ঋশিকেশ থেকে খুব বেশী দূর নয় হরিদুয়ার। শেষ বিকালে আমরা পৌছে গেলাম হরিদুয়ার। দর্শনার্থীদের পূণ্যস্নানের সুবিদার্থে গঙ্গা নদী থেকে দুটি চ্যানেল বাইপাস করা হয়েছে যেখানে স্নান ও নানা রকম ধর্মীয় আচার পালিত হয়। সবাই সেদিকেই ছুটল তাই আমি তাদের সাথেই চললাম আর চারিপাশে চোখ বুলাতে লাগলাম।
ছোট্ট সেতু পেরিয়ে দুই চ্যানেলের মাঝের জায়গাতে এসে দাড়ালাম ঠিক ঘড়ি সমেত টাওয়ারটির পাশেই। সাথের হিন্দু ধর্মালম্বীরা পূণ্যস্নান ও গঙ্গার পানি সংগ্রহে ব্যাস্ত হয়ে উঠল আর আমি ছবি তুলতে ব্যাস্ত হয়ে পড়লাম। চ্যানেলের দুই পাশে অজস্র মানুষ পূণ্যস্নান করছে পাপমোচনের আশায়। নদী কি সেই ক্ষমতা আছে?
সন্ধ্যার কিছু আগে আরতি শুরু হল। আমি অবাক হয়ে ধর্ম, সংস্কৃতি ও কৃষ্টির উপর গঙ্গার প্রভাব দেখতে লাগলাম। সেই সাথে ছবি তুলে চললাম।
আরতি শেষে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নামল। রাতের আলোয় গঙ্গার এক অদ্ভুত রূপ আমার ক্যামেরায় ধরা পড়ল। আমি রীতিমত মুগ্ধ এবং অবাক!
গঙ্গার অপার সৌন্দর্য দর্শন শেষ করে অবশেষে ক্যাম্পাসে ফিরলাম। দিনটা মন্দ কাটেনি। নানা কারনে বেশ অস্থির সময় পার করা এই আমি গঙ্গার তীরে বসে কিছুটা সময়ের জন্য হলেও প্রসন্নতা অনুভব করেছিলামা
গঙ্গা শুধুই পানির স্রোতধারাই নয়, তার চারিপাশের প্রকৃতি ও সংস্কৃতির জীবনধারাও বটে।
পর্ব-১:
Click This Link