আমি মূর্তি বিরোধী নই । দেশের বাহিরে গেলে সেখানকার মূর্তিগুলো দেখার চেষ্টা করি । মূর্তি দেখলে বা মূর্তির কাছে গেলেই আমার ঈমান চলে যায় না । এমন ঠুনকো ঈমান পকেটে নিয়ে চলি না । যারা মূর্তি দেখলেই ঈমান চলে যাবার ভয়ে আতঙ্ক গ্রস্থ হয়ে থাকেন তাদেরকে বলবো, বেশি করে জমজমের পানি খান আর ঈমানের শক্তি বাড়ান । পুরো দেশ মুর্তি দিয়ে ভড়ে ফেললেও কিছু যায় আসে না । যার যার ঈমান আমল তার তার কাছে । আবার অতিভক্ত মূর্তি প্রেমিকদের বলবো, "যত্রতত্র সরকারী ব্যয়ে ব্যক্তি লাভের আশায় মূর্তি বসাবেন না । মাটির পুতলার কোন ক্ষমতা না থাকলেও মাঝেমাঝে সে বড় অশান্তির কারণ হয়ে দাড়ায় ।"
সুপ্রিম কোর্টের সামনে যে মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে আমি তার বিরোধিতা করছি । কেননা আমি মনে করি এতে সুপ্রিম কোর্টের সৌন্দর্য নষ্টের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের নিরপেক্ষতাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে । যারা এ কাজটি করেছে তারা তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে । তারা সরকার ও এ দেশের মানুষের উদারতার সুযোগ নিয়েছে । তাও আবার নকল মুর্তি । নকল করা ভালো না । মানুষ ছি,ছি করছে । যদি ধর্মীয় নিরপেক্ষতার কথা বলেন, তা হলে বলবো পারলে "দিল্লি হাই কোটের" ভেতর কাটা গরুর মাথা স্থাপন করে দেখান । জঙ্গি হিন্দুরা আপনাদের কেটে টুকরা টুকরা করে ফেলবে । সেখানে রাস্তায় গরু পরিবহন করার দায়েও দু'দিন আগে একজন মুসলিমকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে ।
[গ্রিক নকল মূর্তি ]
বাংলাদেশ একটি মুসলিম রাষ্ট্র হলেও এখানে সকল ধর্মের লোকজন মিলে মিশে বাস করছে । জাতে জাতে, পাতে পাতে এখানে কোন দিন তফাত ছিল না । কিন্তু ভারতের "বিজিপি নামক জঙ্গি সংগঠনটি ক্ষমতায় আসার পর সে দেশের নেতাদের প্রকাশ্য বাংলাদেশ বিরোধী বক্তব্য,সীমান্তে একের পর এক বাঙ্গালী হত্যা, গরু নিয়ে বাড়াবাড়ি ও মুসলিম হত্যা সেই সাথে বাংলাদেশের ভেতর অবস্থান করা হিন্দু,বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ নামক ভারতীয় সংগঠনটির জন্য বাংলাদেশে মুসলিম হিন্দুদের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে ।" মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই সংগঠনটির সুবিধা ভোগী নেতারা কিন্তু বাংলাদেশে মুসলমানদের খাতির যত্নে আরাম আয়েশে আছে । কিন্তু তলে তলে তারা সাধারণ হিন্দুদের মনে বিষ ঢেলে দিচ্ছে এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে । কিছুদিন আগে তো একজন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রকাশ্য ভারতের মদত চেয়েছে । এতেই বোঝা যায় যে, এটি আসলে ভারতের বিজিপি জঙ্গিদের একটি "অঙ্গ সংঘটন" যারা প্রকাশ্যে ও গোপনে বাংলাদেশের তথ্য ভারতে পাচার করছে । বাংলাদেশে বিরাজমান ধর্মীয় পরিবেশকে অস্থির করে তুলতে চাইছে । তাই সরকারের উচিত অবিলম্বে এই সংঘটনটিকে বন্ধ করে দেওয়া ।
কাওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি দিয়ে সরকার একটি ভাল কাজ করেছে । কাওমি মাদ্রাসাগুলোতে এখন শুধু কোরআন হাদিসই পড়ানো হয় না সেই সাথে অন্যান্য বিষয়গুলোও পড়ানো হয়ে থাকে । সরকারের এই স্বীকৃতির ফলে কাওমি মাদ্রাসা আরো যুগ উপযোগী হয়ে উঠবে । একজন ভাল মুসলমান যেমন কখনও জঙ্গি হয় না । ঠিক তেমনি বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া কোন জঙ্গি ঘটনাতেই কাওমি মাদ্রাসার ছাত্রদের জড়িত থাকার খবর পাওয়া যায় না । অথচ অনেকেই বলে বেড়াচ্ছেন কাওমি মাদ্রাসায় জঙ্গি সৃষ্টি হচ্ছে । না জেনে না বুঝে কথা বলে এ দেশে অনেক মূর্খ ই জ্ঞানি সেজে আছে । তাদেরকে বলবো, কিছু লেখার আগে পড়ুন । আর নিজের যোগ্যতার দিকে অজিত সাটিফিকেটগুলোর দিকে খেয়াল রাখুন কেননা আপনি যেমন কষ্ট করে সেগুলো অর্জন করেছেন ঠিক তেমন কাওমি মাদ্রাসাররে ছেলেরাও কষ্ট করে জ্ঞান অর্জন করে চলেছে । এবং আপনার চেয়েও ভাল মানের মানুষ হয়ে গড়ে উঠছে ।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৩