প্রযত্নে,
লিলি
আজ শুধু একটি গানই গাইতে ইচ্ছে করে|
"কি ছিলে আমার ?
বল না তুমি,আছি তো আগেরি মত|
এখনও আমি . . . . .
লিলি, আজও তোমায় আমি ভুলতে পারিনি|
কিভাবে ভুলবো তোমায় আমি?
বল|
তোমার স্মৃতি গুলো আমায়|প্রতিমুহ্নর্তে তাড়া করে|আমি ভবঘুরের মতো ঘুরে বেড়াই,এদিক সেদিক|কোন কূল কিনার খুজে পাই না|এখন আমি এক বিভ্রান্ত পথিক|
কোথাও তুমি নেই|আমি আগের মত, এখনো তোমার ফোনের অপেহ্মায় থাকি|কখনো, তুমি যদি একটিবার ফোন দাও|কিন্তু না ,তোমার ফোন আর আসে না|
অপেহ্মা করতে করতে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছি|
আসলে সেদিন কি ঘটেছিল?
আজও আমি ভালভাবে জানতে পারিনি|
শুনেছি ,তোমার বিয়ে হয়ে গেছে|
কিভাবে তুমি পারলে? আরেকজন মানুষকে বিয়ে করতে|
লিলি তুমি কি পার?
তোমার স্বামীকে ভালবাসতে|
তুমি কি পার ? তোমার হাসিমাখা মুখ তোমার স্বামীকে দেখাতে|
কিভাবে তুমি কথা বলো?
তোমার স্বামীর সাথে|
তুমি কি প্রতিরাতেই তোমার স্বামীর সাথে ঘুমাও?
তোমার স্বামী কি?
তোমার ঘন অরন্যর গুহার মধ্যে,
প্রতিরাতেই অবিরত বৃষ্টি বর্ষন করে|
আমরা খুব জানতে ইচ্ছা করে|
কিভাবে তুমি এটা পার?
আমি কখনো সুউচ্চ পাহাড়ের উপর উঠেনি|
উচ্চতা ভীতি ছিল বলে|
আমি কখনো তোমার উচু স্তনের উপরও উঠেনি| তোমার সাথে আমার তখনো বিয়ে হয়নি বলে|
কিন্তু, আমার কি দোষ ছিল বলো?
তুমি কিভাবে পারলে?
এভাবে নিজেকে বিলিয়ে|আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে|
তুমি কি তোমার স্বামীকে,প্রতিরাতেই তোমার সমুধুর কন্ঠে গান শোনাও?
আমাকে যেভাবে শোনাতে|
আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে|
লিলি, আজও তোমায় স্মৃতি থেকে মুছে ফেলতে পারিনি পারনি|তোমার দেয়া ছবি গুলো, আজও আমার কাছে সযত্নে আছে|এখনিও রাখি, তোমার ছবি গুলো,আমার মানিব্যাগে|একটু মনে পড়লেই,ছবি গুলো দেখি|আর তোমার কথা মনে করি|তোমার ছবির সাথে কথা বলি|কখনো তুমি যদি ফিরে আসো|
লিলি, আমার ছবি গুলো কি ,এখনো তোমার কাছে আছে?
তুমি কি আগের মতো ,এখনো আমার ছবি গুলো দেখো?
আর গুন গুন করে গান গাও|
নাকি, নিজের সুখের জীবনের কথা চিন্তা করে|ছবি গুলো নষ্ট করে ফেলেছো|
খুব জানতে ইচ্ছে করে আমার|
কিভাবে ভুলে আছো?
তুমি আমাকে, এতদিন ধরে|
কিভাবে পারছো তুমি?
আমি তো পারছি না।তোমাকে ভুলে থাকতে|
তুমি কিভাবে পারছো?
হোক না তোমার বিয়ে|
একটি বারও কি, তুমি আমার সাথে কথা বলতে পার না?
|
আমার বিশ্বাস হয়না, লিলি|
তুমি আমায় কখনো,ভুলে যেতে পারবে|
এটাও কি সম্ভব?
একজন মানুষকে মন প্রাণ উজাড় করে ভালবেসে|
পরে,তাকে ভুলে যাওয়া|
আমার বিশ্বাস হয়না, লিলি|
তুমি এটা পারবে|
হয়তো নিরবে, তুমি তোমার চোখের অশ্রু ঝড়াও|কেউ সেটা দেখতে পায়না|
লিলি,আমরা দুজনেই সমাজ সংসারের কাছে হেরে গেছি|সমাজের নিয়ম কানুনের কাছে|
আমাদের হাত পা বাঁধা|
কিছুই করার নেই আমাদের|
কষ্ট পাওয়া আর নিরবে চোখের জল ফেলা ছাড়া|
আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে,লিলি|
আসলেই,তুমি কেমন আছো?
কতটুকু ভাল আছো?
আমার জন্য আর কেঁদো না|
চোখের জল মুছে ফেলার চেষ্টা করো|
তুমি সুখী হওয়ার চেষ্টা করো|
জানি তুমি সুখী হতে পারবে না|
তবুও সুখের অভিনয় করো|
জানি তুমি আমাকে ভুলে যেতে পারবে না|
তবুও ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করো|
জানো লিলি,তোমার মতো এখন আর কেউ আমাকে গান শোনায় না|
কেউ আমাকে নিয়ে আর চাওয়া পাওয়া কবিতা লেখে না|
তোমার গান,কবিতা শুনতে ইচ্ছে করলে,মোবাইলে রাখা|
তোমার গান ও কবিতা গুলো, এখনো শুনি|
জানো লিলি,প্রকৃতির আকাশ,বাতাস.প্রতিটি ধূলিকনা| সবাই আমাকে জানিয়ে দিচ্ছে|
তুমি আর আমার নেই|
তোমাকে আমি হারিয়ে ফেলেছি|
কোন কিছুতেই তুমি আর আমার হবার নও|
এটাই নির্মম সত্যি কথা|
কিন্তু, এখন আমি কি করবো?
কি করার আছে আমার?
লিলি, তোমাকে হারানোর কষ্ট,ব্যাথা,বেদনা থেকে আমি মুক্তি পেতে চাই|
কিন্তু,আমি কি মুক্তি পাবো?
জানি না আমি ।
তবুও লিলি,
তোমাকে মনে পড়লেও ।
আজ থেকে আর তোমার ছবি দেখবো না|
তোমার গান ,কবিতা শুনতে ইচ্ছে করলেও আর শুনবো না|
দু চোখের অশ্রু ঝড়ে ঝড়ুক,কষ্টে বুক ফেটে যায় যাক|
তবুও না|
আজকেই তোমার ছবি গুলো, মানিব্যাগ থেকে খুলে ফেলবো|
জানি, তোমাকে আমি কখনো ভুলে যেতে পারবো না|
তবুও ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করবো ।
আমি তোমায় যতটুকু ভালবেসেছি|
হয়তো,এতভাল আর কাউকেই বাসতে পারবো না|
নিরবে, তোমাকে মনে রখে দিব|
শুধু ভাববো|
এই মেয়েটিকে একসময় আমি মন প্রান উজাড় করে ভালবেসেছিলাম|
লিলি, তোমাকে নিয়ে আর কোন গল্প,কবিতা লিখবো না|
এটাই, তোমাকে নিয়ে লেখা,আবেগ অনুভূতির শেষ লেখা|
লিলি, আজ তোমার জন্মদিন|
তুমি আজ থাকলে হয়তো, তোমাকে নিয়ে গল্প কবিতা লিখতাম|
আর, তুমি আমাকে বলতে|
আসলেই তুমি পাগল একটা|
জানি না,তোমাকে নিয়ে লেখা,
এ চিঠি,কখনো তোমার হাতে পৌছবে কিনা?
তবুও ,এ চিঠি আকাশে, বাতাসে উড়িয়ে দিলাম|
তোমার জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা রইলো|
ভাল থেকো তুমি,
সুখী হও তুমি . . . . .
ইতি
তোমারই . . .
পুলক