somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

“আগে, সংসারটা একটু গুছিয়ে নেই......!”

০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১) গদ্য আর পদ্য, সদ্য বিয়ে করেছে, বেশ কিছুদিন ভালোবাসা-বাসির পরে। ওদের এই ভালোবাসার বিয়ে নিয়েও অনেক গল্প আছে, তবে সেই গল্পগুলো আজকে নয়। আজকে ওদের বিয়ের পরের গল্প হবে।

তো যা হয়, ভালোবাসার-বাসির বিয়ে মানেই তো কিছু কাঠ-খড় পুড়িয়ে করা বিয়ে, আর বিয়ের আগে মন-প্রান ভরে কথা ঘুরতে পারেনি একসাথে রিক্সায়, রাখতে পারেনি হাতে-হাত, হাটতে পারেনি নরম নদীর পাড়ে, গাঁয়ে লাগাতে পারেনি মিহি বাতাস, তো সেই সব আক্ষেপ দূর করতে বিয়ের কয়েকদিন পরেই গদ্য পদ্যকে তার একটি একান্ত ইচ্ছের কথা জানালো।

তো কি সেই ইচ্ছে?

গদ্যর খুব ইচ্ছে হচ্ছে, পদ্যকে নিয়ে কয়েকদিনের জন্য বেড়াতে যাবে কক্সবাজার। দুজন একেবারে দুজনার হয়ে কাটাবে একান্ত আর নিরিবিলি কয়েকটি দিন। খালি পায়ে হাঁটবে নরম বালুতে, পা ভেজাবে সাদা ফেনা তোলা ঢেউয়ে, বসবে নারিকেল গাছের শিকড়ে, ঝিনুক দিয়ে আঁকিবুঁকি করবে বালুচরে, শেষ বিকেলে দেখবে গোধূলির রাঙা আকাশ, রাতের জ্যোৎস্না ভরা আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকবে দুজনে, আরও কত কি?

তো গদ্যের এই ইচ্ছার কথা শুনে, সব সময়ের চঞ্চলা পদ্য বেশ গম্ভীর হয়ে গেল এবং গদ্যের কাছে জানতে চাইলো, দুজনের যাওয়া-আসা বাদে তিনদিন থেকে কক্সবাজার থেকে ঘুরে আসতে কত খরচ লাগতে পারে?

গদ্য তো মহা উৎসাহে লেগে গেল, সার্বিক হিসেব করতে। সবকিছু মিলিয়ে, হিসেব শেষে দেখা গেল, ৫ দিনে ১৫,০০০ হয়ে যাবে, তবে যেহেতু বিয়ের পরে আর এবারই প্রথমবার দুজনে মিলে কোথাও যেতে চায়, তাই আর একটু স্বচ্ছন্দ করতে চাইলে ২০,০০০ যথেষ্ট।
বেশ উৎসাহ আর উদ্দীপনা নিয়ে গদ্য পদ্যকে তার হিসেবের ফর্দ দেখালো, ১৫ এবং ২০ হাজারের দুই রকমই!

আর তাই দেখে, পদ্য বেশ সুন্দর করে গদ্যকে বোঝাতে লাগলো, যে কেবল বিয়ে করলে, কত টাকা ধাঁর-দেনা করেছ, আর আমাদের তো নিজেদের কিছুই নেই, তাই এখনি না গিয়ে, তোমার ধাঁর-দেনা একটু কমিয়ে নাও, আর এই ফাঁকে,

“আগে, সংসারটা একটু গুছিয়ে নেই!”

তারপর নাহয় যাবো একসাথে? কি বল?

খুবই যুক্তিযুক্ত কথা, এই কথা, এই অকাট্য যুক্তি খণ্ডনের কোন উপায় গদ্যর কাছে নেই, কার কাছেই বা আছে এমন যুক্তি খণ্ডনের উপায়? তাই গদ্যও মেনে নিল। তবে অনেক স্বপ্নের জাল বোনা আর কল্পনার আকাশে কিছু বর্ণিল ঘুরি তো উড়িয়ে ফেলেছিল সে, এইসব কিছু হিসেব করতে করতেই! তাই কিছুটা মন খারাপ হল খুব স্বাভাবিক ভাবেই। তবে সেটা পদ্যকে বুঝতে দিলোনা কিছুতেই।

কিন্তু পদ্য? পদ্য তো গদ্যকে চেনে খুব-খুব ভালো করে, ও ঠিক-ই বুঝে গেল গদ্যর ঢেকে রাখা আর চেপে রাখা মন খারাপ ও বিষণ্ণতাটা। তাই একেবারে আন্তরিক ভাবেই গদ্যকে বলল...

তুমি নাহয়, বন্ধুদের সাথে ঘুরে এসো কয়েকদিনের জন্য, আমিও একটু মা-বাবার কাছে থেকে আসি কয়েকটা দিন। এই প্রথম ওদের ছেড়ে আছি। কি বল, পরে সংসারটা একটু গুছিয়ে নিয়ে যাবো একসাথে।

কিন্তু গদ্য এভাবে চায়নি, তবুও ওর মন ভালো করতে আর বিষণ্ণতা কাটাতে অনেকটা জোর করেই পাঠানো হল, বন্ধুদের সাথে কক্সবাজারে।

ঘুরে এলো গদ্য ওর বন্ধুদের সাথে কক্সবাজার থেকে, খরচ হয়েছে জনপ্রতি ৫০০০ টাকা। যেখানে দুজন মিলে গেলে ১৫-২০ হাজার টাকা লাগতো!

২) প্রায় এক বছর পরে, এলো ডিসেম্বর মাস। গদ্য-পদ্যর নতুন সংসার চলছে বেশ হেলে-দুলে, পাল তুলে, নরম নদীতে, ঝিরঝিরে বাতাসে তৈরি হওয়া মৃদু ঢেউয়ের দোলার মত করে। হালকা হালকা শীতের আমেজ, সকালে গ্রাম থেকে পাঠানো খেজুর রসের স্বাদ, দুপুরে নতুন তরকারীর সাথে মাছের ঝোল, বিকেলে বন্ধুদের সাথে লাল চা আর ডালপুরী, সন্ধায় বাসায় গিয়ে মচমচে পিঠা, রাতে খাবারের পরে পেপার নিয়ে বিছানায় গাঁ-টা এলিয়ে দিয়ে একটু কফির চুমুক দিতে-দিতে, গদ্য পদ্যকে কোথায় বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়।

আর সেই প্রস্তাব গায়েই মাখেনা পদ্য, সাংসারিক আর সামাজিক বাস্তবতার বেড়াজালের কারনে! কারণ, গদ্যর ছোট ভাই এসেছে ওদের সাথে থাকতে, সাথে তৈরি হয়েছে পদ্যরও কিছু পারিবারিক দায়িত্ব, যে কারণে চাকুরী দুজন মিলে করলেও, অবস্থার তেমন একটা উন্নতি হয়নি ওদের, আবার অভাবেও কাটছেনা দিন। দুজনের সংসার, পারিবারিক দায়িত্বর কারণে বিয়ের শুরুতে হওয়া ধাঁর-দেনা গুলো আর শোধ করা হয়ে ওঠেনি, সময় মত। পারেনি ইচ্ছে থাকা স্বত্বেও। উল্টো এখন অফিসের একটু সচ্ছল সহকর্মীদের কাছেও কিছু কিছু ধাঁর করতে হয়েছে!

চুপচাপ থাকে পদ্য, কিন্তু গদ্য ওকে ছাড়েনা, মতামত জানতে চায়, কোথায়, কিভাবে আর কখন যেতে চায়, সামনে দুজনের অফিসেই বেশ কয়েকদিনের ছুটি আছে, এই ছুটিটা কাজে লাগানো যেতে পারে। এবার পদ্য কিছুটা সরব হয়ে, ওদের সংসারের বর্তমান প্রেক্ষাপট আর সামাজিক ও দুজনের পারিবারিক দায়িত্বর কথাগুলো তুলে ধরে। খুব স্বাভাবিক আর অকাট্য যুক্তি এবারেও।

কিন্তু গদ্য এবার পাল্টা যুক্তি তুলে ধরলো। আরে শোন এমন টুকটাক ধাঁর-দেনা তো থাকবেই, তাই বলে কি জীবনটা পানসে করে ফেলতে হবে, চলোইনা, বেড়িয়ে আসি কোথাও থেকে? আমার কাছে কিছু টাকা জমানো আছে, আর একটু এদিক ওদিক করলেই, মানে এক-দুই মাস সংসারের একটু হিসেব করে চললেই হয়ে যাবে। চল যাই? এই দিনগুলো কিন্তু আর ফিরে আসবেনা।

নাহ, আমি যাবো বেড়াতে, অবশ্যই যাবো, বেড়াতে আমার খুব খুব ভালো লাগে, আর তোমার সাথে হলে তো কথাই নাই, তবে... একটু পরে, কিছুদিন যাক...

“আগে সংসারটা একটু গুছিয়ে নেই!”

নাহ, তার চেয়ে তুমি তোমার জমানো টাকা দিয়ে কোন একজনের ধাঁর শোধ করে দাও, আমি অত হিসেব করে চলতে পারবোনা, বেড়িয়ে এসে, সংসারের টানাটানি আমি করতে পারবোনা। তার চেয়ে অল্প খরচে তুমি কোথাও গিয়ে ঘুরে এসো। এবার আর গদ্য জোর করলোনা পদ্যকে। ছুটি পেয়ে অফিসের সহকর্মীদের সাথে প্ল্যান করে চলে গেল এক পাহাড়ের দেশে। বেড়িয়ে এলো, আর সাথে করে নিয়ে এলো অন্য এক পৃথিবীর প্রতি আকর্ষণ! ঘুরে বেড়ানোর, প্রকৃতির প্রতি জন্মালো প্রেম, পাহাড়ের সাথে হল পরকীয়া, জীবন দেখা পেল এক নতুন জীবনের! যান্ত্রিক জীবন খোঁজ পেল এক অন্যরকম প্রেরণা ও জীবনকে উপভোগের অনন্য উপায়!

এরপর থেকে, গদ্য মাঝে মাঝেই এই দুই-এক দিনের জন্য সময় পেলেই পালিয়ে যায়, কোথাও না কোথাও। জীবনকে দেখে নেয়, জীবনের অন্য এক রূপে, খুঁজে পায়, ভালোলাগা আর ভালোবাসার নতুন-নতুন ঠিকানা। যে ঠিকানার ঠিকানা অনেকেই পায়না!

কিছুদিন পরে এক রমজানে, উৎসব ভাতা পাবার আগে-আগে, গদ্য আবার প্রস্তাব দিল পদ্যকে, চল এবার আমরা কোথাও যাই, দূরে কোথাও। এবার তো তোমার ঘুরে এসে আর সংসারে টানাটানির কিছু নাই, বোনাসের টাকা দিয়ে বেড়িয়ে আসি চল?

মাথা খারাপ হল, তোমার, গদ্যর প্রতি পদ্য?

কেন মাথা খারাপের কি হল বুঝলাম না তো?

বোনাসের টাকায় সবাইকে কিছুনা কিছু তো দিতে হবে, নাকি? সবাই প্রত্যাশা করে আছে, দুজনেই চাকুরী করি।

হ্যাঁ ঠিক আছে, সে হিসেব আমি করেছি তো! সবাইকে কিছুনা কিছু দিয়েও আমরা বেশ আরামে বেড়িয়ে আসতে পারবো কোথাও না কোথাও। তাই চল যাই?

না, না, না, আমি ভেবে আর হিসেব করে রেখেছি, সবাইকে দিয়ে তারপর বাসার জন্য কিছু ফার্নিচার কিনবো, তেমন কিছুই তো নেই আমাদের, কাউকে বাসায় ডাকতে পারিনা, অথচ সবাই সংসার গুছিয়ে ফেলছে! আমারাও যাবো একসাথে ঘুরতে কোথাও, আর একটু পরে......

“আগে, সংসারটা একটু গুছিয়ে নেই!”

৩) প্রায় দুই বছর পরে, এলো আবার ডিসেম্বর। বেড়াতে যাবার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। গদ্য-পদ্যর চাকুরী পরিবর্তন হয়েছে, স্যালারি বেড়েছে দুজনেরই, বাসার কিছু ফার্নিচারও কেনা হয়েছে, মোটামুটি চলে যাচ্ছে, খারাপ না একেবারে। সামনে পহেলা বৈশাখ।

আজকাল পহেলা বৈশাখও বেশ উৎসব আর ঘটা করে পালন করা হয়ে থাকে। অনেক অফিস আবার এই উৎসব উপলখ্যে ভাতাও দেয়া শুরু করেছে! গদ্যর অফিসেও এই উৎসব উপলক্ষে কিছু অতিরিক্ত বোনাসের অনুমোদন দিয়েছে। সেই উচ্ছ্বাসে গদ্য এবার পদ্যকে নিয়ে কোথাও না কোথাও যাবেই যাবে বলে মনস্থির করে ফেলেছে। এবার আর কি যুক্তি দেবে পদ্য, যা গদ্য এড়াতে পারবেনা? তাই এবার বেশ অবিচল ভাবেই পদ্যকে বেড়াতে যাবার প্রস্তাব দিল গদ্য।

কিন্তু পদ্য? পদ্যর কাছে তো রয়েছেই খণ্ডনহীন যুক্তি, কি সেটা?

কি আবার, “আগে, সংসারটা একটু গুছিয়ে নেই!”

যে টাকা দিয়ে বেড়াতে যাবার প্ল্যান করছো, চল বেড়াতে না গিয়ে একটা ওয়াল টিভি কিনি? কেমন সুন্দর লাগবে বল? অনেকটা বড়লোক! বড়লোক! আমার তো অনেক অনেক দিনের ইচ্ছে একটা বেশ বড় ৪২ ইঞ্চি ওয়াল টিভি কেনার! চল তোমার অতিরিক্ত বোনাস আর আমার কাছে কিছু জমানো আছে ব্যাংকে, সব মিলিয়ে ডাউন পেমেন্ট হয়ে যাবে, বাকি কিস্তি আমি দেব, তোমাকে দিতে হবেনা! আমার সংসারের একটা বড় জিনিষ হয়ে যাবে! বেড়াতে যাবো পরে... একসাথেই, ঠিক আছে?

“আগে, সংসারটা একটু গুছিয়ে নেই!”

পদ্যর এই যুক্তিও অনেক যুক্তিযুক্ত! গদ্যও তা মেনে নিল, কোন রকম তর্কে না জড়িয়েই। কেনা হল, বড় টিভি। ড্রইং রুম, এমনকি বাসার হালচালই বদলে গেল! সবার আচার-আচরণও বদলে গেল বেশ! কিন্তু গদ্যের মনে ভালো লাগলেও, উৎসাহ খুব একটা পাচ্ছেনা! মন যে তার প্রকৃতির কাছে পড়ে আছে! তাই পদ্যের কাছে ছুটি নিয়ে একা একাই চলল কোথাও ঘুরে আসতে।

যাবার সময় পদ্য, গদ্যকে বলল, মন খারাপ করোনা, আমরা একসাথে যাবো কোথাও না কোথাও, ঠিক আছে?

৪) পাঁচ বছর পেরিয়ে গেছে, গদ্য-পদ্যর সংসার। ওদের অনেক লক্ষ্মী দুটি ছেলে-মেয়ে আছে। মেঘ আর মেঘা। আর এখন তো পদ্য আগের চেয়ে অনেক অনেক আর অনেক বেশী সংসারী হয়ে গেছে! এখন, নিজের অফিসে, বাচ্চাদের দেখাশোনা, সংসারের ভার, ভবিষ্যতের চিন্তা, ছেলে-মেয়ের স্কুলের ভাবনা, ভালো কোথাও পড়তে পাঠানো, টিচার-প্রাইভেট-কোচিং, নাচ-গান-ছবিআঁকা-খেলাধুলা-সাঁতার শেখা, আরও কতশত সামাজিকতা রক্ষা করতে করতে কেটে গেছে, আরও ৫ বছর! কিন্তু পদ্যর আর কোথাও যাওয়া হলনা বেড়াতে, গদ্যর সাথে একসাথে!

বেড়ানোর কথা বললেই, টাকার হিসেব করে, বিভিন্ন অকাট্য যুক্তি দেখিয়ে, নিরস্র করে গদ্যকে। কারণ ওই একটাই......

“আগে, সংসারটা একটু গুছিয়ে নেই!”

আর গদ্য, কখনো একা, কখনো বন্ধুদের সাথে, কখনো সহকর্মীদের সাথে, এখানে-সেখানে-ওখানে ঘুরে ঘুরে জীবনের নতুন মানে খুঁজে পেয়েছে। জীবনকে নতুন করে চিনতে শিখেছে, সংসারের সব চাহিদা মিটিয়ে, সংসারের বাইরেও নিজের আলাদা একটা পৃথিবী গড়েছে।

আর পদ্য সংসারের ১০ বছর পেরিয়ে যাবার পরেও তার একটাই কথা...

“আগে, সংসারটা একটু গুছিয়ে নেই!”

তাই আজকাল আর গদ্য বলেওনা কোথাও যাবার কথা পদ্যকে! কারণ বললেও কোন না কোন অকাট্য যুক্তি দেখিয়ে বলে বসবে... যাবো একসাথে তুমি-আমি একদিন, ঠিক দেখো যাবো... তবে?

“আগে, সংসারটা একটু গুছিয়ে নেই!”

আর এই সংসারটা গোছানোর মধ্যে আরও যা-যা প্রতিনয়ত থাকে, সেসবের মধ্যে অন্যতম হল......

পদ্য যখনই বাজারে যাক না কেন, আর যে কাজেই যাক না কেন, সেইসব বাজারের মাঝেও একবারের জন্য হলেই বিভিন্ন প্লাস্টিকের দোকানে ঘুর-ঘুরে, একটি মরিচের কৌটা, কখনো চিনি রাখার জন্য একটা পট, অফিসের খাবার নেবার জন্য বিভিন্ন আঁকার আর ধরনের বাটি, কখনো সিলভারের কড়াই, একটা ডিম ভাঁজার জন্য, একটা পোঁচ করার জন্য, একটা ছেলে-মেয়ের অল্প কিছু রান্না করার জন্য, একটা মাছের, একটা মাংসের, একটা মুরগীর জন্য, ছোট্ট হাড়ি, কোনটা চায়ের জন্য, কোনটা ডিম সেদ্ধ, কোনটা আলু সেদ্ধ, কোনটা অল্প পানি গরমের জন্য, কোনটা শুধু মোটা কাপড় গরম পানিতে ফোটানোর জন্য! চায়ের চামচ-চা ছাঁকুনী-মশলার থালা, ফলের ঝুড়ি, সরপোশ! কি নেই এমন যা বাদ পড়ে কেনাকাটা থেকে?

নাহ একবারে কেনে না সব কিছুই, হয়তো মনে পড়েনা। কিন্তু যখনই বাজারে যাবে, তখনই বাজারের লিখিত বা অলিখিত তালিকায় থাকবে এসব জিনিষের কিছু না কিছু!
যা শুধু পদ্য কেন, বাজারে গেলে গদ্য দেখতে পায় পদ্য, ওর মায়ের বয়সী, নানীর বয়সী, এমনকি নানীর মায়ের বয়সীরাও এমন হরেক রকমের কাজের জন্য হরেক রকমের বাহারি কিন্তু কমদামী কেনাকাটা! এমন নয় যে এসব জিনিস সংসারে নেই, আছে সবই, হলেও চলে আর না হলেও চলে, তবুও কেনে!

কেনে আর কিনেই চলে, এটা ওদের সংসার গোছানোর অন্যতম সরঞ্জাম! না কিনলে যে সংসার অগোছালো থেকে যাবে! আত্মীয়-স্বজন আর পাড়া প্রতিবেশী অলক্ষ্মী বলবে! তাই সবকিছু ঠিক-ঠাক থাকতে হবে, অন্তত সাধ্যের মধ্যে যতটুকু সম্ভব। মনে-প্রানে লখ্য ওই একটাই......

“আগে, সংসারটা একটু গুছিয়ে নেই!”

৫) কেটে গেল, আরও ৫ বছর। গদ্য-পদ্য আর মেঘ-মেঘাদের “অ-গোছানো” সংসারের। বেড়েছে দায়িত্ব, বেড়েছে চাপ, বেড়েছে ধাঁর-দেনা আর হয়েছে ব্যাংক লোণ! ঢাকার বাইরে এক টুকরা জমি কিনেছে, ছেলে-মেয়েরা বড় হয়ে যাচ্ছে, ওদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে অনেক অনেক কষ্ট আর সাধ্যের বাইরে গিয়েও বুকিং দিয়েছে ফ্ল্যাটের! এখন পদ্য অনেক অনেক আর অনেক খুশি!

সবকিছু মিলে সে দারুণ পরিপূর্ণ একটা সংসার পেতে যাচ্ছে! পদ্যর দিকে তাকালেই বোঝা যায়, যে কতটা খুশি-গর্ব-অহংকার আর একটি তৃপ্তি খেলা করে যায় চোখে-মুখে! যা দেখে গদ্যরও ভালো লাগে অনেক অনেক।

এবার পদ্য বেশ বড়সড় একটা প্ল্যান করলো, ছেলে-মেয়েসহ পদ্যকে নিয়ে আসছে ঈদে দেশের বাইরে বেড়াতে যাবে। যাওয়া-আশা, থাকা-খাওয়াসহ সব খরচ গদ্য একাই করবে, শুধু যদি কোন কেনাকাঁটা কেউ করতে চায় তো সেটার ব্যয়ভার পদ্যকে দেবে! এই কৌশল এই জন্য নিল যে তাতে করে ভ্রমণে গিয়ে কেনাকাঁটার মত ফালতু কাজে আর পদ্য জড়িত হবেনা, তার উপর যদি করতে হয় নিজের টাকা দিয়ে? তবে তো আর কথাই নেই! তাই এই বুদ্ধি বের করে, প্রস্তাব দিল পদ্যকে। পদ্যরও ভালো লাগলো এই প্রস্তাব, যাক খরচ তো আর ওকে করতে হবেনা!

এবার জিজ্ঞাসা করলো, গদ্যকে, তো কি রকম খরচ হবে বলে হিসেব করেছ?
গদ্যর হিসেব করাই ছিল, তাই বলে ফেলল, এই ধর মোটামুটি ৫০,০০০ টাকার মধ্যে আমাদের সবার হয়ে যাবে। বেশ ১০ দিনের মত বেড়ানো যাবে ভারতের বিভিন্ন যায়গায়। বেড়াতে যাবার কথা শুনে ওদের ছেলে-মেয়ের নাচানাচি শুরু হয়ে গেছে! আর অন্যদিকে দিন আর টাকার পরিমাণ শুনে পদ্যর চেতনা হারানোর উপায় হয়েছে প্রায়!

তুমি কি পাগল হয়ে গেলে! মাথায় কি আর আজকাল একদম কাজ করেনা তোমার? কি হল তোমার? তুমি ঠিক আছো তো? গদ্যকে, পদ্যর স্নেহের সম্ভাষণ!

কেন, তুমি এতো অবাক হচ্ছ কেন? আর এতো নেগেটিভ প্রতিক্রিয়া দেখানোর কি হল, কিছুই তো বুঝলাম না?

তুমি কি বুঝবে, তুমি কি সংসার চালাও? নাকি সংসারের কোন দিকে কোন খেয়াল আছে তোমার? তোমার কাছে জীবন হল একটা ফানি ব্যাপার! ওই গানের মত

“দুনিয়াটা মস্ত বড়, খাই-দাই ফুর্তি কর!”

মানে কি, আমি কখন কি ফুর্তি করলাম?

দেখ, নিজেই চিন্তা করে দেখ?

কি জানি বাপু, বুঝিনা তোমাকে!

কবেই বা বুঝেছিলে?

আচ্ছা বাদ দাও, আমাকে বল বেড়াতে যাবেনা কেন?

কেন তাও তোমাকে বলে দিতে হবে নাকি?

যে পরিমাণ টাকার বাজেট তুমি করেছ, ও দিয়ে আমাদের ফ্ল্যাটের টাইলস গুলো চেঞ্জ করা যাবে, অথবা বাথরুমের ফিটিংসটা নিজেদের মত করে নেয়া যাবে, ওরা যা দেয়েছে আমার পছন্দ হয়নি, ফ্ল্যাটে ওঠার পরে সবাইকে একবার ডাকতে হবে! সেখানে কত খরচ আছে, অথবা সোফাটা সেই কবেকার, সেটা পরিবর্তন করা যাবে, ছেলে-মেয়ের জন্য আর কিছু মিলিয়ে তুমি-আমি একটা ফিক্সড ডিপোজিট করতে পারি, যা ওদের লেখা পড়ায় কাজে লাগবে, অথবা ফ্ল্যাটের এক মাসের কিস্তি দিতে পারবে অনায়াসে, তাতে করে এক মাসের চাপ তো অন্তত কমবে?

এমন আরও অনেক প্রয়োজনীয় যে কোন একটা বড় কাজ করা যাবে, যেটা আমার সংসারের জন্য খুবই জরুরী!

আরে, সব তো ঠিক-ই আছে, ওদের পড়াশুনা তো চলছেই ভালোভাবে। কিসের সমস্যা?

কিসের সমস্যা মানে? খালি ঘুরে ঘুরে কাটিয়ে দিলেই হবে? ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা ভাবতে হবেনা? ওদের কি রাস্তায় ফেলে যাবো তুমি-আমি!
বড় হয়ে ওরা যেন বলতে না পারে যে আমরা কিছু রেখে যাইনি ওদের জন্য!

মানে কি? আবার কি রেখে যাবো, লেখাপড়া শিখছে ভালোভাবে, শেষ করে, আল্লাহ বাঁচালে, নিজেদেরকে নিজেরা ঠিক-ঠাক করে নেবে, যে যেভাবে চায়! আমাদের দায়িত্ব ওদের তৈরি করে দেয়া, পড়াশুনা শেষ করা, ব্যাস। যা দরকার ওরা করে নেবে। আর আমাদের যদি কিছু থাকে তো সেটা ওদের বোনাস! আর কি চাই?

নাহ, আমি তোমার সাথে একমত নই, আমি আমার ছেলে-মেয়ের জন্য সংসারের এতো অর্থ অপচয় করতে দেবনা কিছুতেই!

তবে কি যাবেনা এবারেও!!

নাহ, যাবো যাবো, তবে এখনি নয়... আর একটু পরে,

“আগে, সংসারটা একটু গুছিয়ে নেই!”

৬) বড় একটা দীর্ঘশ্বাস বের হল গদ্যর বুকের একেবারে গভীর থেকে, আর পদ্যকে বলল সাথে নিজের সাথে নিজেরই স্বগতোক্তি, আরে এই যে সংসার সংসার করে নিজেকে বঞ্চিত করছো প্রতিনিয়ত, জীবনকে শেষ করে ফেলছো সংসারের পিছনে, শেষ বয়সে এসে দেখবে এই সংসার তোমাকে কিছুই দেবেনা, অবহেলা আর অপমান ছাড়া! অপমান না হোক, অন্তত তোমার এই সংসারের প্রতি এতো নিবেদনের জন্য শেষ পর্যন্ত কিছুই তুমি পাবেনা প্রতিদান, মনে রেখ! এই আমি বললাম।

এরচেয়ে চল, বেড়িয়ে পরি, জমা করি কিছু সুখ সৃতি, কিছু ছবি, কিছু গল্প, কিছু হাস্যরস, মজার-মজার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা, সাথে কিছু মান-অভিমান, জীবনের শেষ বেলাতে, যখন কেউ থাকবেনা পাশে বা কাছে, যেন হাসি-আনন্দ-গল্প আর চোখ বুজে হারিয়ে যাবার কারণ হয়ে থাকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত!

জীবনের নতুন মানে খুঁজে নেই চল? এই সংসারের কাছ থেকে কিছুটা ছুটি নিয়ে মাঝে-মাঝে, সাধ আর সাধ্যের মধ্যে, তোমার-আমার পছন্দ-অপছন্দ মিলেমিশে, কখনো পাহাড়ে, কখনো সমুদ্রে, কখনো অরণ্যে, কখনো মরুভূমিতে, কখনো সবুজে, কখনো সাদার সুভ্রতায়, কখনো কোন গোধূলিতে কোন নীল পাহাড়ের চুড়ায়, কখনো চাঁদনী রাতে, তারাভরা আকাশের পানে তাকিয়ে কোন নীরব সমুদ্রের সীমানায়?
চল যাই, বেরিয়ে পড়ি?

হ্যাঁ যাবো, একটু সময় দাও... তুমি-আমি একসাথে......

“আগে, সংসারটা একটু গুছিয়ে নেই!”

হাহ, থাক তবে, তুমি তোমার সংসার গোছাও, তোমার সংসার গোছানো হলে আমাকে বল, যাবো তুমি আমি একসাথে, তোমার......

“সংসার একটু গোছানো হলে!”

৭) এইভাবে কেটে গেলো আরও ১০ বছর, পদ্যর সংসার কিছুতেই আর গুছিয়ে ওঠেনা... বয়স হয়ে গেছে ৪৫! শরীর ভারী হয়ে উঠছে দিন-দিন, দেখা দিয়েছে ছোট-খাট শারীরিক সমস্যাও, প্রায়-ই যেতে হয় ডাক্তারের কাছে, নিয়মিত খেতে হয় কোন না কোন ওষুধ! এখন আর গদ্যই বলার সাহস পায়না, কোথাও বেড়াতে যাবার কথা! পদ্যর শারীরিক সামরথ কমে গেছে! বেশিক্ষণ হাটতে পারেনা, আবার বেশিক্ষণ বসতেও পারেনা, আবার একটানা শুয়েও থাকতে পারেনা! নাহ, খুব বড় কোন সমস্যা নয়, তবে অন্তত কোথাও বেড়াতে যাবার জন্য আদর্শও নয়।

তার উপর যোগ হয়েছে, ছেলে-মেয়েদের নতুন ভাবনা, ছেলের মেডিকেলে পড়া, মেয়ের পড়াশুনার পাশাপাশি ভালো একটা বিয়ের চিন্তা! সাথে মেয়ের জন্য টুকটাক গহনা বানানো, একটু টাকা পয়সা জমলেই, বাড়িতে রঙ করানো, জমিতে কিছু ফসল লাগানো, একটি লোক রাখা, তাকে সবকিছু বুঝিয়ে দেয়া ও তদারকি করা, আরও কতশত সংসারের কাজ, এসবের কি আর শেষ আছে? নেই।

৮) পদ্য আর গদ্যর বয়স ৫০ পেরিয়ে গেছে! পদ্যকে ঘিরে ধরেছে বার্ধক্য এরই মধ্যে! কিন্তু গদ্য যেন এখনো তরুন! দুজনের মন-মেজাজ আজকাল একেবারেই আলাদা, চিন্তা-ভাবনা একেবারেই দুই মেরুর, যার অনেকটা আগে থেকেই ছিল, এখন তা আরও প্রকট হয়েছে। আর লেগেই থাকে খিটমিট দুজনের সাথে, সারাক্ষণ সারাক্ষণ!

গদ্যকে এখন প্রতিনিয়ত কথা আর খোটা শুনতে হয় তার একাকী জীবন নিয়ে, ভ্রমণ নিয়ে, নিজের জন্য গড়া নিজের পৃথিবী নিয়ে, ওর ছেলে মানুষী ছবি-গল্প-কথা আর নতুন নতুন পরিকল্পনা নিয়ে!

আর পদ্য এখনো সময়-সুযোগ আর শারীরিক ভাবে সুস্থ হলেই লেগে পরে ওর সাধের সংসারে পিছনে। আর এখনো মন খুব ভালো থাকলে গদ্যকে বলে, একবার না একবার ওরা বেড়াতে যাবে, দূরে কোথাও, শুধু গদ্য আর পদ্য একসাথে... শুধু......

“আগে, সংসারটা একটু গুছিয়ে নেই!”

৬৫ বছর পরেও গদ্যর সংসার আর গুছিয়ে ওঠা হলনা, হলনা শেষ বাজারে গিয়ে না হোক, বাসার গেটের সামনে এলে ফেরিওয়ালার কাছ থেকে কেনা, সেইসব প্লাস্টিকের রঙিন আর কমদামী জিনিসপত্র, হাড়ি-পাতিল, খুনতি-কড়াই, সরপস আর চা ছাঁকুনী! হলনা শেষ সোফার কভার বদলানো, পর্দার কাপড় পরিবর্তন, মেঝের টাইলস বদলানো, বাথরুমের ফিটিংস ঠিক করা আর বিছানা-বালিশের কভার পরিবর্তন! আর সেই সাথে হলনা, ৬৫ বছর বয়সেও কোথায় কোন ভ্রমণ! গদ্য-পদ্যর একসাথে। কেন, হলনা? কারণ একটাই, পদ্যর......

“আগে, সংসারটা একটু গুছিয়ে নেই!”

আর পদ্যর? জীবন এখনো রঙিন, বর্ণিল, আনন্দময় আর ভেসে বেড়ানোর মত উচ্ছ্বাস ও উদ্দিপনায় ভরা!

কিন্তু পদ্যর হলনা আজও সংসারটা গুছিয়ে নেয়া!

তাই আজকাল, গদ্য কোথাও বেড়াতে যায়, আর যাবার সময় পদ্যকে কোন আমন্ত্রণ জানায়না, শুধু শুনিয়ে যায়, কয়েকযুগ ধরে গদ্যকে, পদ্যর শোনানো কথাই......

তুমিও যাবে, বেড়াতে একদিন, একসাথে......

“আগে, সংসারটা একটু গুছিয়ে নাও!”
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:২৫
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

টের পেলে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৭

টের পেলে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

টের পেলে গুটিয়ে যায় লজ্জাবতী/ পরিপূর্ণ যৌবনে যুবতীর নিখুঁত অনুভূতি। আমার চাওয়া, ইচ্ছে, স্বপ্ন! আমার পছন্দ বুঝদার, সুন্দর হৃদয়ের রূপ! সৌন্দর্য সুন্দর যা চিরন্তন সত্য। কিন্তু সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের চার খলিফার ধারাবাহিকতা কে নির্ধারণ করেছেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৭




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব)... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×