি করাতে পারলেই তাদের স্বার্থসিদ্ধির পথ সুগম হবে। এ কাজে তারা সব চাইতে বেশি ব্যবহার করে ধর্মকে, ধর্মীয় আবেগকে।

বাঙালি বনাম বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ নিয়ে যে অর্থহীন বিতর্কের ধূম্রজাল সৃষ্টি করা হয়েছে এবং হচ্ছে সে সম্পর্কে এখানে কিছু আলোচনা প্রাসঙ্গিক হবে বলে মনে হয়। এ বিতর্ক দেশবাসীর উপর স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যেখানে কোনো প্রকৃত সমস্যা নেই সেখানে সৃষ্টি করা হচ্ছে একটা কৃত্রিম সমস্যা। দেশের শতকরা নব্বই জন মানুষ, সে গ্রামের হোক কি শহরেরই হোক, সে বাঙালি নাকি বাংলাদেশী এ প্রশ্ন নিয়ে এক রত্তিও মাথা ঘামায় না। তার আসল সমস্যা ভাত-কাপড় নিয়ে, তার জীবিকার ব্যবস্থা ও তার জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে। তার চিত্তে যদি বাঙালি-বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের মত বিতর্কমূলক প্রশ্ন তুলে একটা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করা যায় তাহলে স্বৈরাচারী শাসন-শোষনের কাজ অনেক সহজ হয়ে ওঠে। শিক্ষিত নাগরিক সমাজেও এক সময়ে এ জাতীয় প্রশ্ন উঠেছিল। তারপর এ প্রশ্নের উত্তরও পাওয়া গিয়েছিল। শুরু হয়েছিল বাঙালি মুসলমানের ঘরে ফেরা। বিশেষভাবে নাতিদূর অতীতের তথা ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, তার পরবর্তী পর্যায়ের স্বৈরাচারবিরোধী বিভিন্ন গণআন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষের মনে ধর্মনিরপেক্ষতার চেতনা দৃঢ় হয়, সংস্কৃতির প্রশ্নে সাম্প্রদায়িকতামুক্ত প্রগতিশীল চিন্তাধারার বিকাশ ঘটে এবং এর মধ্যে কোনো স্ববিরোধিতা নেই। আজ বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্রের নাগরিকরূপে তারা নিজেদের পরিচয় দিতে পারে একই সঙ্গে বাঙালি, মুসলমান ও বাংলাদেশীরূপে।

বাংলাদেশীরূপে আজ আমাদের দেশের একজন মানুষ নিজেকে আবিষ্কার করে একটা ভৌগলিক সীমানার মধ্যে মুসলমান-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান নির্বিশেষে, তার ধর্মীয় পরিচয়কে অতিক্রম করে, একটি স্বাধীন জাতিরাষ্ট্রের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে। তার সে পরিচয় লিপিবদ্ধ থাকে তার পাসপোর্টে, যা অন্য কোনো দেশের নাগরিক থেকে সবার সামনে তার একটা স্বতন্ত্র ও বিশিষ্ট পরিচয় দ্ব্যর্থহীনভাবে তুলে ধরে। একজন মুসলমান বা হিন্দু বা বৌদ্ধ বাঙালি তার ধর্মীয় পরিচয়ে নিজেকে নিজেকে আবিষ্কার করে একটি ধর্মীয় বৃত্তের মধ্যে, যা একান্তভাবে তার ব্যক্তিগত বিশ্বাসের অন্তর্গত এবং যা তাকে তার ধর্মাবলম্বী বিশ্বের অন্যত্র বসবাসকারী মানুষের সঙ্গে একটা আত্মিক মিলন বন্ধনে বেঁধে দেয়, অন্তত তাত্ত্বিক দিক থেকে। আর বাঙালিরূপে সে নিজেকে আবিষ্কার করে একটা গৌরবজ্জ্বল ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী উত্তরাধিকার হিসেবে, যেখানে ভৌগলিক সীমানা কিংবা ধর্মীয় বৃত্ত মূখ্য নয় এবং নৃতাত্ত্বিক, সামাজিক, ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বিবেচনাই প্রধান। বিশ্বের নানা মানুষের এই জাতীয় একাধিক পরিচয়ের বিষয়টি নতুন কিছু নয়। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের পরিচয় একই সঙ্গে পাঞ্জাবি ও ভারতীয়, তামিল ও ভারতীয় ইত্যাদি। পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের পরিচয়ও তেমনি একই সঙ্গে পাঠান ও পাকিস্তানি, বালুচ ও পাকিস্তানি, পাঞ্জাবি ও পাকিস্তানি ইত্যাদি। মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলোর মানুষের একটা ব্যাপক পরিচয় হচ্ছে যে তারা সবাই আরবীয়। সেখানে তাদের ভাষা ও সংস্কৃতি তাদের পরিচিতির মূখ্য উপাদান। অন্য পরিচয়ে তারা কেউ সৌদি, কেউ ইরাকি,কেউ বা অন্য কিছু। এই কিছুদিন আগেও, যখন স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দুটো জার্মানি ছিল, তখনও উভয় রাষ্ট্রের মানুষের একটা পরিচয় ছিল এই যে, তারা সবাই জার্মান। এই পরিচয়ে ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতি অতীত ইতিহাস দ্বারা গঠিত এক জার্মান মানসের উপরই ন্যস্ত ছিল প্রধান ঝোঁক। সে পরিচয় কখনও মুছে যায় নি।

মানুষের এই রকম দ্বৈত বা ততোধিক সত্তার সবগুলোই তাৎপর্যময়। কখন কোন সত্তা প্রধান হয়ে উঠবে, তার আচার-আচরণ, কর্ম এবং বিশ্বাসকে পরিচালিত করবে, তা নির্ভর করবে স্থান-কাল-পরিস্থিতি তথা সামগ্রিক প্রেক্ষাপটের উপর। আজ বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রশ্ন তুলে আমাদের মানস ও সংস্কৃতির তথা বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনাকে পেছনে ঠেলে দিয়ে একটা অকল্যাণকর দুষ্ট পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এর সুযোগ নিয়েই স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তিগুলো আবার মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে, ধর্মনিরপেক্ষতার উজ্জ্বল চেতনা ম্লান ও ধূসর হয়ে তার জায়গায় ধর্মান্ধতার কালো মেঘ, শিক্ষাঙ্গনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে, সুস্থ চিন্তাকে আচ্ছন্ন করতে বসেছে, পাঁয়তারা চলছে দেশটাকে একটা মৌলবাদী, পশ্চাৎমুখী রাষ্ট্রে পরিণত করার।

আমরা বাঙালি। বাঙালি জাতীয়তাবাদ হলো আমাদের অস্তিত্বের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ বলে কিছু নেই। যেমন ছিল না পূর্ব জার্মান জাতীয়তাবাদ কিংবা পশ্চিম জার্মান জাতীয়তাবাদ বলে কিছু। এখানে একটা বিষয় নিয়ে কারো কারো মনে ঈষৎ খটকা দেখা দিতে পারে, যদিও তার যথার্থ কোনো কারণ নেই। ভারতের পশ্চিম বঙ্গের লোকও বাঙালি। কিন্তু তারা স্বাধীন ভারতের বাঙালি, সার্বভৌম একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্যের অধিবাসী। আর আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের বাঙালি, একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বাধীন নাগরিক। তবু অস্তিত্বের, হৃদয়ের ও মননের একটা বিরাট অংশ অধিকার করে আছে আমাদের উভয়ের ভাষা ও সাহিত্য, আমাদের উভয়ের অতীতের যৌথ বাঙালি সভ্যতা ও সংস্কৃতি। এইসব এমন একটা সুস্পষ্ট বাঙালি মানস গড়ে তুলেছে যেখানে সহমর্মিতা ও সহধর্মিতার রূপ প্রকট। আবার এটাও সত্য যে, উভয়ের মধ্যে একটি স্তরে পার্থক্যও বিরাজ করছে। পশ্চিম বাংলার বাঙালির বাঙালিত্বের উপর ক্রমাগত একটা অখণ্ড ভারতীয়ত্বের অভিঘাত পড়ছে। তাদের বাঙালিত্বের চেতনার সাথে, রাজনৈতিক ঐতিহাসিক ও আর্থ-সামাজিক কারণে ক্রমেই অবিচ্ছেদ্যভাবে মিশে যাচ্ছে ভারতীয়ত্বের চেতনা, আমাদের ক্ষেত্রে যা অনুপস্থিত। নিকট-অতীত ও বর্তমানের নানাবিধ বাস্তব পরিবেশ দু’অঞ্চলের বাঙালির সাংস্কৃতিক বিকাশ ধারায় একটা সূক্ষ্ম স্বাতন্ত্র্য গড়ে তুলেছে।

‘৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ আমাদের দেশের মানুষের চেতন-অবচেতন মনে এই স্বতন্ত্র বিকাশ ধারার অন্যতম নিয়ামক শক্তিরূপে কাজ করছে। একই সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক সমন্বয়ও ঘটতে থাকবে, সাংস্কৃতিক ঐক্যও দৃঢ়তর হবে। কিন্তু এসব ঘটতে দিতে হবে সহজ বিকাশের পথ ধরে, নির্বাচন-গ্রহণ-বর্জন-সমন্বয়ের স্বাভাবিক ধারা অনুসরণ করে। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের মত উদ্ভট তত্ত্ব, সংকীর্ণ বর্জননীতি, সাম্প্রদায়িকতা, রাজনৈতিক স্থূল স্বার্থবুদ্ধি এবং উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া কোনো রাষ্ট্রীয় বা প্রশাসনিক ফরমান উপরোক্ত বিকাশ ধারাকে ত্বরান্বিত ও মসৃণ না করে তাকে বিভ্রান্ত, পঙ্গু ও বিকৃত করবে। আমরা আমাদের বাঙালি জাতীয়তাবাদকে অবলম্বন করেই আমাদের বাংলাদেশীয়’কে উজ্জ্বল করতে পারব। তার উল্টোটা নয়।

কারো পরিচয়, কোনো ইজমই এক জায়গায় চিরকালের জন্য থেমে থাকে না। তা বিকাশমান ও পরিবর্তনশীল। সুস্থ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের ব্যাপকতা ও পরিপুষ্টি এই বিকাশে সাহায্য করে। আমাদের বর্তমান সাংস্কৃতিক এবং জাতীয়তাবাদী কর্মতৎপরতার সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে আমাদের বিশেষভাবে অবহিত থাকা প্রয়োজন। যতদিন শহরের শিক্ষিত উচ্চবিত্ত-মধ্যবিত্তের অঙ্গনে এসব বাধা থাকবে, ততদিন আমদের বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার সার্বিক সুফল আমরা লাভ করতে পারব না। গণমানুষের জীবনের সঙ্গে, বিশেষভাবে গ্রামের শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থের সঙ্গে, আমাদের সকল কর্মকাণ্ডকে আরও প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত করার মধ্য দিয়েই আমরা সিদ্ধির স্বর্ণদ্বারে পৌঁছুবার চাবিকাঠি খুঁজে পাব।


যে সমস্ত গ্রন্থপঞ্জি থেকে রেফারেন্স নেয়া হয়েছে:

* বাঙালির ইতিহাস: ডক্টর নীহাররঞ্জন রায়
* বাংলার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস: ডক্টর আবদুর রহিম
* বাঙালি ও বাংলা সাহিত্য: ডক্টর আহমদ শরীফ
* মুসলিম বাংলা সাহিত্য: ডক্টর মুহম্মদ এনামুল হক
* বাংলা ও বাঙালির বিবর্তন: ডক্টর অতুল সুর
* বাংলা সাহিত্যের কথা: ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
* সাংস্কৃতিকী: ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়

বাংলা ও বাঙালির বিবর্তনের পথ পরিক্রমা ( ১ম পর্ব )
বাংলা ও বাঙালির বিবর্তনের পথ পরিক্রমা ( ২য় পর্ব )
বাংলা ও বাঙালির বিবর্তনের পথ পরিক্রমা ( ৩য় পর্ব )
বাংলা ও বাঙালির বিবর্তনের পথ পরিক্রমা ( ৪র্থ পর্ব )
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৩৮
১৫টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×