‘লাবণ্য’-কে
বলো কি’ বলো নি, সে আমি জানি না। আমি তো বলেছি, “অনন্যা,
এই যে দিনকাল পড়েছে আজকাল ভাবো তো চলে কি’ চলেই না।
তবুও রোজকার করছি রোজগার যতোটা সম্ভব আমার তা।”
তুমিও ওইদিন করেছো সঙ্গিন নিজেরই সংসার—তোমার যা।
পৃথ্বীতে আকাশে যা দ্যাখো বা যা আছে, তা নিয়েই আমরা জী-বন্ত
জন্মে ও যাপনে আর কোনো স্বপ্নে, এঁকে বেঁকে প্রণয়ে দু-রন্ত।
কী এমন দোষ হয় যদি নদ বেগে যায়—দুর্বার—দুর্জয়—অনন্তের
মাঠ-ঘাট প্রান্তর পেরিয়ে তেপান্তর সমাপন মোহনায়—সমুদ্রের !
তবে কি এভাবেই পৃথিবীর নিয়মেই রয়ে যাবে অধরা লাবণ্য !?
বাংলার এই নদ মিলবে না কোনো দিন—মাঝপথে আশ্রয় অনন্য
বনলতা কতো কথা বলেছি কি’ বলিনি অথবা সুরঞ্জনা—শোভনা—
কোনো এক সন্ধ্যায় রাত্তির নেমে এলে মনে কোরো আমাকে—ধূসর ঘোর
একদিন ঘোড়াগুলি জোৎস্নায় চিরদিন চলাচল মহাকাল—আমার তার।
বলো কি’ বলো নি আমি তা বলি নি; আমারো প্রাণ চায়—বোঝোই-না!
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ:: কবি মন্দাক্রান্তা সেন, কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত, অমল পাল ও শাহাদুজ্জামান প্রমূখ
ছবি কৃতজ্ঞতা:: রশ্মিতা বিশ্বাস
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৪