কিছু মানুষ অন্যদের সাথে অহংকার কিংবা অসম্মান কিংবা তার থেকে চোখে আঙুল দিয়ে নীচু দেখানোর চেষ্টা করেন এই কারণে যে, তাদের বসবাস ডোবায়, এর বাইরে কি আছে তা তারা কোনদিন দেখে নাই, কাজেই তারা যে ডোবার ভিতর থাকে তারা সেটাকে সমুদ্র মনে করেন, সমুদ্র বলে আসলে যে কিছু আছে এবং সেটা যে কতটা বিশাল লাক্সারি হতে পারে তা তারা কল্পনাও করতে পারেন না, নাদান পারিনদে....
এদের ভাষা এবং ব্যাবহার সকলের জন্য ক্ষতিকর।
একই ভাবে আবার কিছু মানুষ সমুদ্রে থেকেও অহংকার করেন, মানুষ কে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন, তাদের ধারণা সকল মানুষ ডোবা নালা ড্রেনে পরে আছেন যেমন তারা ছিলেন, তারা জানেন ড্রেন কি জিনিস! কত নোংরা! এই কারনে এদের সকলের প্রতি ঘৃণা এবং অহংকার দুটোই অনেক বেশি। তারা মনে করেন অত নোংরা ছোট জায়গা থেকে সমুদ্রে পৌঁছানো যেহেতু কঠিন, কাজেই তারা ছাড়া পৃথিবীর সমুদ্র আর কেউ দেখে নাই, দেখবে ও নাহ, এই বিশাল চরাচর, অথৈ নীল ঘন ঢেউয়ের ভেতর শুধু তারাই লাক্সারি জীবনযাপন করছেন। এদেরও ভাষা এবং ব্যাবহার সকলের জন্য ক্ষতিকর অনেক ক্ষেত্রে বায়ু দূষণের মতন অসহ্য ও ভয়ংকর।
জীবনে সল্প সংখ্যক মানুষই এসবের উর্ধ্বে, তাদের কাছে অর্থ বিত্ত টাকা পয়সা ডোবা নালা, নদী কিংবা সমুদ্র সমস্ত কিছুর উর্ধ্বে মানুষ অনেক বেশি মূল্যবান, সন্মানীয় এবং দামী। তাদের জীবন কাটে মানুষের নিঃস্বার্থ উপকারে, ভালোবেসে। তাদের কথা, কাজ, ব্যাবহার, চলাফেরা সব কিছুতেই সকল মানুষ নিরাপদ।
বনানী দিয়ে আসতে আসতে দেখলাম এক অতি অতি সুদর্শন বিদেশি যুবক এক গরীব অন্ধ ভিক্ষুককে কোলে নিয়ে রাস্তা পার করে দিচ্ছে, ব্যাস তখনি এই মহান বাণী মাথায় এলো।
আমাদের সমাজে কিছু করবার যোগ্যতা নেই কিছু করবার মন মানসিকতা নেই, এই ধরনের মানুষের অভাব নেই এরা চায় শুধু বসে বসে দিন পার করতে তাদের অগণিত সময় কাটে খেয়ে বসে ঘুমিয়ে ফুর্তি করে এবং অন্যের সমালোচনা ও তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে, তবে এর থেকেও অধিক সংখ্যক মানুষ আছেন যারা অন্য কেও কিছুই করতে দিতে চান না এরা শুধুই সব ধরনের কাজের পথের কাঁটা হয়ে থাকেন।
খুব কম সংখ্যক মানুষই আছেন যারা জীবনে অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়ায়, খুব কম সংখ্যক, হয়তো জীবনে একজনই এরকম পাওয়া যায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:০৫