[ছবিঃ বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রকৌশলীরা। বামে শিরীন সুলতানা (চুমকি), মাঝে মনোয়ারা বেগম, ডানে খালেদা শাহারিয়ার কবির (ডোরা)। এই ছবিটি ১৯৬৪ সালে তোলা। চুমকি আন্টি এবং আমার মা ডোরা ১৯৬৮ সালে তৎকালীন ইপুয়েট থেকে পুরকৌশলে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। মনোয়ারা আন্টি ১৯৭০ সালে কেমিকৌশলে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। ছবিটা পারিবারিক সংগ্রহ থেকে দেয়া।]
রাত নেমেছে; দুদিন আগে পূর্ণিমা ছিলো; মরা চাঁদের জ্যোৎস্নায় চারপাশে মনে হচ্ছে রুপালী আলোর কাফন পরানো। কাঁঠাল গাছগুলোর ছায়া রাত বাড়ার সাথে সাথে নকশা বদলাচ্ছে; তাঁবুর গায়ে আলো আঁধরির কাব্য। আজই শেষ রাত; ডোরা তাঁবুর পর্দা এক চিলতে সরিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে। একটু মন খারাপ লাগছে; একমাস দেখতে দেখতে চলে গেলো।
গত একমাস ওরা সবাই সার্ভে ক্যাম্পে ছিলো; ক্যাম্প সাইট সাভারের ডেইরী ফার্মের উল্টো দিকে রাস্তার পাশে। থার্ড ইয়ারের ইপুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের ওরা প্রায় ষাট জন; সাথে তিন জন স্যার; আজিজ স্যার, শাহজাহান স্যার এবং সাইফুল স্যার। প্রায় ত্রিশটারও বেশী তাঁবু সার্ভে ক্যাম্পে; তাঁবুর ভেতরে জেনারেটর দিয়ে ইলেকট্রিক আলো; চারপাশের ঝাকড়া কাঁঠাল গাছগুলোতেও বাল্ব ঝুলানো। গভীর রাতে সাভারের নির্জন রাস্তার পাশে হঠাৎই এক টুকরো আলো ঝলমলে বাজার।
অন্য আরেকটা কারনেও অবশ্য ডোরার মনটা ভালো নেই। আজ সার্ভে ক্যাম্পে র্যাগ ডে ছিলো; সারাদিন খুব হৈ হুল্লোড়; রঙ ছোড়াছুঁড়ি; ছেলেরা ডোরার মাথায় পুরো এক বালতি নীল রঙ ঢেলেছে। এই সব দুষ্টুমির মাঝে একসময় ওর একটা সোনার দুল কোথায় যে হারালো!!! কাল বাড়ী ফিরলে মায়ের কাছে খুব বকা খেতে হবে; এক জোড়া মাত্র কানের দুল।
চুমকি এর মধ্যেই ঘুম; বেশী রাত হয়নি, মাত্র রাত দশটা; কিন্তু মনে হচ্ছে অনেক রাত; শহর থেকে দূরে অনাহুতের মতো ঝুপ করে সন্ধ্যা নামে। অন্যান্য সন্ধ্যাগুলো বেশ প্রানবন্ত থাকে; লুডু খেলা, ক্যারাম টুর্নামেন্ট, গান, আড্ডাবাজি; মাঝে মাঝে মাইকে দুষ্টামি; ‘রেডিও পাকিস্তান সাভার’ এ বদনা বা হ্রদয় হারানোর ঘোষনা; একঝাঁক তরুন তরুণীর প্রানোচ্ছলতায় সন্ধ্যাগুলো উৎসবমুখর। আজ অবশ্য সবাই সারাদিনের মাতামাতিতে ক্লান্ত আর এই কয়দিনের অরন্যবাস গোটাতে ব্যস্ত ছিলো; আজ সন্ধ্যাটা মনে হচ্ছে ওরা চলে যাবে বলে নিশ্চুপ হয়ে গেছে।
ডোরার হঠাৎই একটু হাসি পেলো; কি নির্বিঘ্নে সার্ভে ক্যাম্প শেষ হয়ে গেলো!!! অথচ এই সার্ভে ক্যাম্পের জন্য ওদের ইপুয়েটে ভর্তিই প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। ভাইস চ্যান্সেলর ডঃ রশীদ স্যারতো প্রথমে পুরোপুরি মানা করে দিয়েছিলেন। শেষে আব্বার পরামর্শে ওরা তিনজন মেয়ে ইপুয়েটের বিরুদ্ধে মামলা করতে চাওয়ায় ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হতে পারলো। ভাগ্যিস ডোরার আব্বা মোঃ কবিরউদ্দিন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রফেসর; ইপুয়েটের কন্সটিটিউশন বেশ ভালোভাবে জানতেন; কোথাও নেই যে মেয়েরা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পারবে না। তারপরেও রশীদ স্যার এই শর্তে ভর্তি করেছিলেন যে ওরা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বে না; মেয়েরা কি ভাবে সার্ভে করবে!! ওরা যেন ভিন্ন গ্রহের প্রানী!!
ফার্স্ট ইয়ারে ওদের তিনজনকে প্রথমদিন পদার্থবিদ কামিনীমোহন সাহা স্যার এসকর্ট করে নিয়ে এলেন; ফিজিক্স ক্লাশ, ওরা তিনজন প্রথম সারিতে বসেছিলো। স্যাররা ক্লাশের উদ্দেশ্যে একটা ছোটখাট বক্তৃতা দিলেন এই মর্মে যে মেয়েরা আজ ইপুয়েটে প্রথম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়তে এসেছে এবং ছেলেদের কাছে থেকে ওনারা ভদ্র ও সুশীল ব্যবহার আশা করেন। স্যাররা যাই বলুক মেয়েদের ক্লাশে উপস্থিতি যে ছেলেদের মাঝে একটা চাঞ্চল্য তৈরী করেছে সেটা বোঝাই যাচ্ছিল, বিশেষ করে চুমকির মতো একজন বেশ সুন্দরী তরুনী যখন সেই তিন জনের একজন।
সেকেন্ড ইয়ারে উঠতে না উঠতেই মনোয়ারা পেছনে পড়ে গেল। ডোরা আর চুমকি ডঃ রশীদের শর্ত না মেনে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পছন্দ করলো; ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং যে ওদের একদমই ভালো লাগে না; স্যার ভীষন রেগেছিলেন কিন্তু কিছু করার ছিলো না কারন ওরাতো কোন নিয়ম ভাঙ্গেনি। মনোয়ারা সেকেন্ড ইয়ারে উঠে এখন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। ও এলে বেশ মজা হতো; ডোরাদের বাসা ক্যাম্পাসে বলে চুমকি আর মনোয়ারার ক্লাশের ফাঁকে সবসময়ই ওদের বাসায় যাতায়াত। মনোয়ারার অবশ্য এই থার্ড ইয়ারের সার্ভে ক্যাম্প করতে হতো না, এটাতো শুধু সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের জন্য।
ওরা তিনজন প্রথম বছরে একসাথে সার্ভে ক্লাশ করেছে যেখানে শুধু ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় সার্ভে করতে হয়। মনোয়ারা এত্তো সহজ সরল একটা মেয়ে; একটুও যদি রেখে ঢেকে কথা বলতে পারতো তাহলে আর ছেলেরা ওকে “দারোগা” বলে খ্যাপাতো না। ফার্স্ট ইয়ারের সার্ভের সময় ওদের গ্রুপের এক ছেলে থিয়োডোলাইট চেক আউট করে হলে নিয়ে যেতে চেয়েছিলো; মনোয়ারা সোজাসুজি আব্বাকে বললো “স্যার, ওকে থিয়োডোলাইট নিতে দেবেন না। ও না হলের বারান্দা থেকে থিয়োডোলাইট তাক করে ইডেনের মেয়েদের দেখবে।“ মনোয়ারার কথা শুনে ছাত্র আর শিক্ষক দুজনেই হতভম্ব। আব্বা হতচকিত ভাব কাটিয়ে উঠে বলেছিলেন “দ্যাখো হে এসব করো না। ইন্সটিউশনের বদনাম হয়ে যায়।“ লজ্জিত সেই সহপাঠী কোনভাবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে বেরিয়ে এসে মনোয়ারাকে খুব বকেছিলো।
ছেলেরা মনোয়ারাকে যেখানে সেখানে “দারোগা” বলে খেপায়; ওরা তিনজন যখন ক্যাম্পাসে একসাথে ঘোরে কোন না কোন বিল্ডিং থেকে “দারোগা” ডাক শোনা যায়। মনোয়ারা যদি দেখতে পায় কে বলেছে সাথে সাথে বড় বড় পা ফেলে তার পিছু নেয়; একবারতো এক ছেলেকে করিডোরে তাড়া করলো; আরেকবার একজন ওর সাথে দৌড়ে না পেরে অন্য ডিপার্টমেন্টের ক্লাশে ঢুকে বসে পড়লো। মাঝে মাঝে বেচারী খুব অসহায়বোধ করে; একদিন ওকে দেখে লাইব্রেরীতে এক ছেলে লাইব্রেরিয়ানকে বললো “আচ্ছা, আপনাদের কাছে Survey by Daroga বইটা আছে?” লাইব্রেরিয়ানেরও না বুঝে উত্তর “জী না স্যার…উনি কোন দেশের?” মনোয়ারা খুব রেগেছিলো। তার ওপরে আছে নববর্ষের খেতাব “লেফট রাইট লেফট রাইট/ ঢিলা পায়জমা ওড়না টাইট”; বেচারী…এত্তো ফাজিল না ছেলেগুলো!!
ফিরে গিয়ে আবার ক্যাম্পাসে সেই একঘেয়ে রুটিন বাঁধা ক্লাশ; মনে হচ্ছিল একমাস ব্যাপী একটা পিকনিক চলছিলো। কি যে মজার মজার সব কান্ডকারখানা!!! কয়দিন আগে এক ছেলে গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে দেখে যে ওপরে ঝাকড়া কাঁঠাল গাছ আর খোলা আকাশ। পরের রাত্রে সে নিজেকে নিজে ক্যাম্পখাটের সাথে মোটা দড়ি দিয়ে বেঁধে নিশ্চিন্তে ঘুমালো। মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে আবারো প্রকৃতির মাঝে নিজেকে পুনরাবিষ্কার; এবারে একেবারে খাটসুদ্ধ তাঁবুর বাইরে।
সকাল আটটা হতেই ওদের ছয় জনের গ্রুপ বেরিয়ে পড়তো সব সার্ভের যন্ত্রপাতি কাঁধে নিয়ে; ক্যাম্প সাইট থেকে গ্রুপগুলো বেশ দূরে গিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে সার্ভে করতো; স্যারেরা দিনের মধ্যে কয়েকবার এসে কাজ চেক করে যেতেন। কোন কোন দিন সার্ভে শেষে টেস্ট থাকতো; মাটিতে সবাই গোল হয়ে বসে গাছের ছায়ায় পরীক্ষা দিতে ভালোই লাগতো। রাতে স্যারেরা যখন তাবুতে বসে খাতা দেখতেন ও আর চুমকি মাঝে মাঝে ওনাদের কথা শুনতে পেত; ওদের দুজনের তাঁবু স্যারদের তাবুগুলোর কাছে; ছেলেদের তাবুগুলো বেশ দূরে। একদিন শুনলো স্যারেরা হাসাহাসি করছেন “দ্যাখেন ওই লম্বা মতো মেয়েটা না শুধু ৬৮ লিখে রেখেছে…কি ভাবে পেলো?” ও হেসে ফেলতেই চুমকি বললো “ডোরা আমি না অঙ্কটা পারি না…পাশের ছেলেটা বললো উত্তর ৬৮…তাই লিখে দিলাম।“ ওদের সার্ভে গ্রুপের নম্বর ওয়ান; শুধু তাই না ওই গ্রুপের চারজন ছেলের মাঝে ওদের ফার্স্টবয় ফারুকও আছে। চুমকির সাথে ইতিমধ্যে ফারুকের মন দেয়া নেয়ার পালা চলছে; বাকীরা সার্ভে করার সময় মাঝে মাঝে ওদের একটু ভাব বিনিময়ের সুযোগ করে দিতো। মোটামুটি ক্যাম্পাসে সবাই ওদের জুটির কথা জানে; রুপসী চুমকির পেছনে যে পানিপ্রার্থীর লম্বা লাইন ছিলো। চুমকির বর্ষ শেষে খেতাব পড়লো “রোমিওর জুলিয়েট”।
স্যারদের তাঁবু গুলো অপেক্ষাকৃত বড়; তাঁবুর ভেতরে দু’তিনটে ভাগ করে ঘর করে দেয়া। মাঝে মাঝে স্যারদের বউ আর ছেলেমেয়েরাও ক্যাম্পে থাকতে এসেছে; তখন বেশ মজা করে ভাবীদের সাথে সন্ধ্যায় গল্প করেছে ওরা দুজন। স্যারেরা অবশ্য প্রত্যেক সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে ক্যাম্পাসে বাসায় চলে যেতেন; আর ওদের দুজনকে ঢাকায় নিয়ে যেতে আসতেন আব্বা। ছেলেরা কেউ কেউ ছুটির দিনে বাসায় যেত ইচ্ছে হলে অথবা হলে; অনেকেই ক্যাম্পে থেকে যেতো। কবে যে ওদের ইউনিভার্সিটির নিজস্ব বাস হবে!!! সবার এভাবে নিজেদের গাড়ীতে বা পাব্লিক বাসে সাভার থেকে ঢাকা আসা যাওয়া করা বেশ কষ্টকর। ডোরা যতোবারই সপ্তাহ শেষে বাসায় গিয়েছে ওর চিঠি পেয়েছে; এত্তো সুন্দর কবিতা লেখে ও। তবে অনেকদিন দেখা হয় না; এবার ফিরে গেলে ওর সাথে দেখা হবে ভাবতেই ডোরার মনটা ভালো হয়ে গেলো। বাইরের বিশাল চাঁদের দিকে একবার তাকিয়ে চিঠির বান্ডিল খুলে বসলো ও।
[ছবিঃ মোঃ আমিনুর রহমান (আমার বাবা, ১৯৬৬ সালে পুরকৌশলে স্নাতক) মায়ের সাথে - বাংলাদেশের প্রথম প্রকৌশলী দম্পতি ১৯৬৯ সালে। ছবিটা পারিবারিক সংগ্রহ থেকে দেয়া।]
শিখা (৩১শে আগস্ট, ২০১৫)
[ছবিঃ পুরকৌশলের প্রফেসর মোঃ কবিরউদ্দীন (আমার নানা)। উনি ১৯৩৪ সালে শিবপুর ইঞ্জিনীয়ারিং কলেজ থেকে পুরকৌশলে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন এবং ওখানেই শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পরে উনি আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনীয়ারিং কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৬২ সালে আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনীয়ারিং কলেজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন থেকে বেরিয়ে সার্বভৌম বিশ্ববিদ্যালয় ইপুয়েট (East Pakistan University of Engineering & Technology) হয়। ১৯৬৭ সালে প্রফেসর কবিরউদ্দীন ইপুয়েট থেকে ডেপুটেশনে রাজশাহী ইঞ্জিনীয়ারিং কলেজের প্রিন্সিপাল হিসাবে যোগদান করেন ও ১৯৭০ সালে অবসর গ্রহন করেন। উনি ১৯৫৯ সালে আমেরিকার Texas A&M University (১৯৫৭ – ১৯৫৯) থেকে স্নাতোকত্তোর ডিগ্রী অর্জন করেন। চাকুরী জীবনে উনি পুরকৌশল বিভাগের প্রধান এবং DSW (Director of Student Welfare) হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। ছবিটা পারিবারিক সংগ্রহ থেকে দেয়া।]
বিঃদ্রঃ আমাকে অনেকেই বিভিন্ন ফেবু অথবা অনলাইন ব্লগে ইদানিং ট্যাগ করছেন বা দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন যে আমার মা খালেদা শাহারিয়ার কবিরের বিষয়ে ছবি নিয়ে তথ্য দেয়া হয়েছে। ছবি নিয়ে আমার তেমন অসুবিধা নেই যদিও ছবিটি আমার পারিবারিক সংগ্রহ থেকে অনুমতি ছাড়াই নেয়া হয়েছে। কিন্তু আমি বিরক্ত হয়েছি মুলত ছবির সাথে তথ্যগত ভুল দেখে।
১) ওনারা বুয়েটের বিরুদ্ধে কোন মামলা করেননি বা মামলা করে জেতেননি।
২) বুয়েটে ছাত্রী ভর্তি নিষিদ্ধ ছিলো না। স্থাপত্যবিদ্যায় ওনাদের একবছর আগেই ছাত্রীরা পড়া শুরু করেছিলেন।
৩) সম্পূর্ণ অন্য একটি কারনে (একমাস ক্যাম্পাসের বাইরে সার্ভে করা মেয়েদের জন্য অসুবিধাজনক) ইঞ্জিনীয়ারিংয়ে ছাত্রী ভর্তিতে তৎকালীন উপাচার্যের আপত্তি ছিল।
8) আমার মায়ের নাম খালেদা শাহারিয়ার কবির। ডোরা ওনার ডাকনাম। রহমান আমার বাবার নাম এবং আমার মা বিয়ের কারণে নাম বদলাননি। প্লিজ ওনার নাম "ডোরা রহমান" লিখবেন না।
দয়া করে পোষ্টটি পড়ে তথ্য শেয়ার করুন। ইতিহাস বিকৃতি গ্রহনযোগ্য নয় এবং এভাবে মেয়েদের অগ্রযাত্রার পথিকৃৎদের আমরা অসম্মান করছি। সবাইকে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের শুভেচ্ছা।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩০