অন্ধকার যতো গভীর হোক তাকে দূর করার জন্য সামান্য একটু আলোর ঝলকানিই যথেষ্ট। আজকাল পরিচিত জনের অনেকের মাঝেই নিজেকে অমাবস্যার অন্ধাকারে আচ্ছাদিত করার প্রয়াস লক্ষ্য করছি। অর্থাৎ তারা চোখ কান খোলা রেখে মহাবিশ্বকে অলৌকিক এবং স্বচালিত বস্তু হিসাবে গণ্য করছে। তাদের মতে সৃষ্টিকর্তা বলে কিছু নেই, পৃথিবীর সবকিছু এক মহাজাগতিক শক্তির প্রভাবে চলছে। স্টিফেন হকিং অথবা অন্য কোন নাস্তিক এর থিওরী কিংবা নিজেদের মনগড়া বিশ্বাস তাদের আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে। আপনি খেয়াল করলে দেখবেন এরা খুব গোড়া প্রকৃতির এবং বিশ্বাসীদেরকে বলে মৌলবাদী। নিজেরা বলবে যুক্তিতে আসেন, আপনাকে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বহীনতার প্রমাণ দিয়ে দিচ্ছি কিন্তু বিপরীতে তারা নিজেরা কোন যুক্তি গ্রহণ করবে না। যুক্তিতে না পারলে আপনাকে গোড়া বলে আপনার থেকে শত হাত দুরত্ব বজায় রাখবে।
যারা সকল কিছুতে হুঁ হুঁ টাইপ মানষিকতার অধিকারী তাদের সাথে এদের জমে ভালো। কারন তাদের কেউ এদের সাথে তর্ক করতে চায় না। আবার আমাদের মাঝেও এরকম অনেকেই আছে যারা এদের সাথে তর্ক করতে নারাজ। কেউ কেউ বলে থাকেন, যারা সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করে না তারা নাকি গভীর জ্ঞানের অধিকারী হয়ে থাকে। তাই তাদের সাথে তর্ক করা অযৌক্তিক। বিশ্বাস করেন আর নাই করেন, একবার মুখ খোলে এদের কথার প্রতিবাদ করুন দেখবেন এরা পালানোর পথ খুঁজে পাবে না। কারন আমি আগেই বলেছি অন্ধকার যতো গভীর হোক তাকে দূর করার জন্য সামান্য একটু আলোর ঝলকানিই যথেষ্ট।
বর্তমান সময়ে নাস্তিক্যবাদ মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়ছে। আগে এটা শুধুমাত্র সমাজের উচ্চশ্রেণীর একটা ফ্যাশন ছিলো। অথচ এখন গ্রামেও দেখলাম সামান্য একটু পড়াশোনায় ভালো হলেও নিজেকে নাস্তিক বলে দাবি করছে। কারন নাস্তিক্যবাদ এখন মডার্ণ কালচার। কিছু লোক এই কালচারে আপগ্রেড হওয়াটাকেই যুক্তি তর্কের উর্ধ্বে নিজেদের ধ্যান জ্ঞান মনে করছে। এই কালচারে আপগ্রেড হওয়ার সুযোগ দেওয়ার আগে তাদের মনের অন্ধকারটুকু দূর করা জরুরী। কারন ধর্ম একটা সুন্দর পথ, আমরা কেউ চাই না আমাদের প্রিয়জনগুলো এই পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যাক।
বিজ্ঞান মনষ্ক নাস্তিকদের বলছি, বিজ্ঞানের কোন থিওরী দীর্ঘদিন একই রকম থাকে না। বিখ্যাত কিছু কিছু বিজ্ঞানীর একটা করে ভুল থিওরী কয়েক হাজার বছর পর্যন্তও স্থায়ী ছিলো। সুতরাং আজকের স্টিফেন হকিং এর থিওরী আগামী একশত বছর পরে ঠিক থাকবে এটার নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না। যদি হাজার বছর পরেও বিজ্ঞান সৃষ্টি কর্তার অস্তিত্ব প্রমাণ করে তখন কিন্তু আপনি নিজেকে শোধরানোর সময় পাবেন না। সুতরাং এটাই উপযুক্ত সময় সঠিক পথকে বেছে নেওয়ার। কারন ধর্ম কোন অন্ধ বিশ্বাস না, ধর্ম হলো পৃথিবীর সেরা বিজ্ঞান।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:৩৫