somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সাখাওয়াত হোসেন  বাবন
ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে "আমার কবিতা নামে" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

আহ ! নারী স্বাধীনতা যেনো হট ডগ :P

২৪ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সৌদি সরকার নারীদের গাড়ি চালাবার অনুমতি দিয়েছে । আজ থেকে নারীরা সৌদি আরবে গাড়ি চালাতে পারবে । ইজরাইল আর পশ্চিমা ঘেষা সংস্কারপন্থী যুবরাজ নারীদের সিনেমা দেখার, ষ্টিডিয়ামে বসে খেলা উপভোগেরও অনুমতি দিয়েছে । এই জন্য সৌদি আরবে সিনেমা হল তৈরি করা হয়েছে । বহি:বিশ্বে হই হই রব উঠেছে । অনেকে আহা আহা করছে । ফেসবুক টুইটার সোশাল মিডিয়ায় বলছে সৌদির নারীরা স্বাধীন হচ্ছে । এতো দিনে আলোর মুখ দেখল। এই ধরনের কথা বার্তা বলে বেড়াচ্ছে । আমার কথা হল, গাড়ী চালালে,সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখলে কিংবা ষ্টিডিয়ামে পুরুষ ঘেঁষা হয়ে খেলা দেখাই কি নারী স্বাধীনতা ?
ইসলাম কি নারীদের পরাধীন করে রেখেছে ? ইসলাম কি নারীদের জন্য আলাদা কোন আইন করেছে ? না করেনি । নারীদের জন্য যা নিষিদ্ধ পুরুষের জন্যও তা নিষিদ্ধ । ইসলাম নারী পুরুষকে আলাদা করে ফেলেনি । মহান স্রষ্টা উভয়কেই সমভাবে সৃষ্টি করেছেন । কোরআনের কোথাও তিনি বলেননি, আমি পুরুষদের নারীদের চেয়ে উত্তম করে সৃষ্টি করেছি । উল্টো মহান আল্লাহ্‌ কুরআনে বলেছেন, আমি তোমাদের হতেই তোমাদের সঙ্গিনীদের সৃষ্টি করেছি । যেনো তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও । অর্থাৎ নারী পুরুষ একে অপরের পরিপূরক । কেউ কারো চেয়ে উঁচু নিচু নয় । তবে যেহেতু নারীদের আল্লাহ্‌ কোমল, নরম অবয়বে সৃষ্টি করেছেন তাই তাদের ব্যাপারে পুরুষদেরকে সর্তক করে দিয়ে বলেছেন, তোমরা তাদের প্রতি কোনরুপ নির্যাতন, জুলুম করো না। দেহমোহর ছাড়া তাদের স্পর্শ পয়ন্ত করার হুকুম নেই । এটা নারীর হক । নারীর প্রতি আল্লাহ্ অনুগ্রহের প্রকাশ । আল্লাহ্‌ কোথাও বলেননি, নারীরা পরাধীন আর পুরুষেরা স্বাধীন।

শয়তানের কাজই হচ্ছে , কুমন্ত্রণা দেওয়া । তাই নারী পুরুষের পোশাক ব্যাপারে সর্তক করা হয়েছে । নারীদের পরপুরুষের সাথে ঢলাঢলি না করে কর্কশ স্বরে কথা বলতে বলা হয়েছে । দ্রুরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে । কারণ পুরুষের স্বভাবই হচ্ছে, জি আফা আফা বলে তেঁতুল খাওয়া । অনেক এলাকার হুজুর স্যান্ড গেঞ্জি পরে ঘুরে ঘুরে দাত মেসাহ্ করে আর মাথা কাপড় না দেওয়া মেয়েদের দিকে তাকিয়ে,তাদের বুকের দিকে তাকিয়ে, কোমরের ভাজের দিকে তাকিয়ে নাউজুবিল্লাহ্ নাউজুবিল্লাহ্ বলে ইসলাম রক্ষা করেছে মনে করে ঢেকুর তোলে ।

ইসলামে পর্দা নারী, পুরুষ উভয়ের জন্যই বাধ্যতামূলক । পুরুষকে দৃষ্টি নত রাখতে হুকুম দেওয়া হয়েছে । আমরা সেই হুকুমের কথা ভুলে গিয়ে নারীদের কাপড়ে প্যাচিয়ে প্যাচিয়ে মমি বানিয়ে ফেলছি । সৌদিরাই সেটা করেছে । চিন্তা করুণ চোদ্দশ বছর আগে হযরত আয়েশা রা: আনহা মসজিদ নির্মাণে হাত লাগিয়েছেন । তিনি ঘরের ভেতর বন্ধী হয়ে থাকেননি । আবার মুহাম্মদ স: ঘরে বসে তরকারী কুটেছেন । আমি কি হনুরে বলে পায়ের উপর পা তুলে বসে থাকে হুকুম চালালনি। সৃষ্টি থেকেই নারী পুরুষ পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক । কেউ বড় ছোট নয় ।

নারীদের পুরুষের মতো সাট, জিন্স পরার অপরাধে শত শত মেয়েকে ইউরোপে এক সময় হত্যা করা হয়েছে । এখন ইউরোপে অনেক নারী শুধু অন্তর্বাস পরেও ঘুরে বেড়ায় । তাহলে তো সেখানকার নারীরাই বেশি স্বাধীন তাই না ? কিন্তু হায়! একটু খোজ নিয়ে দেখুন ইউরোপ আমেরিকাতেই নারীরা সব চেয়ে বেশি নির্যাতিত । সেটা কেন ? কোথায় নারী স্বাধীনতার ফসল ?

স্বাধীনতার নামে নগ্নতা, যৌনাচার কোন ধর্মই সমর্থন করে না । ক্যাথলিক নারীরা নিজেদের এমন ভাবে কালো কাপড় দিয়ে মুড়ে ফেলে যে তাদের চোখ ছাড়া আর কিছুই দেখা যায় না । এমনকি ঈশ্বরের সেবায় তারা বিয়ে পর্যন্ত করে না । যৌবন উৎসগ করে । এটা যার যার ধর্মীয় অনুশাসন, ধর্মীয় বিশ্বাস । কিন্তু এটা নিয়ে কিন্তু কেউ কিছু বলে না । বলেনা, আহারে খৃষ্টানেরা নারীদের পরাধীন করে রেখেছে । মেয়েগুলো ভরা যৌবনে সাধু হলো ।

নারী স্বাধীনতা বলতে আমি যা বুঝি তা হচ্ছে, শালীনতার ভেতর থেকে নারীরা তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ করবে । বাজার, হাট, অফিসে আদালতে কোথাও যেতে তাদের মানা নেই । একজন পুরুষ যা যা করতে পারে একজন নারীও তার প্রয়োজন তা করতে পারবে । কাঠমোল্লা আর সৌদিদের দিন শেষ । কোরআন হাদিস ছাড়া এখন আর কোন মতামত ই গ্রহণযোগ্য নয় ।

পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয়, শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ধর্মীয় আইন মেনে চলাই হচ্ছে স্বাধীনতা । যারা নারীদের ঘরের ভেতর বন্ধী করে রাখা কিংবা শরীর দেখিয়ে চলাকে নারী স্বাধীনতা বলে মনে করে তাদের ব্যাপারে আমার আর কিছু বলার নেই । গাড়ী চালাতে অনুমতি দিয়েছেন ভাল কথা ঘরের ভেতর নারী নির্যাতনটাও বন্ধ করুণ ।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪
৯টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×