somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রহস্য গল্পঃ বিচিত্র (প্রথম পর্ব)

০৭ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সারাদিনের ব্যস্ততা কাজকর্ম শেষ করে যখন বাইরে বেরিয়ে এলাম তখন পুরো শহরটায় বৃষ্টি নেমে এসেছে, একেবারে ঝুম বৃষ্টি, ব্যাগ থেকে ছাতা বের করে মাথায় দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলাম, বাস এলেই উঠে যাব এ নিয়ে আর চিন্তা কি!

কিন্তু একের পর এক বাস এলো গেলো কিন্তু কোনটাতেই উঠতে পারলাম না। অবশ্য বাসে ওঠার জন্য কোন তাগিদ অনুভব করলাম না এই মুহূর্তে।
বাসায় আমার স্বামী আছেন উনি চাকরী হারিয়েছে আজ ৬ মাস নতুন চাকরী পাওয়ার জন্য তেমন কোন চেষ্টা উনাকে করতেও দেখছিনা, পাশাপাশি চাকরী ছেড়ে দিয়ে অবসর উনি খুবই আনন্দের সাথে উপভোগ করছে। সংসারের কোন কিছুর ভেতরই তার বিন্দু মাত্র ভুক্ষেপ নেই আগেও যে খুব একটা ছিল তাও না।

এই যে আমি সারাদিন পর বাসায় যাব যাওয়ার সময় বাজার করে নিয়ে যেতে হবে, রান্না করতে হবে তারপর উনাকে সময় মত খেতে দিতে হবে যেন এসব তার প্রাপ্য সেবা। এরকমটাই নিয়ম।

দিন দিন এই খাটাখাটুনীতে শরীরে কোন শক্তি পাইনা আর, ইদানিং তো এমন হয় কলিংবেল টিপে ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে থাকি ঘণ্টাব্যাপী তার দরজা খোলার ভুক্ষেপ পর্যন্ত নেই। জিজ্ঞেস করলে বলবে শুনতে পায়নি। এসব নিয়ে ঝগড়া করেও কোন লাভ নেই তাছাড়া উনার সাথে ঝগড়া যেটা হয় এক পাক্ষিক, সে ঝগড়ার সময় বধীর এবং বোবা হয়ে থাকে।

বৃষ্টির আগের চেয়ে আরও বেড়ে গেছে! চারপাশে ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টির অজস্র ধারা কি এক মোহনীয় দৃশ্যের অবতারনা করছে! যেখানটায় দাঁড়িয়ে ছিলাম সেখানে এখন হাঁটু ছুঁই ছুঁই পানি থই থই করছে।
অদুরে একটা পুলিশের গাড়ি এসে থেমেছে আমাকে সোজা রেখে, ভেতরে একজনই পুলিশ বসা, অন্যজন ড্রাইভার। রাস্তায় এত লোকজন এত ভিড় তবু আমাকেই সে লক্ষ্য করছে।

লক্ষ্য করছে বললে ভুল বলা হবে সে আমার কাছ থেকে একটা কিছু আহ্বান চাইছে, ঘড়িতে সময় সন্ধ্যা ৭ টা, কিন্তু বৃষ্টির জন্যই বোধহয় কিংবা মনের ভেতর কোন অচেনা ভয়ে মনে হচ্ছে মধ্যরাত!! এমন সময় প্রায় প্রতিদিনই তো বাড়ি ফেরা হয়, কই তখন তো এমন ঘোর লাগা চোখে পুলিশ তাকাতে সাহস পায় না!

চারপাশে দেখলাম আশেপাশে আর একটা মেয়েও নেই হঠাৎ করেই জায়গাটা মেয়ে শুন্য হয়ে গেলো কি করে!!
বেশির ভাগ পুরুষ চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দাঁড়িয়ে!! তারা বেশির ভাগ রাস্তার শ্রমিক একটু অদুরে দেখলাম এক প্রবীন দম্পতি দাঁড়িয়ে আছে।
পুলিশের দিকে ফিরলাম সে অন্য কিছুর আহ্বান দুই চোখে নিয়ে এখনো একভাবে আমায় দেখছে, দিশেহারা আমি প্রবীণ যুগলের কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম।।

ভয়ংকর ঝম ঝম বৃষ্টি আধো আলো আধো অন্ধকারে প্রবীণ মহিলাটি কি জানি অশরীরী আত্মা ভেবে বসেছে কিনা কে জানে! তারা বেশিক্ষন তাদের পাশে দাঁড়াতে দিলো না আমায়! দ্রুত হেঁটে আমার কাছ থেকে সরে গেলো এবং সেই পুলিশের ভ্যান এর কাছে গিয়ে দাঁড়ালো। পুলিশ এই দৃশ্যপট বদলে যারপরনাই মহা বিরক্ত হয়ে তার ভ্যান নিয়ে অন্য দিকে রওয়ানা দিলো।
আমাদের মেয়েদের কবে যে মানুষ শ্রদ্ধার চোখে দেখবে এবং রাস্তাঘাটে মানসন্মান নিয়ে চলতে পারবো কে জানে!!

একই ভাবে এক হোন্ডাওয়ালা লোক আমার প্রায় পায়ের কাছে থামল, তার হোন্ডার হর্ন এবং লাইট বার বার অন অফ করতে থাকলো! দেহ ব্যাবসায়ী মেয়েদের এইভাবেই সংকেত দেয়া হয় নাকি!!
কি সর্বনাশ! আমায় ওরকম কিছু ভেবে বসে নেই তো!! আমি চারপাশে তাকালাম তীব্র বেগে বৃষ্টির ফোঁটা এসে পড়ছে রাস্তায় চারপাশে জমে যাওয়া পানিতে ছায়া ছায়া অন্ধকারে কি এক অদ্ভুত নৈসর্গিক এক পৃথিবী সৃষ্টি করছে যে এত বিপদের ভেতর ও মনে মনে তা খানিকটা উপভোগ করলাম!

এর মাঝে নিজের অবস্থান নিজের নিরাপত্তাহীনতা এসব কিছু আমায় তীব্র ব্যথিতও করছে, যেমন ব্যথিত করেছিলো আমার বিয়ের পর আমার স্বামীর ব্যাপারে প্রথম উপলব্ধি, পাগল!! হ্যাঁ একথা সত্যি যে আমার বাবা তেমন কিছু না দেখে যাচাই বাচাই না করে একটা পাগলের সাথে আমায় বিয়ে দিয়ে দিয়েছে, এটা একটা আ্যরেঞ্জ ম্যারেজ ছিল, এবং ইদানীং মাঝে মাঝে আমি এই বিয়েটা কে ঘৃণা করি।।

বিয়ের তৃতীয় দিন যখন আমি প্রথমবারের মত তার সাথে বান্দরবান বেড়াতে গেলাম সে সেখানে সব থেকে উঁচু পাহাড়ে বিশ্রামহীন উঠে এবং আমি শারীরিক এই একটানা পরিশ্রম সহ্য করতে না পেরে যখন পাহাড়ের রুক্ষ ঘাসের উপর শুয়ে পড়লাম, তখন সে আমার পাশে এসে যে কথাটি বলল কোন পাগল ছাড়া কি কেউ এরকম বলতে পারে!!

প্রথমে আমি তার কথা বিন্দু মাত্র সিরিয়াস ভাবে নেইনি হেসে উড়িয়ে দিয়েছি, হাস্যকর জোকসই তো ছিল ওটা, বলল
- বউ চল আমরা উড়ি!!
- কীভাবে!
- কেন এই পাহাড় থেকে লাফ দিয়ে!!
- পাহাড় থেকে লাফ দিলে তো মরে যাব!
- আরে না মরে যাবে কেন! উড়বো আমরা উড়বো! পাখির মত উড়বো! মেঘের ভেতর উড়বো!! ধুসর সাদাটে মেঘ! আহ!! অক্সিজেন! খাঁটি অক্সিজেন!
- তুমি পাগল হয়ে গেছ!
- না বউ বিশ্বাস কর এভাবে উড়া যায়! একদম চিলের মতন। তুমি শুধু হাত দুটি উপড়ের দিকে ছড়িয়ে দেবে আর নির্ভার করে দেবে শরীর! আর মনে বিশ্বাস রাখবে যে তুমি উড়তে পারো! ব্যস সে কি এক অপার্থিব আনন্দ হবে! আমরা উপর থেকে পৃথিবী দেখবো পৃথিবীর মানুষ দেখবো আর সব চাইতে বড় কথা পৃথিবীর সমস্ত দুঃখ কষ্ট জড়া যন্ত্রনা ছাড়িয়ে আমরা আকাশে বিচরন করবো!!
পৃথিবীর এই দৈন্যতা আমাদের একদম স্পর্শ করতে পারবেনা সত্যি বলছি!!
- আমি উড়তে চাইনা!
- না তুমি উড়তে চাও!
- না আমি উড়তে ঘৃণা করি!
- তুমি হয়তো শুধু প্লেন জার্নি ঘৃণা কর!
- আমার মাথা ঘুরায়!
- ওটা তোমার জলযানগুলোতে ভ্রমন করার সময় হয়!!
- তুমি বুঝতে পারছনা মানুষ উড়তে পারেনা!!

উনি গম্ভীর আর চুপচাপ কিছুক্ষন বসে উঠে দাঁড়িয়ে হেঁটে হেঁটে একদম পাহাড়ের শেষ প্রান্তে চলে গেলো! যেখান থেকে পা বাড়ালে কয়েকশো মিটার নীচে মাটি কিংবা ধারালো পাথর!
আতংকিত আমি এগিয়ে গিয়ে তার হাত টি ধরলাম, করছো কি তুমি? কি করছো?

সে আমার দিকে তাকাল! অপ্রকৃতস্থ চাহনি!
ভয় পেয়ে দুই পা পিছিয়ে এলাম! আমার সদ্য বিবাহিত স্বামী!!! পাগল!!!!

অনেক চেষ্টার পর বাসে উঠতে পারলাম, এখন রাত সাড়ে আঁটটা, বাড়ির কাছে নেমে সবচাইতে কাছের সুপার সপে ঢুকলাম বাজার করতে। কিছু শাকসবজি, তেল, ডাল, মশলা ও বিফ কিনে যখন বাসায় ঢুকলাম তখন রাত নয়টা! নিজেই চাবি দিয়ে দরজা খুললাম। যেদিন থেকে আমার স্বামীর দরজা খুলে না দেয়া রোগ হয়েছে সেদিন থেকে নিজের কাছেই ঘরের চাবি রাখি!।

বৃষ্টি কমে গেছে! ভেতরে আলো নেই! লাইট জ্বালাতে গিয়ে লক্ষ্য করলাম কেউ একজন বেলকনির কার্নিশের উপর দাঁড়িয়ে! মনে ভয় হল! বললাম
- কে?ওখানে কে!?
দৌড়ে কাছাকাছি যেতেই দেখি আমার স্বামী দাঁড়িয়ে! কিন্তু ওখানে কেন!!
- তুমি কি করছো এখানে??
পাশ ফিরে চাইলো!
বললাম,
- না না ওভাবে চেওনা পেছন ঘুরে! পড়ে যাবে তো! নেমে এসো! এক্ষুনি নেমে এসো উপড় থেকে!
- আমি আজ কোন কথা শুনবোনা!
- কি করতে যাচ্ছ তুমি! দেখো এরকম সবার জীবনেই হয়! এক চাকরী যে আজীবন টিকে থাকে তা তো না! এই দেখোনা আমাদের অফিসেই! গত এক মাসের মধ্যে ৩ জনের চাকরী চলে গেছে! এরকমটা হতেই পারে! তাছাড়া আমি তো আছি নাকি!
- তুমি বুঝবেনা!
- কি বুঝবোনা! তুমি চেষ্টা করলেই এর থেকে ভালো একটা চাকরী পেতে পারো প্লিজ পাগলামি করোনা!!
তার মুখে একটা হাসি ছড়িয়ে গেলো! হাসিটা অস্বাভাবিক! ওদের বাসায় আমাদের বাসায় এখুনি ফোন করে খবর দেয়া দরকার!! কেমন করে আমি একা ওকে সামলাবো! এপার্টমেন্টটা ৮ তলায়!! নীচে খটখটে কংক্রিটের রাস্তা,
এত উঁচু থেকে পড়লে জীবিত থাকা দূরে থাক একদম গুঁড়িয়ে যাবে!!
- ওগো তুমি কি করতে যাচ্ছ আমায় কি বলবে? প্লিজ এমনটা করো না! নেমে আসো নেমে আসো!
- খবরদার আমার দিকে এক পা ও এগোবে না, আমি আজ উড়বোই!
থমকে দাঁড়াই আমি!
- কি করবে??
- উড়বো! আকাশের উপর উড়বো! মেঘে মেঘে উড়বো! উড়ে উড়ে দেশ বিদেশ দেখার মত করে গ্রহ উপগ্রহ দেখে আসবো !আহ! কি এডভেঞ্চারই না হবে এই পানসে জীবনে!!
- প্লিজ তুমি পাগলামি করোনা! তুমি যা ভাবছো এসব মানুষের পক্ষে করা সম্ভব নয়!!
- মানুষের পক্ষেই সম্ভব! সব সম্ভব!!
তারপর পরই সামনের দিকে লাফ দিয়ে অদৃশ্য হয়ে যায় সে!
সারাদিনের পরিশ্রমের পাশাপাশি এত বড় একটা দুর্ঘটনা আমাকে প্রচণ্ড রকম দুর্বল করে দেয়! দুচোখে অন্ধকার নেমে আসে!
তারপর আর কিছু মনে নেই!!

ওভাবে কতক্ষন পড়েছিলাম আমি জানিনা!! যখন আমার জ্ঞান ফিরলো, যখন আমি চোখ মেললাম, দেখি অনেকেই আমাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে, ঘরের সব কয়টি লাইট জ্বলছে! এদের ভেতর পুলিশ ও আছে! একজন ফ্রাষ্ট এইড বক্স নিয়ে আমার সেবা করছে! এক পুলিশ কাছে এগিয়ে এসে বলল আপনি ঠিক আছেন!! মিসেস রহমান? আপনি কি আমাদের একটু একটু করে খুলে বলবেন আসলে কি হয়েছিলো? আমি চারপাশে তাকালাম সবার চোখমুখ বিষাদ আর উদ্বিগ্ন!! ফ্লোরে ছড়িয়ে পড়ে আছে আমার সদ্য কেনা বাজারগুলো! ধীরে দুর্বল কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলাম এখন রাত কয়টা!
রাত একটা মিসেস রহমান!!
রাত একটা!! এতক্ষনে নিশ্চয়ই ওর গোসল সম্পন্ন হয়েছে!! নিশ্চয় খাঁটিয়ায় পড়ে আছে ও অন্তীম গৃহে যাওয়ার জন্য! নিশ্চয়ই সবাই আমার অপেক্ষায় এখনো বেচারা স্বামীর দাফন করায়নি!! আমায় শেষ দেখা দেখাবে বলে!! কি আর দেখাবে!! কিছু কি অবশিষ্ট আছে! এত উঁচু থেকে পড়ে গেলে কিই বা অবশিষ্ট থাকে!

আমি কিছুই বললাম না তাছাড়া ভেতর থেকে কথা বলার শক্তি ও পাচ্ছিনা! আমি এখন বিধবা!! হায়!
আমার স্বামী আমার সামনে থেকে লাফ দিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছে আর আমি কিনা কিছুই করতে পারলাম না!! অস্ফুট স্বরে ধীরে ধীরে পুলিশকে জিজ্ঞেশ করলাম! আমার স্বামী! আমার স্বামী কোথায়!?
যদিও জানতাম পুলিশ এখন কি বলবে!! তবু তার চিন্তাযুক্ত মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম আমার জীবনের সবচাইতে খারাপ দুঃসংবাদটি শোনার জন্য!! আমার স্বামীর মৃত্যুর খবর!!
কিন্তু পুলিশ অদ্ভুত এক কথা শুনালো!
- ইয়ে মিসেস রহমান! আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত! ঠিক কি হয়েছে আমরা কিছু বুঝতে পারছিনা! এক্ষেত্রে আপনার সাহায্যের দরকার হবে!
আসলে,
আপনার স্বামীকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:২১
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে

লিখেছেন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল,... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×