ভালোবাসা চাইলে কবিতা লেখা শিখে নাও ছেলে।
বুকের গভীরে বহুদিনের সযত্ন লালিত ইচ্ছে
কোন এক কবিকে ভালোবাসবো আমি।
বই মেলায় ভীড় ঠেলে দুরু দুরু বুকে
তোমার অটোগ্রাফের অপেক্ষা।
পরনে লাল শাদা গরদের শাড়ী,
কপালে মস্ত লাল টিপে দিনান্তের সূর্য ধরা।
রৌদ্রজ্বলা শীতের দ্বিপ্রহরে ধুলোর ঝড়ে
আকাশ পালিয়ে আসা একটুকরো সিঁদুরে মেঘ।
উফফফ!! সে কি ভীষণ ধড়ফড়ানি আর লজ্জা,
তুমি তাকাতেই বুকের মাঝে সাঁওতালি মাদল।
নাম জানতে চাইলে না…
লিখলে “বহ্নিশিখাকে…”
আনমনে আঙ্গুল ছুঁয়ে যেতেই একটু কি কেঁপেছিলো
তোমার হাত? অথবা তোমার বুক?
পরের দিন মেলায় তোমার চোখ কি খুঁজেছিলো
বহ্নিকে? মনে ছিলো তাকে?
জেনে নাও কবি!!
তোমার কবিতায় তন্ন তন্ন করে,
প্রতি পঙক্তিতে, আবেগের মন্থনে,
শব্দমালার ঘূর্ণিতে আমি
খুঁজেছি বহ্নিশিখাকে,
রৌদ্রস্নাত কোন এক রক্তজবাকে।
খুঁজতে খুঁজতেই ভালোবেসেছি তোমাকে,
মরেছি কবির কাছে, কবিতার কাছে।
কথা দিচ্ছি ছেলে…
একবার কবি হয়ে দেখো
কবিতায় ঠিক ঠিক ভালোবাসা খুঁজে নেবো।
© শিখা (২রা জুন, ২০১৮)
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০০