somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছোটগল্পঃ স্বপ্নীল প্রেমের অকালমৃত্যু

১৭ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পর্বঃ ২

একদিন
কথা না বলতে পারলে দুজনরই মন খারাপ
থাকে|তাদের মাঝে কথা না হলও,কেউ
কাউকে একমুহ্নর্ত ভুলে থাকতে পারে না|
কথা বলতে বলতে,তারা কখন দুজন
দুজনকে ভালবেসে ফেলে|এটা তারে কেউই
বুঝতে পারে না|
এভাবেই চলছিল ভালবাসার রঙিন দিনগুলি|
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে,
ভর্তি পরীহ্মা দেওয়ার সময়|আবার তিশার
সাথে লিলির দেখা হয়|তখন লিলি তার
কিছু ছবি তিশাকে দেয়|তিশাও তার
ভাইয়ার কিছু ছবি লিলিকে দেয়|পুলক যেদিন
লিলির ছবি দেখে|সেদিন সে আরও অবাক
হয়ে যায়|লিলি এত সুন্দর হতে পারে,এটা তার
কল্পনাও ছিল না|এদিকে লিলিরও একই
অবস্থা|ছবি পাওয়ার পর
থেকে,লিলি সারাদিন ছবি গুলো চোখের
সামনে নিয়ে থাকে|আর
ভাবে কবে দেখা হবে তাদের| আর গুন গূন
করে গান গাইতো| অবশ্য লিলি খুব ভাল গান
গাইতে পারতো|লিলির কন্ঠ ছিল
মিষ্টি প্রকৃতির|যেটা পুলকের
সবচেয়ে বেশী ভাল লাগতো|লিলির কন্ঠে একটু
গান শোনার জন্য,পুলক সবসময় ব্যাকুল
হয়ে থাকতো|আর লিলিও গান শোনাতে খুব
ভালবাসতো|পুলক কখনো গান
শুনতে চাইলে,লিলি কখনো না করতো না|
লিলি ছিল, কিছুটা সহজ সরল প্রকৃতির মেয়ে|
বাইরের জগৎ সর্ম্পকে তার ধারনা একটু কম ছিল|
বাবা মার আদরের সন্তান হওয়ায়,সবার
কাছে প্রিয় পাত্র ছিল| সে সহজ সরল
ভাবে সবাইকে বিশ্বাস করতো|
বাড়িতে ভাইবোনদের সাথে সবসময়
দুষ্টিমীতে মেতে থাকতো |লিলির মুখে সবসময়
হাসি লেগে থাকতো|তার সহজ সরলতা যে,
তা জীবনে একদিন ঘন অন্ধকার হয়ে দেখা দেবে|
লিলি কখনো এটা বুঝতে পারেনি|কোন
একদিন কথার ফাঁকে লিলি তার
ভালবাসার কথা, সহজসরল ভাবে তার
আম্মুকে বলে দেয়|এটাও বলে যে, ছেলেটার
সাথে এখনো দেখা হয়নি|তবে ছেলেটার
ছবি তার কাছে আছে|পুলক সর্ম্পকে,তার
মা সবকিছু জেনে নেয়
এবং ছবি গুলো দেখে|
লিলিকে বলে, ছেলেটাকে অপছন্দ হওয়ার তেমন
কিছু নেই|তবে তোমাকে এত দুর বিয়ে দিব
না এবং ছেলেটা এখনো লেখাপড়া করছে|
আমরা এতদিন অপেহ্মা করতে পারবো না|
তোমার জন্য পাত্র দেখা হচ্ছে,ছেলে পছন্দ হলে,
তোমাকে বিয়ে দিয়ে দেয়া হবে|এ
কথা বলে ওর আম্মু চলে যায়|
সেদিন রাতে কথা বলার সময় লিলি অনেক
কান্নাকাটি করে|লিলি সবকিছু
পুলককে খুলে বলে ।পুলক তাকে বোঝানোর
চেষ্টা করে এবং বলে, তার আব্বু
আম্মুকে বোঝানোর জন্য|পুলকের
কথামত,লিলি সবকিছু তার আম্মুকে বোঝায়|
কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়না|
হঠাৎ করে,লিলিকে না জানিয়ে, ওর
বাবা মা একদিন পাত্র পহ্ম নিয়ে আসে|
লিলি তাদের সামনে যায় না|


প্রথম পর্বের লিংকঃ

Click This Link
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×